রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

ডিমলায় ঝুঁকিপূর্ণ কাঁঠের সাঁকো দশ গ্রামের মানুষের একমাত্র মাত্র ভরসা

মোঃ আমিনুর রহমান দুলাল, ডিমলা প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:৪৯ পিএম | 103 বার পড়া হয়েছে
ডিমলায় ঝুঁকিপূর্ণ কাঁঠের সাঁকো দশ গ্রামের মানুষের একমাত্র মাত্র ভরসা

নীলফামারীর ডিমলায় পারাপারের জন্য দশ গ্রামের লোকজনের জন্য কাঠের সাঁকোই এক মাত্র ভরসা। গত ৮ বছর ধরে একটি ব্রিজ তৈরির স্বপ্ন দেখছেন এলাকাবাসি। নিজেদের উদ্যেগে বাঁশ ও কাঠের সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন পারাপার করছেন হাজারো মানুষ ও কোমলমতিসহ স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ঝারসিংহেশ্বর ও খগারচর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, তিস্তা নদীবেষ্টিত বাঁধের রাস্তার পাশে প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশি পরিবার বসবাস করে আসছে। এলাকাবাসি নিজেরাই চাঁদা তুলে বাঁশ, কাঠ সংগ্রহ করে পর্যায়ক্রমে বাঁশ ও কাঠের সাঁকো (পুল) নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার হচ্ছেন। এ অবস্থা চলছে তাদের প্রায় ১০ বছর। তারা একাধিকবার জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাস পেয়েছেন ব্রিজ নির্মাণের। কিন্তু এলাকাবাসি জানিয়েছেন সেই আশ্বাস পূরণ হয়নি আজও। হরহামেশাই ঘটছে দূর্ঘটনা। এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে আমাদের দুর্গতির কথা। বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও পাননি কোন প্রতিকার।

জানা গেছে, ওই এলাকার সকলেই প্রায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারে বসবাস করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত । গ্রামের শতকরা ৯৫ ভাগ লোক কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করে। আর্থ সামাজিক উন্নয়নে এলাকার যোগাযোগ ব্যাবস্থায় ব্রীজটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। বিগত ২০১৬ সালে তিস্তা নদীর আকস্মিক বন্যায় আয়শা মেম্বারের বাড়ি হতে খাড়াপাড়া যাতায়াতের সড়কটি ভেঙ্গে গিয়ে জনদুর্ভাগ্যে পড়ে ওই এলাকার মানুষজন। তারপর থেকে নানা ফসল উৎপাদন করলেও যাতায়াত ও পরিবহনের প্রতিকূলতার কারণে ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না এই এলাকার কৃষকেরা। এতে কৃষকদের বছরের পর বছর মানবেতর জীবনযাপন করছে অপরদিকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত
হচ্ছে।

জানা গেছে, বিগত বছরের নির্বাচনগুলোতে প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হলেও আজ পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে এগিয়ে আসেননি কোন জনপ্রতিনিধি। উপজেলা সদর, উপজেলা হাসপাতাল, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইউনিয়ন পরিষদ,হাট-বাজারসহ জেলার সংযোগের এক মাত্র চলাচলের সড়কের পথ এই ব্রীজটি । এই ব্রীজ নির্মাণ করা হলে এলাকার মানুষ এটি ব্যবহার করে খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন যেকোনো জায়গায়। চলবে যানবাহন,ঘটাবে আর্থসামাজিক উন্নয়ন। নিশ্চিত হবে ওই এলাকার উৎপাদিত কৃষি পণ্যের বাজারদর।

এলাকার স্থানীয় ব্যক্তি আলী আজগর বলেন, প্রতিদিন ওই সড়ক দিয়ে পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ২, ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডের আশ্রয়ন প্রকল্পের গ্রাম, খাড়াপাড়া ও ঝাড়সিংহেশ্বর গ্রামসহ আশপাশের এলাকার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে হাজারো মানুষজন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। বর্ষা মৌসুমে তিস্তার বন্যায় এই অঞ্চলে পলি পরে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায় কয়েক গুণ। ধান, গম, ভুট্টা, মরিচ, বাদাম, মিষ্টি আলু, গাজর, পেঁয়াজ, রসুন প্রভৃতি কৃষিপন্য উজাড় করে দেয় প্রকৃতি। সড়কে একটি ব্রিজের অভাবে বাজার মূল্য থেকে বঞ্চিত তারা। আরো জানান, বাজার মূল্য থেকে বঞ্চিত হন তা নয়, বর্ষা মৌসুমে শিশুদের এই ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের পুলের ওপর দিয়ে স্কুলে পাঠাতে ভয় হয়। তারা পানিতে পড়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

একই এলাকার পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া শিক্ষার্থী ইমন ও সাব্বিরসহ আরো একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, বিশেষ করে বর্ষা মাসে বন্যার সময় আমাদের বিদ্যালয় যেতে অনেক সমস্যা হয়। আমরা অনেক ঝুকি নিয়ে সাঁকো পাড় হয়ে বিদ্যালয়ে যাই। সড়কের ওই ভাঙ্গা জায়গায় একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবী জানাচ্ছি।

ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা পরান আলী বলেন, শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে কোন রকম এই গভিরখালটি পারাপার হলেও বর্ষাকালে জলে ভরে থাকায় বন্যার স্রোতে কাঠের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। অনেক দুর্ঘটনাও ঘটে এখানে।

স্থানীয় বাসিন্দা আয়নাল হক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত বছর আমার ছেলে সাঁকো থেকে পড়ে আহত হয়। আমরা অনেক কষ্ট করে যাতায়াত করি। কৃষকদের যত মালামাল এই ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হয়।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দুঃখ-কষ্টের কথা কেউ শোনে না। বর্ষার সময় সাঁকোটি পাড় হওয়া অনেক কষ্টকর। ওই সময় এই খাল পানিতে টই টম্বুর হয়ে থাকে। থাকে অনেক স্রোত। তখন সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে যায়। আমাদের কষ্ট কেউ বুঝে না। ৯ বছর থেকে শুনছি এখানে একটি ব্রীজ হবে। এখনো হলো না! আর হবে কি না, সেটাও জানি না!

স্থানীয় বাসিন্দ মিজানুর রহমান বলেন, এখানে আমরা অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আমরা নিরুপায়, বৃহৎ একটি এলাকা আজ অবরুদ্ধ। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সার্বিক উন্নয়ন থেকে আমরা বঞ্চিত। আমরা এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, তিস্তা বেষ্টিতে নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এই এলাকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, দরিদ্র কৃষক ও হাজারো পথচারীর চলাচলের সুবিধার্থে এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনুরোধ করেও লাভ হয়নি।

ডিমলা উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সফিউল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আগামীতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্রীজটি নির্মাণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া বলেন, আয়শা মেম্বারের বাড়ি থেকে খাড়াপাড়া সড়কের খালের উপর ব্রিজ নির্মাণের বিষয়ে আমরা অবগত আছি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা করে একটা ব্রীজ নির্মাণের ব্যাপারে খুব শিগগিরই উদ্যোগ নেয়া হবে।

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া

কাহালুতে বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৪৫ এএম
কাহালুতে বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

বগুড়ার কাহালু উপজেলায় বিএনপি’র পক্ষ থেকে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। দেশনায়ক ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতির সামনে উপস্থাপিত এই ৩১ দফা দিকনির্দেশনামূলক কর্মসূচি গত ২ আগস্ট শনিবার বিকেল ৫টায় কাহালু উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিতরণ করেন স্থানীয় ও জেলা বিএনপির নেতারা।

এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও কাহালু পৌরসভার সাবেক মেয়র ফরিদুর রহমান ফরিদ, কাহালু উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন ফকির, সাবেক পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, আজিজুল হক মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নওয়াজ উদ্দিন, কাহালু উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আকরাম হোসেন, উপজেলা বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোনোয়ার হোসেন মিনু, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুঞ্জুরুল আলম পান্না, পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক কমিশনার রাম চন্দ্র দাস, পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমান, কাহালু উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুল হক, পাইকড় ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য জামিল উদ্দিন, যুবদলের কাহালু উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ ফকির, পৌর বিএনপির প্রচার সম্পাদক হাবিল উদ্দিন, পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, মাষ্টার মোজাফ্ফর হোসেন, যুব নেতা বারী প্রাং এবং পৌর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রাকিব হোসেন প্রমুখ।

এ সময় এক বক্তব্যে অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, “বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, যেটি জনগণের কল্যাণে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনটি বরাবরই বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এই এলাকার মানুষ বরাবরই জিয়া পরিবারকে ভালোবাসে এবং শ্রদ্ধা করে। তাই তৃণমূল নেতাকর্মীদের আকাঙ্ক্ষা, এ আসনে জিয়া পরিবারের কোনো সদস্যকে প্রার্থী করা হোক, অথবা বিকল্প হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আসা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয়া হোক।”

তিনি আরও বলেন, “৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের এই কর্মসূচি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে তা পৌঁছে দিচ্ছি, যাতে মানুষ বুঝতে পারে বিএনপি শুধু ক্ষমতার রাজনীতি নয়, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিশ্বাস করে।”

এই সাহসী কার্যক্রমে কাহালু উপজেলার সর্বস্তরের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। মাঠপর্যায়ে বিএনপির এই তৎপরতা আবারও প্রমাণ করে যে, তারা জনগণের সঙ্গে থেকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া

৩ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের প্রথম বর্ষপূর্তি: উজ্জ্বল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সাহসী যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৩৭ এএম
৩ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের প্রথম বর্ষপূর্তি: উজ্জ্বল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সাহসী যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা

আজ ৩ আগস্ট ২০২৫ — ইতিহাসের পাতায় লেখা গৌরবময় এক দিন। এক বছর আগে এই দিনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। ২০২৪ সালের এই দিনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। সেই ঐতিহাসিক ঘটনার আজ প্রথম বর্ষপূর্তি।

এই গৌরবের দিনে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল উজ্জ্বল বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন এবং গণতন্ত্রকামী সকল শহিদ, সংগ্রামী এবং সাহসী যোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসজুড়ে চলা দুর্বার গণআন্দোলনে ছাত্রসমাজ, তরুণ প্রজন্ম, শ্রমজীবী মানুষ ও সাধারণ জনগণের একতাবদ্ধ লড়াই ছিল অবিস্মরণীয়। তারা অন্যায়, দুঃশাসন ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বুক চিতিয়ে। অনেকেই হারিয়েছেন প্রাণ, অনেকে আহত হয়েছেন, কিন্তু সেই আত্মত্যাগের ফলেই দেশে এসেছে গণতন্ত্রের নতুন ভোর।

এই সংগ্রামের পেছনে শুধু রাজপথে নয়, সাহসিকতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন দেশের গণমাধ্যমকর্মীরাও। বিশেষ করে উজ্জ্বল বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত সম্পাদক রাজিবুল করিম রোমিও তখনকার কঠিন পরিস্থিতিতেও নি‌র্বিচারে সাহসী সংবাদ প্রচার অব্যাহত রাখেন। দমন-পীড়নের ভয়ে থেমে না গিয়ে, তিনি দেশবাসীর সামনে নির্ভয়ে তুলে ধরেছেন আন্দোলনের প্রতিটি মুহূর্ত, সত্য ঘটনা ও জনগণের অবস্থান।

রাজিবুল করিম রোমিও তাঁর নেতৃত্বে সংবাদপত্রকে কেবল তথ্য পরিবেশনের মাধ্যম নয়, বরং প্রতিবাদের প্রতীক এবং জনগণের কণ্ঠস্বর হিসেবে রূপ দেন। তাঁর নির্ভীক সংবাদকর্মিতা, বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদন গণআন্দোলনের গতি আরও তরান্বিত করে এবং আন্দোলনের শক্তিকে পৌঁছে দেয় ঘরে ঘরে।

উজ্জ্বল বাংলাদেশ মনে করে, ৩ আগস্ট শুধু একটি রাজনৈতিক পরিবর্তনের দিন নয় — এটি সাহস, চেতনাবোধ ও জনতার বিজয়ের এক অমর স্মৃতি। আজকের এই দিনে সেই সকল সাহসী যোদ্ধাদের স্মরণ করা এবং তাঁদের আদর্শকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

আসুন, আমরা সবাই মিলে এই দিনের চেতনাকে ধারণ করি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নেওয়া এবং সত্য প্রকাশে নির্ভীক থাকা — এ হোক আমাদের অঙ্গীকার।

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া

দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট চাইলেন ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৩০ এএম
দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট চাইলেন ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ মালঞ্চা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভায় অংশ নেন।

গণসংযোগের অংশ হিসেবে তিনি মালঞ্চা ইউনিয়নের গুড়বিশা, সাবানপুর, মাগুড়া, এরুইল, বিশা, কলমা, ইন্দুখুর, ভালশুন, কল্যাপাড়া, পানিসারা ও মালঞ্চা বাজার এলাকায় সাধারণ জনগণের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন।

গণসংযোগ শেষে মালঞ্চা বাজারে পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ বলেন,
“ইসলামের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে ইসলামিক পতাকার নিচে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ন্যায়, ইনসাফ ও আদর্শভিত্তিক সমাজ গঠনে জামায়াতের বিজয় জরুরি।”

পথসভায় সভাপতিত্ব করেন মালঞ্চা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আলহাজ্ব মাওলানা আবু দাউদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাহালু উপজেলা জামায়াতে ইসলামী’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

গণসংযোগে স্থানীয় জনগণের ব্যাপক আগ্রহ ও উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়। জামায়াত প্রার্থীকে ঘিরে সৃষ্টি হয় প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর পরিবেশ।

error: Content is protected !!