ভোজ্যতেল ও ডিমের মূল্যে সুখবর
ভোজ্যতেল ও ডিমে সুখবর দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আমদানিতে ভোজ্যতেলে পাঁচ শতাংশ ও ডিমে ২০ শতাংশ শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “সাধারণ মানুষের মধ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা কাজ করছে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনতে বিশেষ করে ডিমের দামের ঊর্ধগতি ঠেকাতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমদানি প্রক্রিয়াতে ডিমের শুল্ক ৩৩ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ কমিয়ে ১৩ শতাংশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ভোজ্যতেলে পাঁচ শতাংশ শুল্ক কমানো হয়েছে এবং ভোক্তা পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক বৈঠকে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী নেতারা ভোজ্য তেল আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক পাঁচ শতাংশ এবং উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে আরোপিত সমুদয় মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) অব্যাহতির প্রস্তাব করেন।
এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সভায় উপস্থিত কয়েকজন আড়তদার ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যেটি বাস্তবায়ন করতে পারলে ভোক্তা পর্যায়ে সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম বিক্রি সম্ভব।
শাকসবজি, মাছসহ ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ায় ডিমের বাড়তি চাহিদা তৈরি হওয়া ও দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় উৎপাদন কমে যাওয়ার ফলে ডিমের সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে। যা সামাল দিতে সরকার সাড়ে ৪ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। তবে সেই ডিম এখনো দেশে এসে পৌঁছায়নি।
ব্যবসায়ীদের দাবি, অভিযানের নামে তাদের যেন হয়রানির শিকার হতে না হয়। কারণ, উৎপাদন পর্যায় থেকে বেশি দামে কিনলে আড়তদার কখনো কম মূল্যে বিক্রি করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, তাও বাস্তবসম্মত নয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, এ অবস্থায় ভোক্তা অধিদপ্তর ‘আপাতত’ সরকার নির্ধারিত মূল্যে ডিম বিক্রি নিয়ে ব্যবসায়ীদের চাপ প্রয়োগ করবে না বলে সভায় জানিয়েছে। একইসঙ্গে করপোরেট কোম্পানিগুলো ঢাকায় যাতে ডিমের সরবরাহ বাড়ায় সে বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছে।
ডিম উৎপাদনকারীরা জানান, সরকার চাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীদের বাদ দিয়ে কীভাবে সরাসরি ঢাকায় ডিমের সরবরাহ করা যায়। এজন্য বড় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।