রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

রূপগঞ্জে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে ১৫ হাজার পরিবার

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:১৭ পিএম | 66 বার পড়া হয়েছে
রূপগঞ্জে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে ১৫ হাজার পরিবার

টানা কয়েক দিনের বর্ষণে রূপগঞ্জের ৩০ গ্রামের অন্তত ১৫ হাজার পরিবার এখন পানিবন্দি। তাদের দুর্ভোগ চরমে। ভেসে গেছে মাছের খামার। গত কয়েক দিনের অতি বৃষ্টিতে ও অপরিকল্পিতভাবে সেচ প্রকল্প নির্মাণ এবং পানি নিষ্কাশনের খালগুলো বেদখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কোন কোন রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে ও মাঠে এবং রূপগঞ্জ থানার সামনের সড়কে হাঁটু সমান পানি। নির্মাণাধীন ডেমরা-রূপগঞ্জ-কালীগঞ্জ সড়কের বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ চরমে। উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে মানুষ। আকাশে মেঘ জমলেই নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী সেচ প্রকল্পের ভেতরে বসবাসকারীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।
১৯৮৪ সালে ৯০ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী অগ্রণী সেচ প্রকল্প-১ ও পরে ১৯৯৩ সালে ১০১ কোটি টাকা ব্যয়ে শীতলক্ষ্যার পূর্বপারের পাঁচ হাজার হেক্টর জমি ঘিরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। সেচ প্রকল্প নির্মাণ হওয়ার কয়েক বছর পরেই এখানে শুরু হয় জলাবদ্ধতা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার তারাবো পৌরসভার গন্ধর্বপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভবনের নিচ তলার সকল শ্রেণিকক্ষ ও মাঠে হাঁটু সমান পানি। তাতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারেই কম। এছাড়া গোলাকান্দাইল, মধ্যপাড়া, তারাবো, বৌবাজার, বরপা, ভুলতা, দক্ষিণপাড়া, খালপাড়, নাগেরবাগ, মদিনানগর, বাকমোর্চা, তারাবো পৌরসভার তেঁতলাবো, ইসলামবাগ, নতুন বাজার, কান্দাপাড়া, বলাইখা, বিজয়নগর, পশ্চিম কান্দাপাড়া, উত্তর মাসাবো, যাত্রামুড়া, রূপসী ও ভুলতা ইউনিয়নের মাঝিপাড়া, সোনাবো, পাঁচাইখা, ইসলামপুরসহ আশপাশের এলাকায় এখন জলাবদ্ধতা। বাড়ির উঠানে পানি। অনেকের ঘরেই হাঁটু থেকে কোমরপানি। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। জমির ফসল হলদে হয়ে মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। গবাদিপশু অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় কেউ কেউ আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। আবার কেউ কেউ বাঁশের মাচার ওপর বসবাস করছে। কয়েকটি শিল্পকারখানায়ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো স্থানে টিউবওয়েল পানিতে তলিয়ে গেছে। সেই সব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। দেখা দিয়েছে খাবারের সংকট। কোন কোন রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। রূপগঞ্জ থানার সামনের সড়কে হাঁটু সমান পানি। নির্মাণাধীন ডেমরা-রূপগঞ্জ-কালীগঞ্জ সড়কের বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ বেড়েই চলছে। এ সড়কের নির্মাণ কাজ কবে শেষ হবে তা কেউ বলতে পারছে না। তাছাড়া শিল্পকারখানার নির্গত কেমিক্যাল ও দুর্গন্ধযুক্ত কালো পানিতে দূষণ হয়ে রোগাক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের দুর্ভোগ অবর্ণনীয়।
এদিকে চোরাবো-সমু মার্কেট সড়ক ডুবে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি বেশি হওয়ায় বালু ও শীতলক্ষ্যাসহ নদ নদীর পানীও বেড়েছে। তারাবো পৌরসভার নিন্মাঞ্চলের বসতঘরে হাঁটু সমান পানি। টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নিন্মাঞ্চলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা স্থায়ীরূপ নিয়েছে। কোন কোন স্থানে অব্যাহত বৃষ্টিতে সেতুর সংযোগ সড়ক ডুবে গেছে।
দেবৈই গ্রামের রানা মন্ডল বলেন, সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় অতিকষ্টে চলছে নিম্ন আয়ের মানুষের সংসার। দেখা দিয়েছে খাবারের সংকট। শিল্পকারখানার নির্গত বর্জ্যে পানি নিষ্কাশন খালগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। শিল্পকারখানার নির্গত পানি কুচকুচে কালো রং ধারণ করেছে। এই পানিতে হাঁটাচলা করতে গিয়ে মানুষ চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পানির কীট-পতঙ্গসহ মাছ মরে যাচ্ছে। আশপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
বরপা শান্তিনগর গ্রামের রওশন আলী বলেন, ১০-১২ বছর ধরে এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই এখানে হাঁটু সমান পানি হয়। পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদের বাঁচতে হচ্ছে। কায়েতপাড়ার কামশাইর গ্রামের আমেনা খাতুন বলেন, তার ঘরে হাঁটুপানি। চুলায় আগুন জ্বালাতে পারেন না। ঘরে খাবার নেই। বিশুদ্ধ পানি নেই। শুকনো খাবার খেয়ে বাঁচতে হচ্ছে। অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন।
গোলাকান্দাইল এলাকার যুবদল নেতা রাজিব ভুঁইয়া বলেন, রূপগঞ্জ শিল্পাঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সে কারণে জমির দাম বেশি। তুলনামূলকভাবে নিচু জমির দাম কম। তাই অনেকেই নিচু অঞ্চলে কম দামে জমি কিনে ঘরবাড়ি নির্মাণ করছেন। আর সে কারণেই নির্মিত ঘরবাড়িতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
মুড়াপাড়া দড়িকান্দী এলাকার বিএনপি নেতা মজিদ ভুঁইয়া বলেন, দড়িকান্দী, গঙ্গানগর, কুলীনপাড়া, সরকারপাড়া এলাকার নিন্মাঞ্চলের ঘর বাড়িতে পানি উঠেছে। তলিয়ে গেছে কৃষকদের ফসলি জমি। বানিয়াদী এলাকার যুবদল নেতা কামাল হোসেন বলেন, স্থানীয় শিল্প কারখানা অপরিকল্পিভাবে স্থানে স্থানে বাঁধ নির্মাণ করায় ও বর্জ্য ফেলে পানি নি:ষ্কাশনের খাল বন্ধ করে দেওয়ায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নিয়েছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার আফরোজা সুলতানা বলেন, শতাধিক বিঘা জমির শাক-সবজি ও ১৫/২০ বিঘা জমির রোপা আমনের বীজতলার ক্ষতি হয়েছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা প্রকোশলী মেহমুদ মোর্শেদ উল আল-আমিন, অতি বর্ষণে ও পাহাড়ী ঢলে পানি বেড়ে যাওয়ায় চলাচলে কিছুটা বিঘœ ঘটছে। রাস্তা ঘাটের ক্ষতি হয়েছে। তবে পানি নি:ষ্কাশনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ রকিবুল আলম রাজিব বলেন, নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী সেচ প্রকল্প বøক-১ এর চারটি পাম্প ও অগ্রণী সেচ প্রকল্পে তিনটি সেচ পাম্প দিয়ে সার্বক্ষণিক পানি নি:ষ্কাশন করা হচ্ছে। তবে ভারী বৃষ্টিপাত না হলে পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাবে। বেদখল খাল উদ্ধার, ভরাট হয়ে যওয়া সেচ খাল সংস্কার করা হলে, শিল্প-কারখানার বর্জ্য পরিশোধন করে নির্গত করা হলে ও গণমানুষ সচেতন হলেই জলবদ্ধতা নিরসন সহজ হবে।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তারাবো পৌরসভা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার ভেতরে পানি নি:ষ্কাশনের জন্য ৩১ কিলোমিটার খাল খনন করা হয়েছে। এ খাল দিয়ে যাত্রামুড়ার পাম্পহাউজের ৩টি ও রূপসী পাম্পহাউজের ৪টি পাম্প দিয়ে দিনরাত পানি নি:ষ্কাশন করা হচ্ছে। রূপগঞ্জের তিনটি সেচ প্রকল্পসহ বিভিন্ন জায়গার সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ চলছে। আগামী ২/৩ দিনের মধ্যেই ফল পাওয়া যাবে তবে এক মাসের মধ্যে জলবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া

কাহালুতে বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৪৫ এএম
কাহালুতে বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

বগুড়ার কাহালু উপজেলায় বিএনপি’র পক্ষ থেকে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। দেশনায়ক ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতির সামনে উপস্থাপিত এই ৩১ দফা দিকনির্দেশনামূলক কর্মসূচি গত ২ আগস্ট শনিবার বিকেল ৫টায় কাহালু উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিতরণ করেন স্থানীয় ও জেলা বিএনপির নেতারা।

এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও কাহালু পৌরসভার সাবেক মেয়র ফরিদুর রহমান ফরিদ, কাহালু উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন ফকির, সাবেক পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, আজিজুল হক মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নওয়াজ উদ্দিন, কাহালু উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আকরাম হোসেন, উপজেলা বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোনোয়ার হোসেন মিনু, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুঞ্জুরুল আলম পান্না, পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক কমিশনার রাম চন্দ্র দাস, পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমান, কাহালু উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুল হক, পাইকড় ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য জামিল উদ্দিন, যুবদলের কাহালু উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ ফকির, পৌর বিএনপির প্রচার সম্পাদক হাবিল উদ্দিন, পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, মাষ্টার মোজাফ্ফর হোসেন, যুব নেতা বারী প্রাং এবং পৌর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রাকিব হোসেন প্রমুখ।

এ সময় এক বক্তব্যে অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, “বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, যেটি জনগণের কল্যাণে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনটি বরাবরই বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এই এলাকার মানুষ বরাবরই জিয়া পরিবারকে ভালোবাসে এবং শ্রদ্ধা করে। তাই তৃণমূল নেতাকর্মীদের আকাঙ্ক্ষা, এ আসনে জিয়া পরিবারের কোনো সদস্যকে প্রার্থী করা হোক, অথবা বিকল্প হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আসা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয়া হোক।”

তিনি আরও বলেন, “৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের এই কর্মসূচি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে তা পৌঁছে দিচ্ছি, যাতে মানুষ বুঝতে পারে বিএনপি শুধু ক্ষমতার রাজনীতি নয়, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিশ্বাস করে।”

এই সাহসী কার্যক্রমে কাহালু উপজেলার সর্বস্তরের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। মাঠপর্যায়ে বিএনপির এই তৎপরতা আবারও প্রমাণ করে যে, তারা জনগণের সঙ্গে থেকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া

৩ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের প্রথম বর্ষপূর্তি: উজ্জ্বল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সাহসী যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৩৭ এএম
৩ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের প্রথম বর্ষপূর্তি: উজ্জ্বল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সাহসী যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা

আজ ৩ আগস্ট ২০২৫ — ইতিহাসের পাতায় লেখা গৌরবময় এক দিন। এক বছর আগে এই দিনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। ২০২৪ সালের এই দিনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। সেই ঐতিহাসিক ঘটনার আজ প্রথম বর্ষপূর্তি।

এই গৌরবের দিনে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল উজ্জ্বল বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন এবং গণতন্ত্রকামী সকল শহিদ, সংগ্রামী এবং সাহসী যোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসজুড়ে চলা দুর্বার গণআন্দোলনে ছাত্রসমাজ, তরুণ প্রজন্ম, শ্রমজীবী মানুষ ও সাধারণ জনগণের একতাবদ্ধ লড়াই ছিল অবিস্মরণীয়। তারা অন্যায়, দুঃশাসন ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বুক চিতিয়ে। অনেকেই হারিয়েছেন প্রাণ, অনেকে আহত হয়েছেন, কিন্তু সেই আত্মত্যাগের ফলেই দেশে এসেছে গণতন্ত্রের নতুন ভোর।

এই সংগ্রামের পেছনে শুধু রাজপথে নয়, সাহসিকতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন দেশের গণমাধ্যমকর্মীরাও। বিশেষ করে উজ্জ্বল বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত সম্পাদক রাজিবুল করিম রোমিও তখনকার কঠিন পরিস্থিতিতেও নি‌র্বিচারে সাহসী সংবাদ প্রচার অব্যাহত রাখেন। দমন-পীড়নের ভয়ে থেমে না গিয়ে, তিনি দেশবাসীর সামনে নির্ভয়ে তুলে ধরেছেন আন্দোলনের প্রতিটি মুহূর্ত, সত্য ঘটনা ও জনগণের অবস্থান।

রাজিবুল করিম রোমিও তাঁর নেতৃত্বে সংবাদপত্রকে কেবল তথ্য পরিবেশনের মাধ্যম নয়, বরং প্রতিবাদের প্রতীক এবং জনগণের কণ্ঠস্বর হিসেবে রূপ দেন। তাঁর নির্ভীক সংবাদকর্মিতা, বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদন গণআন্দোলনের গতি আরও তরান্বিত করে এবং আন্দোলনের শক্তিকে পৌঁছে দেয় ঘরে ঘরে।

উজ্জ্বল বাংলাদেশ মনে করে, ৩ আগস্ট শুধু একটি রাজনৈতিক পরিবর্তনের দিন নয় — এটি সাহস, চেতনাবোধ ও জনতার বিজয়ের এক অমর স্মৃতি। আজকের এই দিনে সেই সকল সাহসী যোদ্ধাদের স্মরণ করা এবং তাঁদের আদর্শকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

আসুন, আমরা সবাই মিলে এই দিনের চেতনাকে ধারণ করি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নেওয়া এবং সত্য প্রকাশে নির্ভীক থাকা — এ হোক আমাদের অঙ্গীকার।

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া

দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট চাইলেন ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৩০ এএম
দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট চাইলেন ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ মালঞ্চা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভায় অংশ নেন।

গণসংযোগের অংশ হিসেবে তিনি মালঞ্চা ইউনিয়নের গুড়বিশা, সাবানপুর, মাগুড়া, এরুইল, বিশা, কলমা, ইন্দুখুর, ভালশুন, কল্যাপাড়া, পানিসারা ও মালঞ্চা বাজার এলাকায় সাধারণ জনগণের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন।

গণসংযোগ শেষে মালঞ্চা বাজারে পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ বলেন,
“ইসলামের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে ইসলামিক পতাকার নিচে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ন্যায়, ইনসাফ ও আদর্শভিত্তিক সমাজ গঠনে জামায়াতের বিজয় জরুরি।”

পথসভায় সভাপতিত্ব করেন মালঞ্চা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আলহাজ্ব মাওলানা আবু দাউদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাহালু উপজেলা জামায়াতে ইসলামী’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

গণসংযোগে স্থানীয় জনগণের ব্যাপক আগ্রহ ও উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়। জামায়াত প্রার্থীকে ঘিরে সৃষ্টি হয় প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর পরিবেশ।

error: Content is protected !!