শহীদ জিয়ার রাজনীতি : সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস


১৯৭৭ সালের শেষের দিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপির সাবেক মহাসচিব এ এস এম মোস্তাফিজুর রহমান খুলনা সফরে যান।
বলে রাখা ভালো,মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ি বাগেরহাট তথা খুলনা।খুলনা শহরে তখন বড় কোনো মসজিদ ছিলো না।ঐ দিনটিও ছিলো শুক্রবার।
মোস্তাফিজুর রহমান সাহেবকে উদ্দেশ্য করে জিয়াউর রহমান বললেন,”একসঙ্গে অনেক লোক জুম্মা আদায় করতে পারে এমন একটা মসজিদ তৈরী করেন না কেনো আপনারা”?
এই প্রশ্নের উত্তরে মোস্তাফিজর রহমান বললেন,”এতো টাকা পাবো কোথায়”।তখন জিয়াউর রহমান বললেন,”আপনারা খুলনার লোকজন খুবই কৃপণ”।
সর্বশেষ জিয়াউর রহমান বললেন,”আপনারা চাঁদা তোলেন।আপনারা যতো তুলতে পারেন;আমি তার দ্বিগুণ দিবো”।
এরপরই তৎকালীন খুলনা বৃহৎ জামে মসজিদের পরিকল্পনা করা হয় এবং প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
আজ সে-ই জিয়ার বিএনপিকে ইসলামবিরোধী হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে একঝাঁক নব্য ইসলামের ইজারাদাররা।যে-ই জিয়ার বিএনপি দিয়ে বাংলাদেশের সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম খচিত হয়েছে।
এদেশের অধিকাংশ প্রখ্যাত আলেমদের ধানের শীষ মার্কা দিয়ে ঐ মহান পার্লামেন্টে নিয়ে গেছে এই জিয়ার বিএনপি।এদেশের আলেমদের সুখেদুখে সবসময়ই সবসময়ই পাশে ছিলো এই জিয়ার বিএনপি।
এদেশের আলেমদের দুঃসময়ে ম্যান পাওয়ার,অর্থনৈতিক সহায়তা,আইনী সহায়তা,আলেমদের নির্মিত এতিমখানায় অনুদান সহকারে সবসময়ই পাশে ছিলো এই জিয়ার বিএনপি।
বর্তমান এদেশের প্রায়ই ১৩৬+ বৃহৎ এতিমখানায় নীরবে নিজের ব্যাক্তিগত ফান্ড থেকে অর্থ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন ঐ টেমস নদীর পাড়ে থাকা তারেক রহমান।
আলেমদের পাশে থাকার জন্য যে-ই বিএনপিকে কিছুদিন আগেও মৌলবাদী,আইএসের এজেন্ট ট্যাগ খেতে হতো সে-ই বিএনপিকে আজ ইসলাম বিরোধী হিসেবে দাঁড় করানোর এজেন্ডা হাতে নিয়েছে একঝাঁক আলেম নামের জালেম;কী দূর্ভাগা বিএনপির নেতা-কর্মীরা….
“সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস” বাংলাদেশের সংবিধানে সংযোজন করা বিএনপি কখনোই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে নাই বরং ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং ধর্মের স্বাধীনতা নিয়েই সবসময়ই সোচ্চার ছিলো বিএনপি।
বিএনপিকে ইসলামবিরোধী বানানোর এই এজেন্ডা এই ষড়যন্ত্রকে অতীতের মতো আগামী নির্বাচনেও বাংলাদেশের মানুষ আরো একবার ব্যালট বাক্সের মধ্যে দিয়ে রুখে দিবে।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ !