শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া

বগুড়ার রাজনীতির প্রিয় মুখ সিপার আল বখতিয়ার তৃণমূলের দাবিতে দ্রুত দলে ফিরিয়ে আনা হোক

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া প্রকাশিত: শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:৩৪ এএম | 134 বার পড়া হয়েছে
বগুড়ার রাজনীতির প্রিয় মুখ সিপার আল বখতিয়ার তৃণমূলের দাবিতে দ্রুত দলে ফিরিয়ে আনা হোক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র রাজনীতিতে বগুড়ার তৃণমূল কর্মীদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় মুখগুলোর মধ্যে অন্যতম সিপার আল বখতিয়ার। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি রাজপথে থেকেছেন সংগ্রামের অগ্রভাগে, জেল-জুলুম, হামলা-মামলা ও নির্যাতন সয়ে দলকে ভালোবেসে কাজ করে গেছেন নিরলসভাবে। অথচ এই নিবেদিতপ্রাণ নেতাই আজ বহিষ্কৃত অবস্থায় রয়েছেন, যা মেনে নিতে পারছেন না সাধারণ কর্মীরা।

সিপার আল বখতিয়ার ছিলেন বগুড়া জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি, বগুড়া জেলা বিএনপি’র সাবেক প্রচার সম্পাদক, বগুড়া শহর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বগুড়া পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। জনপ্রিয়তার কারণে তিনি একাধিকবার জনগণের ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তার সংগঠন পরিচালনার ধরণ, কর্মীদের পাশে থেকে দুঃসময়ে দাঁড়ানো এবং সাহসী নেতৃত্বের কারণে তিনি হয়ে উঠেছিলেন কর্মীদের আশ্রয়স্থল।

রাজনৈতিক জীবনে বহুবার তাকে কারাভোগ করতে হয়েছে। প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে সামনের সারিতে থেকে তিনি প্রতিপক্ষ সরকারের রোষানলে পড়েছেন। নির্যাতনের ভয়কে তোয়াক্কা না করে তিনি বারবার কর্মীদের রক্ষা করেছেন নিজের শরীরকে ঢাল বানিয়ে। তার মুখে প্রায়ই শোনা যেত— “যদি কোন অপরাধ হয়ে থাকে সেটা আমি করেছি, আমাকে নিয়ে যান। কিন্তু আমার শরীরে রক্ত থাকা অবস্থায় আমার কোন কর্মীর গায়ে হাত দিতে দেব না।”

এমন মন-মানসিকতার নেতাই আজ দল থেকে বহিষ্কৃত। কিন্তু বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলের কাছে তার জনপ্রিয়তা আগের মতোই অটুট। রাজপথের আন্দোলনে সবার আগে যিনি কর্মীদের নিয়ে মাঠে নামতেন, সেই নেতাকে হারিয়ে তারা নিজেদের অনেকটা অসহায় মনে করছেন।

বগুড়ার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের বিএনপি নেতাকর্মীরা আজ এক কণ্ঠে বলছেন, ষড়যন্ত্রকারীদের অপচেষ্টায় বহিষ্কৃত সিপার আল বখতিয়ারকে অবিলম্বে দলে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদের মতে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পরীক্ষিত ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাদের নেতৃত্বই দলের জন্য সবচেয়ে জরুরি। আর তাই দলে নতুন উদ্দীপনা সঞ্চার করতে হলে সিপার আল বখতিয়ারের মতো নেতাকে পুনর্বহাল করা অপরিহার্য।

একজন স্থানীয় নেতা বলেন, “আমরা আন্দোলনের সময় বারবার দেখেছি সিপার ভাই সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি আমাদের প্রেরণা ছিলেন, তিনি না থাকলে আমরা যেন অন্ধকারে পড়ি। তাই দ্রুত তাকে দলে ফিরিয়ে আনার দাবি জানাই।”

রাজনীতির মাঠে পরীক্ষিত ও জনপ্রিয় এই নেতা বহিষ্কৃত অবস্থায় থাকলেও, তৃণমূল নেতাকর্মীদের মনে রয়েছে তার অমলিন ভালোবাসা ও স্মৃতি। তাদের প্রত্যাশা, দলের সুদিন ফিরতে শুরু করেছে, তাই এখন আর দেরি না করে সিপার আল বখতিয়ারকে পুনর্বহাল করা হোক।

তৃণমূলের ভাষায়, “আমরা সিপার আল বখতিয়ারকে চাই। তিনি ফিরলে দল হবে আরও শক্তিশালী, কর্মীরা পাবে নতুন উদ্দীপনা।”

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।