রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

✍️ মোঃ আব্দুল কাদের, শিক্ষক ও গবেষক

ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির পরিণতিঃ পলকের প্রতীকী পতন

✍️ মোঃ আব্দুল কাদের, শিক্ষক ও গবেষক প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫, ৪:১৯ পিএম | 65 বার পড়া হয়েছে
ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির পরিণতিঃ পলকের প্রতীকী পতন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘তরুণ নেতৃত্ব’ একসময় আশার আলো হয়ে উঠেছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর স্বপ্ন নিয়ে কিছু নেতাকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল নতুন প্রত্যাশা। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জুনাইদ আহমেদ পলক। এক তরুণ, মেধাবী ও তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন নেতা হিসেবে তিনি যেমন তারুণ্যের প্রতিনিধি হয়ে উঠেছিলেন, তেমনি সরকারি প্রশাসনেও তিনি হয়ে উঠেছিলেন ক্ষমতার বলয়কেন্দ্র। কিন্তু, ২৪-২৫ সালের ধারাবাহিক ঘটনায় তাঁর উত্থানের গল্প এখন রূপান্তরিত হয়েছে পতনের প্রতীকে।
পলকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রাথমিক অভিযোগ ওঠে ২০২৪ সালের শেষ দিকে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্তে নামে এবং আবিষ্কার করে, তাঁর নামে প্রায় ৮.৭৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য এবং ৩২ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন। তদন্তে আরও উঠে আসে, এই সম্পদ তাঁর ২৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ছড়িয়ে আছে, যার মধ্যে কিছু অ্যাকাউন্ট তাঁর স্ত্রী অরিফা জেসমিনের নামে খোলা হয়েছে। বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (BFIU) দেশের সব ব্যাংককে তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার নির্দেশ দেয়। এসব তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই জনমনে ক্ষোভ বাড়তে থাকে, যেটি কেবল সামাজিক মাধ্যমে নয়, বরং বাস্তব ময়দানেও প্রতিফলিত হতে থাকে।
তদন্ত চলাকালে পলকের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ ওঠে যে, তিনি নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন করতে প্রশাসনিক শক্তি ব্যবহার করেছেন। স্থানীয় সাংবাদিকদের ভয়ভীতি দেখানো, দলীয় নিয়ন্ত্রণে পছন্দের প্রার্থীকে জয়ী করতে সরকারি যন্ত্র ব্যবহারের মতো কর্মকাণ্ড তাঁর বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা ডেকে আনে। অনেক সাংবাদিক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি তাঁর আচরণকে “ডিজিটাল ফ্যাসিবাদ” বলেও আখ্যা দেন।
২০২৫ সালের শুরুর দিকে ঢাকার একটি আদালত পলকের জামিন বাতিল করে তাঁকে গ্রেফতারের আদেশ দেন। পরে তাঁকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে তাঁর অবৈধ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দের নির্দেশ আসে। এই ঘটনায় তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আরও একাধিক হত্যা চেষ্টার মামলা নতুনভাবে খোলা হয় এবং আদালতে ‘shown arrested’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।
জুনাইদ আহমেদ পলকের ক্ষেত্রে সবচেয়ে করুণ বিষয় হলো, তিনি হয়তো সত্যিকার অর্থেই একসময় দেশকে এগিয়ে নেওয়ার চিন্তা করেছিলেন। তাঁর উদ্যোগে কিছু ডিজিটাল প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হয়েছিল, যা প্রশংসিত হয়েছিল আন্তর্জাতিক পরিসরেও। কিন্তু যখন সেই প্রজেক্টগুলোতেই স্বজনপ্রীতি, ঘুষ ও নিয়োগ বাণিজ্য ঢুকে পড়ে, তখন জনগণের বিশ্বাস আর থাকে না। তথ্যপ্রযুক্তির ভবিষ্যৎ আশাবাদের বদলে তা হয়ে পড়ে গোষ্ঠীস্বার্থে ভরা অন্ধকার চিত্র।
রাজনৈতিকভাবে এটি একটি বিপজ্জনক বার্তা। জনগণ যাদের সামনে রাখে ভবিষ্যতের রূপকার হিসেবে, যদি তারা অনিয়ম, আত্মসাৎ ও প্রশাসনিক দমননীতির চর্চা করে, তাহলে প্রজন্মের কাছে রাজনীতি হয়ে পড়ে অবিশ্বাস ও ভয়ের জায়গা। পলকের পতন তাই শুধু একজন রাজনীতিবিদের ঘটনা নয়, বরং এটি তরুণ নেতৃত্বের প্রতি এক বড় প্রশ্নচিহ্ন।
পলকের এই ঘটনা প্রবাহ প্রমাণ করে, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয় যখন তা নৈতিকতা থেকে বিচ্যুত হয়, তখন সময়ই তার বিচার করে। আর ইতিহাস কখনো ভুলে না। আজ তিনি কারাগারে, তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, স্থাবর সম্পত্তি জব্দ, জনসমর্থন মুখ থুবড়ে পড়েছে। এগুলো সবই রাজনৈতিক অহংকারের চূড়ান্ত ধ্বংসের পূর্বাভাস।
পরিশেষে, এখানে একটি বার্তাই স্পষ্ট হয়ে উঠে যে, ক্ষমতা যত বড়ই হোক না কেন, যদি তা সেবার চেয়ে দখলের হাতিয়ার হয়ে ওঠে, তবে তার পতন অনিবার্য। ইতিহাস তার প্রমাণ বহন করে, এবং জুনাইদ আহমেদ পলক হয়ে আছেন তার নতুনতম প্রতীক।

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা এখন এত ঠুনকো কেন?

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৩:৩৪ পিএম
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা এখন এত ঠুনকো কেন?

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা এখন এত ঠুনকো কেন?
( এক বৃদ্ধা মায়ের কণ্ঠে হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার গল্প)
> “আমার স্বামীর পাশে থাকা ছাড়া আমি কখনো ডাঙ্গায় কাজেও যাইনি। উনি গোসল করবেন বলে লুঙ্গি-গামছা এগিয়ে দিয়েছি। দাঁড়িয়ে থেকেছি, যাতে উনি কিছু খুঁজতে না হয়।”
🔸 ঘরে ফ্যান ছিল না, এসিও ছিল না — তবুও আমি দাঁড়িয়ে বাতাস দিতাম, তরকারি সাজিয়ে রাখতাম, উনি খেয়ে ঘুমাতে যেতেন, আমি পরে খেতাম।
> “আমার স্বামী খাওয়া ছাড়া আমি কখনো ভাত মুখে দিইনি। উনি না খেলে আমি খেতাম না।”
🔸 আমি বলতাম, তুমি একটু ঘুমাও। তারপর আমি খেতাম।
🔸 আন্নের বিটিরা আজ শীতল ছায়ায় বসে মোবাইল চাপরে। স্বামী ডিউটি করে ঘরে আসে, পাত্তা নাই। খাবারটা রাখা — খাবে কি না, খোঁজ নাই।

🟥 এখনকার চিত্র:
🔸 স্বামী বাসায় এলে কেউ পানি এগিয়ে দেয় না, কেউ জিজ্ঞেসও করে না কিছু লাগবে কি না।
🔸 খাওয়ার টেবিলে স্বামী বসে — স্ত্রী তখন ফোনে ব্যস্ত।
🔸 জামা-প্যান্ট, গামছা, খাবার, সালাদ… এসব যেন এখন স্বামীর একার দায়িত্ব!
🔸 এমনকি কেউ কেউ বলে: “ওর তো হাত আছে, নিজেই করে নিক!”

💔 তাই আজ এত অশান্তি, এত ভাঙন, এত পরকীয়া…
> “তোমার স্বামী বাইরে কাজ করে, ঘরে ফিরে তোমার মুখ দেখে শান্তি না পেলে, সেও একদিন অন্য কারো মুখে শান্তি খুঁজে নেবে।”

🔖 বৃদ্ধা মায়ের শেষ কথা:
> “স্বামীকে ভালোবাসো, তার প্রতি ভক্তি রাখো। সে তোমার কখনো হাত ছাড়বে না।
ভালোবাসা শুধু কথায় নয়, সেবায়, মনোযোগে, শ্রদ্ধায় প্রকাশ পায়।”

🌿 আজকের প্রশ্ন:
আমরা কি আজও সেই ভালোবাসা, সেই দায়িত্ববোধ ধরে রাখতে পারছি?

মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা

পলাশবাড়ীতে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্ত আটক

মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৩:০১ পিএম
পলাশবাড়ীতে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্ত আটক

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ভবানিপুর এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

শনিবার দুপুর ৩টার দিকে অভিযুক্ত শাকিল একই গ্রামের একটি শিশুকে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। শিশুটির চিৎকারে স্বজনরা দ্রুত এগিয়ে এলে শাকিল পালিয়ে যায়।

একই দিন রাত ২টার দিকে গাইবান্ধা সেনা ক্যাম্পের একটি দল ভবানিপুর গ্রামের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শাকিলকে আটক করে। আটক শাকিল একই গ্রামের বাসিন্দা।

গাইবান্ধা সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার জানান, অভিযুক্তকে পলাশবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরও জানান, সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ তৎপরতা চলমান থাকবে।

সেনা ক্যাম্প কমান্ডার সাধারণ জনগণকে যেকোনো অপরাধের তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া

রাজনীতিতে এক নিবেদিত প্রাণ সৈনিক আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল করিম

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম
রাজনীতিতে এক নিবেদিত প্রাণ সৈনিক আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল করিম

রাজনীতি তাঁর জন্য কোনো পেশা নয়, ছিল না কখনো ব্যক্তিস্বার্থের মাধ্যমও। বরং রাজনীতি তাঁর কাছে একটি ত্যাগের পথ, দেশের ও দলের জন্য নিবেদিত থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এক মহান ব্রত। আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল করিম সেই বিরলপ্রজ নেতাদের একজন, যিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে এখন বিএনপির কাহালু উপজেলার শক্তিশালী ভিত্তির অন্যতম রূপকার। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি কাহালু উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দলের প্রতিটি দুঃসময়ে তিনি ছিলেন অটল, কর্মীদের প্রেরণা দিয়ে সাহস জুগিয়েছেন মাটির কাছের ভাষায়, মাটির কাছের মানুষ হয়েই। ছাত্রজীবনে কাহালু হাই স্কুল থেকে শুরু করে সরকারি আজিজুল হক কলেজে পড়াকালীন সময়েই বিএনপির আদর্শে দীক্ষিত হয়ে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম, গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি তাঁর অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা তাঁকে একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক দর্শনের ধারক করে গড়ে তুলেছে। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি একজন সৎ, দায়িত্বশীল এবং নিষ্ঠাবান শিক্ষক। বর্তমানে তিনি ডঃ আব্দুস সোবহান উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। শিক্ষকতার পাশাপাশি শিক্ষা অধিকার রক্ষার সংগ্রামে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন। তিনি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, কাহালু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কাহালু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারি কল্যাণ সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর নেতৃত্বে শিক্ষক সমাজ সংগঠিত হয়েছে, শক্তিশালী হয়েছে তাদের ন্যায্য দাবিতে। শুধু রাজনীতি ও শিক্ষকতাই নয়, ব্যবসায়িক সততাও তাঁর পরিচয়ের অংশ। তিনি মেসার্স এন.এস.পি ব্রিকস এবং সততা ট্রেডার্স এর সত্ত্বাধিকারী। ব্যবসায়িক অঙ্গনেও তিনি যেমন সৎ, তেমনি জনবান্ধব। কর্মীদের সুখে-দুঃখে তিনি সবসময় পাশে থাকেন, মানবিক নেতৃত্বের পরিচয় দেন প্রতিটি পদক্ষেপে। এলাকাবাসী এবং কর্মীরা তাঁকে একজন সহজ-সরল, বিনয়ী এবং দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে জানেন। তাঁর জনপ্রিয়তা কিংবা গ্রহণযোগ্যতা কখনো চিৎকারে তৈরি হয়নি, তৈরি হয়েছে নিরব সেবায়, অব্যাহত ত্যাগে এবং মানবিক সহমর্মিতায়। সাংবাদিকদের প্রতি রয়েছে তাঁর গভীর শ্রদ্ধা। সবসময় তিনি সংবাদকর্মীদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার পক্ষে থাকেন, যার ফলে তিনি সাংবাদিকবান্ধব নেতা হিসেবেও পরিচিত। রাজনীতি, শিক্ষা, ব্যবসা ও সমাজসেবার এই দুর্লভ সমন্বয়ে গঠিত মানুষটির নাম আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল করিম—যিনি আজ কাহালুর গর্ব, তৃণমূল বিএনপির আশার আলো, একজন আদর্শবান শিক্ষক ও মানবিক সংগঠক। সত্যিকার অর্থেই তিনি রাজনীতির ময়দানে এক নিবেদিত প্রাণ সৈনিক, যাঁর পথচলা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে থাকবে।

error: Content is protected !!