বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

নতুন জাতির স্বপ্ন দেখছেন

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:২১ পিএম | 119 বার পড়া হয়েছে
নতুন জাতির স্বপ্ন দেখছেন

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই-আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর তার জীবনের গতিপথ পরিবর্তন হওয়ার আভাস দিয়েছেন।

সোমবার অধ্যাপক ইউনূসের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে মার্কিন পাবলিক ব্রডকাস্টিং সংস্থা এনপিআর।

স্বৈরাচারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগস্টের শুরুতে ভারতে পালিয়ে যান যখন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী তার নেতৃত্ব ও নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর পক্ষে চাকরির কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করে দলে দলে তার বাসভবনে ঢুকে পড়ে।

ইউনূস গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে যোগদান করার প্রেক্ষিতে প্যারিসে আবস্থানকালে প্রায় ৫,০০০ মাইল দূর থেকে এসব ঘটনা দেখছিলেন। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তিনি তখন অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশে সম্ভাব্য কারাবাসের ঝুঁকির মধ্যে ছিলেন।
কিন্তু গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার কয়েক ঘণ্টা পর ইউনূসের কাছে একটি ফোন কল আসে। তাকে অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়।

তিনি গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক সিটিতে এনপিআর-এর মর্নিং এডিশনে বলেছিলেন, এটি ছিল ‘ঘটনার খুব অদ্ভুত পরিবর্তন’।

২০০৬ সালের নোবেল বিজয়ী ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এবং দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করার উপায় হিসাবে স্বল্প আয়ের লোকদের জন্য ছোট ঋণের ব্যবস্থা চালুর পথিকৃৎ হিসাবে পরিচিত। তিনি যখন বাংলাদেশে আইনি ঝামেলায় জর্জরিত, তখন বারাক ওবামা থেকে শুরু করে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন পর্যন্ত বিশ্ব নেতারা সংহতি প্রকাশ করেন।

ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বক্তৃতা করার পরে এনপিআর-এর মিশেল মার্টিনের সাথে আলাপচারিতায় বসেছিলেন। সাক্ষাৎকারটি স্পষ্টতার জন্য কিছুটা সম্পাদনা করা হয়েছে।

মিশেল মার্টিন: গত গ্রীষ্মে যখন আমরা কথা বলেছিলাম আপনি দুর্নীতির অভিযোগে বিচারাধীন ছিলেন এবং এখন আপনি বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এসব কিছুই ঘটনার পালাবদল। নিজেকে এই অবস্থানে পেয়ে অবাক হচ্ছেন কি?

মুহাম্মদ ইউনূস: ঘটনার খুবই অদ্ভুত পালাবদল। আমি প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে শপথ নেওয়ার আগে আমি প্যারিসে ছিলাম, আমি দেখার চেষ্টা করছিলাম যে আমি ফিরে যাব কি-না, আমাকে গ্রেপ্তার করা হবে, কারণ তিনি আমার ওপর রাগান্বিত হবেন এবং আমাকে জেলে পাঠাবেন। তাই ভাবছিলাম ফিরতে দেরি করব। আর হঠাৎ বাংলাদেশ থেকে একটা ফোন পেলাম যে তিনি (শেখ হাসিনা) এখন চলে গেছেন। আমরা চাই, আপনি সরকার প্রধান হন। এটি একটি বড় চমক ছিল।

মার্টিন: আপনি যখন ফোনটি পেয়েছিলেন তখন আপনার মনে কী হয়েছিল?

ইউনূস: দেশ পরিচালনায় আমার আদৌ যুক্ত হওয়া উচিত কি-না। এটা খুবই কঠিন রাজনৈতিক পরিস্থিতি। কিন্তু যখন ছাত্ররা আমাকে ডেকে ব্যাখ্যা করল যে পরিস্থিতি কী, অবশেষে আমি বললাম, ‘হ্যাঁ, তোমরা এর জন্য জীবন দিয়েছ। তোমরা যদি জীবন দিতে পার, তবে আমি আমার সকল অন্যান্য বিবেচনা বাদ দিতে পারি। আমি তোমাদের সেবা করতে পারি। আমি এটা করব।’

মার্টিন: আপনি যখন বলেন যে আপনি জীবন দিয়েছেন আপনি অতিরঞ্জিত করেননি এবং এটি কোন রূপক নয়।

ইউনূস: না, এটা কোনো রূপক নয়। মানুষ মারা যায়। প্রায় এক হাজার যুবক মারা গেল, বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে বুলেটে বুক পেতে দিলো। আক্ষরিক অর্থে, যুবকরা এসে আত্মাহুতি দিয়েছে। তারা যখন বিক্ষোভে যোগ দিতে তাদের বাড়ি থেকে বের হচ্ছিল, তারা তাদের বাবা-মাকে বিদায় জানাচ্ছিল। তারা তাদের ভাইবোনদের বিদায় বলছে; ‘আমি হয়তো ফিরে আসব না।’ এটাই সেই চেতনা যার মধ্যে পুরো ব্যাপারটা ঘটেছে। অবশেষে, এটি এতটাই অবিশ্বাস্য ছিল। প্রধানমন্ত্রী দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন কারণ পুরো জনতা তার বাড়ির দিকে আসছিল।

মার্টিন: একদিকে এসব বিক্ষোভ আন্দোলনে খুবই অজনপ্রিয় কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত নেতার প্রস্থানের পথ প্রশস্ত করেছিল। সেইসব বিশৃঙ্খলতার প্রথম দিনগুলোতে আহমদিয়া ও হিন্দুদের ওপর হামলা হয়েছিল। এসব ঘটনার কিছু অংশ ছিল শেখ হাসিনার দলের প্রতি তাদের আনুগত্যের কারণে। এর কিছু ঘটনা কেবলমাত্র সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে আক্রমণ বলে মনে হয়েছে। সেসব ঘটনাও কমে গেছে। কিন্তু তারপর থেকে আরও হামলা হয়েছে, এইবার সুফি মাজারে। আমাদের প্রতিবেদন অনুসারে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে ২০টিরও বেশি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, উত্তেজিত জনতার হাতে হত্যা হয়েছে। কেন এমন হচ্ছে?

ইউনূস: জনগণ বিপ্লবের মেজাজে আছে। সুতরাং এটি একটি বিপ্লবী পরিস্থিতি। তাদের অনেককে হত্যা করা হয়েছে। তাই তারা এমন লোকদের খুঁজছে যারা তাদের সহকর্মীদের মৃত্যু ঘটিয়েছে। তাই জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দলের অনুসারীদের ওপর হামলা চালাচ্ছিল। আপনি যখন বলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হচ্ছে, সেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায় শেখ হসিনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। সুতরাং আপনি পার্থক্য করতে পারবেন না যে, তারা শেখ হাসিনার অনুসারী হওয়ার কারণে তাদের উপর হামলা হয়েছে নাকি তারা হিন্দু বলে তাদের ওপর হামলা হয়েছে। কিন্তু তাদের ওপর হামলা হয়েছে, এটা নিশ্চিত। কিন্তু তারপর আমরা সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করি। আমি সবাইকে বলতে থাকি যে, আমাদের মতভেদ থাকতে পারে। এর মানে এই নয় যে, আমাদের একে অপরকে আক্রমণ করতে হবে।

মার্টিন: আপনি কি মনে করেন যে আপনি জনগণকে প্রতিশোধের পরিবর্তে সংস্কারের দিকে মনোনিবেশ করার পথে ফিরিয়ে আনতে পারেন?

ইউনূস: প্রতিশোধের সময় মাত্র কয়েক সপ্তাহ ছিল। কিন্তু তারপর স্বাভাবিকতা ফিরে আসতে শুরু করে। তাই আমরা দেশ চালাচ্ছি। কিন্তু বিক্ষোভ আছে, প্রতিশোধমূলক বিক্ষোভ নয়। বেশিরভাগ বিক্ষোভ তাদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে, তাদের চাকরির দাবিতে, যাদেরকে সরকার আগে বরখাস্ত করেছিল।

তাই তারা বলেছিল, অতীতের সরকার আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে এবং আমরা বিনা কারণে আমাদের চাকরি হারিয়েছি। কারণ আমরা অন্য রাজনৈতিক দলের সদস্য। তাই বঞ্চিতরা সবাই তাদের দাবি মেটানোর চেষ্টা করছে। আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছিলাম। দেখুন এগুলো আপনাদের ১৫ বছরের ক্ষোভ। আমরা ১৫ দিনের মধ্যে এটি সমাধান করতে পারি না। আমাদের কিছু সময় দিন যাতে আমরা ফিরে যেতে পারি। আপনারা একটি খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন এবং আমাদের এটি এমনভাবে সমাধান করতে হবে যাতে এটি পদ্ধতিগতভাবে সম্পন্ন হয়।

মার্টিন: সময়ের কথা বলছি, সেনাবাহিনী আপনার পেছনে রয়েছে। সামরিক নেতারা বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ১৮ মাস শাসন করতে হবে। বিরোধী দলগুলো তা চায় না। তারা নভেম্বরে নির্বাচন চেয়েছিল। আপনার যা করতে হবে তা করার জন্য কি ১৮ মাস যথেষ্ট সময় আছে?

ইউনূস: জনগণ এই সংখ্যাগুলো বিবেচনা করছে না। কত মাস, কত বছর তাদের প্রয়োজন মনে হয়। কেউ কেউ বলে যে এটি দ্রুত করা উচিত, কারণ আপনি যদি দীর্ঘায়িত করেন আপনি অজনপ্রিয় হবেন এবং সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাবে। কেউ কেউ বলেন যে না, আপনাকে সংস্কার শেষ করতে হবে। সুতরাং আপনি দীর্ঘ সময় ধরে থাকুন। কারণ আমরা সবকিছু ঠিক না করে বাংলাদেশ ২.০-এ যেতে চাই না। তাই এই নিয়ে বিতর্ক চলছে।

মার্টিন: আপনি জানেন, আপনি প্রায় সুশীল সমাজের মতো করে সম্পূর্ণ পুনর্গঠনের কথা বলছেন।

ইউনূস: সংস্করণ ২-এর অর্থ ঠিক এটাই। আমরা পুরনো স্টাইলে ফিরে যেতে চাই না। তাহলে এত জীবন দেওয়ার মানে কী? এর কোনো মানে নেই কারণ আমরা যা করেছি, সবকিছু ধ্বংস করেছি। তাই একটি নতুন দেশ নির্মাণ আমাদের শুরু করতে হবে।

মার্টিন: আপনি জানেন, এটি চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু এটি উত্তেজনাপূণর্, তাই না?

ইউনূস: এটা খুবই উত্তেজনাপূর্ণ। আপনি নেতিবাচক দিক দেখছেন। আমি এটাকে খুবই ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। আমি বলেছিলাম এই জাতি সবচেয়ে বড় সুযোগ পেয়েছে। এসব মানুষ, দেশ একটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ: আমাদের পরিবর্তন দরকার।

মার্টিন: আপনি ৮৪ বছর বয়সী। আমি জানি না যে, আপনি কখনো নিজেকে সরকার প্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ভেবেছেন কি-না। আপনি কি মনে করেন যে, আপনি বাংলাদেশকে সেই দেশে পরিণত হতে দেখবেন যা আপনি আশা করেন, আপনার জীবদ্দশায়?

ইউনূস: সব কিছু নয়। তবে আমি খুব খুশি হব এটি হওয়ার পথে। প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক আছে। নীতি সঠিক। তরুণেরা বিশ্বকে পরিবর্তন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে তারা দেশের মধ্যে এবং বিশ্বব্যাপী ভূমিকা পালন করে। জলবায়ু পরিবর্তনের কথা বললে, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ভুক্তভোগী। তবে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমি সবসময় তরুণদের গুরুত্ব দেই কারণ তারাই ভবিষ্যৎ গড়বে এবং যেভাবেই হোক তাদের নেতৃত্বের অবস্থানে থাকা উচিত। কারণ তাদের উত্তরাধিকারসূত্রে এই গ্রহে থাকতে হবে। আপনি উল্লেখ করেছেন যে, আমি ৮৪ বছর বয়সী। আমার সামনে দীর্ঘ সময় নেই, তাদের সামনে পুরো জীবন রয়েছে।

সূত্র: বাসস

ভূঞাপুরে বিএনপির বিক্ষোভ ও পথসভা অনুষ্ঠিত

(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:  প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:২১ পিএম
ভূঞাপুরে বিএনপির বিক্ষোভ ও পথসভা অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বিএনপির আয়োজনে ধানের শিষ প্রতীক নিয়ে ‘বাড়ি বাড়ি ভোট চাওয়া’ কর্মসূচি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে, শাখা বিএনপির সভাপতি মোঃ আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে

অনুষ্ঠানে বক্তারা দলীয় ধানের শিষ প্রতীক নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ভোট প্রার্থনা কার্যক্রম জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে, তারা দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর চলমান রাজনৈতিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিচারিক রায় অনুযায়ী দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানান। পথসভায় বক্তব্য রাখেন ভূঞাপুর থানা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম প্রামাণিক, গোবিন্দাসী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শিবলী সাদিক এবং ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল জলিল মন্ডল প্রমুখ। বক্তারা আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করতে ও ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক গণসংযোগ করাই এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য। অনুষ্ঠানটি স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।

টাঙ্গাইলে ডাকাতি চেষ্টা: অস্ত্রসহ ৬ জন আটক

মোহাম্মদ সোহেল (বিশেষ) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২:০২ পিএম
টাঙ্গাইলে ডাকাতি চেষ্টা: অস্ত্রসহ ৬ জন আটক

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ ছয় সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার ভোর রাতে কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। যমুনা সেতু পূর্ব থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ থেকে পাবনাগামী পামওয়েল বোঝাই একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট-১৪-৭৫৭৯) হাতিয়া এলাকায় পৌঁছালে একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো গ-৪৩-৫৪৮৬) ও একটি পাজেরো গাড়ি (ঢাকা মেট্রো ঘ-২১-৭৬৯৯) ট্রাকটির গতিরোধ করে। এসময় টহলরত পুলিশের নজরে পড়ে। পুলিশের পুলিশের তল্লাশিতে ১টি লাইসেন্সকৃত শর্টগান, ৬টি সিসা কার্তুজ, ১টি লেজার লাইট, ২টি সিগন্যাল লাইট, ৪টি শর্ট ওয়াকি-টকি

২টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।

আটককৃত ছয় সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে যমুনা সেতু পূর্ব থানার একজন কর্মকর্তা বলেন, “ডাকাতির প্রস্তুতিমূলক সকল উপকরণসহ সন্দেহভাজনদের আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি আরও তদন্ত চলছে।

আমিনপুরে ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যাক্তি গ্রেফতার

মোঃ ওমর ফারুক (সানি), স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৪১ পিএম
আমিনপুরে ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যাক্তি গ্রেফতার

পাবনার আমিনপুর থানার বুলন্দর চর এলাকায় ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ৭৫ বছর বয়সী তাকাই প্রামানিক নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় শিশুটির বাবা আমিনপুর থানায় মামলাটি করেন। ধর্ষণের শিকার শিশুটি বর্তমানে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গ্রেফতার বৃদ্ধ একই গ্রামের মৃত ছবেদ প্রামানিকের ছেলে।

লিখিত এজাহার থেকে জানা গেছে, শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে শিশুটি চাচার বাড়ির সামনে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। এ সময় বৃদ্ধ তাকাই প্রামানিক তাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে পাশের একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে টাকা দেওয়ার প্রলোভন ও হত্যার হুমকি দিয়ে শিশুটিকে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে। সন্ধ্যায় শিশুটির রক্তপাত শুরু হয়ে অসুস্থ হলে পরিবার বিষয়টি বুঝতে পারে।

শিশুটির ভাইয়ের স্ত্রী লাবনী খাতুন জানান, তিনি তাকাই প্রামানিককে ওই ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেন এবং কিছুক্ষণ পর শিশুটিকেও সেখান থেকে বের হতে দেখেন। পরিবারের জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটি ধর্ষণের কথা জানায়।

আমিনপুর থানার ডিউটি অফিসার এসআই রেজাউল করিম বৃদ্ধকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামি থানায় রয়েছে।

জেলার এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুজানগর ও আমিনপুর সার্কেল) নাম না প্রকাশ করে জানান, আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে।