শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

যেসব কারণে সখের নারীকেও ছেড়ে যান পুরুষরা

মোঃ আতিকুর রহমান প্রকাশিত: বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫, ১১:১৪ এএম | 232 বার পড়া হয়েছে
যেসব কারণে সখের নারীকেও ছেড়ে যান পুরুষরা

ভালোবাসা শুধু মোহে গড়ে ওঠে না, টিকে থাকতে হয় বাস্তবতায়। একজন নারী হতে পারেন পুরুষের অনেক কাঙ্ক্ষিত – রূপে, কথায়, হাসিতে কিংবা উপস্থিতিতে। তবুও দেখা যায়, অনেক পুরুষ একসময় সেই “সখের নারী”কেও ছেড়ে চলে যান। কেন এমনটা ঘটে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজলে দেখা যায়— ভালোবাসা টিকিয়ে রাখতে শুধু চাওয়া নয়, লাগে বোঝাপড়া, সম্মান ও অভ্যন্তরীণ প্রশান্তি। আজ জানবো এমন কিছু কারণ, যেসব কারণে পুরুষেরা শেষমেশ সরে দাঁড়ান।
মূল কারণসমূহ :
অতিরিক্ত দখলদারি মনোভাব
যখন নারী প্রতিনিয়ত পুরুষের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চান—সে কোথায় যাবে, কার সঙ্গে কথা বলবে, এমনকি মোবাইল দেখার দাবি তোলেন—তখন সেটা ধীরে ধীরে বিরক্তির জন্ম দেয়।
সম্মানের অভাব
পুরুষ মাত্রই চায় সম্মান। যে নারী ছোটখাটো বিষয়েও তিরস্কার করে, ব্যঙ্গ করে বা অন্যদের সামনে অপমান করে—সে নারী যতই সুন্দর হোক, একসময় তার প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে যায়।
অতিরিক্ত চাহিদা বা তুলনা করা
একজন পুরুষের সামর্থ্য অনুযায়ী জীবনযাপন না করে যখন একজন নারী প্রতিনিয়ত “অমুকের স্বামী এটা দেয়, তুমি কেন পারো না?” বলে তুলনা করতে থাকেন, তখন তা সম্পর্কের উপর চাপ ফেলে।
সবকিছুর নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি
যদি একজন নারী সবকিছুতেই খুঁত খুঁজে বেড়ান, ভালো কিছুকেও সন্দেহের চোখে দেখেন, তাহলে সম্পর্ক বিষিয়ে ওঠে।
আকর্ষণ হারিয়ে ফেলা (শারীরিক বা মানসিকভাবে)
সম্পর্কের শুরুতে যত যত্ন ছিল, পরে যদি একজন নারী নিজেকে বা সম্পর্ককে উপেক্ষা করতে থাকেন, পুরুষ ধীরে ধীরে দূরে সরে যায়।
পুরুষের মানসিক শান্তির অভাব
অনেক সময় নারী বুঝতে পারেন না—পুরুষটিও ক্লান্ত, হতাশ বা চাপে আছে। যদি নারী প্রতিনিয়ত অভিযোগ করেন, অভিযোগ শোনেন কিন্তু বোঝেন না, তখন পুরুষ সেই সম্পর্ককে “আশ্রয়স্থল” নয় বরং “চাপের জায়গা” হিসেবে দেখতে শুরু করে।
প্রেম বা সম্পর্ক গড়ে ওঠে একসঙ্গে হাঁটার আশায়, কিন্তু টিকে থাকে বোঝাপড়ার জোরে। একজন নারী যদি শুধুই “সখের” হয়ে থাকেন, অথচ জীবনের বাস্তব চাহিদা ও আবেগগত প্রেক্ষাপট বুঝে চলতে না পারেন, তবে সেই মোহ একদিন মুছে যায়। তাই রূপ নয়, রুচি—চাহিদা নয়, সহানুভূতি—এগুলোই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার মূল চাবিকাঠি। সম্পর্কের জাদুটা হলো: একে অপরের আশ্রয় হওয়া, চাপ নয়।

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।