সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

কাহালু উপজেলা যুবদলের সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় নেতাকর্মীরা

তৃণমূলের আস্থার প্রতীক মোহাম্মদ আলী সুমন

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া থেকে প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ৪:১২ পিএম | 54 বার পড়া হয়েছে
তৃণমূলের আস্থার প্রতীক মোহাম্মদ আলী সুমন

বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার তৃণমূল যুবদল নেতাকর্মীদের একটাই দাবি—দলের দুঃসময়ের লড়াকু সৈনিক, সাহসী সংগঠক মোহাম্মদ আলী সুমনকে উপজেলা যুবদলের সভাপতি পদে দায়িত্ব প্রদান করা হোক।

দলীয় কর্মসূচি ও আন্দোলনে সবসময় সম্মুখভাগে থেকে নেতৃত্বদানকারী এই নেতা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে সংগ্রাম করে আসছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ, আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব এবং তারুণ্যের অহংকার দেশনায়ক তারেক রহমানের স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে তিনি একনিষ্ঠভাবে যুবসমাজের মাঝে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।

মোহাম্মদ আলী সুমন তৃণমূল যুবকদের বিশ্বাস, আস্থা ও ভালোবাসার নাম। প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে সক্রিয় উপস্থিতি, নেতাকর্মীদের পাশে থাকা এবং দিকনির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে তিনি নিজেকে কাহালু উপজেলার যুবদলের প্রধান নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আব্দুল মোনায়েম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন। তাঁদের নেতৃত্বে দেশের যুব আন্দোলন নতুন গতি পেয়েছে। বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র জননেতা রেজাউল করিম বাদশা এবং জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, কাহালু-নন্দীগ্রাম আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন—তাঁরাও মোহাম্মদ আলী সুমনের প্রতি আস্থাশীল বলে জানা গেছে।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের বক্তব্য অনুযায়ী:

> “সুমন ভাই শুধু একজন নেতা না, উনি আমাদের পরিবারের মতো। সংগঠনের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়েও বারবার রাজপথে নেমেছেন। তাঁর মতো ত্যাগী ও সাহসী নেতাকে নেতৃত্বে আনা এখন সময়ের দাবি।”

তারুণ্যের শক্তিকে সংগঠিত করে দেশনায়ক তারেক রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন মোহাম্মদ আলী সুমন। তিনি বিশ্বাস করেন—“এই দেশ গড়বে যুব সমাজ, নেতৃত্বে থাকবে ত্যাগী কর্মীবান্ধব নেতৃত্ব।”

তৃণমূল যুবদলের জোরালো প্রত্যাশা—উপযুক্ত মূল্যায়ন ও দীর্ঘদিনের সংগ্রামী ভূমিকার ভিত্তিতে মোহাম্মদ আলী সুমনকে কাহালু উপজেলা যুবদলের সভাপতি পদে দায়িত্ব দিয়ে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করা হবে।

জেলা প্রশাসক ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন নীলফামারী পৌরসভা

নীলফামারী প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১১:০৭ পিএম
জেলা প্রশাসক ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন নীলফামারী পৌরসভা

নীলফামারীতে আজ ৩০ জুন জেলা প্রশাসক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই ম্যাচে সৈয়দপুর উপজেলার মুখোমুখি হন নীলফামারী পৌরসভা।

ম্যাচ শুরু থেকেই দুই দলেই ছিলো বেশ ছন্দে। তবে কাজের কাজটি করতে পারেনি বিশ্রামে থাকার পর সৈয়দপুর দলটি,সেসময় ফলাফলটা ছিলো ০-১ ব্যবধনে।

দীপকের একমাত্র গোলে এগিয়ে যায় নীলফামারী পৌরসভা দলটি। ১-০ গোলেই মাঠ ছাড়তে হয় শক্তিশালী সৈয়দপুরকে। ম্যাচে গোলের দেখা মিলতো সৈয়দপুরের কিন্তু ভাগ্যক্রমে গোলের বারে লেগে ঘুরে চলে আসে বল। ভূবন মোহন রেফারির লম্বা বাঁশি বাজিয়ে জানিয়ে দেয় খেলা সমাপ্তি।

নীলফামারী পৌরসভা দলের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন এ সময়ের সেরা খেলোয়াড় আল আমিন সঙ্গে ছিলেন আরো আন্তর্জাতিক তারকা সাঈদ, দীপক সহ অনেকে। ম্যাচ সেরা হন দীপক। এই ম্যাচে তার একমাত্র গোল ছাড়াও গত ম্যাচে তার একায় আট গোলের দেখা।

কুঞ্জলতা ফুড পার্ক:-গ্রামের বুকে ফুটে ওঠা এক সবুজ স্বপ্ন

মোঃ আলী শেখ, স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১১:০৩ পিএম
কুঞ্জলতা ফুড পার্ক:-গ্রামের বুকে ফুটে ওঠা এক সবুজ স্বপ্ন

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে গড়ে ওঠা একটি পার্ক শুধু একটি নির্মাণ নয়, এটি হয়ে ওঠে মানুষের আত্মার আশ্রয়স্থল, হয়ে ওঠে গ্রামের কোলাহলহীন শান্তির মাঝে বিনোদনের এক স্নিগ্ধ ঠিকানা। মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর গ্রামের বুকে এমনই এক নিঃশব্দ আর স্বপ্নময় আলোকদীপ হলো কুঞ্জলতা ফুড পার্ক।

এটি কোনো কল্পনার রাজ্য নয়, বরং মাটির মানুষের হাতেই গড়া বাস্তবতার এক অনুপম নিদর্শন। মনোরম পরিবেশে ঘেরা এই পার্ক যেন এক কবিতার অন্ত্যমিল। গাছপালা, ফুলের বাগান, শিশুর হাসি আর মানুষের পদচারণায় প্রতিটি কোণ যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে।

কুঞ্জলতা ফুড পার্কের বিশেষত্ব কেবল এর সৌন্দর্যে সীমাবদ্ধ নয়—বরং এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য আরও গভীর। এ যেন আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামীণ সৌন্দর্যকে রক্ষা করে নির্মিত এক নান্দনিক পরিসর। শিশুদের জন্য রয়েছে রঙিন দোলনা, পাকা পথ ধরে হেঁটে যাওয়া ছোট ট্রেনের মতো আনন্দযাত্রা, আর বিভিন্ন খেলনার ব্যবস্থা—যা শিশুদের হৃদয়ে আনন্দের কুসুম ফুটিয়ে তোলে। পরিবার-পরিজন নিয়ে আগত মানুষদের জন্য রয়েছে বিশ্রামের ছায়াময় স্থান ও স্বাদের বাহারে ভরা রেস্টুরেন্ট, যা আনন্দকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়।

এ পার্ক শুধু একটি ঘোরার জায়গা নয়—এটি গ্রামের মানুষকে যুগোপযোগী বিনোদনের স্বাদ দিয়েছে। আগের দিনে যেখানে গ্রামীণ মানুষকে শহরের বিনোদনের জন্য ছুটতে হতো, এখন তারা নিজ গাঁয়ের বুকে গড়তে পারছে এক অনবদ্য আনন্দভুবন। কুঞ্জলতা ফুড পার্ক তাই এক সামাজিক বিকাশের চিত্র, যা গ্রামের আত্মপরিচয়কে নতুন করে চিনিয়ে দিচ্ছে।

এই পার্ক আজ শুধু ইশিবপুর নয়, গোটা রাজৈর তথা মাদারীপুর জেলার মানুষের কাছে একটি গর্বের স্থাপনা। এটি বিনোদনের পাশাপাশি গ্রামের অর্থনীতিতেও যুক্ত করেছে নতুন দিগন্ত। আগত পর্যটকদের আনাগোনায় বাড়ছে স্থানীয় ব্যবসা, বেড়েছে পরিচিতি, জেগে উঠেছে এক সম্ভাবনার আলো।

সবশেষে বলা যায়, কুঞ্জলতা ফুড পার্ক শুধুমাত্র একটি পার্ক নয়, এটি একটি গ্রামীণ রেনেসাঁর প্রতীক—যেখানে সৌন্দর্য, সংস্কৃতি ও সভ্যতার এক অপূর্ব মিলন ঘটে। এ যেন সবুজ ঘাসে লেখা এক কবিতা, শিশুর হাসিতে বাঁধা এক গান, আর গ্রামের মাটিতে আঁকা এক রঙিন স্বপ্ন।

চীনের বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা গ্রাজুয়েট অ্যাওয়ার্ড পেলেন রাণীনগরের তারিকুল ইসলাম

মোঃ আব্দুল মালেক, রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১০:০৪ পিএম
চীনের বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা গ্রাজুয়েট অ্যাওয়ার্ড পেলেন রাণীনগরের তারিকুল ইসলাম

চীনের বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা গ্রাজুয়েট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন নওগাঁর রাণীনগরের সন্তান মো: তারিকুল ইসলাম (তাজ)।

এ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে অসামান্য অবদানের জন্য এই সন্মাননা অর্জন করেন তিনি। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের হাইডিয়ান জেলার সুয়েইউয়ান লু-তে অবস্থিত বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাম্পাসে গত সোমবার দুপুর ২.৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসিবে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ঝাও ওয়েই শেং। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপ-পরিচালক প্রফেসর ঝাং ঝিহুই, আন্তর্জাতিক স্কুলের উপ-ডিন, প্রফেসর উ সিয়াওজুন, প্রফেসর সু ইউয়ান মিং প্রমুখ।

এ অনুষ্ঠানে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল, তারিকুল ইসলাম সেরা গ্রাজুয়েট এওয়ার্ড পাওয়ার কারণে তার মেইন সুপারভাইজার প্রফেসর সু ইউয়ান মিং অর্থাৎ যার তত্বাবধানে গবেষণা করেছিলেন তিনিও সেরা শিক্ষক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন! এক কথায় গুরু-শিষ্যের একসঙ্গে বাজিমাত।

এর আগে তিনি চীন দেশের হুনান প্রদেশের রাজধানীতে অবস্থিত চাংশা ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ম‍েক‍্যানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং -এ স্নাতক সম্মান কৃতিত্বের সাথে সম্পূর্ণ করেন। সেখানেও তিনি সেরা গ্রাজুয়েট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন।

তার গবেষণা কেন্দ্রীভূত ছিল বিমানের নকশা, মনুষ্যবিহীন আকাশযান, বৈদ্যুতিক উল্লম্ব অবতরণ যান, এরোডাইনামিক্স এবং মেশিন লার্নিং। বর্তমানে তিনি বেইজিং-এর একটি এ্যারোস্পেস কোম্পানিতে এয়ারক্রাফট অ্যারোডাইনামিক ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন বলে জানিয়েছেন তারিকুল ইসলাম।

উক্ত অনুষ্ঠানে তার অনুভূতি প্রকাশ মূলক বক্তব্যে বলেন আমার এই অর্জন উৎস্বর্গ করছি, প্রফেসর সু ইউয়ান মিং, বাবা-মা, স্ত্রী এবং দেশের সিনিয়র ভাই ও বন্ধু-বান্ধব এর প্রতি।

জানা যায়, নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদরের বেলোবাড়ি গ্রামে ১৯৯৮সালের ১২এপ্রিলে জন্মগ্রহন করেন তারিকুল ইসলাম। তার বাবা মো: বুলেট হোসেন রাণীনগর আল-আমিন দাখিল সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষক, মা মোছা: সুলতানা মোফতারুন বেগমও পেশায় একজন শিক্ষিকা। শিক্ষক দম্পত্তির বড় ছেলে তরিকুল ইসলাম ছোট বেলা থেকেই খুব মেধাবী ছিলেন। তিনি বেলোবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণীতে বৃত্তি পেয়ে রাণীনগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন, ২০১৫ সালে এসএসসি’তে জিপিএ-৫ পেয়ে ঢাকার সাভার ল্যাবরেটরি কলেজ থেকে ২০১৭ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাশ করে। সাভার ল্যাবরেটরি কলেজে প্রতিবছর ভালো ফলাফলের জন্যও একাধিক সম্মাননা – পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। পরে স্কলারশীপ পেয়ে চীন দেশের হুনান প্রদেশে অবস্থিত চাংশা ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’তে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে চীন দেশে যান বলে জানিয়েছেন তার বাবা মো: বুলেট হোসেন।

তারিকুল ইসলাম (তাজ) এর এই অসামান্য সাফল্যে দেশ ও জাতি গর্বিত। মা-বাবা, পরিবার-পরীজন সহ এলাকাবাসী তারিকুলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও আল্লাহ তাআলার নিকট তার আগামীর কর্মজীবন সুন্দর সার্থক ও সাফল্য মুন্ডিতের জন্য দোয়া ও আর্শিবাদ করেছে।

error: Content is protected !!