শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

নিজেকে ভালো রাখার জন্য কিছু দরজা বন্ধ রাখাই শ্রেয়

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৫:২৪ পিএম | 43 বার পড়া হয়েছে
নিজেকে ভালো রাখার জন্য কিছু দরজা বন্ধ রাখাই শ্রেয়

নিজেকে ভালো রাখার জন্য কিছু দরজা বন্ধ রাখাই শ্রেয় I
সবাইকে ধরে রাখতে হয় না।
সব সময় সদয় থাকলে, মানুষ সেটা অধিকার ভাবতে শুরু করে।
একটা সময় বুঝেছি—নিজের মনের জানালা সব সময় খোলা রাখলে, ধুলা-বালি ঢুকবেই।
তাই এখন দরজা জানালা বুঝে খুলি। সম্পর্ক বুঝে রাখি।
আগে ভাবতাম, সম্পর্ক মানেই নিরন্তর খোঁজ নেওয়া, সময় দেওয়া, আপস করা।
এখন বুঝি—মানুষের কিছু আচরণ নিজের সম্মানের সাথে যায় না।
কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করি:
এক দিদি ছিল, প্রায়ই টাকা ধার নিত।
ফেরত দিতে ভুলে যেত, মনে করিয়ে দিলে বলত—“আরে না, দিয়ে দিয়েছি তো!”
কিন্তু মাসের পর মাস কেটে যেত, টাকাও আসত না, দৃষ্টিও বদলাত।
অদ্ভুত ব্যাপার, সে প্রায়ই আমার বাসায় আসত, খেত-দিতাম, গল্প করতাম।
কিন্তু আমি একবার ওর বাসায় গেলাম , প্লাস্টিকের গ্লাসে পানি দিয়ে বলেছিল, ‘কাজ আছে, পরে দেখা হবে।’
সেদিনই বুঝেছিলাম—মানবিকতা একতরফা হলে, সেটা বোকামি হয়ে দাঁড়ায়।”
এক বন্ধু ছিল, শুধু নিজের সুবিধামতো যোগাযোগ রাখত।
ওর প্রেমে ঝামেলা, তখন আমি therapist!
ওর বাড়ির সমস্যা, আমি lawyer!
কিন্তু আমি যখন একটু মন খারাপ করে বলি, “আজকে খারাপ লাগছে”—সে reply করে, “আমি একটু busy”।
আজও ইনস্টায় দেখে, ক্যাফেতে বসে latte খাচ্ছে।
আমি আর বিরক্ত হই না, কারণ বুঝে গেছি—কারো কাছে তুমি প্রয়োজন, কারো কাছে তুমি মানুষ। আমি দ্বিতীয় দলে থাকতে চাই।
এক আত্মীয়, সবসময় ছুটি পেলেই আমার বাসায় আসত,
বাচ্চারা খেলত, আমি রান্না করতাম, গল্প করতাম, ওরা খুশি হতো।
একবার হঠাৎ আমার বাসায় গ্যাস নেই, ভেবেছিলাম, ওদের বাসায় খেয়ে আসব।
গিয়ে দেখি, ও বলছে “আমরা একটু বাইরে যাচ্ছি, আরেকদিন এসো।”
তখনই বুঝলাম—সব ‘আপনজন’ আসলে আপন না, অনেকে শুধু সুবিধাজনক জায়গা খোঁজে।
সেই দিন থেকে আমি শুধু দূর থেকেই সালাম দেই, ঘর পর্যন্ত আর ঢুকি না।
এক কলিগ, আমার থেকে বারবার ফাইল তৈরিতে সাহায্য নিয়েছে।
নিজের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফোন করে ধরিয়ে রাখত,
আর আমার কাজের সময়? বলত, “তুই তো পারিস! তোর জন্য এটা কি এমন কঠিন?”
কিন্তু অফিসে প্রমোশনের প্রশ্নে একবার আমাকে বাদ দিয়ে নিজের নাম প্রস্তাব করেছিল।
সেই দিনই বুঝেছিলাম—যাদের কাছে তুমি ‘পারফেক্ট মেশিন’, তারা কখনও তোমাকে মানুষ ভাবে না।
সেই সম্পর্কের তার কেটে দিয়েছি, শান্তিতে আছি।
এক বান্ধবী, সব সময় আমার কাছ থেকে সাজগোজ, শপিং, ছবি তোলা—সব কিছুতেই সাহায্য নিত।
সে একবারও আমার কাজের বিষয়ে জিজ্ঞেস করেনি।
আমার একটি প্রজেক্টে সাহায্য চাইলে বলেছিল, “এই সময় আমার শরীর ভালো না।”
অথচ আমি তাকে ইনস্টায় দেখলাম ব্রাইডাল ট্রায়ালে ব্যস্ত।
সেদিন বুঝলাম—কিছু মানুষ তোমার উদারতাকে ব্যবহার করে, যতক্ষণ না তুমি সীমারেখা টানো।
আমি সেটা করেছি, সময় মতো।
কিছু সম্পর্ক, যেগুলোর ভার কেবল একপাশে পড়ে থাকে:
এক পরিচিত আপু ছিলেন, সব সময় ফোন দিতেন শুধুই নিজের দুঃখ শোনাতে।
একদিন যখন আমিই ভেঙে পড়েছিলাম, আর তাকে বলতে চেয়েছিলাম, তখন তিনি বলেছিলেন, “আরে এসব বিষয় আমি বুঝি না, পরে কথা বলি।”
আমি বুঝে গেছি, উনি আমার দুঃখের জন্য না, নিজের আরাম খোঁজার জন্য যোগাযোগ রাখেন।
এক বন্ধুর জন্মদিনে আমি কেক নিয়ে গেলাম, অথচ আমার জন্মদিনে সে একবারও ফোন দেয়নি। বলেছিল, ওই দিন নেটওয়ার্ক ছিল না। আমি মনে মনে বলেছি—বন্ধুত্ব যদি নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভর করে, তাহলে সেটা রাখারও দরকার নেই।
একবার এক আত্মীয়ের বাসায় দাওয়াতে গিয়েছিলাম।
চোখে মুখে হাসি, কিন্তু কথার ভেতরে ছিল কাঁটা।
একটা মন্তব্য—“তুমি তো কিছু করো না, বাসাতেই থাকো বেশি”—সেই একটা বাক্য আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছিল, সব দাওয়াত সম্মান নয়, কিছু দাওয়াত শুধুই ফর্মালিটি।সেই থেকে আমি ‘না’ বলতে শিখেছি।
✅ কী করা উচিত:
• নিজের ইচ্ছার বাইরে কাউকে খুশি করতে যেও না।
সম্মান তখনই থাকে, যখন তা আত্মসম্মান নষ্ট না করে।
• সময়মতো দূরত্ব তৈরি করো।
একবারের অপমান সহ্য করলে, মানুষ দ্বিতীয়বার সেটা অভ্যাস করে ফেলে।
• যারা কেবল নিজের প্রয়োজনে খোঁজ নেয়, তাদের জন্য আলাদা বাউন্ডারি রাখো।
ওদের কথা শুনো, হাসো, কিন্তু মন খুলে দিও না।
• ‘না’ বলাটা শিখে ফেলো—এটা আত্মরক্ষা।
‘না’ বললে অনেকে দূরে সরে যাবে, কিন্তু ওদের না যাওয়াটাই বিপদ।
❌ কী করা উচিত নয়:
• বেশি ভদ্র হতে গিয়ে নিজেকে ছোট করো না।
“ভদ্র” হবার চেষ্টায় অনেকেই নিজের অনুভূতির কবর দিয়ে ফেলে।
• যারা একবার আঘাত করেছে, তাদের বারবার সুযোগ দিও না।
‘দ্বিতীয় সুযোগ’ মানে অনেক সময় ‘দ্বিতীয়বার কষ্ট’।
• ভুল মানুষদেরকে ঠিক করার দায়িত্ব নিও না।
তুমি কাউন্সেলর নও, থেরাপিস্ট নও—তুমি একজন মানুষ, যার নিজের অনুভূতির যত্ন নেওয়াও জরুরি।
• নিজের অবস্থান বোঝাতে গিয়ে চোখে জল এনো না।
যে বোঝে না, সে কান্না দেখেও ব্যস্ত থাকবে অন্য কাজে।
আজ আমি কেমন?
• নিজের জায়গা বোঝাতে শিখেছি।
• ভালোবাসা দিতে আগে ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্যতা দেখি।
• অপরাধবোধ ছাড়াই ব্লক করি, মিউট করি, দূরে যাই—কারণ সেটা আমার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য দরকারি।
🔚 সব সম্পর্ক পবিত্র নয়,
সব সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ নয়,
সব সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হওয়াও জরুরি নয়।
তোমার জীবনের প্রতিটা মানুষ যদি তোমার স্পেস, সম্মান আর সংবেদনশীলতা বুঝতে না পারে—তবে সেই সম্পর্ক শুধু নামমাত্র একটা বোঝা।
জীবন ছোট, সময় অল্প। সব জায়গায় খুশি ছড়াতে গিয়ে নিজেকে ধ্বংস কোরো না।
নিজেকে ভালোবাসো, নিজের মনকে গুরুত্ব দাও।
কিছু দরজা বন্ধ রাখো—সেটা তোমার শান্তির জন্য।

হোসেনপুরে কিশোরগঞ্জ জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীর উপর হামলা

তপন চন্দ্র সরকার হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৮:৫৯ পিএম
হোসেনপুরে কিশোরগঞ্জ জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীর উপর হামলা

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী মাহবুবুর

আলম ছোটন (২৭) প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার পরিবারের লোকজন জানান, শুক্রবার (২০ জুন) আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে উপজেলা সদর থেকে বাড়ী ফেরার পথে

উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আনুহা জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় প্রতিপক্ষের লোকজন তার উপর হামলা করে। এ সময় তাঁর চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা মটর সাইকেলে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন আহত ছোটনকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সে ঐ এলাকার আবুল কালামের ছেলে ও বেসরকারী ঈশা খাঁ ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ৯ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। জানা যায় (১৩ জুন) উপজেলার বীল চাতল ও আনুহা গ্রামবাসীর মধ্যে তুচ্ছ ঘটনার জেরে মারামারি হয়। এ ঘটনায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে মঞ্জুরুল ইসলাম বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় একটি মামলা করেছেন ঐ মামলার ১নং স্বাক্ষী জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী ছোটন। সে প্রধান স্বাক্ষী হওয়ায় প্রতিপেক্ষর দুর্বৃত্তরা তার উপর হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ হোসেন জানান, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমতলীতে সড়ক দূর্ঘটনায় বাবা মেয়েসহ নিহত তিন ও শিশুসহ আহত চার

মাইনুল ইসলাম রাজু আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৮:৫৫ পিএম
আমতলীতে সড়ক দূর্ঘটনায় বাবা মেয়েসহ নিহত তিন ও শিশুসহ আহত চার

বরগুনার আমতলী- পটুয়াখালী- কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কে কেওয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ইকরা পরিবহন ও একটি ব্যাটারী চালিত ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ইজিবাইকে থাকা দুই বাবা মেয়েসহ তিন যাত্রী নিহত এবং শিশুসহ ৪ জন আরোহী গুরুত্বর আহত হয়েছে।

নিহতরা হলেন উপজেলার গাজীপুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখার সিনিয়র শিক্ষক মৌলবী আঃ আজিজ (৫৫), তার মেয়ে মোছাদ্দিকা (২৫), বেয়াইন খালেদা (৪৫)। তাদের বাড়ী উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামে।

প্রত্যক্ষদর্শি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর ২ টায় দিকে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ইকরা পরিবহন (ঢাকা মেট্রো- ব -১৫-৮৯৫৩) নামের একটি দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন বাস আমতলী- পটুয়াখালী- কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কে কেওয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে পাশর্^ রাস্তা (আকবারিয়া মাদ্রাসা সড়ক) স্থানে পৌছাইলে ওই রাস্তা দিয়ে মহাসড়কে উঠতে যাওয়া যাত্রী বোঝাই একটি ব্যাটারী চালিত ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ইাজবাইকটি দুমড়ে-মচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ইজিবাইকে থাকা দুই আরোহী বাবা মেয়ে মারা যায়। শিশুসহ আহত হয় আরো ৫ জন। গুরুত্বর আহত খালেদা বেগমকে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।

সংবাদ পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। স্থানীয়দের সহায়তায় নিহতদের উদ্ধার করে এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, দূর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।

নরসিংদীর পলাশে বি এন পির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলি বৃদ্ধ ২ নিহত ১

মোঃ কামাল হোসেন প্রধান জেলা প্রতিনিধি নরসিংদী  প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৭:৪৫ পিএম
নরসিংদীর পলাশে বি এন পির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলি বৃদ্ধ ২ নিহত ১

নরসিংদীর পলাশে ছাত্রদল ও বিএনপির সংঘর্ষে আহত ছাত্রদল কর্মী ঈসমাইল হোসেন (২৬) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার ছয়দিন অন্য ২১ জুন শনিবার দুপুর ২ টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়। নিহত ইসমাইল হোসেন পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর গ্রামের আব্দুর রহিম ভূঁইয়ার ছেলে।নিহতের বাবা আব্দুর রহিম ভূঁইয়া বলেন,২১ জুন শনিবার বেলা ২ টার দিকে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আমাদেরকে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে এবং আজই জানাযা শেষে গ্রামের বাড়িতে তার দাফন করা হবে। আমার ছেলের হত্যার বিচার ও জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার দাবি জানাই।পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ নাজমুল হোসেন সোহেল জানান, ইসমাইল ছাত্রদলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। আমাদের ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল ও তার লোকজন গুলিবর্ষণ করে। এতে ইসমাইল গুলিবিদ্ধ হয়ে ৬ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর আজ মারা যায়। এ ঘটনার যেন বার বার পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য তার গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনির হোসেন বলেন, আমরা জানতে পেরেছি,গুলিবিদ্ধ ঈসমাইল হোসেন মারা গেছেন। তবে,আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে এখনো জানায়নি। বিষয়টি জানানোর পর পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।উল্লেখ্য, রবিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার বিএডিসির মোড়ে পলাশ উপজেলা ছাত্রদল ও জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এছাড়া ছাত্রদল কর্মী ইসমাইল ও পথচারী সোহেল মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। পরে,আহত ঈসমাইলকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঈসমাইল হাসপাতালে ভর্তির ৬ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।এ ঘটনায় গত রবিবার রাতেই ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সিয়াম মিয়া বাদী হয়ে জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর কবির জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামী করে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। জুয়েলের পক্ষ থেকে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনার গত বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বিএনপি নেতা জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে।