বুধবার, ৪ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
বুধবার, ৪ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত: 

ইউএনওর সহায়তায় বেঁচে গেলো প্রতিবন্ধী যুবক

আব্দুল মাবুদ মোহাম্মদ ইউসুফ, মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৪:৫৮ পিএম | 101 বার পড়া হয়েছে
ইউএনওর সহায়তায় বেঁচে গেলো প্রতিবন্ধী যুবক

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এ মুহাইমিন আল জিহান এক অনন্য মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

(২জুন) রাতে হাতিরদিয়া বাজারে এক শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী যুবককে অবহেলিত ও অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে অনেকেই এড়িয়ে গেলেও, ইউএনও নিজে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করেন।

তিনি যুবকটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে হাসপাতালে ভর্তি করান এবং চিকিৎসার সব খরচ নিজে বহন করেন।

ইউএনও বলেন, “তাকে রাস্তায় ফেলে রাখা মানে আমাদের বিবেককেই রাস্তায় ফেলে রাখা।”

বর্তমানে ওই যুবকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে এবং প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে তাকে ময়মনসিংহের ধলা ত্রিশালের সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

আমতলীতে সোয়া ৬ কোটি টাকার সেতুতে উঠতে লাগছে মই

মাইনুল ইসলাম রাজু প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ১১:২২ এএম
আমতলীতে সোয়া ৬ কোটি টাকার সেতুতে উঠতে লাগছে মই

আমতলী তিন ইউনিয়নের সংযোগস্থল গুলিশাখালী খালের আমড়াগাছিয়া নামক স্থানে সোয়া কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুতে উঠতে মই ব্যবহার করে চলাচল করছেন পথচারী ও গ্রামবাসীরা। এতে জীবনের ঝুঁকি ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
আমতলী উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী, কুকুয়া ও চাওড়া ইউনিয়নের সংযোগস্থল আমড়াগাছিয়া বাজারের পশ্চিমপাশে অবস্থিত গুলিশাখালী খালের উপর ৬৬ মিটার দৈর্ঘ্য ৬.৭৭ মিটার প্রস্তের একটি গার্ডার সেতু নির্মানের জন্য ২০২৩ সালে দরপত্র আহবান করে বরগুনা এলজিইডি। কাজটি পায় বরিশালের মেসার্স কহিনুর এন্টার প্রাইজ এ্যান্ড ত্রিপুরা জেভি নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২৩ সালের ১৯ মে কার্যাদেশ পেয়ে কাজ শুরু করে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। প্রকল্প তে ব্যায় অনুয়াযী প্রতিষ্ঠানের সাথে ৬ কোটি ২২ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩২৩ টাকা ব্যায়ে একটি গর্ডার সেতু নির্মানের চুক্তি করে এলজিইডি। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে মূল সেতুর কাজ সম্পন্ন করে। কিন্ত বিপত্তি দেখা দেয় সংযোগ সড়ক নির্মান নিয়ে। সেতুর পশ্চিম পাশের সেতুর ঢালের ৫ ফুটের মাথায় রয়েছে পূর্ব খেকুয়ানি গুচ্ছগ্রামের চলাচলের জন্য কার্পেটিং সড়ক। সেতুর ডিজাইন এবং উচ্চতা অনুয়ায়ী সংযোগ সড়ক নির্মান করলে এই সড়কটি বন্ধ হয়ে যাবে এ নিয়ে দেখা দেয় বিপত্তি। সেতুটি নির্মানের ১১ মাস ধরে এ ভাবে পরা থাকায় গুলিশাখালী, কুকুয়া এবং চাওড়া ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পড়েছে মহাভোগান্তিতে। এই সেতু পার হয়ে গুলিশাখালী ইউনিয়নের পূর্ব খেকুয়ানি, গুলিশাশাখালী, ডালাচারা, বাইবুনিয়া, কলাগাছিয়া গ্রামের শত শত মানুষ আমতলী সদর, ঢাকা বরিশালসহ সারা দেশে চলাচল করতে হয়। তেমনি চাওড়া ও কুকুয়া ইউনিয়নের মানুষজনও এই সেতু পার হয়ে গুলিশাখালী ইউনিয়নে আসা যাওয়া করে।
মঙ্গলবার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সেতুটির পশ্চিম পারে সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয় গ্রামবাসী গাছের তৈরী একটি মই বানিয়ে চলাচল করছে। এই মই বেয়ে বয়স্ক নারী শিশু ও বৃদ্ধরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
পূর্ব খেকুয়ানি গ্রামের ষাটোর্ধ্ব নারী আলেয়া বেগম বলেন, বাবা ডাক্তার দেহাইতে আমতলী গেছিলাম। এই ব্রিজটা পাড়াইতে মোর ব্যামালা কষ্ট অইছে। ওঠতে আর নামতে ঠ্যাং (পা)কাপে।
বাইনবুনিয়া গ্রামের তালেব আলী জানান, আমড়া গাছিয়া বাজারে কাম আছিল। হেই লইগ্যা এই হান দিয়া আইছি। ব্রীজে রাস্তা নাই ওঠতে হোয়াস (স্বাস) গরম অইয়া যায়।
পূর্ব খেকুয়ানী গ্রামের মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী মো. ছত্তার বলেন, ভাই মুই গ্রামে গোনে আম কাডাল কিন্যা আমড়া গাছিয়া বাজারসহ আমতলী নিয়া বেচি। এই ব্রীজের লইগ্যা মুই এহন বেশী ফল কিন্যা মাতায় লইয়া গাছের মই বাইয়া (উপরে) উঠতে পারি না।
ঠিকাদার মো. কাওছার মিয়া বলেন, নির্দিষ্ট সমেয়ের আগেই আমরা মুল সেতু নির্মানের কাজ সম্পন্ন করেছি। সংযোগ সড়ক নির্মানের জন্য আলাদা টেন্ডার হবে। যারা কাজ পাবে তারা করবে। তিনি আরো বলেন, ডিজাইন পরিবর্তন হওয়ায় কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমাদের কোন করনীয় নেই।
সেতুর তদারকির দায়িত্বে থাকা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ঠিকাদার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মুল সেতুর নির্মান কাজ শেষ করেছে।
আমতলী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস জানান, সেতুর উচ্চতা অনুযায়ী সংযোগ সড়ক করতে হলে একটি সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। তাই সড়কটি ঠিক রাখার জন্য আন্ডার পাশ করা হবে। এজন্য খরচও বাড়বে। তাই নতুন করে ডিজাইন এবং বাজেট করে প্রকল্প পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। পাশ হলে দরপত্রের মাধ্যমে সংযোগ সড়কটি অতি দ্রুত নির্মান করা হবে।

একাউন্ট খুললেই পাচ্ছেন একটি আকর্ষণীয় T-shart একেবারে ফ্রি!

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ১০:৪৯ এএম
একাউন্ট খুললেই পাচ্ছেন একটি আকর্ষণীয় T-shart একেবারে ফ্রি!

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট ***
আপনার অর্থ ঝুকিপূর্ন না রেখে আজই একটি একাউন্ট করুন,আর বৃহত্তম ব্যাংকিং চ্যানেলের সুবিধা নিন এবং এটিএম কার্ড দিয়ে দেশের যেখানে প্রয়োজন সেখানেই লেনদেন করুন,
ঝামেলাহীন, নিশ্চিন্তে, নিরাপদে।
সেই সাথে,
আপনার একাউন্ট খুললেই পাচ্ছেন একটি আকর্ষণীয় T-shart একেবারে ফ্রি! ☕
আর যদি খুলেন একটি ডিপিএস (সঞ্চয়ী প্রকল্প), তাহলে আপনার জন্য থাকছে একদম ফ্রি ছাতা! ☂️
💰 অসাধারণ সুদের হার: ৯.৫%
🎁 ডিপিএস করলেই নিশ্চিত পুরস্কার!
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং, ভাঙ্গুড়া_শাখা:
চন্ডিপুর বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা।
📞 যোগাযোগ করুন: ০১৭১২ ০৯২ ০৭৪

যৌন হয়রানির অভিযোগ আনলেন অভিনেত্রী অম্রুতা সুভাষ

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ৫:২৩ পিএম
যৌন হয়রানির অভিযোগ আনলেন অভিনেত্রী অম্রুতা সুভাষ

বলিউড অভিনেত্রী অম্রুতা সুভাষ ‘সেক্রেড গেম’ ও ‘গল্লি বয়’ ছবিতে অভিনয় করে বেশ জনপ্রিয় হয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রথম সারির এক প্রযোজকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন এ অভিনেত্রী। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক নামকরা প্রযোজকের কাছে যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন অম্রুতা সুভাষ। তবে এই অভিনেত্রী তার নাম প্রকাশ করেননি।
এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী আম্রুতা বলেন, একদিন আমি সিঁড়ি দিয়ে উঠছি। সঙ্গে সঙ্গে এক অদ্ভুত অনুভূতি হলো। আমার মনে হলো, কোমরে কেউ স্পর্শ করছে। পেছন ফিরে দেখি এক বড় মাপের প্রযোজক। সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রযোজককে অম্রুতা প্রশ্ন করেছিলেন, এইমাত্র আপনি কী করলেন ? এটা কী ধরনের ব্যবহার ? তারপর নাকি সেই প্রযোজক এমন ভান করেছিলেন, যেনো কিছুই ঘটেনি। তবে থেমে থাকেননি অম্রুতা। ফের প্রশ্ন করেন, এটা আপনি কী করেন ? অম্রুতা’র গলার আওয়াজ শুনে সবাই চমকে যান। ঘাবড়ে গিয়ে সেই প্রযোজক বলেছিলেন, তিনি নাকি অভিনেত্রীর পোশাক ঠিক করে দিয়েছেন। এই উত্তর শুনে আরও রেগে যান অম্রুতা। তিনি বলেন, সেটা আপনাকে দেখতে হবে না। সাহস কীভাবে হয় আমাকে স্পর্শ করার ?
আরও একটি ঘটনার কথা তুলে ধরেন অম্রুতা। ওই ঘটনায়ও আরেক প্রযোজকের কথা উল্লেখ করেছেন অম্রুতা। তিনি নাকি প্রতিদিন রাত হলেই অম্রুতা’র সঙ্গে মদ্যপান করতে চাইতেন। প্রথম দিকে এড়িয়ে গেলেও পরে জবাব দিয়েছিলেন তিনি। অম্রুতা একদিন সবার সামনে বলেছিলেন, স্যার, আপনি আমার বাবার বয়সী। এভাবে কেন আমার সঙ্গে কথা বলছেন ? কী সমস্যা আপনার ? সেই প্রযোজকের চোখে চোখ রেখে কথাগুলো বলেছিলেন অভিনেত্রী।
অম্রুতা’র এই সাক্ষাৎকারে প্রকাশ্যে আসার পর অনেকে অনুসারীই তার সাহসের প্রশংসা করেছেন। কেউ কেউ আবার বলেছেন অভিযুক্ত প্রযোজকদের নাম প্রকাশ করতে।

error: Content is protected !!