বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২

নতুন আইপিও আসছে না শেয়ারবাজারে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫, ১২:২৪ পিএম | 198 বার পড়া হয়েছে
নতুন আইপিও আসছে না শেয়ারবাজারে

প্রায় এক বছর ধরে দেশের শেয়ারবাজারে নতুন কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়নি। দীর্ঘমেয়াদি পুঁজি সংগ্রহের জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও’র মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আসে নতুন প্রতিষ্ঠান। নতুন তালিকাভুক্তি মানেই বাজারে নতুন বিনিয়োগ আসা। তাই দীর্ঘদিন ধরে নতুন আইপিও না আসাকে অস্বাভাবিক এবং পুঁজিবাজারের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এদিকে নতুন বিনিয়োগ না আসলেও দিন দিন রক্তক্ষরণ বাড়ছে দেশের পুঁজিবাজারে। বৃহস্পতিবার ঢালাও দরপতন হয়েছে। পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজারের সূচক।

খাত সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য, নতুন আইপিও এলে শেয়ারবাজারে বিকল্প বিনিয়োগের পথ সৃষ্টি হয় এবং তারল্য বাড়ে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আইপিও বন্ধ থাকলে বিনিয়োগের যেমন বিকল্প পথ খুলে না, তেমনি বাজারের ওপর থেকে বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট হয়। তাই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) নতুন আইপিও আনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

অন্যদিকে বিএসইসির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বর্তমানে কোনো কোম্পানির আইপিও আবেদন কমিশনে জমা নেই। আবার আগে দুর্বল কোম্পানি কারসাজির মাধ্যমে আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের সুযোগ পেতো। এখন সেই সুযোগ নেই। যে কারণে দুর্বল কোম্পানি আইপিও’র জন্য আবেদন করছে না। আবার ভালো কোম্পানির জন্য বর্তমান কার্যকর থাকা পাবলিক ইস্যু রুলস খুব একটা উপযুক্ত নয়। যে কারণে পাবলিক ইস্যু রুলস সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংস্কার হলে আবার আইপিও আসা শুরু হবে।

দেশের শেয়ারবাজারে সর্বশেষ আইপিও এসেছে টেকনো ড্রাগসের। গত বছরের জুনে এ কোম্পানিটি আইপিও’র মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে টাকা উত্তোলন করে। এরপর আর কোনো কোম্পানির আইপিও আসেনি। অর্থাৎ প্রায় এক বছর ধরে শেয়ারবাজারে আইপিও আসা বন্ধ। দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে এত দীর্ঘ সময় ধরে আইপিও না আসার ঘটনা আর ঘটেনি।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে ২০২০ ও ২০২১ সাল পর পর দুই বছর শেয়ারবাজার থেকে আইপিও মাধ্যমে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ উত্তোলন হয়। তবে ২০২২ সালে আইপিও’র সংখ্যা কমে আসে। ২০২৩ সালে আইপিওতে রীতিমতো ধস নামে, যা অব্যাহত থাকে ২০২৪ সালেও। ২০২৪ সালে আইপিওতে শেয়ার বিক্রি করে মাত্র চারটি কোম্পানি অর্থ উত্তোলন করে। এর মধ্যে ছিল এনআরবি ব্যাংক, বেস্ট হোল্ডিং, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ ও টেকনো ড্রাগস। এ চার কোম্পানির মধ্যে এনআরবি ব্যাংক স্থিরমূল্য পদ্ধতিতে আইপিওতে শেয়ার বিক্রি করে। বাকি তিনটি কোম্পানি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজারে আসে।

এনআরবি ব্যাংক আইপিওতে শেয়ার ছেড়ে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করে। বাকি তিন কোম্পানির মধ্যে বেস্ট হোল্ডিং ৩৫০ কোটি টাকা, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ ৯৫ কোটি এবং টেকনো ড্রাগস ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করে। অর্থাৎ চারটি কোম্পানি আইপিওতে শেয়ার ছেড়ে মোট ৬৪৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে। এর মধ্যে বেস্ট হোল্ডিং ও টেকনো ড্রাগসের আইপিও নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়।

এর আগে ২০২৩ সালে মিডল্যান্ড ব্যাংক, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, শিকদার ইন্স্যুরেন্স এবং ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড আইপিওতে আসে। অর্থাৎ ২০২৩ তালে তিনটি কোম্পানি ও একটি মিউচুয়াল ফান্ড আইপিওতে আসে। এর মধ্যে মিডল্যান্ড ব্যাংক ৭০ কোটি টাকা, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ১৬ কোটি, শিকদার ইন্স্যুরেন্স ১৬ কোটি এবং ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করে। চারটি প্রতিষ্ঠানের উত্তোলন করা অর্থের পরিমাণ ছিল ২০২ কোটি টাকা।

পরপর দুই বছর মাত্র চারটি করে প্রতিষ্ঠান আইপিওতে এলেও ২০২২ সালে ছয়টি প্রতিষ্ঠান আইপিও’র মধ্যে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করে। এ ছয় প্রতিষ্ঠানের অর্থ উত্তোলনের পরিমাণ ছিল ৬২৬ কোটি ২৬ লাখ ৯ হাজার টাকা। অবশ্য ২০২২ সালের আগের তথ্য দেখলে শেষ দুই বছরের আইপিও’র চিত্র খুবই হতাশাজনক। কারণ ২০২১ সালে আইপিও’র মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১৫টি। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থ উত্তোলনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৮৫৮ কোটি ৪৪ লাখ ৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে বেক্সিমকো গ্রিন সুকুকই উত্তোলন করে ৪২৫ কোটি ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।

গত দেড় যুগে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে শেয়ারবাজারে সব থেকে কম আইপিও আসে। হয়তো চলতি বছর এক বছরে সবচেয়ে কম আইপিও আসার নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হতে পারে। কারণ এরই মধ্যে চলতি বছরের প্রায় পাঁচ মাস পার হয়েছে আইপিও ছাড়া। আগামী জুন মাস পার হলেই চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছর শেষ হবে। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে এখন পর্যন্ত কোনো আইপিও আসেনি। শেয়ারবাজারে আইপিও ছাড়া একটি অর্থবছর পার হওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম ঘটতে যাচ্ছে।

আইপিও পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আইপিও না আসায় শেয়ারবাজারের বিশাল ক্ষতি হচ্ছে। আইপিও হলো শেয়ারবাজারের নিউ ব্লাড। নিউ ব্লাড প্রবাহ যদি বাজারে বন্ধ হয়, তাহলে এটা দীর্ঘমেয়াদে বাজারের ব্যাপক ক্ষতি করে। বাজার অনেক পিছিয়ে যায়।

সাইফুল ইসলাম বলেন, নতুন কোম্পানির আইপিও আনার উদ্যোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে নিতে হবে। কেন আইপিও আসছে না, তা নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে খুঁজে বের করতে হবে এবং তার আলোকে কাজ করতে হবে।

বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম বলেন, বর্তমানে কমিশনে কোনো আইপিও আবেদন পেন্ডিং নেই। আর বিএসইসির কাজ হলো পাবলিক ইস্যু রুলস অনুযায়ী কেউ আবেদন করলে, এটার কমপ্লায়েন্স থাকলে অনুমোদন করবে। যেহেতু আইপিও আবেদন নেই, তাই অনুমোদন করতে পারছে না।

সর্বনিম্ন অবস্থানে সূচক : এদিকে অব্যাহত ঢালাও দরপতনের বৃত্তে আটকে গেছে দেশের শেয়ারবাজার। প্রতিদিনই ঢালাও দরপতন হওয়ায় দিন যত যাচ্ছে শেয়ারবাজার তত তলানিতে নামছে। সেই সঙ্গে বেড়েই চলছে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা। অব্যাহত পতনের কবলে পড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক প্রায় ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গেছে। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ২০২০ সালের ২৪ আগস্টের পর সর্বনিম্ন অবস্থানে চলে এসেছে।

অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার দিনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৪ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৭৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস শেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন হলো। এই তিন দিনেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমলো ১৪০ পয়েন্ট। এতে ২০২০ সালের ২৪ আগস্টের পর সূচকটি সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গেছে। ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট সূচকটি ৪ হাজার ৭৬২ পয়েন্টে ছিল। প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি বড় পতন হয়েছে অন্য দুই সূচকের। এর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৭০ পয়েন্টে নেমে গেছে।

দেশের মানুষ ক্ষমতার পালাবদল নয়, রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন চায়  রুকন সম্মেলনেঃ  মুহাম্মদ শাহজাহান

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:২৬ পিএম
দেশের মানুষ ক্ষমতার পালাবদল নয়, রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন চায়  রুকন সম্মেলনেঃ  মুহাম্মদ শাহজাহান

 

দেশের মানুষ ক্ষমতার পালাবদল নয়, রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন চায়  রুকন সম্মেলনেঃ  মুহাম্মদ শাহজাহান

সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার চট্টগ্রামঃ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, এই দেশের মানুষ এখন আর ক্ষমতার পালাবদল চায় না, তারা চায় একটি গুণগত রাজনৈতিক পরিবর্তন—যেখানে সত্য, ন্যায়, জবাবদিহিতা এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।”

চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত দেওয়ানবাজারস্থ ইসলামী একাডেমি (বিআইএ)মিলনায়তনে বিশেষ এক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক সংকট, সামাজিক অবক্ষয়, প্রশাসনিক দুর্নীতি এবং নৈতিক অবনতি থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হলে প্রয়োজন আদর্শিক নেতৃত্ব ও সুসংগঠিত কর্মী বাহিনী। জামায়াতে ইসলামী সেই আদর্শিক রাজনীতির ধারক ও বাহক হিসেবে জনগনের আস্থার প্রতীক হয়ে কাজ করছে।

তিনি বলেন, দেশের রাজনীতি আজ মূল্যবোধহীনতার চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, বিচার বিভাগ প্রভাবিত, প্রশাসন পক্ষপাতদুষ্ট, এবং সাধারণ মানুষ ন্যূনতম নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত। এমন প্রেক্ষাপটে ইসলামি রাজনীতিই একমাত্র বিকল্প—যেখানে আল্লাহভীতির ভিত্তিতে পরিচালিত একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, রুকনগণ হচ্ছেন দলের আদর্শিক প্রাণ। তাদের আত্মিক, চারিত্রিক ও সাংগঠনিক পরিশুদ্ধির মাধ্যমে জামায়াতের ভিত শক্তিশালী হবে।” তিনি সকল রুকনকে যুগের চাহিদা অনুযায়ী জ্ঞান, দক্ষতা ও নেতৃত্বগুণে নিজেদের সমৃদ্ধ করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহর সভাপতিত্বে উক্ত সম্মেলনে
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম অঞ্চল টিমের সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল আমিন চৌধুরী, নগর কর্মপরিষদ সদস্য হামেদ হাসান ইলাহী, বায়েজিদ থানা আমীর মাওলানা জাকির হোসাইন, খুলশী থানা আমীর অধ্যাপক আলমগীর ভূঁইয়া, আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি প্রফেসর মুহাম্মদ নুরুন্নবী (সিসিএ)-এর সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম জামান প্রমুখ।

উক্ত রুকন সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন থানার রুকনগণ উপস্থিত ছিলেন।

যশোর মুদ্রন শিল্প মালিক সমিতির নির্বাচন আজ ১৭ অক্টোবর

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৫৭ পিএম
যশোর মুদ্রন শিল্প মালিক সমিতির নির্বাচন আজ ১৭ অক্টোবর

মালিকুজ্জামান কাকাঃ

যশোর জেলা মুদ্রন শিল্প মালিক সমিতির দ্বি বার্ষিক নির্বাচন ১৭ অক্টবর। প্রেসক্লাব যশোরে সকালে ভোট শুরু হবে। ১০১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট ইসাহক। বাকি দুই জন নির্বাচন কমিশনার হলেন এস এম তৌহিদুর রহমান ও অধ্যাপক ইবাদত খান।
নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ইবাদত খান বলেন, মোট ১৫টি পদে ভোট হবে। ২৮টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়ে।
সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, সাব্বির মালিক বাবু, ইসমাইল হোসেন ও ফজলে রাব্বি মোপাসা। সহ সভাপতি পদে সফিয়ার রহমান, শরিফুল ইসলাম ও সুলতান আহম্মদ তিন প্রতিদ্বন্দ্বী। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী প্রার্থী তিন এরা হলেন, নূর ইসলাম, সেলিম হোসেন ও শাহীন শা রানা।
এছাড়া সহ সাধারণ সম্পাদক পদে কামাল আহমেদ, আবু ইসাহক বাবু, আহমেদ মঞ্জুরুল করিম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী তিন এরা হলেন ফিরোজ আক্তার লাল্টু, ওয়ারেস আলী খাজা ও মোয়াজ্জেম হোসেন মিন্টু।
প্রচার সম্পাদক পদে দুই প্রার্থী হলেন বিপ্লব মাহাবুব ও রিয়াজ মাহাবুব লালন।
দপ্তর সম্পাদক পদে ইস্রাফিল হোসেন ও এনামুল হক প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাহিমা খাতুন ও হাফিজ পাশা, ক্রীড়া ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে কাসেম আলী লস্কর ও আবু বককার সিদ্দিকী দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী।
কোষাধক্ষ পদে প্রার্থী হলেন মাহমুদুল ইসলাম নাসিম ও ফিরোজ উদ্দীন তোতা। ১৫পদে প্রার্থী ২৮জন রয়েছেন। নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হবেন তিন জন। প্রার্থী হলেন রানা হোসেন, জাহিদুল ইসলাম ভুইয়া, কামাল হোসেন ও শরিফুল ইসলাম ল্যাবলু।
গত কয়েক দিন ধরে প্রেসক্লাব কেন্দ্রিক বড় বাজার মসজিদ লেন এলাকায় উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

উখিয়া-টেকনাফ শিক্ষার্থীদের স্বপ্নময় যাত্রার জন্য নতুন বাসের দাবী

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৫৪ পিএম
উখিয়া-টেকনাফ শিক্ষার্থীদের স্বপ্নময় যাত্রার জন্য নতুন বাসের দাবী

 

কামাল উদ্দিন জয়
প্রতিনিধি, কক্সবাজার জেলা

উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত এলাকার শিক্ষার্থীরা কক্সবাজার সিটি কলেজে ক্লাসে অংশগ্রহণে বড় সমস্যার মুখোমুখি। কলেজে আগে উখিয়া-টেকনাফ রোডের জন্য বরাদ্দকৃত বাসটি বর্তমানে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের খুটাখালী পর্যন্ত চলাচল করছে, ফলে সীমান্ত এলাকার শিক্ষার্থীরা নিরাপদ ও সুবিধাজনকভাবে কলেজে পৌঁছাতে পারছে না।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, উখিয়া-টেকনাফের শিক্ষার্থীদের কলেজে আসতে অন্যান্য শিক্ষার্থীর তুলনায় অনেক বেশি ঝামেলা ও বাধা রয়েছে। একদিকে তাদের মৌলিক শিক্ষার অধিকার সীমিত হচ্ছে, অন্যদিকে কলেজে ১০০% উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বাধ্য করা হচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।

সমস্যার সমাধান হিসেবে শিক্ষার্থীরা কলেজ প্রশাসনের কাছে নতুন বাস বরাদ্দের জন্য স্মারকলিপি দিয়েছেন। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, দ্রুত ব্যবস্থা নিলে সীমান্ত এলাকার শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে যোগ দিতে পারবে এবং শিক্ষাজীবন স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যেতে পারবে।

স্থানীয় অভিভাবক ও সমাজকর্মীরা এই দাবিকে সমর্থন করে বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ও সহজ যাতায়াত নিশ্চিত করা শিক্ষার মৌলিক অধিকার রক্ষার অংশ। কলেজ প্রশাসন যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।”

উখিয়া-টেকনাফের শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সুবিধা চালু হলে শত শত শিক্ষার্থী সুবিধাজনক ও নিরাপদভাবে কলেজে পৌঁছাতে পারবে।