বুধবার, ৪ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
বুধবার, ৪ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

Deblina Basu

প্রেম আর ভালবাসা

Deblina Basu প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ২:২৬ পিএম | 61 বার পড়া হয়েছে
প্রেম আর ভালবাসা

প্রেম আর ভালবাসার মধ্যেই অমরা সব থেকে বেশি গুলিয়ে ফেলি। অনেক ক্ষেত্রে বছরের পর বছর সম্পর্কে থাকার পরেও বুঝে উঠতে পরি না সেটা প্রেম না ভালবাসা? আদৌ কি দুটো এক?
হয়ত বেশিরভাগ মানুষই জানেন না প্রেম আর ভালবাসা কখনও এক হতে পারে না। দুটোর অনুভূতি একেবারেই আলাদা। বেশ কয়েকটা উদাহরণ দিলে বোঝা যাবে।
প্রেম থাকলে সেখানে শুধু সঙ্গীকে নিয়ন্ত্রণ বা ডমিনেট’ করার বাসনা থাকে। ‘এটা পরবে না’, ‘ওখানে যাবে না ‘এটাই করো’ এই ধরণের জোর খাটানোগুলো ভালবাসায় থাকে না। ভালবাসায় থাকে একে অপরকে বোঝার ইচ্ছে। একে অপরের ইচ্ছেগুলোকে সম্মান করার আগ্রহ।
প্রেম মানে অসহ্য একটা পাওয়ায় বাসনা। মানে যার সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন তাকে নিজের করতেই হবে, নিজের সঙ্গে রাখতেই হবে এরকম একটা অনুভূতি। কিন্তু ভালবাসা মানে তার ভালোর জন্য যদি তাকে নাও বা পেলাম সেটাতেই সুখী হওয়া।
প্রেম মানে বদলে ফেলার ইচ্ছে। এটা আমার মনের মতো নয়। ওটা আমি যা বলছি সেইরকমই করতে হবে এই মতামতগুলো প্রেমের ক্ষেত্রে তৈরি হয়। ভালবাসায় অপরজন যেমন, ঠিক তেমন ভাবে তাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে ইচ্ছে করে।
প্রেমে শারীরিক টান একটা বিরাট ব্যাপার। অর্থাৎ একসঙ্গে থাকতে গেলে মিলিত হতেই হবে। একে অপরকে না ছুঁলে যেন দেখাটাই সম্পূর্ণ নয় এমন কিছু। কিন্তু ভালবাসায় শারীরিক টানের থেকেও মনের টান অনেক অনেক বেশি থাকে। যেখানে হাজার কিমি দূরে থাকলেও একে অপরকে নিয়েই বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে।
যেখানে মেনে নেওয়ার ও মানিয়ে নেওয়ার ইচ্ছে থাকে না সেটা প্রেম, ভালবাসা কখনই নয়। ও কেন এটা করল, আমি নিজের থেকে কেন কথা বলব, এই ধরনের মানসিকতা থাকলে তা কখনওই ভালবাসা নয়।
ঝামেলা দিনের পর দিন টিকে থাকে প্রেমে। একে অপরকে ক্ষমা করা যায় না। মাসের পর মাস ঝামেলার কথা মনে রেখে দেওয়া যায় প্রেম থাকলে। ভালবাসায় ঝামেলা কখনও বাসি হয় না। একে অপরের ভুল ত্রুটিগুলো মনে রাখার চেয়ে একসঙ্গে একটু নতুন সময় কাটানোটাই সেখানে বেশি গুরুত্ব পায়।
প্রেমে একে অপরের কাজে গুরুত্ব থাকে না কিন্তু ভালবাসায় একে অপরের কাজকে সম্মান করা যায়।
প্রেমে একে অপরের পরিবারকে আপন করা যায় না। একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষদের খুঁত ধরা যায়। কিন্তু ভালবাসায় ভালবাসার মানুষের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা প্রতিটা মানুষকে নিজের সঙ্গে জড়িয়ে রাখা যায়। কারণ তাঁর সঙ্গে ভালবাসার মানুষটাও ভীষণ ভাবে জড়িয়ে থাকে।

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

আমতলীতে সোয়া ৬ কোটি টাকার সেতুতে উঠতে লাগছে মই

মাইনুল ইসলাম রাজু প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ১১:২২ এএম
আমতলীতে সোয়া ৬ কোটি টাকার সেতুতে উঠতে লাগছে মই

আমতলী তিন ইউনিয়নের সংযোগস্থল গুলিশাখালী খালের আমড়াগাছিয়া নামক স্থানে সোয়া কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুতে উঠতে মই ব্যবহার করে চলাচল করছেন পথচারী ও গ্রামবাসীরা। এতে জীবনের ঝুঁকি ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
আমতলী উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী, কুকুয়া ও চাওড়া ইউনিয়নের সংযোগস্থল আমড়াগাছিয়া বাজারের পশ্চিমপাশে অবস্থিত গুলিশাখালী খালের উপর ৬৬ মিটার দৈর্ঘ্য ৬.৭৭ মিটার প্রস্তের একটি গার্ডার সেতু নির্মানের জন্য ২০২৩ সালে দরপত্র আহবান করে বরগুনা এলজিইডি। কাজটি পায় বরিশালের মেসার্স কহিনুর এন্টার প্রাইজ এ্যান্ড ত্রিপুরা জেভি নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২৩ সালের ১৯ মে কার্যাদেশ পেয়ে কাজ শুরু করে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। প্রকল্প তে ব্যায় অনুয়াযী প্রতিষ্ঠানের সাথে ৬ কোটি ২২ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩২৩ টাকা ব্যায়ে একটি গর্ডার সেতু নির্মানের চুক্তি করে এলজিইডি। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে মূল সেতুর কাজ সম্পন্ন করে। কিন্ত বিপত্তি দেখা দেয় সংযোগ সড়ক নির্মান নিয়ে। সেতুর পশ্চিম পাশের সেতুর ঢালের ৫ ফুটের মাথায় রয়েছে পূর্ব খেকুয়ানি গুচ্ছগ্রামের চলাচলের জন্য কার্পেটিং সড়ক। সেতুর ডিজাইন এবং উচ্চতা অনুয়ায়ী সংযোগ সড়ক নির্মান করলে এই সড়কটি বন্ধ হয়ে যাবে এ নিয়ে দেখা দেয় বিপত্তি। সেতুটি নির্মানের ১১ মাস ধরে এ ভাবে পরা থাকায় গুলিশাখালী, কুকুয়া এবং চাওড়া ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পড়েছে মহাভোগান্তিতে। এই সেতু পার হয়ে গুলিশাখালী ইউনিয়নের পূর্ব খেকুয়ানি, গুলিশাশাখালী, ডালাচারা, বাইবুনিয়া, কলাগাছিয়া গ্রামের শত শত মানুষ আমতলী সদর, ঢাকা বরিশালসহ সারা দেশে চলাচল করতে হয়। তেমনি চাওড়া ও কুকুয়া ইউনিয়নের মানুষজনও এই সেতু পার হয়ে গুলিশাখালী ইউনিয়নে আসা যাওয়া করে।
মঙ্গলবার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সেতুটির পশ্চিম পারে সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয় গ্রামবাসী গাছের তৈরী একটি মই বানিয়ে চলাচল করছে। এই মই বেয়ে বয়স্ক নারী শিশু ও বৃদ্ধরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
পূর্ব খেকুয়ানি গ্রামের ষাটোর্ধ্ব নারী আলেয়া বেগম বলেন, বাবা ডাক্তার দেহাইতে আমতলী গেছিলাম। এই ব্রিজটা পাড়াইতে মোর ব্যামালা কষ্ট অইছে। ওঠতে আর নামতে ঠ্যাং (পা)কাপে।
বাইনবুনিয়া গ্রামের তালেব আলী জানান, আমড়া গাছিয়া বাজারে কাম আছিল। হেই লইগ্যা এই হান দিয়া আইছি। ব্রীজে রাস্তা নাই ওঠতে হোয়াস (স্বাস) গরম অইয়া যায়।
পূর্ব খেকুয়ানী গ্রামের মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী মো. ছত্তার বলেন, ভাই মুই গ্রামে গোনে আম কাডাল কিন্যা আমড়া গাছিয়া বাজারসহ আমতলী নিয়া বেচি। এই ব্রীজের লইগ্যা মুই এহন বেশী ফল কিন্যা মাতায় লইয়া গাছের মই বাইয়া (উপরে) উঠতে পারি না।
ঠিকাদার মো. কাওছার মিয়া বলেন, নির্দিষ্ট সমেয়ের আগেই আমরা মুল সেতু নির্মানের কাজ সম্পন্ন করেছি। সংযোগ সড়ক নির্মানের জন্য আলাদা টেন্ডার হবে। যারা কাজ পাবে তারা করবে। তিনি আরো বলেন, ডিজাইন পরিবর্তন হওয়ায় কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমাদের কোন করনীয় নেই।
সেতুর তদারকির দায়িত্বে থাকা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ঠিকাদার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মুল সেতুর নির্মান কাজ শেষ করেছে।
আমতলী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস জানান, সেতুর উচ্চতা অনুযায়ী সংযোগ সড়ক করতে হলে একটি সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। তাই সড়কটি ঠিক রাখার জন্য আন্ডার পাশ করা হবে। এজন্য খরচও বাড়বে। তাই নতুন করে ডিজাইন এবং বাজেট করে প্রকল্প পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। পাশ হলে দরপত্রের মাধ্যমে সংযোগ সড়কটি অতি দ্রুত নির্মান করা হবে।

একাউন্ট খুললেই পাচ্ছেন একটি আকর্ষণীয় T-shart একেবারে ফ্রি!

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ১০:৪৯ এএম
একাউন্ট খুললেই পাচ্ছেন একটি আকর্ষণীয় T-shart একেবারে ফ্রি!

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট ***
আপনার অর্থ ঝুকিপূর্ন না রেখে আজই একটি একাউন্ট করুন,আর বৃহত্তম ব্যাংকিং চ্যানেলের সুবিধা নিন এবং এটিএম কার্ড দিয়ে দেশের যেখানে প্রয়োজন সেখানেই লেনদেন করুন,
ঝামেলাহীন, নিশ্চিন্তে, নিরাপদে।
সেই সাথে,
আপনার একাউন্ট খুললেই পাচ্ছেন একটি আকর্ষণীয় T-shart একেবারে ফ্রি! ☕
আর যদি খুলেন একটি ডিপিএস (সঞ্চয়ী প্রকল্প), তাহলে আপনার জন্য থাকছে একদম ফ্রি ছাতা! ☂️
💰 অসাধারণ সুদের হার: ৯.৫%
🎁 ডিপিএস করলেই নিশ্চিত পুরস্কার!
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং, ভাঙ্গুড়া_শাখা:
চন্ডিপুর বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা।
📞 যোগাযোগ করুন: ০১৭১২ ০৯২ ০৭৪

মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত: 

ইউএনওর সহায়তায় বেঁচে গেলো প্রতিবন্ধী যুবক

আব্দুল মাবুদ মোহাম্মদ ইউসুফ, মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৪:৫৮ পিএম
ইউএনওর সহায়তায় বেঁচে গেলো প্রতিবন্ধী যুবক

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এ মুহাইমিন আল জিহান এক অনন্য মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

(২জুন) রাতে হাতিরদিয়া বাজারে এক শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী যুবককে অবহেলিত ও অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে অনেকেই এড়িয়ে গেলেও, ইউএনও নিজে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করেন।

তিনি যুবকটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে হাসপাতালে ভর্তি করান এবং চিকিৎসার সব খরচ নিজে বহন করেন।

ইউএনও বলেন, “তাকে রাস্তায় ফেলে রাখা মানে আমাদের বিবেককেই রাস্তায় ফেলে রাখা।”

বর্তমানে ওই যুবকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে এবং প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে তাকে ময়মনসিংহের ধলা ত্রিশালের সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

error: Content is protected !!