ভোক্তা অধিকার কোথায়?
ঈদ সামনে, বাড়ছে বাসভাড়া


২০০ টাকা ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে এখনি সময় প্রতিবাদ এবং প্রতিকার করার,। ঈদ মানেই ঘরে ফেরা, প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া। কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারও ঈদ ঘিরে দেশের বিভিন্ন রুটে বাসভাড়া বাড়ানোর প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নিয়মিত যাত্রীদের অভিযোগ, ঈদের সময় বাস মালিকরা ভাড়ার নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন, যা অনেক সময় সরকার নির্ধারিত ভাড়ার দ্বিগুণ হয়ে যায়।
এই ভাড়া বৃদ্ধির পেছনে মূলত যাত্রীচাহিদা বেড়ে যাওয়াকে কারণ হিসেবে দেখানো হলেও, এটি স্পষ্টতই ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের শামিল। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে যেকোনো অতিরিক্ত ভাড়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
প্রতিকার কী হতে পারে?
১. বিআরটিএ-এর কঠোর মনিটরিং:
সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ঈদের আগেই রুটভিত্তিক ভাড়া নির্ধারণ করে তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে।
২. ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান:
প্রতিদিন বিশেষ অভিযান চালিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে জরিমানা ও লাইসেন্স বাতিলের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
৩. ডিজিটাল টিকিটিং বাধ্যতামূলক করা:
অনলাইন বা মোবাইল অ্যাপে নির্দিষ্ট ভাড়ার টিকিট নিশ্চিত করলে অতিরিক্ত আদায় অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব।
৪. ভোক্তার সচেতনতা:
যাত্রীদের উচিত নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি দাবি করা হলে ১৬১২১ নম্বরে অভিযোগ করা এবং টিকিটের কপি সংরক্ষণ রাখা।
৫. মিডিয়ার ভূমিকা:
গণমাধ্যমগুলো এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করলে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
ঈদের আনন্দ যেন হয় সবার, তা নিশ্চিত করতে হলে পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনা জরুরি। অতিরিক্ত ভাড়ার বিরুদ্ধে সকল পক্ষকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, যাতে ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত হয়।