আমাদের জীবনকে আমরা যতটা ছোট আর সংক্ষেপিত ভেবে নেই আসলে কিন্তু তা না। আমরা যারা আজ পরিণত বয়সে এসে পৌঁছাতে পেরেছি। তার মানে হলো আমরা খুব সৌভাগ্যবান। পৃথিবীর অনেক মানুষ, অনেক প্রাণী, বৃক্ষ চারা গাছেই মরে যায়। তারা এত সুন্দর ধরণীর অনেক কিছুই অবলোকন করার ভাগ্য পায় না।
দীর্ঘ জীবনের ৫০ বছর পর হঠাৎই মনে হয় এই বুঝি জীবন শেষ। অথচ এইতো সেই দিন পুতুল নিয়ে খেলা করেছি, কতদিন দৌড়ে নুয়ে পড়া আকাশ ছুঁতে গেছি, ফড়িং ধরতে গিয়ে পায়ে কত কাঁটা ফুটিয়েছি। চাঁদনী রাতে উঠানে বসে ছোট মামার কাছে কত ভূতের গল্প শুনেছি, কিচ্ছা শুনেছি। এখন হঠাৎ করেই মনে হয় কখন বুড়িয়ে গেলাম। মেনে নিতে কষ্ট হয়।
মানুষ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার নেশায় , উচ্চতায় পৌছাবার আকাঙ্ক্ষায়, জীবনের মূল্যবান অনেক কিছুই ফানুসের মতো উড়িয়ে দেয়। যখন স্তুত হয় নিজের জন্য অবসর মিলে। আয়নায় তার প্রতিবিম্ব তার কাছেই অচেনা লাগে।
কানের কাছে দু’চারটা পাকা চুল চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা, ঠোঁটের কাছে লাভ লাইন সবকিছুই বয়সের কথা মনে করিয়ে দেয়। মৃত্যু চিরন্তন সত্য। সেই ভয়ংকর সত্যি কথাটা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়।
আমার মনে হয় প্রতিটা মানুষই এই পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে ভিতরে ভিতরে ভেঙে পড়ে বিষন্নতায় পেয়ে বসে, কিন্তু কাউকে বুঝতে দেয় না। এই বয়সটা মেয়েদের জন্য আরও বেশি কঠিন। নিজেদের বাহ্যিক পরিবর্তনটা মানিয়ে নিতে কষ্ট হয় তাদের তাথস্ত হতেও সময় লাগে। তাই হয়তো অনেকেই কৃত্তিম ভাবে বয়সটাকে কমিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। বোটকস ফিলার আরো কত কি।
আমার মনে হয় বয়সের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের dress up সাজগোজ, ব্যক্তিত্ব ধরে রাখতে পারলেই আপনি সবার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারবেন। কৃত্রিমতা সাময়িক। Bad effect ও আছে। কাজেই কঠিনেরে তুমি মানিয়া লহ সহজে।