শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

তাড়াশে পুকুর খননে সহকারী পুলিশ সুপার ও পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫, ৪:৪৬ পিএম | 324 বার পড়া হয়েছে
তাড়াশে পুকুর খননে সহকারী পুলিশ সুপার ও পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অবৈধ পুকুর খননকারীদের থেকে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উল্লাপাড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অমৃত সূত্রধর ও তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদেরের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে খোদ পুকুর খননকারীরাই পুলিশের এএসপি ও ওসি (তদন্ত) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহানের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন আপনাকে দুইটি প্রশ্ন করি, দেখি আমার সাথে মিলে কি না। প্রথমত অবৈধ পুকুর খনন করা হলে পুলিশের করণীয় কি? দ্বিতীয়ত পুলিশ আইনত কি ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারেন?
উত্তরে প্রতিবেদক বলেন, ভুমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন- ২০২৩ অনুযায়ী এটি আমলযোগ্য অপরাধ। এই আইনের অধীনে স্থানীয় এখতিয়ারভুক্ত থানাতেই মামলা দায়ের করা যাবে। পুলিশ বিনা পরোয়ানায় অভিযুক্তকে আটক করতে পারবেন।
পরে তিনি বলেন, জনস্বার্থে আপনি নিজে বাদি হয়ে অথবা যে কোন কৌশল অবলম্বন করে থানায় অভিযোগ দায়েরের ব্যবস্থা করেন। আমি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
অভিযোগকারী তাড়াশ সদর ইউনিয়নের শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত সবের আলী প্রামানিকের ছেলে মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পেশায় আমি রাজমিস্ত্রী। এ বছর প্রথম একটি পুকুর খনন করে দেওয়ার চুক্তি করি কয়েকজন জমির মালিকের সাথে। পুকুরটি হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহা সড়কের পাশে খালকুলা এলাকায়। সাধারণত রাতে পুকুর খনন করা হয়। এ মাসের ১৩ তারিখ বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে এএসপি অমৃত সূত্রধর পুকুরে আসেন। তিনি আমার কাছে ৫০ হাজার টাকার অনৈতিক আবদার করেন। নয়তো মাটি কাটা ভেক্যু মেশিনের ব্যাটারি ও হাইড্রোলিক খুলে নেওয়ার কথা বলেন। আমাকে গ্রেফতারের ভয় দেখান। আমি জমি মালিকদের মোবাইল করে ডেকে নিয়ে আসি। পরে সবাই মিলে ২৫ হাজার টাকার যোগাড় করে এএসপি অমৃত সূত্রধরকে দেওয়া হয়। টাকা দিলেই অবৈধ পুকুর খনন বৈধ হয়ে যায়। মূলত তিনি অভিযান পরিচালনার নামে রাতভর ঘুরে-ঘুরে পুকুর খননকারীদের থেকে ঘুষ নেন।
সিদ্দিকুর রহমান আরো বলেন, গত মাসের ২১ তারিখ শুক্রবার তাড়াশ থানার ওসি (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের আমার কলার ধরে পুলিশ পিকআপে তোলেন। আমাকে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে এক লাখ টাকা দাবি করেন। পরে খালকুলা নর্থ বেঙ্গল সমবায় সমিতি তেলের পাম্প থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নিয়ে তাকে দেওয়া হয়। তারা খালকুলা আশা হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করে ২২শ টাকা বিল করেন। সেই টাকাও আমাকে দিতে হয়েছে। টাকা না দিলে এএসপি অমৃত সূত্রধর ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের পুকুরে-পুকুরে তান্ডব চালান। ভেক্যু মেশিনের ব্যাটারি ও হাইড্রোলিক খুলে নেন। গাড়ি ভাংচুর করেন।
নওগাঁ ইউনিয়নের ভায়াট গ্রামের ওয়াহাব মন্ডলের ছেলে রাঙ্গা মন্ডল অভিযোগ করেন, তিনি ভায়াট গ্রামে পুকুর খনন করছেন। গত সোমবার রাতে এএসপি অমৃত সূত্রধর পুকুরে আসেন। তাড়াশ থানার ওসি (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদেরকেও মোবাইল করে নিয়ে আসেন। এএসপি অমৃত সূত্রধরের গাড়ি চালকের মাধ্যমে অর্থনৈতিক লেনদেনের কথা হয়। আট বিঘা আয়তনের একটি পুকুরের জন্য ৮০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে ৩১ হাজার টাকায় রাজি হন। ১১ হাজার টাকা ঘটনাস্থলেই দেওয়া হয়। মঙ্গলবার থানায় গিয়ে বাকি ২০ হাজার টাকা ওসি (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদেরকে দেই। এর আগে একদিন রাত আড়াইটার দিকে ওসি (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের আমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ পিকআপে তোলেন। সেদিন ছয় হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
উল্লাপাড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অমৃত সূত্রধর বলেন, অবৈধ পুকুর খননের তথ্য পাওয়া গেলে আমি সেখানে যাই। পুকুর খনন বন্ধ করে দেই। এজন্য তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করছেন টাকা নেওয়ার।
তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বলেন, সকল কার্যক্রম সার্কেল স্যার মিটমাট করে তারপর আমাকে ডেকেছেন। আমার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। ওসি স্যার চলে যাওয়ার পর আমি দায়িত্বে রয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, আমি তাড়াশে যোগদানের এক সপ্তাহ এখনো হয়নি। এরই মধ্যে পুকুরে অভিযান চালিয়েছি। ভেক্যু মেশিনের ব্যাটারি জব্দ করেছি। সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) না থাকায় তার দায়িত্ব আমাকেই পালন করতে হচ্ছে। অবৈধ পুকুর খননের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন বলেন, আপনার যা বলার হোয়াটসঅ্যাপে লিখে পাঠান। প্রতিবেদক তার হোয়াটসঅ্যাপ ও মোবাইল ফোনে এসএমএস করলেও কোন জবাব পাননি। ফোন দিলে উল্টো তিনি ফোন কেটে দেন।

মুন্সীগঞ্জে বাল্যবিবাহ ছড়িয়ে পরেছে তা নিয়ে সতর্ক বার্তা জেলা প্রশাসকের

মোঃ সুজন বেপারী প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১:৩০ এএম
মুন্সীগঞ্জে বাল্যবিবাহ ছড়িয়ে পরেছে তা নিয়ে সতর্ক বার্তা জেলা প্রশাসকের

– মুন্সীগঞ্জের জেলায় বাল্যবিবাহ ছড়িয়ে পরেছে স্কুল ও মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েদের কে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে একশ্রেণির বখাটে ছেলেরা গোপনে কাজী অফিসে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পালিয়ে যায় এমন প্রশ্নের অভিযোগ উঠেছে সাধারণ জনসম্মুখেে তা এনিয়ে সতর্ক বার্তা জেলা প্রশাসক।

এছাড়াও রেজিস্ট্রারের বিভিন্ন জায়গায় বর ও কনের জন্মের তারিখ লিপিবদ্ধ করা হয় না। এমনকি বিবাহ পড়ানো ব্যক্তি, সাক্ষী, কনে ও কাজির সই ও থাকে না। বেআইনি প্রক্রিয়ায় অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের জন্য এ সব অভিনব কৌশল অবলম্বন করা হয় বলে কাজিদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের দুর্নীতি রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাল্যবিয়ে হলো অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির আনুষ্ঠানিক অথবা অনানুষ্ঠানিক বিয়ে। বাংলাদেশে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’ অনুযায়ী মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ এবং ছেলেদের ২১ বছর। এর আগে বিয়ে করলে সেটি বাল্যবিয়ে বলে গণ্য হবে।

বাল্যবিয়ের শাস্তি এই আইনের ৭ ধারায় বলা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক কোনও নারী বা পুরুষ বাল্যবিয়ে করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তার জন্য দুই বছর কারাদণ্ড অথবা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে উভয় দণ্ড পেলে অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এ ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনও নারী বা পুরুষ বাল্যবিয়ে করলে এক মাসের আটকাদেশ কিংবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় ধরনের শাস্তি পাবেন। বাল্যবিয়ে সংশ্লিষ্ট বাবা-মাসহ অন্যান্য অভিভাবকের শাস্তি আইনের ৮ ধারায় বলা হয়েছে, বাবা-মা অভিভাবক অথবা অন্য কোনও ব্যক্তি, আইনগতভাবে বা আইনবহির্ভূতভাবে কোনও অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ওপর কর্তৃত্ব সম্পন্ন হয়ে বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করলে অথবা করার অনুমতি বা নির্দেশ দিলে অথবা নিজেদের অবহেলার কারণে বিয়ে বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে এটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তার জন্য তিনি দুই বছর অথবা ন্যূনতম ছয় মাস কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে উভয় দণ্ড পেলে অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

মুন্সীগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুল জান্নাত মহোদয় বলেন ,আমাদের বাল্যবিবাহ সচেতনতামূলক প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক আমরা কার্যক্রম চলমান রয়েছে ও বিভিন্ন সকল ইউএনওদের এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কনভিন্স বিষয়টি নজরে রাখার নির্দেশনা রয়েছে বলে এতথ্য নিশ্চিত করেন।

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রপতির সাথে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ

জান্নাতুল ফেরদৌস আশাঃ সৌদি আরব প্রতিনিধি- প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১:২৮ এএম
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রপতির সাথে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ

সৌদি আরবের নেতৃত্বের নির্দেশনায়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ বৃহস্পতিবার তেহরানের রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রপতি ডঃ মাসুদ পেজেশকিয়ানের সাথে সাক্ষাত করেছেন। সাক্ষাতের সময়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ এবং তাঁর রাজকীয় মহামান্য প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ, ক্রাউন প্রিন্স এবং প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা জানান, পাশাপাশি ইরানের সরকার এবং ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের জন্য অব্যাহত অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির কামনা করেন। পরিবর্তে, রাষ্ট্রপতি পেজেশকিয়ান দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম এবং তাঁর রাজকীয় মহামান্য ক্রাউন প্রিন্সের প্রতি তার শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বৈঠকে সৌদি-ইরান সম্পর্ক বৃদ্ধির উপায়গুলি অনুসন্ধান করা হয় এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এবং সেগুলি সমাধানের জন্য করা প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

লিবিয়া এলএনএ স্থল বাহিনী ৬০৩ তম পদাতিক ব্যাটালিয়নকে সর্বাধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত করেছে

মোঃ নাসির আলীঃ- লিবিয়া প্রতিনিধি- প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১:২৬ এএম
লিবিয়া এলএনএ স্থল বাহিনী ৬০৩ তম পদাতিক ব্যাটালিয়নকে সর্বাধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত করেছে

লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির স্থল বাহিনীর প্রধান (২১) ব্রিগেডের সাথে যুক্ত ৬০৩তম পদাতিক ব্যাটালিয়নকে সর্বশেষ সামরিক সরঞ্জাম এবং সক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত করার ঘোষণা দিয়েছেন।

চিফ অফ স্টাফের মতে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল এর যুদ্ধ দক্ষতা এবং মাঠ প্রস্তুতি বৃদ্ধি করা।
এতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে এই সহায়তা লিবিয়ার সেনা ইউনিটগুলি বিকাশের একটি বিস্তৃত পরিকল্পনার অংশ হিসাবে এসেছে, উল্লেখ করে যে ৬০৩ তম ব্যাটালিয়নকে সর্বশেষ সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করা এলএনএ জেনারেল কমান্ডের স্বদেশ রক্ষা এবং উচ্চ দক্ষতা এবং কার্যকারিতার সাথে দক্ষিণ লিবিয়াকে সুরক্ষিত করার প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।
চিফ অফ স্টাফ জোর দিয়ে বলেন যে এই পদক্ষেপটি প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি সমন্বিত কৌশলের অংশ, যা যেকোনো সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলায় বাহিনীর সক্ষমতা নিশ্চিত করে এবং সারা দেশে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি সুসংহত করতে অবদান রাখে।
এটি আরও জোর দিয়ে বলেছে যে জেনারেল কমান্ড বর্তমান এবং ভবিষ্যতের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলির সাথে সামঞ্জস্য রেখে সামরিক অবকাঠামো আধুনিকীকরণ এবং তার কর্মীদের কর্মক্ষমতা উন্নত করার প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রেখেছে।

error: Content is protected !!