শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, খান সেলিম রহমান

শেখ মোঃ হুমায়ুন কবির, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫, ১১:৪৬ পিএম | 246 বার পড়া হয়েছে
পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, খান সেলিম রহমান

প্রত্যেক জাতির নিজেদের বিশেষ বিশেষ কিছু উৎসব আছে। এসব উৎসব বা পর্ব ঐসব জাতির পরিচয় বহন করে। কোনো কোনো জাতির লোকেরা নিছক আনন্দ পাওয়ার জন্য উৎসব পালন করে। কেউবা ঐসব জাতির বা গোষ্ঠীর স্বার্থগত বা ঐতিহ্যগত পরিচয় প্রকাশের জন্য উৎসব পালন করে। ইসলামী সংস্কৃতির অনন্য উৎসব ঈদ। এটি চিরাচরিত কোনো পর্ব নয়। দুনিয়ার অন্যান্য জাতির পর্ব বা উৎসব থেকে তা সম্পূর্ণ আলাদা। এই উৎসব না কোনো গোষ্ঠীগত স্বাতন্ত্র্য প্রকাশ করার জন্য পালন করা হয়, না কোনো ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে পালন করা হয়। বরং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত হিসাবে পালিত হয় এই উৎসব।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকা’র সম্পাদক ও বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব (কেন্দ্রীয় কমিটি’র) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান সেলিম রহমান।

শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, ঈদ মানে আনন্দ, খুশি। তবে ঈদের সঠিক অর্থ বারবার আসা। ঈদ যেহেতু সময়ের ব্যবধানে পৃথিবীতে বারবার আসে সেহেতু ঈদকে এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। ঈদ পর্বটি নিয়ে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে। সুনানে আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত হজরত আনাস (রাঃ) বলেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) যখন মদিনায় হিজরত করেন তখন সেখানকার লোকেরা দু’টি দিনকে বিশেষ দিন বা পর্ব হিসেবে পালন করতো। ঐদিন তারা খেলাধুলা ও আমোদ-ফুর্তি করতো। মহানবী (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, এ দু’টি দিন কি? এমন কী কারণ আছে যে, তোমরা এদিন দু’টি পালন করছো? তখন লোকেরা বলল, এ দু’টি দিন এমন দিন, যা আমরা জাহিলিয়াতের যুগে পালন করতাম। তখন রাসূল (সাঃ) বললেন, আল্লাহ তা’য়ালা তোমাদেরকে এগুলোর বদলে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মতো দু’টি মহান দিন দিয়েছেন। তোমরা এগুলো পালন করবে। অতএব, আল্লাহর পক্ষ থেকে সরাসরি বরকত ও মঙ্গলময় দিন হিসেবে ঈদ উৎসব মুসলমানদের প্রতি নির্দেশিত হয়েছে। দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ ও মুক্তির দিন হিসাবে ঈদ পর্ব দু’টি আমাদের জীবনে এসেছে।

খান সেলিম রহমান আরও বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর মুসলিম জীবনে একটি অনন্য দিন। এক মাস রোজা পালনের পর আসে এই ঈদ। রোজা পালনের মাধ্যমে মুসলমানরা নিজেদের পাপ ও পাশবিক প্রবৃত্তি দমন করে উৎসব হিসেবে পালন করে ঈদ। এ উৎসব পালনের মাধ্যমে মুসলমানরা আখিরাতে নাজাত পাওয়ার প্রয়াস পায়। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে তারা যে গুণাবলি ও প্রশিক্ষণ অর্জন করে ঈদ উৎসব পালনের মাধ্যমে মুসলমানরা তাকে পরিপূর্ণ করে। এই উৎসব মানুষে মানুষে যে বিভেদের প্রাচীর তৈরি হয়, তাকে ভেঙে চুরমার করে দেয়। ধনী-গরিব, আশরাফ-আতরাফ, রাজা-প্রজা, মালিক-শ্রমিকের ভেদাভেদ ভুলে মানুষ সেদিন একাকার হয়ে যায়। ঈদের দিনটি একজন মুমিনের জন্য বড় আনন্দের দিন। পরম প্রাপ্তির দিন। হজরত সাদ বিন আওস আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, মহানবী (সাঃ) বলেছেন, ঈদুল ফিতরের দিন ফেরেশতারা রাস্তার প্রতিটি গেটে দাঁড়িয়ে যায় এবং মুসলমানদেরকে ডেকে বলে, ‘হে মুসলমানগণ! তোমরা তোমাদের সেই পরম দাতা প্রভুর দিকে চল যিনি নিজ কৃপায় তোমাদেরকে শান্তি ও মঙ্গলের শিক্ষা দেন, তার ওপর আমল করার শক্তি দেন, অতঃপর এর ওপরই তোমাদেরকে পুরস্কৃত করেন। তোমাদেরকে তিনি রাতে নামাজে দাঁড়ানোর হুকুম করেছেন তোমরা তা পালন করেছো। তিনি তোমাদেরকে দিনের বেলায় রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন তোমরা তাও পালন করেছো। তিনি তোমাদেরকে আরো যে সব হুকুম করেছিলেন তোমরা তা পালন করেছো। অতএব, এখন তোমরা সেই মহান দাতা আল্লাহ তা’য়ালার সাথে সাক্ষাৎ করে ঐসব ইনাম ও পুরস্কারাদি নিয়ে এসো যা তিনি তোমাদের ঐ সমস্ত পুণ্য কর্মের ওপর নির্ধারণ করে রেখেছেন।

অতঃপর যখন মুসলমানরা তাদের নামাজ শেষ করে তখন একজন আহবায়ক তাদেরকে এই বলে আহ্বান জানাতে থাকে, তোমরা ভালো ভাবে জেনে রাখ, নিঃসন্দেহে তোমাদের প্রভু তোমাদেরকে যথাযথভাবে পুরস্কৃৃত করেছেন, অতএব এখন তোমরা শান্তি ও মঙ্গলে ধন্য হয়ে নিজ নিজ ঘরে ফিরে যাও। অতএব, ঈদের দিন প্রতিদান ও পুরস্কার লাভের দিন। এ কারণে আসমানেও এ দিনের নাম ‘ইয়ামুল জায়িযাহ’ বা ইনাম প্রাপ্তির দিন। (তারবানি)।

ঈদ উৎসব শুধু ধনীর জন্য নয়। মুসলিম সমাজের প্রতিটি মানুষ গরিব দুঃখী অসহায় সবাই সমানভাবে এতে অংশ নিতে পারে। সুতরাং ঈদের এই উৎসব শুধু আনন্দ উৎসব নয়, বরং এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ উৎসব যা ইবাদতের শামিল।
ঈদুল ফিতরে করণীয়
ঈদুল ফিতরের দিন নিচের কাজগুলো পরিপালন করা ইসলামী শরিয়াহর নির্দেশিত হয়েছে। ঈদ উৎসব শুরু হয় মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণার মধ্য দিয়ে। আর তা সালাতুল ঈদ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ঘোষিত হতে থাকে। ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈদের চাঁদ দেখবে তার উচিত পরের দিন ইমাম ঈদগাহে উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত যেন তাকবির পড়ে।

খান সেলিম রহমান আরও বলেন, হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, তোমরা তোমাদের ঈদগুলোকে তাকবির

(আল্লাহু আকবার ধ্বনি) দ্বারা সুসজ্জিত করো। তাকবির অর্থ হচ্ছে আল্লাহ’র শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করা। তাকবিরের ভাষা হচ্ছে, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ, এর অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা। এ উৎসবের অন্যতম পর্ব হচ্ছে দু’রাকাত নামাজ আদায় করা। এখানেও উচ্চারিত হয় আল্লাহতালার শ্রেষ্ঠত্ব ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে, মাতৃজগত পরিবার ও বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব (কেন্দ্রীয় কমিটি’র) পক্ষ থেকে সকলকে জানাই, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক।

শুভেচ্ছান্তে
খান সেলিম রহমান
সম্পাদক, জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকা
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব (কেন্দ্রীয় কমিটি)।

মোঃ আব্দুল আজিজ ভাঙ্গুড়া পাবনা প্রতিনিধি

ভাঙ্গুড়ায় গরু বোঝাই নছিমন উল্টে ৩টি গরুর মৃত্যু

মোঃ আব্দুল আজিজ ভাঙ্গুড়া পাবনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:০৯ পিএম
ভাঙ্গুড়ায় গরু বোঝাই নছিমন উল্টে ৩টি গরুর মৃত্যু

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গরু বোঝাই একটি নছিমন উল্টে ৩টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর ) দুপুর ২টার দিকে ভাঙ্গুড়া টু নওগাঁ সড়কের খানমরিচ ইউনিয়নের পরমানন্দপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গরু গুলো তারাশ থানার নওগাঁ এলাকার এক ব্যবসায়ী বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় ভাঙ্গুড়া শরৎনগর গরুর হাট থেকে ৯টি গরু বোঝাই একটি নম্বর ও অনুমোদনহীন নছিমন দিয়ে নওগাঁ যাচ্ছিল। এই সময় পরমানন্দপুর মোড়ে গাড়িটি ব্রেক করে ঘুরাতে গেলে ব্রেক থেকে পা সরে গেলে উল্টে পাশের খাদে পড়ে যায়। নছিমনে থাকা ৯টি গরুর মধ্যে ৩টি গরু মারা যায়।এ সময় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে। জানা যায় লছিমনে থাকা মানুষের কোন ক্ষতি হয়নি।

প্রধান অতিথি কর্ণেল (অব.) জয়নাল আবেদীন

মনোহরদীতে বিএনপির উপজেলা কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন

আব্দুল মাবুদ মোহাম্মদ ইউসুফ, মনোহরদী, নরসিংদী প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:০২ পিএম
মনোহরদীতে বিএনপির উপজেলা কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোহরদী উপজেলা প্রাধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে নতুন কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল (অব.) জয়নাল আবেদিন। তিনি নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশীও বটে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কর্ণেল (অব.) জয়নাল আবেদিন বলেন, বিএনপি হচ্ছে দেশের গণমানুষের দল। এ দল দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হবে। আমরা ধানের শীষের পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নামবো।

অনুষ্ঠানে বিএনপির উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, নতুন কার্যালয় থেকে দলীয় কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে এ কার্যালয় হবে শক্তিশালী কেন্দ্রবিন্দু।

সভায় নেতাকর্মীরা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষকে বিজয়ী করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

মোঃ সুজন বেপারী

মুন্সিগঞ্জ পঞ্চসারে সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

মোঃ সুজন বেপারী প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:৫৯ পিএম
মুন্সিগঞ্জ পঞ্চসারে সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

মোঃ সুজন বেপারী – মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের জারা কনভেনশন সেন্টারে আজ শনিবার ২৭শে সেপ্টেম্বর বিকেল তিনটায় জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ-সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন, জনাব ইদ্রিছ মিয়াজী ভিপি মহন জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন,জনাব শহিদুল ইসলাম শহিদ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তব্য হিসেবে রাখেন, শামিম ওসমান ভূইয়া সদর উপজেলার সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব।

সভাপতিত্বে উপস্থাপনা করেন, জনাব মোঃ আনিছুর রহমান পঞ্চসার ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক। সঞ্চালনায় করেন, জনাব আলী ইসলাম পঞ্চসার ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব।

এছাড়াও উপস্থিতি ছিলেন, জনাব মোস্তাফিজুর রহমান রিপন জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জনাব জাকির হোসেন সরকার জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জনাব দিদার হোসেন সদর উপজেলার সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক। এবং সেচ্ছাসেবক দলের মিলন ঢালী, অপু শেখ, সবুজ, বিল্লাল, মুক্তার হোসেন, মাইনউদ্দীন, শাওন খাঁন, রেজওয়াসহ আরো নেতৃবৃন্দ অন্যান্য প্রমুখ।