শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

মোঃ সুজন বেপারী

মুন্সিগঞ্জ পঞ্চসারে সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

মোঃ সুজন বেপারী প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:৫৯ পিএম | 144 বার পড়া হয়েছে
মুন্সিগঞ্জ পঞ্চসারে সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

মোঃ সুজন বেপারী – মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের জারা কনভেনশন সেন্টারে আজ শনিবার ২৭শে সেপ্টেম্বর বিকেল তিনটায় জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ-সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন, জনাব ইদ্রিছ মিয়াজী ভিপি মহন জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন,জনাব শহিদুল ইসলাম শহিদ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তব্য হিসেবে রাখেন, শামিম ওসমান ভূইয়া সদর উপজেলার সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব।

সভাপতিত্বে উপস্থাপনা করেন, জনাব মোঃ আনিছুর রহমান পঞ্চসার ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক। সঞ্চালনায় করেন, জনাব আলী ইসলাম পঞ্চসার ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব।

এছাড়াও উপস্থিতি ছিলেন, জনাব মোস্তাফিজুর রহমান রিপন জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জনাব জাকির হোসেন সরকার জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জনাব দিদার হোসেন সদর উপজেলার সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক। এবং সেচ্ছাসেবক দলের মিলন ঢালী, অপু শেখ, সবুজ, বিল্লাল, মুক্তার হোসেন, মাইনউদ্দীন, শাওন খাঁন, রেজওয়াসহ আরো নেতৃবৃন্দ অন্যান্য প্রমুখ।

মোঃ আব্দুল আজিজ ভাঙ্গুড়া পাবনা প্রতিনিধি

ভাঙ্গুড়ায় গরু বোঝাই নছিমন উল্টে ৩টি গরুর মৃত্যু

মোঃ আব্দুল আজিজ ভাঙ্গুড়া পাবনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:০৯ পিএম
ভাঙ্গুড়ায় গরু বোঝাই নছিমন উল্টে ৩টি গরুর মৃত্যু

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গরু বোঝাই একটি নছিমন উল্টে ৩টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর ) দুপুর ২টার দিকে ভাঙ্গুড়া টু নওগাঁ সড়কের খানমরিচ ইউনিয়নের পরমানন্দপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গরু গুলো তারাশ থানার নওগাঁ এলাকার এক ব্যবসায়ী বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় ভাঙ্গুড়া শরৎনগর গরুর হাট থেকে ৯টি গরু বোঝাই একটি নম্বর ও অনুমোদনহীন নছিমন দিয়ে নওগাঁ যাচ্ছিল। এই সময় পরমানন্দপুর মোড়ে গাড়িটি ব্রেক করে ঘুরাতে গেলে ব্রেক থেকে পা সরে গেলে উল্টে পাশের খাদে পড়ে যায়। নছিমনে থাকা ৯টি গরুর মধ্যে ৩টি গরু মারা যায়।এ সময় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে। জানা যায় লছিমনে থাকা মানুষের কোন ক্ষতি হয়নি।

প্রধান অতিথি কর্ণেল (অব.) জয়নাল আবেদীন

মনোহরদীতে বিএনপির উপজেলা কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন

আব্দুল মাবুদ মোহাম্মদ ইউসুফ, মনোহরদী, নরসিংদী প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:০২ পিএম
মনোহরদীতে বিএনপির উপজেলা কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোহরদী উপজেলা প্রাধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে নতুন কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল (অব.) জয়নাল আবেদিন। তিনি নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশীও বটে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কর্ণেল (অব.) জয়নাল আবেদিন বলেন, বিএনপি হচ্ছে দেশের গণমানুষের দল। এ দল দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হবে। আমরা ধানের শীষের পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নামবো।

অনুষ্ঠানে বিএনপির উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, নতুন কার্যালয় থেকে দলীয় কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে এ কার্যালয় হবে শক্তিশালী কেন্দ্রবিন্দু।

সভায় নেতাকর্মীরা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষকে বিজয়ী করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

আগ্রাসনই যার শেষ কথা

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:৩৯ পিএম
আগ্রাসনই যার শেষ কথা

ক্রিকেটে ‘বল’ নামক চর্মগোলকটার সৃষ্টি কেন জানেন? এক কথায় উত্তর, পেটানোর জন্য। না, আমার কথা নয় এটি। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম নামক দোর্দন্ড প্রতাপে, নির্দয়-কঠিন ভাবে বল-পেটানো এক ব্যাটসম্যানের কথা। কি ভাবছেন, ম্যাককালামের সাথে আমার আবার দেখা হলো কখন! কথা হলো কখন?
আরে ভাই, এই কথার উত্তর জানার জন্য তাঁর সাথে আমার দেখা করার দরকার আছে, না আমার নিউজিল্যান্ড যাওয়ার দরকার আছে? বলটাকে যে ধরণের দয়া মায়াহীন ভাবে পিটিয়ে ছাঁতু করেন, তাতে বলের যদি কথা বলার শক্তি থাকত তাহলে সে নির্ঘাত ম্যাককালাম কে লাখ-খানেক অভিশাপ অবধারিতভাবেই দিয়ে ফেলত এতদিনে! কী, দিত না?
পুরো নাম ব্রেন্ডন ব্যারি ম্যাককালাম। ত্রিশের আশেপাশে ওয়ানডে গড় ও আটত্রিশের টেস্ট গড় দেখে আপনি যদি ম্যাককালাম-কে বিচার করতে যান, তাহলে আপনি ভয়ংকর ভুল করবেন। ম্যাককালাম-কে বিচার করতে হলে আপনাকে দেখতে হবে গোটা একটি যুগের বোলারদের নিদ্রাহরণকারী একজন ব্যাটসম্যানকে। শন টেইটের দেড়শো কিমির গোলাকেও যিনি অনায়াসে স্কুপ করেছিলেন। বোলারদের সমস্ত দর্প-চূর্ণ করে যিনি শুধু জানতেন, বলটাকে তাঁর সীমানা ছাড়া করতে হবে। পিচ, কন্ডিশন, ঘূর্ণন, সুইং, বাঁক, গতি, পঞ্চম দিন কি প্রথম দিন ম্যাককালামের জন্য এসবের কোন কিছুই মাথাব্যাথার কারণ নয়। তাঁর কেবল ও কেবলমাত্র চিন্তা হলো, বলটাকে পিটিয়ে কিভাবে সীমানা দড়ির ওপারে নেয়া যায়!
যুগ-আনন্দ সঞ্চারী বলতে যা বোঝায়, ম্যাককালাম ছিলেন তা-ই। গত এক যুগ ধরে আনন্দ-ই সঞ্চারণ করে গিয়েছেন কেবল। ব্যাটিং ব্যকরণের সমস্ত শিক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন বারংবার। পেশী শক্তি ব্যবহারেরও যে একটা নান্দনিক ভঙ্গি আছে, ম্যাককালামের ব্যাটিং তা আপনাকে ভালভাবেই বুঝিয়ে ছাড়বে। আঁটসাঁটও ফিল্ডিংকে এক ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে, হাঁসফাঁস অবস্থা কে এক মূহুর্তে বিলীন করে দিয়ে ম্যাককালাম আপনাকে দেবে চার-ছক্কার নিখাঁদ বিনোদন। ম্যাককালাম কি করতে পারবেন বোঝা না-গেলেও, কি করবেন তা ছিল যথেষ্ট অনুমেয়। চোখের সামনে এসে পড়ার অপরাধে বলটাকে তেড়েফুঁড়ে করবেন আক্রমণ!
শুধুই কি ব্যাটসম্যান ম্যাককালাম এত বিনোদন দিয়েছেন? তাহলে আপনার ম্যাককালাম কে দেখা হয়নি এখনো পুরোটা! ক্যাপ্টেন ম্যাককালাম যে ছিলেন আরও আগ্রাসী আরও বিধ্বংসী! প্রচলিত ধরা বাঁধা নিয়মকে ভেঙ্গে তছনছ করে, গুড়িয়ে দেয়াতেই যেন তাঁর তৃপ্তি। তাঁর আনন্দ।
স্ট্রাইক বোলারকে একটানা দশ ওভার বোলিং করাতেও তিনি যেমন পিছপা হন না, তেমনি ওয়ানডেতেও টানা স্লিপ বসিয়ে রাখতে যেন তাঁর কোন ক্লান্তি নেই! ব্যাটিংয়ে নেমেই যেমন বিপক্ষ দলের এ টু জেড যত প্ল্যান সব ভেস্তে দিতে তিনি সিদ্ধহস্ত, ঠিক তেমনি অধিনায়ক হিসেবেও দেন না এতটুকু ছাড়! তাঁর ক্যাপ্টেন্সিতে আর কিছু থাক না-থাক, আগ্রাসন যেন থাকবেই।
ব্রেন্ডন ম্যাককালাম কে আপনি ‘এক্স ফ্যাক্টর’ বললেও খুব বেশী বাড়িয়ে বলা হয় না। রাগবির দেশ নিউজিল্যান্ডেও তিনি যে, ক্রিকেট-রোমাঞ্চ ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন তা তো ঐ ‘এক্স ফ্যাক্টর’ বলেই। পূর্বসূরি হ্যাডলি, ফ্লেমিং, ভেট্টরীরা যা পারেননি, তিনি তা পেরেছেন। বিশ্বকাপ ফাইনালে তো তুলেছেন-ই, তার চেয়েও বড় ব্যাপার নিউজিল্যান্ডের কিশোর প্রজন্মের মাঝে তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন ক্রিকেটের অমৃত সুধার বীজ! তাই ফ্লেমিং, ভেট্টোরি, হ্যাডলিরা পরিসংখ্যানে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও, ‘এক্স ফ্যাক্টর’ বিবেচনায় পেছনে পড়ে যান অনেকটা ব্যবধানেই। সাইমন ডৌল, ড্যানি মরিসনদের আবেগঘন গলা বারবার কেঁপে উঠেছে, ম্যাককালামের কথা বলতে গিয়ে। কারণ, ঐ ‘এক্স ফ্যাক্টর’ হয়তো!
মানুষ ম্যাককালাম কে একটু চিনবেন না? যিনি মরুর শারজায় তুলেছিলেন ভয়ংকর ঝড়! যে ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল সে বছর মধ্যপ্রাচ্যে দুর্দান্ত দাপট দেখানো পাকিস্তানও। শারজা টেস্টে করেছিলেন, ডাবল সেঞ্চুরি। এ তো সেই ব্যাটসম্যান ম্যাককালামই হয়ে গেল! না, হয়নি।
কারণ, এই ঝড় তোলার পেছনের কাজ করেছিল, ‘ফিলিপ হিউজ’ নামক এক তরুণের মৃত্যুশোক! হিউজের প্রতি নিবেদন দেখাতে গিয়ে ম্যাককালাম সেদিন পাকিস্তানি বোলারদের উপর কি চড়াও-ই না হয়েছিলেন! আগ্রাসনের পুরোটা ক্রিকেট মাঠে রেখে এসে, আপাদমস্তক ভদ্রলোকটি আপনাকে জানাবে মানুষ ম্যাককালাম কেমন!
তিনি জীবনের শেষ টেস্টেও করেছিলেন, ৭৯ বলে ১৪৫! টেস্ট ক্রিকেটে মাত্র ৫৪ বলে সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড! যাওয়ার আগে আরও একবার দেখিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর ‘মাসল’ পাওয়ার, তাঁর ব্যাটিং সক্ষমতা। ২৭ ওভারে ৭৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলটাই পরের ১৮ ওভারে তুলেছিল ১৭৯! যাতে ম্যাককালামেরই ছিল ৭৯ বলে ১৪৫!
তাঁর অবসর-কালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর ধারে-কাছে ছিল না, কেউই। ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফরম্যাটের ‘কিংবদন্তী’-ই বলা চলে তাকে! তবু তিনি ক্রিকেট-রোমাঞ্চিকদের মনে থাকবেন হয়তো, তাঁর বাঁধনহারা আগ্রাসনের জন্যই। তাঁর ক্যাপ্টেন্সির জন্যই। ইমরান-স্টিভ-রানাতুঙ্গাদের পর তিনি যে ক্রিকেটে আবার ফিরিয়ে এনেছিলেন সেই ‘ক্যাপ্টেনস গেম’ কথাটা!
নান্দনিক আগ্রাসনের চূড়ান্ত মাত্রা স্পর্শ করে, ক্রিকেটকে দিয়েছিলেন অদ্ভুত এক সৌন্দর্য্য! সব নিয়মের থোড়াই কেয়ার করে, তাঁর মত করেই গেয়েছেন আগ্রাসনের জয়গান। তাই ম্যাককালাম মানেই যেন আগ্রাসন! সে ব্যাটিং-ই হোক, কিংবা ক্যাপ্টেন্সি! আগ্রাসন, আগ্রাসন এবং আগ্রাসন, এ-ই ছিল তাঁর দর্শন।
১৯৮১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ডানেডিনে জন্মেছিলেন তিনি। ২০১৬-এর শুরুর দিকে স্বদেশে অস্ট্রলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে টেনেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সমাপ্তি। চাইলে হয়তো আরও বছরখানেক খেলে যেতে পারতেন। হয়তো বল নামক চর্মগোলকটিকে একটু তাড়াতাড়ি রেহাই দিতে চেয়েছিলেন, তাই তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে শেষ বলে দিয়েছিলেন মধ্য-পঁয়ত্রিশেই।