ভাল থাকুন


বাজারে প্রচুর আনারস বের হয়েছে। নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। বড় আনারসে প্রচুর গ্রোথ হরমোন দেয়া থাকলেও তা হারভেস্ট হবার পর পেকে আপনার বাসার টেবিলে আসার আগেই হরমোন আর থাকবে না, ডিগ্রেড বা ধ্বংস হয়ে যাবে। হরমোন স্প্রে করার পর চব্বিশ ঘন্টা ক্রিয়াশীল থাকে। পেকে আপনার খাওয়ার আগে কয়েকদিন পার হয়ে যায়। তাই আনারসে হরমোন থাকবে না।
এর আগে কলা সম্পর্কে বলেছিলাম। যেভাবেই কলা পাকুক না কেন, তা ক্ষতিকারক নয়। আপনি নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
তরমুজের সিজন এখন। তরমুজে কাপডের রঙ পুশ করে লাল করা হয়। সম্পূর্ণ ভুল ধারণা এটি। আপনি কোনোভাবেই লাল রঙ সিরিঞ্জ দিয়ে বা অন্যকোনোভাবে পুশ করে লাল করতে পারবেন না বা চিনির সিরা পুশ করে মিষ্টি করতে পারবেন না। এটি বিজ্ঞানসম্মত নয়। আমরা এক্সপার্ট দিয়ে অনেক চেষ্টা করেও এটা করাতে পারিনি। কেউ পারবে না। ভুল একটি ধারণা বাজারে বিদ্যমান। পাত্তা দেবেন না। তরমুজ বেশি খেলে অনেক সময় পেটে সমস্যা হতে পারে। তখন ভাবার কোনো কারণ নেই যে, রঙ দেয়া তরমুজ খেয়ে এটা হয়েছে।
আমি যে কথাগুলো বললাম, তা বিজ্ঞানসম্মত এবং প্রমাণিত। তর্ক করার নয়। নিশ্চিন্তে দেশি-বিদেশি সব ফল খাবেন। আপেল কেন পচে না, এমন বোকামি করে আপেল খাওয়া থেকে বিরত থেকে নিজের ক্ষতি আর বাচ্চাদের ক্ষতি করবেন না।
আপেল সহজে পচে না। বিদেশি ফলে ওয়াক্স কোটিং বা মোমের প্রলেপ দেয়া থাকে, যাতে তারা যখন বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে, তখন অনেক সময় পার হয়ে গেলেও সহজে পচে না যায়। আপনার নিজের গাছের আপেল নিয়ে দেখুন, দুই মাসেও পচবে না হয়ত, শুকিয়ে যাবে।
তর্ক না করে, ভুল ধারণা না নিয়ে নিশ্চিন্তে ফলমূল খাবেন। এটাই বাংলাদেশে একমাত্র নিরাপদ খাবার।
সবাই ভাল থাকুন (যদিও থাকার উপায় নেই)।