শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

আজও তবু কি ভুলতে বসেছি চব্বিশের স্বাধীনতা?

“তারুণ্যের ভাবনায় আগামী বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনায়

Md. Abdul Qader প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ১:২৫ পিএম | 188 বার পড়া হয়েছে
“তারুণ্যের ভাবনায় আগামী বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনায়

সারাবিশ্বে যুব আন্দোলনের ইতিহাস আবহমান, যা সামাজিক, রাজনৈতিক, এবং সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের একটি প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। এই আন্দোলনগুলি প্রায়শই সামাজিক অসাম্য, অধিকারের লঙ্ঘন, এবং স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গড়ে উঠেছে। ১৮ শতকের সামাজিক অসাম্য, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, এবং স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ফ্রান্স বিপ্লব, ২০ শতকের রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে রুশ বিপ্লব, ১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর দশকে আমেরিকায় আফ্রিকান আমেরিকান যুবকদের ন্যায়বিচার এবং সমান অধিকারের পক্ষে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের নেতৃত্বে সিভিল রাইটস বিপ্লব, ১৯৬৮ সালে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যুবকরা সামাজিক পরিবর্তনের দাবিতে গণ আন্দোলন, এমনকি বাংলাদেশে ৫২ এর ভাষা আন্দোলনেও তারুণ্যের অবদান অনস্বীকার্য। আজও সারা পৃথিবী স্মরণ করে বাংলার সালাম, জব্বার, রফিক, বরকতদেরকে।যুগে যুগে কোন দেশ ও জাতি যখন বৈষম্য ও দুর্গতির শিকার হয়, তখন এই তারুণ্যের শক্তিই সেই দুর্গতি নাশের জন্য রক্তস্নাত লাশের মিছিলে শামিল হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না বিজয় অর্জিত হয়।
এবার বাংলাদেশ নামক স্বাধীন মানচিত্রের দিকে দৃষ্টিপাত করা যাক। স্বাধীনতার ৫৪ বছর অতিক্রম করার পর আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় জাতি হিসেবে গড়ে উঠার স্বপ্ন দেখছে। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের মূল চালিকা শক্তি হল এদেশের তরুণ প্রজন্ম। তারুণ্য মানেই প্রযুক্তির নবজাগরণ, সমস্যা সমাধানের সৃজনশীলতা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সাহসিকতার প্রতীক যা প্রমাণিত হয়েছে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী গণ আন্দোলনে এবং ২৪ এর ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে।
কেন এই জুলাই, ২৪ এর ছাত্র জনতার বিপ্লব? কেনই বা তাদের বিদ্যালয় ছেড়ে লাশের মিছিলে যোগদান? কিইবা ছিলো এর প্রেক্ষাপট? এদেশের ক্ষমতা লিপ্সু শাসক যখন গণতন্ত্রের কবর রচনা করে “জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস” শীর্ষক মূলনীতি ভূলুণ্ঠিত করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধ সরকার গঠণ করে, একদলীয় শাসন কায়েমের লক্ষ্যে সকল বিরোধী দলের বিরুদ্ধে যখন গুম-খুন ও দমন-পীড়ন নীতি প্রতিষ্ঠা করে, দেশের সুস্থধারার রাষ্ট্র যন্ত্রগলোকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যখন অসুস্থ ও কুলোসিত করে ফেলে, আইনের শাসন যখন নিভৃতে ক্রন্দন করে, উন্নয়নের নামে যখন দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে দেশকে রিজার্ভশূণ্য করে ফেলে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মসংস্থানে যখন দলীয়করন নিশ্চিত করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ যখন সন্ত্রাসদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়, তথাকথিত নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নিকট যখন সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জিম্মি হয়ে যায়, তখন এই জাহিলিয়াতের কালো থাবা হতে মুক্তি লাভের আশায় সকল তরুণ ছাত্র জনতা শহিদি তামান্না বুকে নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে ঐ স্বৈরাচার সরকার পতনে এবং একটি বৈষম্যহীন ও সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে। তাদের এই আত্নত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া একটি নতুন করে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশে আজ আমরা সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়তে সেই তরুনদের স্মরণে তারুন্য উৎসব উৎযাপন করতে পারছি। স্যালুট সেই তরুনদের।স্যালুট জানাই বাংলাদেশের নতুন স্বাধীনতা দিগন্তে চির অম্লান হয়ে থাকা আবু সা্ঈদ, মুগ্ধসহ সকল শহীদদের।
২১ শতকের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্মুক্ত আবহে বেড়ে উঠা বর্তমান তরুনরা সাম্য, সভ্যতা, প্রকৃত স্বাধীনতা, অর্থবহ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ইত্যাদি সুচারুভাবে পরখ করতে শিখেছে।তারা আজ ভাবতে শিখেছেঃ
‘আজ নেই বর্গি, ইংরেজ আর পাক হানাদার,
আজও তবু কেন আমার মনে শূন্যতা, হাহাকার?
আজও তবু কি একাত্তরের রক্ত যাবে বৃথা?
আজও তবু কি ভুলতে বসেছি চব্বিশের স্বাধীনতা?’

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।