বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

যশোর বোর্ড এর এইস এসসি ২০২৪ এর ফলাফল প্রকাশ পেয়েছে

হৃদয় হাসান প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:৩৮ পিএম | 119 বার পড়া হয়েছে
যশোর বোর্ড এর এইস এসসি ২০২৪ এর ফলাফল প্রকাশ পেয়েছে

এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে গত বছর তলানিতে নেমে যাওয়া যশোর বোর্ড এবার একধাপ উপরে উঠেছে। তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্তি সামান্য বাড়লেও কমেছে পাসের হার। এ বছর যশোর বোর্ডে পাসের হার ৬৪ দশমিক ২৯ ভাগ; জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৭৪৯ জন শিক্ষার্থী।

গত বছর যশোর বোর্ডে পাসের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৮৮ ভাগ; জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৮ হাজার ১২২ জন শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) প্রকাশিত ফলাফলে যশোর বোর্ডের এ চিত্র উঠে এসেছে। বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, ইংরেজিতে অনুত্তীর্ণের হার বেড়ে যাওয়ায় বোর্ডের সার্বিক ফলাফলে এর প্রভাব পড়েছে।

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডর চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তার বলেন, এবছর এইচএসসি পরীক্ষায় অবতীর্ণরা করোনা মহামারীর সময় ২০২০ ও ২০২১ সালে ৯ম ও ১০ম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করেছে। তখন শ্রেণিকক্ষে তাদের পাঠদান সম্ভব না হওয়ায় তাদের ইংরেজিতে দুর্বলতা রয়ে গেছে। যা এখনও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। পরীক্ষার্থীদের ৩১ শতাংশ ইংরেজিতে অনুত্তীর্ণ হয়েছে। এই প্রভাব পড়েছে সার্বিক ফলাফলে। আগামীতে বোর্ডের ফলাফল ভাল করার জন্য তারা পদক্ষেপ নেবেন।

যশোর বোর্ডের প্রকাশিত ফলাফল থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় বোর্ড থেকে এক লাখ ২২ হাজার ৫১১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৮ হাজার ৭৬৪ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্র ৩৬ হাজার ২৪৭ জন এবং ছাত্রী ৪২ হাজার ৫১৭ জন। পাসের হার ৬৪ দশমিক ২৯। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৭৪৯ জন। বহিষ্কৃত হয়েছে ১৩ জন।

যশোর শিক্ষাবোর্ডের ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থী এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করেছেন। অন্যদিকে, ৭টি প্রতিষ্ঠানের কোনো পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেননি।
শিক্ষাবোর্ড ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে যশোরের চৌগাছায় অবস্থিত এস এম হাবিবুর রহমান পৌর কলেজ। এই কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অবতীর্ণ ১২৭ শিক্ষার্থীর সবাই পাস করেছেন।
এ ছাড়া খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার প্রতিষ্ঠান ইসলামাবাদ কলেজিয়েট স্কুলের ৬১, খালিশপুরের নেভি অ্যাঙ্কারেজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫৯ এবং ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের ৪৭ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছেন।

শতভাগ পাসের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আরো রয়েছে যশোরের চৌগাছা উপজেলার হাকিমপুর মহিলা কলেজ (পরীক্ষার্থী সংখ্যা ২), নড়াইলের গোবরা মহিলা কলেজ (১), যশোরের কেশবপুরের তিতা বাজিতপুর এম কে বি মহিলা কলেজ (৩), ঝিকরগাছার বাঁকড়া হাজিরবাগ মহিলা আইডিয়াল কলেজিয়েট স্কুল (৯), খুলনার কয়রা উপজেলার হাড্ডা পাবলিক কলেজ (২), সাতক্ষীরা কমার্স কলেজ (৩), সাতক্ষীরা সদরের গোবরদাড়ি জরদিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ (১), যশোরের চৌগাছা উপজেলার মাড়–য়া ইউসুপ খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৩২) এবং কুষ্টিয়া সদরের সুনুপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের (১৪) সব পরীক্ষার্থী পাস করেছেন।
অন্যদিকে, এবার যশোর বোর্ডের সাতটি প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেননি। এই প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, মেহেরপুরের মড়কা জাগরণ কলেজ, খুলনার মডেল মহিলা কলেজ, একই জেলার শাপলা কলেজ, সাতক্ষীরার আখড়াখোলা আইডিয়াল কলেজ, মাগুরার গোপীনাথপুর এম এ খালেক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, যশোরের নেঙ্গুড়াহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ঝিনাইদহের নাজির উদ্দিন ইসলামিয়া কলেজ। এই ৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১৮ জন এবারের পরীক্ষায় বসেছিলেন।

সতর্ক করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

ভুরুঙ্গামারী ইউএনও’র পরিচয়ে প্রতারণা

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৩ পিএম
ভুরুঙ্গামারী ইউএনও’র পরিচয়ে প্রতারণা

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বা তাঁর স্ত্রীর পরিচয়ে ফোন করে টাকা দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন ইউএনও।

বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে ইউএনও তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে লিখেন, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ইউএনও অথবা ইউএনও’র সহধর্মিণীর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন নম্বর থেকে কল করে অর্থ চাওয়া হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ প্রতারণা। ইউএনও বা তাঁর স্ত্রী কখনোই কারো কাছে টাকা চাইবেন না। কেউ এ ধরনের ফোন পেলে কোনো অবস্থাতেই কাউকে টাকা দেবেন না। সবাইকে এই বিষয়ে সচেতন থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে কেউ ব্যক্তিগতভাবে অর্থ দাবি করলে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন বা থানাকে অবহিত করতে হবে। এই ধরনের প্রতারণা রোধে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

রুবিনা শেখ

সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের দাবি

রুবিনা শেখ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩০ পিএম
সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের দাবি

৭ কর্মদিবসের মধ্যে( BUAMC) কাউন্সিল গঠনের স্টেকহোল্ডারদের সাথে পর্যালোচনা সভা করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে ( BUAMC) কাউন্সিলের ব্যাপারে স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে মিটিং এর তারিখ দেওয়ার লক্ষ্যে সকাল ১০ ঘটিকায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আল্টিমেটাম ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।

স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের দাবিতে সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষার্থীরা টানা ৩৮ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই ন্যায্য দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন দেশের সকল ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী সংগঠনসমূহ। আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করায় মিরপুর-১৩ নম্বরে অবস্থিত সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসটিতে গত ৩৮ দিন ধরে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।

বৃহস্পতিবার ৭ আগস্ট, রাজধানীর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেন তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী—সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ, রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিক্যাল কলেজ, লক্ষ্মীপুর, এবং হামদর্দ ইউনানি মেডিক্যাল কলেজ, বগুড়া।

আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আলাদা কাউন্সিল ছাড়া এ চিকিৎসা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। বারবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অথচ ১৯৯৬ সালের নীতিমালায় স্পষ্টভাবে ইগউঈ-এর আদলে একটি পৃথক কাউন্সিল গঠনের কথা বলা হয়েছিল।

গত ৩১ জুলাই, স্বাস্থ্য সচিব স্যারের সভাপতিত্বে কাউন্সিল নিয়ে মিটিংটা সম্পূর্ণ হয়, বাকি প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে এই সিস্টেমকে যেন অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থা থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হয়, তার স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার দাবিতে আজ সকল শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা হয়।

এইসময় শেষ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, “১৯৯৬ সালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নীতিমালায় বলা হয়, অস্থায়ীভাবে রেজিস্ট্রেশন প্রদানের পাশাপাশি একটি স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠন করা হবে। কিন্তু ২৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে চিকিৎসকদের আইনি জটিলতা, উচ্চশিক্ষায় বাধা, নিয়োগ-সংক্রান্ত সমস্যা ও পেশাগত নিরাপত্তার ঘাটতির মতো গুরুতর সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।”

এদিকে, সরকারিভাবে ৩৬ তম ব্যাচে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হলেও আন্দোলনের কারণে ১৩ জুলাই পর্যন্ত কেউ ভর্তি হতে পারেনি। উল্লেখ্য, প্রতি বছর ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক বিভাগে যথাক্রমে ২৫ জন করে মোট ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হন। কিন্তু চলমান অচলাবস্থার কারণে এই বছর ভর্তি কার্যক্রম প্রায় ব্যর্থ হতে চলেছে। শিক্ষার মৌলিক অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।

গত ১৩ জুলাই শেষ দিন হলেও আন্দোলনের প্রেক্ষিতে হয়তো এবারও কেউ ভর্তি হতে পারবে না।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠন না হওয়া পর্যন্ত তারা কাউকে ভর্তির সুযোগ দিতে প্রস্তুত নন। তাদের দাবি—বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চিকিৎসক-শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য এই কাউন্সিল জরুরি। তাই প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।

পরিশেষে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট করে জানান-যদি নতুন ভর্তি সময়সূচি ঘোষণা করা হয়, তবুও তারা ক্যাম্পাসে অবস্থান করে তা প্রতিহত করার কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন।

তৌহিদুর রহমান শেরপুর

ঝিনাইগাতীতে পুকুরে উল্টে গেল বাস: আহত ২০, নিখোঁজ ১

তৌহিদুর রহমান শেরপুর প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ৪:২৬ পিএম
ঝিনাইগাতীতে পুকুরে উল্টে গেল বাস: আহত ২০, নিখোঁজ ১

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে উল্টে পড়ে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন এবং এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার খৈলকুড়া এলাকায় শেরপুর-ঝিনাইগাতী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার সময় ‘আকাশ বিকাশ’ পরিবহনের ওই বাসটিতে প্রায় ৩০-৩৫ জন যাত্রী ছিল। চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি রাস্তার পাশে একটি বড় পুকুরে পড়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমিন এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন মাস্টার আব্দুল মান্নান। তারা উদ্ধার কার্যক্রম তদারকি করেন।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম আতঙ্ক ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

error: Content is protected !!