শুক্রবার, ৮ আগস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২
শুক্রবার, ৮ আগস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২

পুলিশ সংস্কারে একগুচ্ছ প্রস্তাব

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:৫৪ এএম | 93 বার পড়া হয়েছে
পুলিশ সংস্কারে একগুচ্ছ প্রস্তাব

পুলিশ সংস্কারে একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছে বেসরকারি সংগঠন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় পুলিশি ব্যবস্থার সংস্কার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা এসব প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। আলোচনা সভায় লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সামজীর আহমেদ।

সভায় বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণেই শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে বেশকিছু স্পটে পুলিশ বিতর্কিত ভূমিকা পালন করে। নিয়মবহির্ভূত প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ করে। এজন্য রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট পুলিশের গুটি কয়েক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাই দায়ী। অথচ যার খেসারত দিতে হচ্ছে গোটা পুলিশ প্রশাসনকে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক চাপে পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে আইজিপি পর্যন্ত কাউকে দুই বছরের আগে বদলি করা যাবে না। পুলিশের নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতিতে মন্ত্রী-সংসদ সদস্য বা যে কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তির মৌখিক, লিখিত বা টেলিফোনে সুপারিশ ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য হবে। পুলিশের মহাপরিদর্শক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবে না।

এছাড়া ক্রসফায়ার, এনকাউন্টার, বন্দুকযুদ্ধ বা পুলিশ হেফাজতে কারও মৃত্যু হলে তা আইনসঙ্গত ছিল কি না তা তদন্ত করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এসব ক্ষেত্রে খসড়া প্রস্তাবে ১১ সদস্যের জাতীয় পুলিশ কমিশন, ৫ সদস্যের স্বাধীন পুলিশ অভিযোগ কর্তৃপক্ষ এবং অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে দ্রম্নত সাজা দেওয়ার জন্য পুলিশ ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা বলা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মানবাধিকারকর্মী, শিক্ষক, গবেষক, আইনজীবী ও পুলিশের সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা।

সভায় সাবেক আইজিপি ড. এনামুল হক লিখিত বক্তব্যে বলেন, পুলিশ আইন ও পিআরবির অসামঞ্জস্য দূর করতে হবে। ওসি নিয়োগের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্ব দিতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে পুলিশকে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পুলিশের আর্থিক হিসাব-নিকাশ এর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। যারা এখনো যোগদান করেনি দ্রুত নোটিশ করে তাদেরকে চাকরিতে যোগদানের তাড়া দিতে হবে।

অধ্যাপক সামজীর বলেন, বাংলাদেশের পুলিশ চলে ব্রিটিশ উপনিবেশের তৈরি করা আইনে। তাই এই পুলিশ বারবারই জনগণের বিপক্ষে দাঁড়ায় এবং জুলুমের বাহিনীতে পরিণত হয়। তিনি পুলিশের নাম ও পোশাক পরিচ্ছদ পরিবর্তনের প্রস্তাব করেন। পাশাপাশি পুলিশের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে জনগণের ফিডব্যাকের ব্যবস্থা করারও প্রস্তাব করেন তিনি। সেইসাথে পুলিশকে জনগণের রেগুলার সমস্যার ক্ষেত্রে অভিযোগ জানানোর জন্য ইমেইল ও অনলাইনের ব্যবস্থা থাকারও প্রস্তাব করেন।

অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আত্মদান আমাদেরকে প্রজা থেকে নাগরিকে উন্নীত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। যেই সুযোগগুলো আমরা চাই রাষ্ট্রের কাছে, মর্যাদা নিয়ে বেচে থাকার জন্য সেগুলো আমাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। বিগত সময়ে পুলিশসহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুম, খুন, মিথ্যা মামলা, বিরোধীমত দমনসহ সকল অপকর্মই করেছে। সর্বশেষ আমলে যারা দ্রুত প্রমোশন ও সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে তাদের ব্যাপারে দ্রুত তদন্ত করে জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে।

সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ হাসান বলেন, বিরোধীদলে থাকার সময় শেখ হাসিনা বলেছিলেন র‍্যাব বাতিল করবেন। কিন্তু ক্ষমতায় এসে উনি ইতিহাসের সর্বোচ্চ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য র‍্যাবকে ব্যবহার করেছেন। ২০ হাজার পাবলিক সার্ভেন্টকে ঠিক করতে পারলে বাংলাদেশ ঠিক হয়ে যাবে। তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় না আনতে পারলে বাংলাদেশ সংস্কার অর্থবহ হবে না।

অধ্যাপক নিজার বলেন, জালিয়ানওয়ালাবাগ থেকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বিগত ১০০ বছরে এতো হত্যাকাণ্ড এমনকি উপনিবেশ আমলেও হয়নি। নতুন রাষ্ট্রের মেটাপ্রিন্সিপাল হওয়া দরকার মানবিকীকরণ প্রক্রিয়া। সেই অনুযায়ী সকল উপনিবেশিক এবং পরবর্তী আইন-কানুন সংস্কার করা দরকার। আমরা দ্রুতই সকল উপনিবেশিক আইনের জুলুমের ধারাগুলো জনগণের সামনে প্রকাশ করবো।

অধ্যাপক মারুফুল ইসলাম বলেন, পুলিশ যতো রকম অপরাধ নির্মুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রায় সকল অপরাধের সাথে পুলিশ নিজে জড়িত হয়ে পড়েছে। উলটো মানুষ আইনি সহযোগিতা পেতে চাইলে নানা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। আমাদের তাৎক্ষণিক কাজ হচ্ছে, যারা চাকরিতে আছেন তাদের স্ক্রিনিং করা, তারা সৎ কিনা, কর্মক্ষম কি না ইত্যাদি। নৌ বাহিনি, বিমান বাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর সদ্য অবসর প্রাপ্তদের পুলিশে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ করা যেতে পারে।

ওয়ালিউল্লাহ বাশার বলেন, পুলিশী সংস্কার করতে হলে বিভিন্ন মেয়াদি সমাধান নিয়ে আলাপ করতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদি সংস্কার উদ্যোগের পাশাপাশি মধ্যমেয়াদী ও স্বল্পমেয়াদী উদ্যোগও নেয়া দরকার। পাশাপাশি শহীদদের ব্যাপারে আমরা যেমন সহানুভূতিশীল তেমনি পুলিশের মধ্যে যারা নিহত হয়েছেন তাদের ব্যাপারেও সহানুভূতিশীল হতে হবে।

আইন গবেষক রাশেদ রাহম বলেন, আধুনিক রাষ্ট্র হচ্ছে সম্মতির ভিত্তিতে বলপ্রয়োগ এর প্রতিষ্ঠান। এই বলপ্রয়োগকে ব্যালেন্স করার জন্য রাষ্ট্রে গণতন্ত্র দরকার। বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে পুলিশকে খুনি বাহিনী হিসেবে জনগণের বিরুদ্ধে দাড়া করিয়ে দেয়া হয়েছিল। এগুলোকে আমলে না নিয়ে সংস্কার করা যাবে না।

অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, শুধু পোশাক পরিচ্ছদ ও নাম পরিবর্তন করলে তো নয়ই এমনকি শুধু পুলিশ সংস্কার করলেও হবে না। আমাদেরকে প্রধানত শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে, নয়তো কোনো সংস্কারই টিকবে না। ৩ লেভেলে ভর্তির বদলে পুলিশে ২ লেভেলে ভর্তির প্রস্তাব করেন তিনি।

আলোচনা সভায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম সভাপতিত্ব করেন।

ঢাকা গাজীপুরে এক সাংবাদিককে জবাই করে হত্যা ক্রাইম রিপোর্টারদের উদ্বেগ

তালাত মাহামুদ বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫, ৮:১৯ এএম
ঢাকা গাজীপুরে এক সাংবাদিককে জবাই করে হত্যা ক্রাইম রিপোর্টারদের উদ্বেগ

ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫ খ্রী: গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিন কে জবাই করে হত্যা করেছে দুষ্কৃতিকারীরা। এ ঘটনায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে রাষ্ট্র যন্ত্রের অচলাবস্থাকে দায়ী করেছেন।

গাজীপুরে একদিনের ব্যবধানে আনোয়ার হোসেন নামে বাংলাদেশের আলো পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধিকে ইট দিয়ে থেঁতলে আহত করা হয়েছে থানার সামনে। তার পরদিন আজ বৃহস্পতিবার রাতে আসাদুজ্জামান তুহিন কে জবাই করে হত্যা করা হয়।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নরসিংদী জেলা ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মাসুদ রানা বাবুল এ ঘটনায় সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্র যন্ত্রের নীরবতাকে দায়ী করে অবিলম্বে হত্যাযজ্ঞের নৃশংস ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার দাবি করেন।

বিলাইছড়িতে ২ দিনের সফরে জেলা প্রশাসক– মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ 

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫, ৬:২৩ এএম
বিলাইছড়িতে ২ দিনের সফরে জেলা প্রশাসক– মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ 

বিলাইছড়ি (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি- রাঙ্গামাটির দুর্গম বিলাইছড়ি উপজেলায় শিক্ষা ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শনে ২ দিন সফর করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। প্রশাসক গত ৬ আগস্ট বুধবার ২ দিনের সফরে ফারুয়ার সাইচল ও ফারুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন এবং দুর্গম ফারুয়া বাসীর সঙ্গে মত বিনিময় করেন। এছাড়াও ৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা চত্বরে পুলিশের একটি চৌকস দল প্রশাসককে গার্ড অব অনার করেন। পরে বিলাইছড়ি কলেজে প্রভাষক – অভিভাবক- শিক্ষার্থীদের ত্রিপক্ষীয় সভায় যোগদেন এবং কলেজের সুবিধা -অসুবিধার কথা জানেন। পরে গাছের চারা রোপণ করেন। এছাড়াও সফরে দুপুরে বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন ও শিক্ষার্থীর সঙ্গে কুশল বিনিময়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের ব্যাগ বিতরণ, উপজেলা কর্মকর্তা ও জন প্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময় এবং বিকালে মুপ্প্যাচড়া ঝর্ণা পরিদর্শন করেন।

সফরে বিলাইছড়ি উপজেলা প্রশাসন, কর্মকর্তা- কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা পুষ্পমাল্য দিয়ে প্রশাসককে বরণ করেন। এবং তাদের প্রাণের দাবি,উপজেলায় আবু সাইদ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ, বিলাইছড়ি কলেজটি জাতীয়করণ, দুর্গম বড়থলি ও ফারুয়া ইউনিয়নসহ বিদ্যুৎ বিহীন এলাকাগুলো সোলার প্যানেলে সৌর বিদ্যৎতের সু-ব্যবস্থা এবং মোবাইল নেটওয়ার্কে আওতায় নিয়ে আসা। হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য জনবল বাড়ানো। এছাড়াও বিলাইছড়ি টু ফারুয়া পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ উন্নত করা। গাছকাটা ছড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ এবং বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো এমপিওভূক্তকরণের দাবি তুলে ধরেন।

জবাবে প্রশাসক হাবিব উল্লাহ বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠাপনে উপজেলা সকলের অবদানের কথা স্বীকার করেন।ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রকৌশল থেকে একটি ভবন বরাদ্দ হয়েছে। খুব শ্রীঘ্রই ৩ তলা ১ টি ভবন হবে।পাশাপাশি উন্নয়ন বোর্ড হতে ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।তবে উন্নয়ন বোর্ডের এই ভবনটি হবে হোস্টেল। সেটি কোন দিকে হোস্টেল ও ভবন হবে স্থানীয়দের ঠিক করার দায়িত্ব দেন।তিনি শিক্ষার্থীর উদ্দেশ্যে বলেন, স্বপ্ন দেখতে হবে, চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। দারিদ্র তোমার দূর্বলতা নয়।দারিদ্র কোনো অপরাধ নয়। “চেষ্টা” তোমাকে সফলতায় পৌঁছাতে পারবে। তিনি আরো বলেন, দারিদ্র বিমোচনের জন্য অন্যান্য পেশা পাশাপাশি ট্যুরিজমের উপর গুরুত্ব দেন এবং সিএইচটি রেগুলেশনের কথা বলেন।পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নে আশ্বাস দেন এবং গণ-অভ্যুত্থানে নিহত আবু সাইদ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণে প্রতিশ্রুতি দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মামুনুল হক, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম ফকির, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সুরজিত দত্ত, উপজেলা কৃষি অফিসার রাজেশ প্রসাদ রায়, থানা অফিসার ইনচার্জ মানস বড়ুয়া,১ নং বিলাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান,উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিরালা কান্তি চাকমা, বিলাইছড়ি কলেজের প্রভাষক ইয়াসমিন সুলতানা মনি, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সুবিনয় চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক শান বিজয় চাকমা, কার্বারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুপকুমার চাকমা, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম চাকমাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা – কর্মচারী, জন প্রতিনিধি এবং শিক্ষকবৃন্দ ।

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৮৭৮কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ

মো: রাসেল মোল্লা রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫, ৬:২০ এএম
রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৮৭৮কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ নেতা ও রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ৮৭৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল ৭আগস্ট বৃহস্পতিবার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ(সিআইডি) বাদী হয়ে গুলশান থানায় এ মামলা দায়ের করেন। একই সঙ্গে আদালতের নির্দেশে তাদের ১৩টি ব্যাংক হিসাব এবং যমুনা ফিউচার পার্কের ১ লাখ বর্গফুট কমার্শিয়াল স্পেস ক্রোক করা হয়েছে।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, রংধনু বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে জমি ক্রয় বা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি গ্রহণ করে তা বিক্রয় করা হয়। রফিকুল ইসলামের ছেলে কাউসার আহমেদ অপু ও মেহেদী হাসান দিপু ২০২২ সালের ৮মার্চ বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুরুখী সমবায় সমিতির কাছে ৭দশমিক ৫৭৫১ একর জমি বিক্রি করেন। পরবর্তীতে ওই জমির মধ্য থেকে ৬ দশমিক ৩৩৭৫ একর জমি ২০২২ সালের ১ জুন বসুন্ধরা গ্রুপের ইস্ট ওয়েস্ট প্রোপার্টি লিমিটেডের কাছে পুনরায় বিক্রি করে ৫৭ কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করেন।

এছাড়া পুলিশের বহুমুখী সমবায় সমিতিতে বালিভরাটের ভূয়া কার্যাদেশ দেখিয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ২৭০ কোটি এবং ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ২০০ কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করেন। একইভাবে ইসলামী ব্যাংক বারিধারা শাখা থেকেও ভূয়া মূল্যায়ণ কপির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহন করেন।

অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা এসব অর্থ ফেরত না দিয়ে বিদেশে পাচার করেন। এদের একজন ক্যারাবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশ অ্যান্টিগা ও বারবুডার নাগরিকত্ব গ্রহণ করে।

অর্থ পাচার, জালিয়াতি ও প্রতারণা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ২(৫)(৬)(১৪) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধে গতকাল ৭আগস্ট বৃহস্পতিবার সিআইডি গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৪।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অর্থ ও সম্পত্তি ক্রোকের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে৷

error: Content is protected !!