রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

নারী শিক্ষার অগ্রযাত্রায় নিরলস এক অভিভাবক ইব্রাহিম আলী মন্ডল

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৬:০৮ পিএম | 43 বার পড়া হয়েছে
নারী শিক্ষার অগ্রযাত্রায় নিরলস এক অভিভাবক ইব্রাহিম আলী মন্ডল

বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার কালাই ইউনিয়নের কালাই কর্নিপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরেই নারী শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম আলী মন্ডল শুধুমাত্র একজন শিক্ষক নন, একজন সৎ, যোগ্য, পরিশ্রমী ও মানবিক অভিভাবক যিনি নারী শিক্ষার প্রসারে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

বিদ্যালয়ে বর্তমানে ২৮২ জন ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। এর মধ্যে প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকে। এই উপস্থাপনযোগ্য উপস্থিতির হার অনেকটাই প্রধান শিক্ষকের প্রতিনিয়ত তদারকি, অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়িত্ববোধের ফল। ইব্রাহিম আলী মন্ডল ছাত্রছাত্রীদের নিজের সন্তানের মতন ভালোবাসেন। প্রত্যেকের পড়াশোনা ও উপস্থিতি সম্পর্কে অবগত থাকেন। শুধু পাঠদানে নয়, মানসিকভাবে সাহস জোগাতে তিনি সরাসরি ভূমিকা রাখেন।

২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় এই বিদ্যালয় থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়, যার মধ্যে ১৫ জন উত্তীর্ণ হয়। পাশের হার দাঁড়ায় ৭৫ শতাংশ। এই ফলাফল তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটির শৃঙ্খলা ও পাঠদানের মান। তিনি শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট শিক্ষার পরিবর্তে বাসায় পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দেন এবং অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষার প্রতি মনোযোগ বাড়াতে পারিবারিক সহায়তা অপরিহার্য।

এই বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী দরিদ্র, যার ফলে অনেকে উপবৃত্তি বা প্রাইভেট শিক্ষকের সহায়তা পায় না। ইব্রাহিম আলী মন্ডল তাদের জন্য বিনা বেতনে পড়ার ব্যবস্থা করেছেন। যেসব ছাত্রী উপবৃত্তির বাইরে থাকে, তাদের খুঁজে নিয়ে নিজস্ব উদ্যোগে পড়ালেখা অব্যাহত রাখার পরিবেশ তৈরি করেন। তার এই দৃষ্টান্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় মানবিক দায়িত্ববোধের বাস্তব রূপ।

ইব্রাহিম আলী মন্ডল দীর্ঘদিন যাবত বগুড়ার কাহালু উপজেলার ২ নম্বর কালাই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরেও তিনি সমাজের মধ্যে একজন শিক্ষানুরাগী, পরিচ্ছন্ন ও নিরপেক্ষ মানুষ হিসেবে স্বীকৃত। বর্তমানে তিনি কাহালু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন।

বিদ্যালয়ের মান উন্নয়ন, ছাত্রীর ঝরে পড়া রোধ, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, মেয়েদের সচেতনতা বৃদ্ধি, ও মা-বাবাদের শিক্ষা সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের লক্ষ্যে তিনি ধারাবাহিকভাবে সভা, মতবিনিময় ও ব্যক্তিগত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। এলাকার অভিভাবকদের সঙ্গে তার নিবিড় যোগাযোগ, স্কুল ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশ্বাসভিত্তিক সম্পর্ক গড়ে তোলার কারণে প্রতিষ্ঠানে একটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

ইব্রাহিম আলী মন্ডলের স্বপ্ন—এই বিদ্যালয়কে এলাকার একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা, যেখানে প্রত্যেক মেয়ে বাল্যবিয়ের পরিবর্তে নিজের ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ পাবে। নারী শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তিনি বিশ্বাসী। তার উদ্যোগে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও ফলাফলে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, যা গোটা এলাকায় প্রশংসিত হয়েছে।

ছাত্রীরা তাকে একজন শিক্ষক নয়, একজন পথপ্রদর্শক এবং নির্ভরতার মানুষ হিসেবে দেখে। একজন শিক্ষক হিসেবে নয়, একজন সমাজ সচেতন দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে ইব্রাহিম আলী মন্ডল আজ এলাকার মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক। নারী শিক্ষার উন্নয়নে তার এই প্রচেষ্টা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে—এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

মোঃ আশিকুর সরকার (রাব্বি) প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৭ পিএম
রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ডিলার নিয়োগে বৈষম্য ও অনিয়মের অভিযোগ এবং পুনরায় তদন্ত পূর্বক শতভাগ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় লটারির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে,অনিয়মের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পরা ব্যাক্তিদের সুকৌশলে ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা না হয়েও অনেকেই এই নিয়োগপ্রাপ্ত হন।নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য অনেক ব্যক্তিকে সুকৌশলে বাদ দিয়ে নিয়ম বহি:ভূর্ত বাহিরের অনেক কে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।ডিলার নিয়োগে এহেন বৈষম্যরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় তদন্ত সাপেক্ষে লটারির আহবান জানান বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

রোববার দুপুরে ১২:০০ টা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের মেইন গেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন,আব্দুল মোত্তালেব,আজিজুল ইসলাম,ফখরুল ইসলাম, রাজু ইসলাম, আহসান, সহিদুল ইসলাম,রোকেয়া বেগম,দৌলত হোসেন,আব্দুল লতিফ,সেকেন্দার আলী লিমন,হান্নান মিয়া আব্দুল লতিফ বাবলুসহ আরও অনেকে।

হরিপুরে পাটের জাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক

সিরাজুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৬ পিএম
হরিপুরে পাটের জাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে শুরু হয়েছে বিভিন্ন মাঠের পাট কাটা। তবে খালবিলে ও মাঠে পানি না থাকায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে সংকটে পড়েছেন চাষিরা। রাস্তার পাশে খাল ও পুকুরের পানি দিয়ে পাট জাগ দেওয়া শুরু হলেও আঁশের মান তেমন ভালো হচ্ছে না। এতেই বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

পাট চাষিরা জানান, হরিপুরে উপজেলায় দুটি বড় বিলের পাশে পানি না থাকার কারণে পাট পচানো সমস্যা হয়েছে । পানি সরাসরি বিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পাটের জাগ নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।

পাট চাষি মো. আবদুল মালেক ও সারোয়ার হোসেন বলেন খালবিলে, নদীনালায়, পুকুরে পানি নেই; পাট জাগ দেওয়ার জায়গাও নেই। এখন আমরা পাট নিয়ে সংকটে পড়েছি। এজন্য হরিপুর উপজেলায় পার্শ্ববর্তী বিলে আমরা পাট জাগ দিয়েছি।

সমির হোসেন নামে আরেকজন বলেন, বৃষ্টিতে পাটক্ষেতে অল্প পানি জমেছে, এতে পাটের গোড়া নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষেতে বেশি পানি হলে পাটের গোড়া পচন ধরত না। ক্ষেতের পাট ক্ষেতেই জাগ দেওয়া যেত। এখন পিকআপ ও ভ্যান ভাড়া করে পাট জাগ দিতে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

মিনাপুর গ্রামের সারোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের হরিপুর ইউনিয়নের মাঠে-ঘাটে কোথাও পানি নেই। পাট কেটে জাগ দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুবেল হুসেন জানান, এ বছর হরিপুরে ৪৭০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জায়গায় পাটের আবাদ হয়েছে। পানি না থাকায় পাটের জাগ দেওয়া নিয়ে সমস্যা পড়ছেন কৃষকরা। কেউ কেউ পুকুরে নদীতে পাটের জাগ দিচ্ছে।

সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৪ পিএম
সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে

”আমার সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে”
যখন আশেপাশে শুনি —
“এটা তো সময়ের ব্যাপার, একটু ধৈর্য ধরো”
“তুমি কেন এত ভাবছো? সব ঠিক হয়ে যাবে”
“এটা তো সম্পর্কের অংশ, মানিয়ে নিতে হবে”
তখন সেই শূন্যতা কোথায় যাবে?
হুরায়রা কনসালটেন্সি এমন একটা জায়গা,
যেখানে আপনি আপনার সম্পর্কের টানাপোড়েন খুলে বলতে পারেন,
কেউ আপনাকে ছোট করবে না,
কেউ আপনাকে দোষী মনে করবে না।
আমরা জানি, সম্পর্কের মাঝে এই অনিশ্চয়তা অনেক সময় ভয়াবহ হতে পারে,
আপনি একা নন,
আমি হুরায়রা শিশির এবং আমার টিম পাশে আছি।
চলুন, একসাথে চেষ্টা করি কিভাবে একটু একটু করে ভালো থাকা যায়।

error: Content is protected !!