শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

নারী শিক্ষার অগ্রযাত্রায় নিরলস এক অভিভাবক ইব্রাহিম আলী মন্ডল

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৬:০৮ পিএম | 75 বার পড়া হয়েছে
নারী শিক্ষার অগ্রযাত্রায় নিরলস এক অভিভাবক ইব্রাহিম আলী মন্ডল

বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার কালাই ইউনিয়নের কালাই কর্নিপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরেই নারী শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম আলী মন্ডল শুধুমাত্র একজন শিক্ষক নন, একজন সৎ, যোগ্য, পরিশ্রমী ও মানবিক অভিভাবক যিনি নারী শিক্ষার প্রসারে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

বিদ্যালয়ে বর্তমানে ২৮২ জন ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। এর মধ্যে প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকে। এই উপস্থাপনযোগ্য উপস্থিতির হার অনেকটাই প্রধান শিক্ষকের প্রতিনিয়ত তদারকি, অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়িত্ববোধের ফল। ইব্রাহিম আলী মন্ডল ছাত্রছাত্রীদের নিজের সন্তানের মতন ভালোবাসেন। প্রত্যেকের পড়াশোনা ও উপস্থিতি সম্পর্কে অবগত থাকেন। শুধু পাঠদানে নয়, মানসিকভাবে সাহস জোগাতে তিনি সরাসরি ভূমিকা রাখেন।

২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় এই বিদ্যালয় থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়, যার মধ্যে ১৫ জন উত্তীর্ণ হয়। পাশের হার দাঁড়ায় ৭৫ শতাংশ। এই ফলাফল তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটির শৃঙ্খলা ও পাঠদানের মান। তিনি শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট শিক্ষার পরিবর্তে বাসায় পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দেন এবং অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষার প্রতি মনোযোগ বাড়াতে পারিবারিক সহায়তা অপরিহার্য।

এই বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী দরিদ্র, যার ফলে অনেকে উপবৃত্তি বা প্রাইভেট শিক্ষকের সহায়তা পায় না। ইব্রাহিম আলী মন্ডল তাদের জন্য বিনা বেতনে পড়ার ব্যবস্থা করেছেন। যেসব ছাত্রী উপবৃত্তির বাইরে থাকে, তাদের খুঁজে নিয়ে নিজস্ব উদ্যোগে পড়ালেখা অব্যাহত রাখার পরিবেশ তৈরি করেন। তার এই দৃষ্টান্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় মানবিক দায়িত্ববোধের বাস্তব রূপ।

ইব্রাহিম আলী মন্ডল দীর্ঘদিন যাবত বগুড়ার কাহালু উপজেলার ২ নম্বর কালাই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরেও তিনি সমাজের মধ্যে একজন শিক্ষানুরাগী, পরিচ্ছন্ন ও নিরপেক্ষ মানুষ হিসেবে স্বীকৃত। বর্তমানে তিনি কাহালু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন।

বিদ্যালয়ের মান উন্নয়ন, ছাত্রীর ঝরে পড়া রোধ, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, মেয়েদের সচেতনতা বৃদ্ধি, ও মা-বাবাদের শিক্ষা সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের লক্ষ্যে তিনি ধারাবাহিকভাবে সভা, মতবিনিময় ও ব্যক্তিগত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। এলাকার অভিভাবকদের সঙ্গে তার নিবিড় যোগাযোগ, স্কুল ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশ্বাসভিত্তিক সম্পর্ক গড়ে তোলার কারণে প্রতিষ্ঠানে একটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

ইব্রাহিম আলী মন্ডলের স্বপ্ন—এই বিদ্যালয়কে এলাকার একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা, যেখানে প্রত্যেক মেয়ে বাল্যবিয়ের পরিবর্তে নিজের ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ পাবে। নারী শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তিনি বিশ্বাসী। তার উদ্যোগে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও ফলাফলে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, যা গোটা এলাকায় প্রশংসিত হয়েছে।

ছাত্রীরা তাকে একজন শিক্ষক নয়, একজন পথপ্রদর্শক এবং নির্ভরতার মানুষ হিসেবে দেখে। একজন শিক্ষক হিসেবে নয়, একজন সমাজ সচেতন দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে ইব্রাহিম আলী মন্ডল আজ এলাকার মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক। নারী শিক্ষার উন্নয়নে তার এই প্রচেষ্টা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে—এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।