রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

শ্রমিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে রাজপথের সাহসী কণ্ঠ মোঃ লিলু মোল্লা

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩৬ এএম | 50 বার পড়া হয়েছে
শ্রমিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে রাজপথের সাহসী কণ্ঠ মোঃ লিলু মোল্লা

বাংলাদেশের পরিবহন খাতে যারা শ্রম দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন, তাদের অধিকাংশই আজও অবহেলিত, নিপীড়িত ও উপেক্ষিত। কিন্তু এর মধ্যেও কিছু ব্যতিক্রমী মানুষ আছেন, যাঁরা নিজের স্বার্থ না দেখে শ্রমিক সমাজের কথা ভাবেন, শ্রমিকের কষ্টকে নিজের কষ্ট মনে করেন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়তে পিছপা হন না। তেমনই একজন হলেন মোঃ লিলু মোল্লা—বগুড়া জেলার আন্তঃজেলা ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের একজন সাহসী, সৎ ও সংগ্রামী সদস্য। রাজপথে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয়।

দীর্ঘদিন ধরে পরিবহন শ্রমিকদের সুখ-দুঃখে পাশে থেকেছেন তিনি। যখনই কোনো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে বা শ্রমিক ভাইরা কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হন, তখন মোঃ লিলু মোল্লাই প্রথম ছুটে যান সেই ঘটনাস্থলে। শ্রমিকদের প্রতি তার ভালোবাসা নিছক দায়িত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়—তিনি শ্রমিকদের আপনজন হয়ে উঠেছেন। তার কথায়, “শ্রমিক যেখানে নির্যাতনের শিকার হন, সেখানেই আমি প্রতিরোধ গড়ে তুলি। আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসে শ্রমিকদের কথা ভাবি—এটাই আমার ধর্ম।”

সম্প্রতি বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলার তাজ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের সামনে ঘটে যায় এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। অসাবধানতার কারণে হোটেলে আগত একটি গাড়ি ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হয়। অথচ তদন্ত বা বিচার না করেই উল্টো হোটেল মালিক পক্ষ গাড়ির ড্রাইভার ও হেলপারকে দোষী বানিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এই সংবাদ মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে, এবং শ্রমিক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তখনই শ্রমিক নেতা মোঃ লিলু মোল্লা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সরাসরি প্রতিবাদ জানান এবং হোটেল কর্তৃপক্ষের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।

তার উপস্থিতি ও দৃঢ় নেতৃত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং শ্রমিকরা ফিরে পায় আত্মবিশ্বাস ও ন্যায়বিচারের আশা। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণ হয় যে, মোঃ লিলু মোল্লা কেবল নামেই নেতা নন—তিনি শ্রমিকদের অন্তরের মানুষ। তিনি শ্রমিক সংগঠনকে ভালোবাসেন হৃদয় দিয়ে, দায়িত্ববোধ থেকে নয়, ভালোবাসা থেকে। শ্রমিক সমাজের প্রতি তার এ ভালোবাসা ও নিষ্ঠা তাকে আজ শ্রমিকদের প্রিয়জন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

তিনি শুধু আন্দোলন, প্রতিবাদ নয়—শ্রমিকদের চিকিৎসা, আইনি সহযোগিতা, পারিবারিক সমস্যা এমনকি তাদের সন্তানের শিক্ষাব্যবস্থার দিকেও নজর রাখেন। তার মতো নেতা আজকের সময়ের জন্য বিরল। ভবিষ্যতে শ্রমিকরা যেন কোনো হয়রানি, বঞ্চনা ও নিপীড়নের শিকার না হয়—এমন একটি শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তোলাই তার স্বপ্ন। তিনি বিশ্বাস করেন, সংগঠনের ঐক্যই শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় শক্তি।

শ্রমিক সমাজে মোঃ লিলু মোল্লা আজ এক প্রতীকের নাম। সাহসিকতা, সততা এবং দায়িত্ববোধের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এমন নেতার হাত ধরে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই আরও শক্তিশালী হবে—এমনটাই প্রত্যাশা সকল শ্রমিকের।

রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

মোঃ আশিকুর সরকার (রাব্বি) প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৭ পিএম
রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ডিলার নিয়োগে বৈষম্য ও অনিয়মের অভিযোগ এবং পুনরায় তদন্ত পূর্বক শতভাগ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় লটারির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে,অনিয়মের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পরা ব্যাক্তিদের সুকৌশলে ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা না হয়েও অনেকেই এই নিয়োগপ্রাপ্ত হন।নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য অনেক ব্যক্তিকে সুকৌশলে বাদ দিয়ে নিয়ম বহি:ভূর্ত বাহিরের অনেক কে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।ডিলার নিয়োগে এহেন বৈষম্যরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় তদন্ত সাপেক্ষে লটারির আহবান জানান বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

রোববার দুপুরে ১২:০০ টা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের মেইন গেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন,আব্দুল মোত্তালেব,আজিজুল ইসলাম,ফখরুল ইসলাম, রাজু ইসলাম, আহসান, সহিদুল ইসলাম,রোকেয়া বেগম,দৌলত হোসেন,আব্দুল লতিফ,সেকেন্দার আলী লিমন,হান্নান মিয়া আব্দুল লতিফ বাবলুসহ আরও অনেকে।

হরিপুরে পাটের জাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক

সিরাজুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৬ পিএম
হরিপুরে পাটের জাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে শুরু হয়েছে বিভিন্ন মাঠের পাট কাটা। তবে খালবিলে ও মাঠে পানি না থাকায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে সংকটে পড়েছেন চাষিরা। রাস্তার পাশে খাল ও পুকুরের পানি দিয়ে পাট জাগ দেওয়া শুরু হলেও আঁশের মান তেমন ভালো হচ্ছে না। এতেই বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

পাট চাষিরা জানান, হরিপুরে উপজেলায় দুটি বড় বিলের পাশে পানি না থাকার কারণে পাট পচানো সমস্যা হয়েছে । পানি সরাসরি বিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পাটের জাগ নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।

পাট চাষি মো. আবদুল মালেক ও সারোয়ার হোসেন বলেন খালবিলে, নদীনালায়, পুকুরে পানি নেই; পাট জাগ দেওয়ার জায়গাও নেই। এখন আমরা পাট নিয়ে সংকটে পড়েছি। এজন্য হরিপুর উপজেলায় পার্শ্ববর্তী বিলে আমরা পাট জাগ দিয়েছি।

সমির হোসেন নামে আরেকজন বলেন, বৃষ্টিতে পাটক্ষেতে অল্প পানি জমেছে, এতে পাটের গোড়া নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষেতে বেশি পানি হলে পাটের গোড়া পচন ধরত না। ক্ষেতের পাট ক্ষেতেই জাগ দেওয়া যেত। এখন পিকআপ ও ভ্যান ভাড়া করে পাট জাগ দিতে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

মিনাপুর গ্রামের সারোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের হরিপুর ইউনিয়নের মাঠে-ঘাটে কোথাও পানি নেই। পাট কেটে জাগ দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুবেল হুসেন জানান, এ বছর হরিপুরে ৪৭০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জায়গায় পাটের আবাদ হয়েছে। পানি না থাকায় পাটের জাগ দেওয়া নিয়ে সমস্যা পড়ছেন কৃষকরা। কেউ কেউ পুকুরে নদীতে পাটের জাগ দিচ্ছে।

সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৪ পিএম
সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে

”আমার সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে”
যখন আশেপাশে শুনি —
“এটা তো সময়ের ব্যাপার, একটু ধৈর্য ধরো”
“তুমি কেন এত ভাবছো? সব ঠিক হয়ে যাবে”
“এটা তো সম্পর্কের অংশ, মানিয়ে নিতে হবে”
তখন সেই শূন্যতা কোথায় যাবে?
হুরায়রা কনসালটেন্সি এমন একটা জায়গা,
যেখানে আপনি আপনার সম্পর্কের টানাপোড়েন খুলে বলতে পারেন,
কেউ আপনাকে ছোট করবে না,
কেউ আপনাকে দোষী মনে করবে না।
আমরা জানি, সম্পর্কের মাঝে এই অনিশ্চয়তা অনেক সময় ভয়াবহ হতে পারে,
আপনি একা নন,
আমি হুরায়রা শিশির এবং আমার টিম পাশে আছি।
চলুন, একসাথে চেষ্টা করি কিভাবে একটু একটু করে ভালো থাকা যায়।

error: Content is protected !!