মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সালমান শাহ: তিন দশক পর চাঞ্চল্যকর মৃত্যুর সলুক সন্ধান

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:২৪ এএম | 88 বার পড়া হয়েছে
সালমান শাহ: তিন দশক পর চাঞ্চল্যকর মৃত্যুর সলুক সন্ধান

দীর্ঘ ২৯ বছর পর অভিনেতা সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলাটি রূপ নিল হত্যা মামলায়। একে একে সামনে আসছে অভিনেতার হত্যায় জড়িত অভিযুক্ত অপরাধীদের নাম। সালমান বাংলা সিনেমার আকাশে জ্বলজ্বল করা এক নাম। সংক্ষিপ্ত সময়ের ক্যারিয়ারে এতবেশি ছাপ রাখতে পেরেছেন আমাদের চলচ্চিত্রে এমন দ্বিতীয়টি কেউ আর নেই। তিন দশক পরও দর্শক-ভক্তদের হাহাকার সেই কথাই যেন বারবার মনে করিয়ে দেয়।

সালমান শাহর চলে যাওয়াটা আজও যেন এক অমীমাংসিত অধ্যায়। অনেকের হৃদয়ে আজও প্রশ্নটা কাঁটার মতো বিঁধে আছে—এটা কি কেবলই আত্মহত্যা ছিল? চার বছরে সাতাশটি ব্লকবাস্টার সিনেমা উপহার দিয়ে যিনি কোটি মানুষের ভালোবাসা কুড়িয়েছিলেন, তিনি কি সত্যিই নিজের জীবন কেড়ে নিতে পারেন? এই ভাবনাটা কেবল ভক্তদেরই নয়, পুরো দেশবাসীকেই স্তব্ধ করে দেয়।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সালমান শাহ এসেছিলেন সম্ভাবনার এক ঝড় হয়ে। নব্বইয়ের দশকে যখন সিনেমার মানে ছিল একই গল্প, একই মুখ, একই সংলাপ, তখন তিনি যেন এক নতুন ঝড়ের আবির্ভাব। তার স্টাইল, তার কথা বলার ধরণ, তার আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি—সবকিছুতেই ছিল এক ভিন্নতা। এই ‘ভিন্নতা’ই ছিল তার সবচেয়ে বড় শক্তি, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এটিই হয়তো তার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা এক অদৃশ্য চক্রান্তের জন্ম দিয়েছিল। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম প্রতিভাবান, জনপ্রিয়, সফল এই অভিনেতার সিনেম্যাটিক এই প্রয়াণ তাই আজও আলোচনার বিষয়।

চলচ্চিত্র জগতের অনেকেই তাকে পছন্দ করতেন না। কারণ, তিনি মেধা, প্রজ্ঞা, দেখতে সুদর্শন হওয়ায় অন্য তারকাদের হিংসার কারণ হয়েছিলেন।

সাফল্যের সিঁড়ি তার যত দ্রুত উপরে উঠেছে, ততই যেন বেড়েছে তার শত্রুদের তালিকা। খ্যাতি তাকে মানুষের ভালোবাসায় ভরিয়ে দিলেও, একই সঙ্গে তাকে ঘিরে ধরেছিল হিংসা, ঈর্ষা আর এক অজানা রাজনীতির কুয়াশা।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বরের সেই সকালটা বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের সবচেয়ে বিষাদময় সকাল। সালমান শাহের অবিশ্বাস্য মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই যেন পুরো দেশ থমকে গিয়েছিল। কেউ ফিসফিস করে বলল আত্মহত্যা, কেউ দাবি করল খুন, আবার কেউ কেউ একে বলল এক সাজানো নাটক। কিন্তু সেই আসল সত্যটা আজও অন্ধকারে ঝুলে আছে।

উনত্রিশ বছর পেরিয়ে গেছে সেই শোকের সকাল থেকে। সময় তার নিজস্ব গতিতে এগিয়েছে, নতুন প্রজন্ম এসেছে, কিন্তু সালমান শাহ আজও বেঁচে আছেন পর্দার ওপারে। তার হাসি, তার মায়াবী চোখ, তার প্রতিটি সংলাপ আজও মানুষের মন ছুঁয়ে যায়। অবশেষে, এত দীর্ঘ অপেক্ষার পর, সেই রহস্যময় মৃত্যুর সাথে জড়িত সন্দেহভাজনদের বিচার প্রক্রিয়ার মুখোমুখি করা হচ্ছে। হয়তো এটাই ইতিহাসের সবচেয়ে দেরীতে হলেও, সবচেয়ে প্রত্যাশিত বিচারগুলোর মধ্যে একটি হতে যাচ্ছে।

প্রশ্নটা আজও রয়ে গেছে—কে বা কারা চায়নি সালমান শাহ বেঁচে থাকুক?

সালমান শাহ কেবল একজন অভিনেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একটি সময়ের প্রতিচ্ছবি। তিনি ছিলেন এমন এক প্রজন্মের কণ্ঠস্বর, যারা স্বপ্ন দেখত, নিজেদের মতো করে বাঁচতে চাইত। তাই তার মৃত্যু কেবল একটি ব্যক্তিগত শোক ছিল না, এটি যেন ছিল তারুণ্যনির্ভর এক জাতির অপূর্ণ প্রতিশ্রুতির প্রতিচ্ছবি।

আজ, যখন তার মৃত্যুর ২৯ বছর পরেও মানুষ ন্যায়বিচার চায়, তখন এটা স্পষ্ট বোঝা যায়—সালমান শাহ নামের এই উজ্জ্বল আলোটি আজও নিভে যায়নি। হয়তো একদিন সেই আলোর তেজে অন্ধকারের আসল খলনায়কদের মুখগুলোও জনসম্মুখে চলে আসবে।

টাঙ্গাইলে ডাকাতি চেষ্টা: অস্ত্রসহ ৬ জন আটক

মোহাম্মদ সোহেল (বিশেষ) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২:০২ পিএম
টাঙ্গাইলে ডাকাতি চেষ্টা: অস্ত্রসহ ৬ জন আটক

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ ছয় সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার ভোর রাতে কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। যমুনা সেতু পূর্ব থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ থেকে পাবনাগামী পামওয়েল বোঝাই একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট-১৪-৭৫৭৯) হাতিয়া এলাকায় পৌঁছালে একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো গ-৪৩-৫৪৮৬) ও একটি পাজেরো গাড়ি (ঢাকা মেট্রো ঘ-২১-৭৬৯৯) ট্রাকটির গতিরোধ করে। এসময় টহলরত পুলিশের নজরে পড়ে। পুলিশের পুলিশের তল্লাশিতে ১টি লাইসেন্সকৃত শর্টগান, ৬টি সিসা কার্তুজ, ১টি লেজার লাইট, ২টি সিগন্যাল লাইট, ৪টি শর্ট ওয়াকি-টকি

২টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।

আটককৃত ছয় সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে যমুনা সেতু পূর্ব থানার একজন কর্মকর্তা বলেন, “ডাকাতির প্রস্তুতিমূলক সকল উপকরণসহ সন্দেহভাজনদের আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি আরও তদন্ত চলছে।

আমিনপুরে ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যাক্তি গ্রেফতার

মোঃ ওমর ফারুক (সানি), স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৪১ পিএম
আমিনপুরে ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যাক্তি গ্রেফতার

পাবনার আমিনপুর থানার বুলন্দর চর এলাকায় ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ৭৫ বছর বয়সী তাকাই প্রামানিক নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় শিশুটির বাবা আমিনপুর থানায় মামলাটি করেন। ধর্ষণের শিকার শিশুটি বর্তমানে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গ্রেফতার বৃদ্ধ একই গ্রামের মৃত ছবেদ প্রামানিকের ছেলে।

লিখিত এজাহার থেকে জানা গেছে, শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে শিশুটি চাচার বাড়ির সামনে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। এ সময় বৃদ্ধ তাকাই প্রামানিক তাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে পাশের একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে টাকা দেওয়ার প্রলোভন ও হত্যার হুমকি দিয়ে শিশুটিকে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে। সন্ধ্যায় শিশুটির রক্তপাত শুরু হয়ে অসুস্থ হলে পরিবার বিষয়টি বুঝতে পারে।

শিশুটির ভাইয়ের স্ত্রী লাবনী খাতুন জানান, তিনি তাকাই প্রামানিককে ওই ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেন এবং কিছুক্ষণ পর শিশুটিকেও সেখান থেকে বের হতে দেখেন। পরিবারের জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটি ধর্ষণের কথা জানায়।

আমিনপুর থানার ডিউটি অফিসার এসআই রেজাউল করিম বৃদ্ধকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামি থানায় রয়েছে।

জেলার এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুজানগর ও আমিনপুর সার্কেল) নাম না প্রকাশ করে জানান, আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে।

মো: রাজিবুল করিম রোমিও

এমন ভাবে লিখব তোমার গল্প 💔😭

মো: রাজিবুল করিম রোমিও প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৩৮ পিএম
এমন ভাবে লিখব তোমার গল্প 💔😭

এমন ভাবে লিখব তোমার গল্প, যে পড়বে, সে বুকের ভেতর অজানা একটা ব্যথা অনুভব করবে, চোখের পাপড়িতে জমে উঠবে হালকা কুয়াশার মতো জল, মনে হবে-এই ভালোবাসাটা বুঝি কোথাও গিয়ে থেমে গেছে, ঠিক শেষ পাতার আগেই ভেঙে গেছে এক সুন্দর স্বপ্নের অধ্যায়…!
তারা ছটফট করবে তোমাকে এক নজর দেখার জন্য, আর বলবে -কে সেই ভাগ্যবান। যে এমন গভীর ভালোবাসা পেয়েও তার হয়ে থাকতে পারলো না!
যে ভালোবাসার কদর বুঝতে পারেনি, যে হারিয়ে ফেলেছে এমন একজনকে, যে তাকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতো প্রাণ দিয়ে…
তোমার গল্পটা যেন এক নীরব আর্তনাদ, যেখানে শব্দ নেই, কিন্তু অনুভূতিতে আছে ঝড়-অপেক্ষার, না-পাওয়ার, আর না-বলা হাজারো কথার।
তুমি ছিলে কারো জীবনের স্বপ্ন, আর সেই স্বপ্নটা আজ শুধু ভাঙা টুকরো হয়ে ছড়িয়ে আছে স্মৃতির গহীনে…
হয়তো একদিন কেউ এই গল্পটা পড়ে নিঃশব্দে চোখ মুছবে, আর বলবে-“ভালোবাসা এমনও হয়..!!💔😭

মো: রাজিবুল করিম রোমিও