শ্রমিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে রাজপথের সাহসী কণ্ঠ মোঃ লিলু মোল্লা


বাংলাদেশের পরিবহন খাতে যারা শ্রম দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন, তাদের অধিকাংশই আজও অবহেলিত, নিপীড়িত ও উপেক্ষিত। কিন্তু এর মধ্যেও কিছু ব্যতিক্রমী মানুষ আছেন, যাঁরা নিজের স্বার্থ না দেখে শ্রমিক সমাজের কথা ভাবেন, শ্রমিকের কষ্টকে নিজের কষ্ট মনে করেন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়তে পিছপা হন না। তেমনই একজন হলেন মোঃ লিলু মোল্লা—বগুড়া জেলার আন্তঃজেলা ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের একজন সাহসী, সৎ ও সংগ্রামী সদস্য। রাজপথে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয়।
দীর্ঘদিন ধরে পরিবহন শ্রমিকদের সুখ-দুঃখে পাশে থেকেছেন তিনি। যখনই কোনো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে বা শ্রমিক ভাইরা কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হন, তখন মোঃ লিলু মোল্লাই প্রথম ছুটে যান সেই ঘটনাস্থলে। শ্রমিকদের প্রতি তার ভালোবাসা নিছক দায়িত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়—তিনি শ্রমিকদের আপনজন হয়ে উঠেছেন। তার কথায়, “শ্রমিক যেখানে নির্যাতনের শিকার হন, সেখানেই আমি প্রতিরোধ গড়ে তুলি। আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসে শ্রমিকদের কথা ভাবি—এটাই আমার ধর্ম।”
সম্প্রতি বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলার তাজ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের সামনে ঘটে যায় এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। অসাবধানতার কারণে হোটেলে আগত একটি গাড়ি ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হয়। অথচ তদন্ত বা বিচার না করেই উল্টো হোটেল মালিক পক্ষ গাড়ির ড্রাইভার ও হেলপারকে দোষী বানিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এই সংবাদ মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে, এবং শ্রমিক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তখনই শ্রমিক নেতা মোঃ লিলু মোল্লা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সরাসরি প্রতিবাদ জানান এবং হোটেল কর্তৃপক্ষের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
তার উপস্থিতি ও দৃঢ় নেতৃত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং শ্রমিকরা ফিরে পায় আত্মবিশ্বাস ও ন্যায়বিচারের আশা। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণ হয় যে, মোঃ লিলু মোল্লা কেবল নামেই নেতা নন—তিনি শ্রমিকদের অন্তরের মানুষ। তিনি শ্রমিক সংগঠনকে ভালোবাসেন হৃদয় দিয়ে, দায়িত্ববোধ থেকে নয়, ভালোবাসা থেকে। শ্রমিক সমাজের প্রতি তার এ ভালোবাসা ও নিষ্ঠা তাকে আজ শ্রমিকদের প্রিয়জন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তিনি শুধু আন্দোলন, প্রতিবাদ নয়—শ্রমিকদের চিকিৎসা, আইনি সহযোগিতা, পারিবারিক সমস্যা এমনকি তাদের সন্তানের শিক্ষাব্যবস্থার দিকেও নজর রাখেন। তার মতো নেতা আজকের সময়ের জন্য বিরল। ভবিষ্যতে শ্রমিকরা যেন কোনো হয়রানি, বঞ্চনা ও নিপীড়নের শিকার না হয়—এমন একটি শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তোলাই তার স্বপ্ন। তিনি বিশ্বাস করেন, সংগঠনের ঐক্যই শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় শক্তি।
শ্রমিক সমাজে মোঃ লিলু মোল্লা আজ এক প্রতীকের নাম। সাহসিকতা, সততা এবং দায়িত্ববোধের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এমন নেতার হাত ধরে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই আরও শক্তিশালী হবে—এমনটাই প্রত্যাশা সকল শ্রমিকের।