শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

শ্রমিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে রাজপথের সাহসী কণ্ঠ মোঃ লিলু মোল্লা

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩৬ এএম | 61 বার পড়া হয়েছে
শ্রমিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে রাজপথের সাহসী কণ্ঠ মোঃ লিলু মোল্লা

বাংলাদেশের পরিবহন খাতে যারা শ্রম দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন, তাদের অধিকাংশই আজও অবহেলিত, নিপীড়িত ও উপেক্ষিত। কিন্তু এর মধ্যেও কিছু ব্যতিক্রমী মানুষ আছেন, যাঁরা নিজের স্বার্থ না দেখে শ্রমিক সমাজের কথা ভাবেন, শ্রমিকের কষ্টকে নিজের কষ্ট মনে করেন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়তে পিছপা হন না। তেমনই একজন হলেন মোঃ লিলু মোল্লা—বগুড়া জেলার আন্তঃজেলা ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের একজন সাহসী, সৎ ও সংগ্রামী সদস্য। রাজপথে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয়।

দীর্ঘদিন ধরে পরিবহন শ্রমিকদের সুখ-দুঃখে পাশে থেকেছেন তিনি। যখনই কোনো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে বা শ্রমিক ভাইরা কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হন, তখন মোঃ লিলু মোল্লাই প্রথম ছুটে যান সেই ঘটনাস্থলে। শ্রমিকদের প্রতি তার ভালোবাসা নিছক দায়িত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়—তিনি শ্রমিকদের আপনজন হয়ে উঠেছেন। তার কথায়, “শ্রমিক যেখানে নির্যাতনের শিকার হন, সেখানেই আমি প্রতিরোধ গড়ে তুলি। আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসে শ্রমিকদের কথা ভাবি—এটাই আমার ধর্ম।”

সম্প্রতি বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলার তাজ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের সামনে ঘটে যায় এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। অসাবধানতার কারণে হোটেলে আগত একটি গাড়ি ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হয়। অথচ তদন্ত বা বিচার না করেই উল্টো হোটেল মালিক পক্ষ গাড়ির ড্রাইভার ও হেলপারকে দোষী বানিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এই সংবাদ মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে, এবং শ্রমিক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তখনই শ্রমিক নেতা মোঃ লিলু মোল্লা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সরাসরি প্রতিবাদ জানান এবং হোটেল কর্তৃপক্ষের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।

তার উপস্থিতি ও দৃঢ় নেতৃত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং শ্রমিকরা ফিরে পায় আত্মবিশ্বাস ও ন্যায়বিচারের আশা। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণ হয় যে, মোঃ লিলু মোল্লা কেবল নামেই নেতা নন—তিনি শ্রমিকদের অন্তরের মানুষ। তিনি শ্রমিক সংগঠনকে ভালোবাসেন হৃদয় দিয়ে, দায়িত্ববোধ থেকে নয়, ভালোবাসা থেকে। শ্রমিক সমাজের প্রতি তার এ ভালোবাসা ও নিষ্ঠা তাকে আজ শ্রমিকদের প্রিয়জন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

তিনি শুধু আন্দোলন, প্রতিবাদ নয়—শ্রমিকদের চিকিৎসা, আইনি সহযোগিতা, পারিবারিক সমস্যা এমনকি তাদের সন্তানের শিক্ষাব্যবস্থার দিকেও নজর রাখেন। তার মতো নেতা আজকের সময়ের জন্য বিরল। ভবিষ্যতে শ্রমিকরা যেন কোনো হয়রানি, বঞ্চনা ও নিপীড়নের শিকার না হয়—এমন একটি শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তোলাই তার স্বপ্ন। তিনি বিশ্বাস করেন, সংগঠনের ঐক্যই শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় শক্তি।

শ্রমিক সমাজে মোঃ লিলু মোল্লা আজ এক প্রতীকের নাম। সাহসিকতা, সততা এবং দায়িত্ববোধের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এমন নেতার হাত ধরে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই আরও শক্তিশালী হবে—এমনটাই প্রত্যাশা সকল শ্রমিকের।

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।