রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

দিনাজপুরে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

মো: মেহেদী হাসান ফুয়াদ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫, ১১:৪৮ এএম | 61 বার পড়া হয়েছে
দিনাজপুরে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার আয়োজনে ১৫ জুলাই ২০২৫ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মুখ সড়কে সকল প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্ত করার দাবীতে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচী শেষে দিনজাপুর জেলা প্রশাসক এর মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে নেতৃবৃন্দ।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক যাচাই-বাছাইকৃত ১৭৭২টি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয় স্বীকৃতি ও এমপিওকরণের নির্দেশনা প্রদান প্রসঙ্গে স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিবন্ধী বিশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিচালিত হয়ে আসছে। সমাজের পিছিয়ে পড়া প্রতিবন্ধী শিশুদের সমাজের মূল স্রোতধারায় অন্তর্ভুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এই বিদ্যালয়সমূহ। প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে এই বিদ্যালয় সমূহ। প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমূহকে সরকারের বিশেষ কাঠামোতে নিয়ে আসার জন্য ২০০৯ ও ২০১৯ সালে বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমূহের স্বীকৃতি ও এমপিওর জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করে এবং অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করে। উক্ত প্রজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে ২৭৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবেদন করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রাথমিক যাচাই-বাছাই অন্তে ১৭৭২টি আবেদন গ্রহণ করে। পরবর্তীতে বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০১৯ এর আলোকে জাতীয় স্বীকৃতি ও এমপিও কমিটি গঠন করে বিদ্যালয়গুলোকে ক, খ ও গ এই তিন শ্রেণিতে বিভক্ত করে “ক” ভুক্ত বিদ্যালয়গুলোকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিদর্শন কার্যক্রম শুরু করে যা অত্যন্ত ধীর গতির এবং অনেক সময় ক্ষেপন করা হয়েছে। ফলে সারাদেশে ৬৩ হাজার শিক্ষক ও কর্মচারী অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছে এবং প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে আমরা চরমভাবে বৈষম্যের স্বীকার হয়েছি স্বৈরাচার সরকারের মন্ত্রীদের ব্যাপক দুর্নীতির কারণে। আমরা বিশ্বাস করি আপনার হাত ধরেই প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলো স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্ত হবে। আমাদের দেশের প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা না খেয়ে থাকবে এবং প্রতিবন্ধী শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে এটা আমরা প্রত্যাশা করি না। আমরা বিশ্বাস করি আপনার হাত ধরেই এই বিদ্যালয়গুলো সফলতার পূর্ণতা অর্জন করবে। স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, চূড়ান্ত যাচাই-বাছাইকৃত ১৭৭২টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় স্বীকৃতি ও এমপিও এর নির্দেশনা প্রদান করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো হয়।
উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচীতে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ আতাউর রহমান সবুজ এর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের উপদেষ্টা মোঃ ইয়াকুব আলী এর সঞ্চালনায় সম্মানীত অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোঃ ইলিয়াস রাজ, সাধারন সম্পাদক রিমা খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক আকুল শেখ, মুখ্য সমন্বয়ক গাওসুল আযম শিমু। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ এনামুল হক, মোঃ শরিফুল ইসলাম স্বাধীন, শ্যামল কুমার প্রমুখ।

রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

মোঃ আশিকুর সরকার (রাব্বি) প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৭ পিএম
রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ডিলার নিয়োগে বৈষম্য ও অনিয়মের অভিযোগ এবং পুনরায় তদন্ত পূর্বক শতভাগ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় লটারির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে,অনিয়মের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পরা ব্যাক্তিদের সুকৌশলে ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা না হয়েও অনেকেই এই নিয়োগপ্রাপ্ত হন।নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য অনেক ব্যক্তিকে সুকৌশলে বাদ দিয়ে নিয়ম বহি:ভূর্ত বাহিরের অনেক কে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।ডিলার নিয়োগে এহেন বৈষম্যরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় তদন্ত সাপেক্ষে লটারির আহবান জানান বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

রোববার দুপুরে ১২:০০ টা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের মেইন গেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন,আব্দুল মোত্তালেব,আজিজুল ইসলাম,ফখরুল ইসলাম, রাজু ইসলাম, আহসান, সহিদুল ইসলাম,রোকেয়া বেগম,দৌলত হোসেন,আব্দুল লতিফ,সেকেন্দার আলী লিমন,হান্নান মিয়া আব্দুল লতিফ বাবলুসহ আরও অনেকে।

হরিপুরে পাটের জাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক

সিরাজুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৬ পিএম
হরিপুরে পাটের জাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে শুরু হয়েছে বিভিন্ন মাঠের পাট কাটা। তবে খালবিলে ও মাঠে পানি না থাকায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে সংকটে পড়েছেন চাষিরা। রাস্তার পাশে খাল ও পুকুরের পানি দিয়ে পাট জাগ দেওয়া শুরু হলেও আঁশের মান তেমন ভালো হচ্ছে না। এতেই বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

পাট চাষিরা জানান, হরিপুরে উপজেলায় দুটি বড় বিলের পাশে পানি না থাকার কারণে পাট পচানো সমস্যা হয়েছে । পানি সরাসরি বিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পাটের জাগ নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।

পাট চাষি মো. আবদুল মালেক ও সারোয়ার হোসেন বলেন খালবিলে, নদীনালায়, পুকুরে পানি নেই; পাট জাগ দেওয়ার জায়গাও নেই। এখন আমরা পাট নিয়ে সংকটে পড়েছি। এজন্য হরিপুর উপজেলায় পার্শ্ববর্তী বিলে আমরা পাট জাগ দিয়েছি।

সমির হোসেন নামে আরেকজন বলেন, বৃষ্টিতে পাটক্ষেতে অল্প পানি জমেছে, এতে পাটের গোড়া নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষেতে বেশি পানি হলে পাটের গোড়া পচন ধরত না। ক্ষেতের পাট ক্ষেতেই জাগ দেওয়া যেত। এখন পিকআপ ও ভ্যান ভাড়া করে পাট জাগ দিতে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

মিনাপুর গ্রামের সারোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের হরিপুর ইউনিয়নের মাঠে-ঘাটে কোথাও পানি নেই। পাট কেটে জাগ দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুবেল হুসেন জানান, এ বছর হরিপুরে ৪৭০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জায়গায় পাটের আবাদ হয়েছে। পানি না থাকায় পাটের জাগ দেওয়া নিয়ে সমস্যা পড়ছেন কৃষকরা। কেউ কেউ পুকুরে নদীতে পাটের জাগ দিচ্ছে।

সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৪ পিএম
সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে

”আমার সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে”
যখন আশেপাশে শুনি —
“এটা তো সময়ের ব্যাপার, একটু ধৈর্য ধরো”
“তুমি কেন এত ভাবছো? সব ঠিক হয়ে যাবে”
“এটা তো সম্পর্কের অংশ, মানিয়ে নিতে হবে”
তখন সেই শূন্যতা কোথায় যাবে?
হুরায়রা কনসালটেন্সি এমন একটা জায়গা,
যেখানে আপনি আপনার সম্পর্কের টানাপোড়েন খুলে বলতে পারেন,
কেউ আপনাকে ছোট করবে না,
কেউ আপনাকে দোষী মনে করবে না।
আমরা জানি, সম্পর্কের মাঝে এই অনিশ্চয়তা অনেক সময় ভয়াবহ হতে পারে,
আপনি একা নন,
আমি হুরায়রা শিশির এবং আমার টিম পাশে আছি।
চলুন, একসাথে চেষ্টা করি কিভাবে একটু একটু করে ভালো থাকা যায়।

error: Content is protected !!