রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

হৃদয় ছোঁয়া উপন্যাসের মতো বাস্তব গল্প

ভালোবাসার ছায়ায় বদর ভাই

এস, এম সালমান হৃদয় বগুড়াঃ প্রকাশিত: রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম | 164 বার পড়া হয়েছে
ভালোবাসার ছায়ায় বদর ভাই

ভালোবাসা—এটা শুধু একটি অনুভূতির নাম নয়, কখনো কখনো তা আশ্রয়, নির্ভরতা, এবং একজন মানুষের জীবনে আশীর্বাদের মতো এসে দাঁড়ায়। এমনই এক গল্প সালমান ও রেজভীর। দু’জন মানুষের প্রেম, বৈবাহিক জীবন এবং আশেপাশের মানুষদের নিঃস্বার্থ অবদানের এক নিখুঁত প্রতিচ্ছবি।

সালমান, একজন সৎ হৃদয়ের মানুষ, যিনি রেজভীকে পেয়ে পেয়েও মনে করেন—”আমি এখনো তার প্রতি সুবিচার করতে পারিনি।” একজন স্বামীর মতো রেজভীর যত্ন নেওয়াই ছিল তার দায়িত্ব, কিন্তু সে দায়বদ্ধতায় এখনও কিছুটা ঘাটতি থেকে গেছে বলে মনে করেন তিনি।

তবুও আশ্চর্যের বিষয়, রেজভীর পরিবার কখনোই তাকে দোষারোপ করেনি। বরং শাশুড়ি মা পিয়ারা বেগম তাকে আপন ছেলের মতো ভালোবেসেছেন, বড় বোন রুপালি আপা তাকে ছোট ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছেন। এমনকি স্বামী হারানো রুপালি আপার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও তিনি বলেন, “তুমি আমার ছোট ভাই, তোমার দিয়ে কাজ করাবো না।” এই আন্তরিকতার বন্ধনই যেন সালমানকে বারবার আবেগে আপ্লুত করে।

কিন্তু এই গল্পের আসল নায়ক হয়ে উঠেছেন এক মহান হৃদয়ের মানুষ — বদর ভাই, সৌদি আরব প্রবাসী, রেজভীর বড় আপা রুপালি আপার দেওর।

বদর ভাই ছিলেন রেজভীর জীবনের ছায়া। সালমান যখন রেজভীর পাশে দাঁড়াতে পারেননি, তখন বদর ভাই সেই শক্তির প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছেন। রেজভী দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়ে যখন নিঃসঙ্গ ও অসহায়, তখন বদর ভাই তার মাথার উপর ছায়া হয়ে থেকেছেন। তিনি শুধু রেজভী নয়, সালমানকেও পাশে পেয়েছেন ভালোবাসা ও সহানুভূতির ছায়াতলে।

তিনি যেন সেই পিতৃসুলভ অভিভাবক, যিনি সন্তানকে বুকে আগলে রাখেন। তার মহানুভবতা এতটাই প্রগাঢ় যে, শত দূরত্ব সত্ত্বেও সৌদি আরব থেকে নিয়মিত খোঁজখবর নিয়েছেন, পাশে থেকেছেন। এই দাম্পত্য জীবন শুরু হওয়ার পেছনে বদর ভাইয়ের অবদান অপরিসীম।

সালমান বলেন,
“আমি হয়তো একজন ব্যর্থ মানুষ, কিন্তু আমার ভালোবাসা রেজভীর প্রতি চিরন্তন। আজও আমি যাকে বুকে আগলে রেখেছি, সে আমার জীবনে এসেছে অনেক ত্যাগের পর। রেজভীকে পাওয়ার পেছনে যাদের অবদান, তাদের কাছে আমি আজীবন ঋণী।”

তিনি আরও বলেন,
“আমি প্রথমে রাজি ছিলাম না এই বিয়েতে। কিন্তু আমার মা, রেজভীকে এতটাই ভালোবেসে ফেলেছিল যে তার জিদেই এই সম্পর্ক গড়েছে। আজ আমি বুঝি, মায়ের সেই সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক ছিল।”

আজ রেজভী শুধু তার স্ত্রী নন, তার জীবনের সবচেয়ে বড় আশ্রয়। সেই আশ্রয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন বদর ভাই, শাশুড়ি মা, বড় আপা রুপালি, এবং পুরো পরিবার।

শেষ কথা:
এই গল্প কেবল প্রেমের নয় — কৃতজ্ঞতার, আত্মত্যাগের, বন্ধনের এবং পরিবার নামক এক মহা প্রতিষ্ঠানের। বদর ভাইয়ের মতো মানুষরা এই সমাজে বিরল, যাদের নিরব অবদানে তৈরি হয় ভালোবাসা ও সাহচর্যের এক অমলিন ইতিহাস।

রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

মোঃ আশিকুর সরকার (রাব্বি) প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৭ পিএম
রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ডিলার নিয়োগে বৈষম্য ও অনিয়মের অভিযোগ এবং পুনরায় তদন্ত পূর্বক শতভাগ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় লটারির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে,অনিয়মের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পরা ব্যাক্তিদের সুকৌশলে ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা না হয়েও অনেকেই এই নিয়োগপ্রাপ্ত হন।নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য অনেক ব্যক্তিকে সুকৌশলে বাদ দিয়ে নিয়ম বহি:ভূর্ত বাহিরের অনেক কে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।ডিলার নিয়োগে এহেন বৈষম্যরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় তদন্ত সাপেক্ষে লটারির আহবান জানান বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

রোববার দুপুরে ১২:০০ টা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের মেইন গেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন,আব্দুল মোত্তালেব,আজিজুল ইসলাম,ফখরুল ইসলাম, রাজু ইসলাম, আহসান, সহিদুল ইসলাম,রোকেয়া বেগম,দৌলত হোসেন,আব্দুল লতিফ,সেকেন্দার আলী লিমন,হান্নান মিয়া আব্দুল লতিফ বাবলুসহ আরও অনেকে।

হরিপুরে পাটের জাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক

সিরাজুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৬ পিএম
হরিপুরে পাটের জাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে শুরু হয়েছে বিভিন্ন মাঠের পাট কাটা। তবে খালবিলে ও মাঠে পানি না থাকায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে সংকটে পড়েছেন চাষিরা। রাস্তার পাশে খাল ও পুকুরের পানি দিয়ে পাট জাগ দেওয়া শুরু হলেও আঁশের মান তেমন ভালো হচ্ছে না। এতেই বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

পাট চাষিরা জানান, হরিপুরে উপজেলায় দুটি বড় বিলের পাশে পানি না থাকার কারণে পাট পচানো সমস্যা হয়েছে । পানি সরাসরি বিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পাটের জাগ নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।

পাট চাষি মো. আবদুল মালেক ও সারোয়ার হোসেন বলেন খালবিলে, নদীনালায়, পুকুরে পানি নেই; পাট জাগ দেওয়ার জায়গাও নেই। এখন আমরা পাট নিয়ে সংকটে পড়েছি। এজন্য হরিপুর উপজেলায় পার্শ্ববর্তী বিলে আমরা পাট জাগ দিয়েছি।

সমির হোসেন নামে আরেকজন বলেন, বৃষ্টিতে পাটক্ষেতে অল্প পানি জমেছে, এতে পাটের গোড়া নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষেতে বেশি পানি হলে পাটের গোড়া পচন ধরত না। ক্ষেতের পাট ক্ষেতেই জাগ দেওয়া যেত। এখন পিকআপ ও ভ্যান ভাড়া করে পাট জাগ দিতে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

মিনাপুর গ্রামের সারোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের হরিপুর ইউনিয়নের মাঠে-ঘাটে কোথাও পানি নেই। পাট কেটে জাগ দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুবেল হুসেন জানান, এ বছর হরিপুরে ৪৭০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জায়গায় পাটের আবাদ হয়েছে। পানি না থাকায় পাটের জাগ দেওয়া নিয়ে সমস্যা পড়ছেন কৃষকরা। কেউ কেউ পুকুরে নদীতে পাটের জাগ দিচ্ছে।

সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৪ পিএম
সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে

”আমার সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে”
যখন আশেপাশে শুনি —
“এটা তো সময়ের ব্যাপার, একটু ধৈর্য ধরো”
“তুমি কেন এত ভাবছো? সব ঠিক হয়ে যাবে”
“এটা তো সম্পর্কের অংশ, মানিয়ে নিতে হবে”
তখন সেই শূন্যতা কোথায় যাবে?
হুরায়রা কনসালটেন্সি এমন একটা জায়গা,
যেখানে আপনি আপনার সম্পর্কের টানাপোড়েন খুলে বলতে পারেন,
কেউ আপনাকে ছোট করবে না,
কেউ আপনাকে দোষী মনে করবে না।
আমরা জানি, সম্পর্কের মাঝে এই অনিশ্চয়তা অনেক সময় ভয়াবহ হতে পারে,
আপনি একা নন,
আমি হুরায়রা শিশির এবং আমার টিম পাশে আছি।
চলুন, একসাথে চেষ্টা করি কিভাবে একটু একটু করে ভালো থাকা যায়।

error: Content is protected !!