শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

হৃদয় ছোঁয়া উপন্যাসের মতো বাস্তব গল্প

ভালোবাসার ছায়ায় বদর ভাই

এস, এম সালমান হৃদয় বগুড়াঃ প্রকাশিত: রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম | 217 বার পড়া হয়েছে
ভালোবাসার ছায়ায় বদর ভাই

ভালোবাসা—এটা শুধু একটি অনুভূতির নাম নয়, কখনো কখনো তা আশ্রয়, নির্ভরতা, এবং একজন মানুষের জীবনে আশীর্বাদের মতো এসে দাঁড়ায়। এমনই এক গল্প সালমান ও রেজভীর। দু’জন মানুষের প্রেম, বৈবাহিক জীবন এবং আশেপাশের মানুষদের নিঃস্বার্থ অবদানের এক নিখুঁত প্রতিচ্ছবি।

সালমান, একজন সৎ হৃদয়ের মানুষ, যিনি রেজভীকে পেয়ে পেয়েও মনে করেন—”আমি এখনো তার প্রতি সুবিচার করতে পারিনি।” একজন স্বামীর মতো রেজভীর যত্ন নেওয়াই ছিল তার দায়িত্ব, কিন্তু সে দায়বদ্ধতায় এখনও কিছুটা ঘাটতি থেকে গেছে বলে মনে করেন তিনি।

তবুও আশ্চর্যের বিষয়, রেজভীর পরিবার কখনোই তাকে দোষারোপ করেনি। বরং শাশুড়ি মা পিয়ারা বেগম তাকে আপন ছেলের মতো ভালোবেসেছেন, বড় বোন রুপালি আপা তাকে ছোট ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছেন। এমনকি স্বামী হারানো রুপালি আপার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও তিনি বলেন, “তুমি আমার ছোট ভাই, তোমার দিয়ে কাজ করাবো না।” এই আন্তরিকতার বন্ধনই যেন সালমানকে বারবার আবেগে আপ্লুত করে।

কিন্তু এই গল্পের আসল নায়ক হয়ে উঠেছেন এক মহান হৃদয়ের মানুষ — বদর ভাই, সৌদি আরব প্রবাসী, রেজভীর বড় আপা রুপালি আপার দেওর।

বদর ভাই ছিলেন রেজভীর জীবনের ছায়া। সালমান যখন রেজভীর পাশে দাঁড়াতে পারেননি, তখন বদর ভাই সেই শক্তির প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছেন। রেজভী দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়ে যখন নিঃসঙ্গ ও অসহায়, তখন বদর ভাই তার মাথার উপর ছায়া হয়ে থেকেছেন। তিনি শুধু রেজভী নয়, সালমানকেও পাশে পেয়েছেন ভালোবাসা ও সহানুভূতির ছায়াতলে।

তিনি যেন সেই পিতৃসুলভ অভিভাবক, যিনি সন্তানকে বুকে আগলে রাখেন। তার মহানুভবতা এতটাই প্রগাঢ় যে, শত দূরত্ব সত্ত্বেও সৌদি আরব থেকে নিয়মিত খোঁজখবর নিয়েছেন, পাশে থেকেছেন। এই দাম্পত্য জীবন শুরু হওয়ার পেছনে বদর ভাইয়ের অবদান অপরিসীম।

সালমান বলেন,
“আমি হয়তো একজন ব্যর্থ মানুষ, কিন্তু আমার ভালোবাসা রেজভীর প্রতি চিরন্তন। আজও আমি যাকে বুকে আগলে রেখেছি, সে আমার জীবনে এসেছে অনেক ত্যাগের পর। রেজভীকে পাওয়ার পেছনে যাদের অবদান, তাদের কাছে আমি আজীবন ঋণী।”

তিনি আরও বলেন,
“আমি প্রথমে রাজি ছিলাম না এই বিয়েতে। কিন্তু আমার মা, রেজভীকে এতটাই ভালোবেসে ফেলেছিল যে তার জিদেই এই সম্পর্ক গড়েছে। আজ আমি বুঝি, মায়ের সেই সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক ছিল।”

আজ রেজভী শুধু তার স্ত্রী নন, তার জীবনের সবচেয়ে বড় আশ্রয়। সেই আশ্রয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন বদর ভাই, শাশুড়ি মা, বড় আপা রুপালি, এবং পুরো পরিবার।

শেষ কথা:
এই গল্প কেবল প্রেমের নয় — কৃতজ্ঞতার, আত্মত্যাগের, বন্ধনের এবং পরিবার নামক এক মহা প্রতিষ্ঠানের। বদর ভাইয়ের মতো মানুষরা এই সমাজে বিরল, যাদের নিরব অবদানে তৈরি হয় ভালোবাসা ও সাহচর্যের এক অমলিন ইতিহাস।

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।