বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

জুলাই স্মৃতি চারন নিয়ে পিপল টকের এম এ সিদ্দিক

এম এ সিদ্দিক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৪:৫৭ পিএম | 47 বার পড়া হয়েছে
জুলাই স্মৃতি চারন নিয়ে পিপল টকের এম এ সিদ্দিক

রক্তভেজা ইতিহাস- কবে বলতে পারবো আর এমন জুলাই আসবে না এই দেশে?

জুলাই এসেছে। এসেছে নতুন মাস, নতুন সূর্য, নতুন কর্মসূচি। কিন্তু এই জুলাই মানেই এখন আর ক্যালেন্ডারের একটা পাতা নয়-এটা হয়ে গেছে অগণিত পরিবারে রক্তে লেখা স্মৃতি।

এ মাসের পরিপ্রেক্ষিতে কেউ চাকরি পেয়েছে,কেউ রাজনৈতিক পদে পদায়ন হয়েছে, কেউবা উন্নয়নের নামে বুদ্ধি বিলাচ্ছে টিভির টকশোতে। কেউ হয়েছে উপদেষ্টা, কেউ হয়েছে পার্টির নেতা। সব ঠিকঠাকই চলছে…

কিন্তু আমার সেই ভাইটা? যে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলো, যে বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিলো একদিন মানুষ হবে, সে কি ফিরে এসেছে?

না।
সে ফিরেছে কফিনে মোড়া লাশ হয়ে।

কেউ ছিল পুলিশের চাকরিতে-পরিবার চালানোর দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে ডিউটিতে গিয়েছিল,ফিরেছে লাশ হয়ে, ইউনিফর্মে রক্ত মাখা দাগ নিয়ে।

কেউ ছিল ছাত্র-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়া এক তরুণ,যে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল বই হাতে, ফিরেছে রক্তাক্ত বস্তায় মোড়া মৃতদেহ হয়ে।

আবার এমন অনেকেই আছে-যাদের আজও কোনো খোঁজ নেই,মা-বাবা কান্না করে বলেন,
“আমার ছেলে বাঁচলো কি মরলো, শুধু একবার জানতে চাই।”

জুলাই,
বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন এক বর্বরতম মাস-যেখানে রক্ত ঝরেছে, লাশ পড়েছে, স্বজনেরা পেয়েছে শুধু নিরবতা আর নিঃস্বতা।

আজ আমরা অনেকেই বড় বড় কথা বলি, অথচ আমরা সেই রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম নিরাপদ বিছানায়।আর যারা রাজপথে ছিলো-
তারা কেউ কবরে, কেউ হাসপাতালে, কেউ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বসে আছে বাড়ির এক কোণে।

রাষ্ট্র এখনো কোনো দায় নেয়নি। কেউ বলে না-ভুল হয়েছিল, কেউ বলে না-আমরা ব্যর্থ হয়েছিলাম তাদের রক্ষা করতে।

আর যারা হারিয়েছে-তারা কিছুই ফিরে পায়নি।একজন মা এখনো প্রতিরাতে কান্না করেন অজান্তেই, একজন বাবা আজও পকেটে সন্তানের ছবি রাখেন,এক বোন এখনো ভাইয়ের প্রিয় জামাটা ভাঁজ করে রাখে,এক বন্ধু আজও হঠাৎ চুপ করে যায়-কারণ সে জানে, আর কখনো “দোস্ত” বলে ডাক দেবে কেউ না।

লাশ তো এসেছে ভাই,
কিন্তু ন্যায় আসেনি।
জানাজা হয়েছে,
কিন্তু বিচার হয়নি।

আমরা কি কেবল এই শহীদদের ব্যবহার করেছিলাম সময় পার করতে?আজ কে মনে রাখছে তাদের নাম? কে রেখেছে তাদের পরিবারের খোঁজ?

যে বাবা তার সন্তান হারালেন – স্ত্রী হয়েছেন বিধবা, নানান স্বপ্ন নিয়ে শুরু করা নতুন সংসার ভেঙে গেলো টুকরো টুকরো, দুনিয়া চলছে ঠিকই, কিন্তু সেই বেদনা কি ভোলা যায়? যে মা সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন বুনতেন, সে আজও রাতের অন্ধকারে প্রশ্ন করেন-আমার সন্তান কি ফিরে পাবো কোনোদিন?

রাজনৈতিক পালাবদল হবে?ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটবে?চেয়ারে নতুনরা বসবে। কিন্তু বারবার প্রশ্ন জাগে- এই দেশে আর কতবার জুলাই আসবে? আর কতবার রক্তে লাল হবে ইতিহাসের পাতা? আর কতবার মায়ের কান্না ভেসে যাবে বাতাসে?
কবে আমরা বলতে পারবো? আর এমন জুলাই আসবে না এই দেশে!

তারা কোনো অপরাধী ছিল না, তারা দেশের জন্য দাঁড়িয়েছিলো, তারা প্রশ্ন করেছিলো,আর তার জবাব ছিল গুলির আওয়াজ।

পীরগঞ্জ উপজেলার ৮নং দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আটক

মো: রেজাউল করিম (জেলা প্রতিনিধি) প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ১০:০৬ পিএম
পীরগঞ্জ উপজেলার ৮নং দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আটক

আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিক পোস্টার সাঁটানো এবং বিস্ফোরক মামলায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ৮নং দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সনাতন চন্দ্র রায় কে আটক করেছে পুলিশ।

১ জুলাই মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার পূর্ব হাজীপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।

পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম জানান, দৌলতপুর ইউনিয়নের বালুবাড়ি বাজার এলাকায় গোপনে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। এছাড়াও তিনি গত ৪ আগস্ট পীরগঞ্জ পূর্ব চৌরাস্তায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র জনতার ওপর হামলা, মারপিট ও ককটেল বিস্ফোরণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সনাতন চন্দ্র রায় কে আটক করা হলে পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মানবাধিকার মফস্বল সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ বগুড়া জেলা কমিটি ঘোষণ তাহের ব্যাপারী সভাপতি, সালমান হৃদয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ১০:০৩ পিএম
বাংলাদেশ মানবাধিকার মফস্বল সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ বগুড়া জেলা কমিটি ঘোষণ তাহের ব্যাপারী সভাপতি, সালমান হৃদয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত, ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ মানবাধিকার মফস্বল সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ (বিএমএমএসকেপি)-এর বগুড়া জেলা শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক নেতা আব্দুল মোমিন সংগঠনকে বগুড়া জেলায় আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করতে এ কমিটি ঘোষণা করেন।

নবঘোষিত ৪১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক পীরগাছা সংবাদ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক তাহের ব্যাপারী এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় দৈনিক সরেজমিন বার্তা-র বগুড়া জেলা প্রতিনিধি এস এম সালমান হৃদয়।

কমিটির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিতরা হলেন:

কার্যকরী সভাপতি: আব্দুল আলীম মাস্টার (সহকারী প্রধান শিক্ষক, ছাতিয়ানগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়) সিনিয়র সহ-সভাপতি: রেজাউল করিম,সহ-সভাপতি: মাহফুজার রহমান, আবু বাইজিদ পলাশ, আমিনুল ইসলাম,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: আব্দুল লতিফ,কোষাধ্যক্ষ: নুর রায়হান সরদার মন,সাংগঠনিক সম্পাদক: হাফিজুর রহমান

সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নবগঠিত কমিটির সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন, এ কমিটির নেতৃত্বে বগুড়া জেলায় মানবাধিকার ও সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ আরও গতিশীল হবে।

বিলাইছড়িতে রুপকুমার কার্বারীর প্রচেষ্টায় নির্মান হলো বিশ্রামাগার

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৭:৫১ পিএম
বিলাইছড়িতে রুপকুমার কার্বারীর প্রচেষ্টায় নির্মান হলো বিশ্রামাগার

বিলাইছড়ি (রাঙ্গামাটি)প্রতিনধি- বিলাইছড়িতে রুপকুমার কার্বারীর প্রচেষ্টায় এবং প্রশাসনের সহায়তায় ২ নং কেংড়াছড়ি ইউনিয়নে ৮ নং ওয়ার্ডে ভালাছড়ি মূখ পাড়ায় নির্মান করা হলো একটি  কাঠের তৈরি বিশ্রাগার/ ধর্মঘর।এতে সুবিধা হয়েছে বলে জানান স্থানীয়ও পথচারীরা।

সরেজমিনে দেখতে গেলে দেখা যায়,১২৭ নং কেরন ছড়ি মৌজার ভালাছড়ির কার্বারী মূখ পাড়ায়  মুক্ত পরিবেশে, ছায়াযুক্ত স্থানে, সিঁড়ির ঘাটে, মূল রাস্তার পাশে  নির্মাণ করা হয়। বিলাইছড়ি লঞ্চঘাট নতুবা নলছড়ি লঞ্চঘাট হতে পর্যটকরা মুপ্প্যাছড়া ঝর্ণায়  যাওয়ার পথে কিংবা ভালাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নকাটাছড়া, আজাছড়া,বাঙ্গালকাটা, পরিহলা মৌন, এমনকি জুরাছড়ি যাওয়ার সময় সেখান বিশ্রাম/ জিরানো  যাবে।

এতে রুপকুমার কার্বারী জানান, বিশ্রামাগারটি মূলতঃ আমরা ধর্মঘর বা জিরোনী হলা বলি।আগের দিনে এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় হেঁটে যেতে অনেক সময় লাগে। তাই রাস্তার  মাঝখানে এভাবে ঘর নির্মান করে রেস্ট করা হয়। সেখানে পথিকের জন্য পানি  ও অন্যান্য খাবার দাবারের ব্যবস্থা থাকে। পানি পান করাতে পারলে তারা / আমরা অনেক খুশি হই এবং অনেক পূণ্য হয় বলে মনে করা হয়। এজন্য সে আদলে এদিক থেকে যারা আসা- যাওয়া করে তীব্র গরমে, কালবৈশাখী ঝড়ে কিংবা প্রচন্ড শীতে  সকল সময়ে  তাদের জন্য এ জিরোনী হলা ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশে রয়েছে ডিপ টিউবওয়েলও।

error: Content is protected !!