রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

নওগাঁয় ইফতারে সবচেয়ে প্রিয় প্রসিদ্ধ পাতলা টক দই, এর মাঠা-ঘোল বিক্রি ধূম

উজ্জ্বল কুমার সরকারঃ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫, ১১:৪৮ এএম | 80 বার পড়া হয়েছে
নওগাঁয় ইফতারে সবচেয়ে প্রিয় প্রসিদ্ধ পাতলা টক দই, এর মাঠা-ঘোল বিক্রি ধূম

ইফতারে নওগাঁবাসীর সবচেয়ে প্রিয় অনুষঙ্গ টক দইয়ের মাঠা বা ঘোল। স্থানীয়দের কাছে ‘পাতলা দই’ নামে পরিচিত। রমজান এলেই চাহিদা তুঙ্গে থাকে এ পাতলা দইয়ের। সারা দিন রোজা রেখে দিন শেষে এক গ্লাস পাতলা দই তৃষ্ণার্ত রোজাদারদের মনে প্রশান্তি এনে দেয়।

বাসিন্দারা জানান, নওগাঁবাসীর কাছে পাতলা দই শুধু একটি পানীয় নয়, এটি তাঁদের সংস্কৃতির অংশ। যত ধরনের খাবারই থাকুক না কেন, ইফতারে এক গ্লাস ঠান্ডা পাতলা দই না হলে যেন তৃপ্তি আসে না।প্রতিবছরের মতো এবারও রমজানের শুরু থেকেই নওগাঁ শহরের ফুটপাত, অভিজাত রেস্তোরাঁ এবং প্রসিদ্ধ দই-মিষ্টির দোকানগুলোতে পাতলা দই বিক্রির ধুম পড়েছে। দুপুরের পর থেকেই মাটির হাঁড়িতে সাজিয়ে এই পানীয় বিক্রি শুরু হয়।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় শহরের বিভিন্ন মোড়ে, অলিগলিতে পাতলা দই বিক্রির ব্যস্ততা। মুক্তির মোড়, ব্রিজের মোড়, তাজের মোড়, সরিষাহাটির মোড়, গোস্তহাটির মোড়—সবখানেই দইয়ের হাঁড়ি সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। ইফতারের ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই ক্রেতাদের সারি পড়ে যায়।ক্রেতারা বলছেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ইফতারে পাতলা দই খেয়ে আসছেন। দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর এক গ্লাস ঠান্ডা দই শুধু প্রশান্তিই দেয় না, বরং শরীরের জন্যও উপকারী।

শহরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ফারুক হোসেন বলেন, ‘রমজানে আমাদের বাসায় ইফতারে পাতলা দই থাকতেই হবে। সারা দিন রোজা রাখার পর এটি পান করলে একধরনের প্রশান্তি আসে।’শিক্ষার্থী রিয়াদ হোসেন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ইফতারে পাতলা দই খেয়ে আসছি। অন্যান্য শরবতের চেয়ে এটি বেশি উপকারী মনে হয়। এবার দাম একটু বেশি হলেও স্বাদ আগের মতো।’

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই ধরনের মাটির হাঁড়িতে এই দই বিক্রি হয়। বড় হাঁড়ির দাম ২০০-২২০ টাকা এবং ছোট হাঁড়ির দাম ১৬০-১৮০ টাকা।

ব্রিজের মোড়ে দই বিক্রেতা আবদুল করিম বলেন, ‘প্রতিবছর রমজানে আমাদের দইয়ের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তবে এবার দুধের দাম বেশি হওয়ায় দাম বাড়াতে হয়েছে।’

শুধু শহর নয়, নওগাঁর বিভিন্ন গ্রামেও রমজানজুড়ে প্রতিদিন বিকেলে ফেরিওয়ালাদের হাঁকডাক শোনা যায়—‘পাতলা দই লাগবে? ঠান্ডা দই, সুস্বাদু দই’।

ফতেপুর এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের শৈশব থেকেই ইফতার মানেই পাতলা দই। এক যুগ আগেও দাম অনেক কম ছিল। এখন অনেক বেড়েছে।’

নওগাঁর ঐতিহ্যবাহী এই দইয়ের উৎপত্তি নিয়ে স্থানীয় প্রবীণ কবি জাহিদুর রহমান বলেন, ‘একসময় যেটা মাঠা নামে পরিচিত ছিল, এখন তা পাতলা দই নামে পরিচিত। ষাট-সত্তরের দশকে লিটন ব্রিজে মাঠার হাঁড়ি নিয়ে বসতেন ঘোষরা। গরমের দিনে মানুষ মাঠা খেতে হুমড়ি খেয়ে পড়ত। সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন এলেও, নওগাঁবাসীর পাতলা দইয়ের প্রতি ভালোবাসা এখনো অটুট; বিশেষ করে রোজায় চাহিদা বেড়ে যায়।’

চিকিৎসকদের মতে, পাতলা দই পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। নওগাঁর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কর্মরত মেডিকেল অফিসার আশীষ কুমার সরকার বলেন, পাতলা দইয়ে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

 

ঈশ্বরদীতে বাপ্পী’র তথাকথিত মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যে প্রনোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক এবং মানহানীকর সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মামুনুর রহমান,ঈশ্বরদী পাবনা প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৬:৩৫ পিএম
ঈশ্বরদীতে বাপ্পী’র তথাকথিত মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যে প্রনোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক এবং মানহানীকর সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আজ রবিবার (০৩ আগস্ট) সকালে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গত ১ আগস্ট ২০২৫ খ্রিঃ তারিখে ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটি মিলনায়তনে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে হামলা-মামলায় মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত হয়ে ফাঁসির মঞ্চ থেকে ফিরে আসা জাতীয় বীর এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী জননেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন আহমেদ মালিথা, এবং উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে জুবায়ের হোসেন বাপ্পী’র তথাকথিত মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যে প্রনোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক এবং মানহানীকর সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শামসুদ্দিন আহমেদ মালিথা। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পৌর যুবদলের আহবায়ক জাকির হোসেন জুয়েল।

চিলমারীতে জুয়ার আসর থেকে জামায়াত নেতা ও ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার- ১৪ 

রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৬:৩২ পিএম
চিলমারীতে জুয়ার আসর থেকে জামায়াত নেতা ও ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার- ১৪ 

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নে জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও জামায়াতের ইউনিয়ন সভাপতিসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২ আগস্ট) গভীর রাতে ঢুষমারা থানা পুলিশের একটি বিশেষ দল এ অভিযান পরিচালনা করে।

ঢুষমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নয়ারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ খাউরিয়া এলাকার আবু বক্করের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে জুয়া খেলার সময় ১৪ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। অভিযানে জুয়ার বিভিন্ন সরঞ্জাম এবং নগদ ৩৯ হাজার ৯২০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন নয়ারহাট ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি সানোয়ার হোসেন (২৮), আবু বকর (৫২), কোরবান আলী (৪৬), আব্দুল মালেক (৪০), কাবেল (৪০), শওকত (৪০), আলমগীর (৪০), মহিলার (৪৫), মোনছের আলী (৩৫), জাবেদ আলী (৪০), তারা মিয়া (৩৭), আবু বকর (৪০), মাইনুল (২৭) ও সুমন (২৬)। তারা সকলেই ঢুষমারা থানার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

ওসি মতিয়ার রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের রোববার (৩ আগস্ট) সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মাদক, জুয়া ও অন্যান্য অপরাধ দমনে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে, চিলমারী উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ফজলুল হক মিঠুন বলেন, “দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী বা খারাপ কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে নতুন নেতৃত্ব গঠন করা হবে।

রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

মোঃ আশিকুর সরকার (রাব্বি) প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৭ পিএম
রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ডিলার নিয়োগে বৈষম্য ও অনিয়মের অভিযোগ এবং পুনরায় তদন্ত পূর্বক শতভাগ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় লটারির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে,অনিয়মের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পরা ব্যাক্তিদের সুকৌশলে ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা না হয়েও অনেকেই এই নিয়োগপ্রাপ্ত হন।নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য অনেক ব্যক্তিকে সুকৌশলে বাদ দিয়ে নিয়ম বহি:ভূর্ত বাহিরের অনেক কে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।ডিলার নিয়োগে এহেন বৈষম্যরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় তদন্ত সাপেক্ষে লটারির আহবান জানান বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

রোববার দুপুরে ১২:০০ টা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের মেইন গেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন,আব্দুল মোত্তালেব,আজিজুল ইসলাম,ফখরুল ইসলাম, রাজু ইসলাম, আহসান, সহিদুল ইসলাম,রোকেয়া বেগম,দৌলত হোসেন,আব্দুল লতিফ,সেকেন্দার আলী লিমন,হান্নান মিয়া আব্দুল লতিফ বাবলুসহ আরও অনেকে।

error: Content is protected !!