শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২
শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

মূর্খদের সম্পদ–তর্ক

রাজিবুল করিম রোমিও প্রকাশিত: বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:০২ পিএম | 159 বার পড়া হয়েছে
মূর্খদের সম্পদ–তর্ক

তর্ক মূলত মূর্খদের সম্পদ। আর তর্কের সবচেয়ে বড় শক্তি উচ্চ কন্ঠস্বর। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য যাদের রয়েছে উচ্চকন্ঠ এবং প্রচুর গালাগালি ও অপবাদ দেয়ার ক্ষমতা, তারাই তর্কে নিশ্চিত বিজয়ী। তাই যুক্তিহীন তর্ককে ঝগড়া বলা যায়।
হুমায়ূন আহমেদ তার “দেয়াল” উপন্যাসে বিষয়টি চমৎকার ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেছেন, “মূর্খদের সাথে কখনও তর্ক করতে যাবে না। কারণ হলো, মূর্খরা তোমাকে, তাদের পর্যায়ে নামিয়ে নিয়ে এসে, তর্কে’ হারিয়ে দিবে।”
হ্যাঁ, মূর্খদের সাথে তর্কে আপনি নিশ্চিত পরাজিত হবেন, কারণ শিক্ষা ও রুচি ঝগড়াটে হতে দেয়নি আপনাকে। আপনার দ্বারা চিৎকার চেচামেচি করা সম্ভব না, গালাগালিতো নয়ই। সুতরাং তর্কে আপনি নিশ্চিত হারবেন, তবে যুক্তিতে নয়।
তর্ক মূলত দুই শ্রেণির মানুষ করেন। এক অশিক্ষিত, যার নাম হলো “ঝগড়া”। দুই শিক্ষিত, যার নাম “সুবিধাবাদ” দু’টো শ্রেণিই মূর্খ, তবে তৃতীয় আর এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা সদ্য জাতে উঠেছেন, যার নাম “অহংকার”।
মহান আল্লাহতালা বলেছেন: রহমান-এর (আল্লাহর) বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং তাদের সাথে যখন মূর্খরা কথা বলতে থাকে, তখন তারা বলে, সালাম। (সালাম বলার অর্থ: মুখ ফিরিয়ে নেওয়া ও তর্ক-বিতর্ক ছেড়ে দেওয়া) (সূরা ফুরকান, আয়াত ৬৩)
জ্ঞানী যদি মূর্খের মোকাবিলায় পড়ে তবে তার (মূর্খের) নিকট থেকে সম্মানের আশা করা ঠিক নয়। আর কোন মূর্খ যদি জ্ঞানী লোকের মোকাবিলায় জিতে যায়, তবে আশ্চর্যের কিছু নয়। কারণ, পাথরের আঘাতে মুক্তার বিনাশ সহজেই হয়ে থাকে। (শেখ সা’দী)
সুতরং তর্কের প্রয়োজন কতটুকু? যদি না তা মানুষের চিন্তার প্রতিফলন ঘটায়। অন্যথায় তা মানুষের সময় এবং সাধ্যের নিদারুণ অপচয় ছাড়া আর কিছু দিতে পারেনা।
একবার গাধা এবং শিয়াল বনের মাঝে ঝগড়া শুরু করলো।
গাধা: ঘাসের রং হলুদ!
শিয়াল: না,ঘাস সবুজ!
যখন এই বিতর্ক চরম আকার ধারণ করলো তখন তারা বিচারের জন্য বনের রাজা সিংহের কাছে গেলো। সিংহ শিয়ালকে পূর্ণ একমাস বন্দি রাখার এবং গাধাকে মুক্তি দেয়ার আদেশ দিলো।
শিয়াল সিংহকে প্রশ্ন করলো: এটা কি ধরণের ন্যায়বিচার, মহারাজ? ঘাস কি সবুজ নয়?
সিংহ উত্তর দিলো: ঘাস অবশ্যই সবুজ, কিন্তু আমি তোকে বন্দি রাখার আদেশ করেছি, কারণ তুই ‘গাধা’র সাথে তর্ক করেছিস।
এটি রুশ দেশের একটি কাল্পনিক গল্প।
সুতরাং সবার সাথে তর্ক করা উচিত নয়।

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

২২ দিনের মাথায় শিবচর থানার ওসি ক্লোজড

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ১:০৫ পিএম
২২ দিনের মাথায় শিবচর থানার ওসি ক্লোজড

মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহার আলীকে ক্লোজড করা হয়েছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. নাঈমুল হাছান।

যোগদানের মাত্র ২২ দিন পর, শুক্রবার (১ আগস্ট) তাকে শিবচর থানা থেকে প্রত্যাহার করে মাদারীপুর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

জানা গেছে, আজহার আলী সুমন গত ৯ জুলাই শিবচর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মাত্র ২২ দিন পর, শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে শুক্রবার তাকে ক্লোজড করে মাদারীপুর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

তবে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কী অভিযোগ রয়েছে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। থানা সূত্রে জানা গেছে, জনস্বার্থে তাকে শিবচর থানা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে তার বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনকালেই বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের একাধিক অভিযোগ উঠেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।

মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. নাঈমুল হাছান বলেন, প্রশাসনিক কারণে শিবচর থানার ওসিকে ক্লোজড করা হয়েছে।

তৃণমূলের গর্ব

আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠের সৈনিক মোঃ ইউসুফ আলী

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ১:০৪ পিএম
আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠের সৈনিক মোঃ ইউসুফ আলী

রাজনীতির মূল ভিত্তি যেখানে আদর্শ, ত্যাগ, সাহসিকতা ও জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক—সেই মূল্যবোধের বাস্তব উদাহরণ হলেন মোঃ ইউসুফ আলী। বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার জামগ্রাম ইউনিয়নের মানুষ তাঁকে চেনেন একজন সাহসী, নির্ভীক ও আদর্শবান নেতার পরিচয়ে। তিনি বর্তমানে জামগ্রাম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হিসেবে অত্যন্ত সফলভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। কিন্তু এ পথচলা শুরু হয়েছিল ছাত্র রাজনীতি থেকে—তিনি ছিলেন একজন তুখোড় ও সচেতন সাবেক ছাত্রনেতা।

ছাত্রজীবনেই জাতীয়তাবাদী দর্শনে অনুপ্রাণিত হয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং জনাব তারেক রহমানের আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হন মোঃ ইউসুফ আলী। ছাত্রাবস্থা থেকেই সাহস, বুদ্ধিমত্তা ও সংগঠনের প্রতি আন্তরিকতা দিয়ে নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর রাজনীতি কখনো ক্ষমতা কিংবা সুবিধার জন্য নয়—বরং আদর্শ, ত্যাগ ও সংগ্রামের পথে চলাই তাঁর মূল চালিকাশক্তি।

বর্তমানে তিনি শুধুমাত্র জামগ্রাম ইউনিয়ন পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নন—বগুড়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোশারফ হোসেনের একজন একনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত কর্মী হিসেবেও সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। উল্লেখ্য, মোশারফ হোসেন বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও এই এলাকার মাটি ও মানুষের নির্ভরতার নাম।

মোঃ ইউসুফ আলী সেই সময়ও মাঠে ছিলেন, যখন বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর একের পর এক মিথ্যা মামলা, হামলা, গ্রেফতার, নির্যাতন ও হুমকি চলছিল। দলের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে তিনি কখনও ভয় পাননি, পিছু হটেননি। স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে বহু নেতা-কর্মী যখন আত্মগোপনে, তখন তিনি বুক চিতিয়ে জামগ্রাম বাজারে আওয়ামী লীগের প্রভাবের সামনে থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। রাজনৈতিক সহিংসতার মধ্যেও মাঠে থেকে কর্মীদের পাশে থেকেছেন, দলীয় কর্মসূচি পালন করেছেন, এবং নেতাকর্মীদের মনোবল ধরে রাখতে নিরন্তর কাজ করে গেছেন।

তাঁর এই নির্ভীকতা, নিষ্ঠা ও আদর্শিক অবস্থান জামগ্রামের প্রতিটি ওয়ার্ডে তাঁকে তৃণমূলের অকৃত্রিম ভালোবাসায় সিক্ত করেছে। তিনি নেতা হিসেবে এমনই একজন যাঁর দরজা সব কর্মীর জন্য খোলা। কোনো পদ-পদবি তাঁর ব্যক্তিত্বকে বদলাতে পারেনি, বরং দায়িত্বের গভীরতা তাঁকে আরও মানবিক ও সংগঠক করে তুলেছে।

তৃণমূলের কর্মীদের একটাই চাওয়া—এমন পরিশ্রমী, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকে এবার জামগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের নেতৃত্বে আনা হোক। কারণ তাঁর মধ্যে আছে ছাত্ররাজনীতি থেকে সংগঠন পরিচালনা পর্যন্ত দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, ত্যাগের বাস্তব নজির, সাংগঠনিক দূরদৃষ্টি এবং নেতৃত্বের দৃঢ়তা। কর্মীরা মনে করে, মোঃ ইউসুফ আলীর নেতৃত্বেই জামগ্রাম ইউনিয়নের যুবদল আরও সংগঠিত, গতিশীল ও কর্মক্ষম হয়ে উঠবে।

শুধু দলীয় নয়—মোঃ ইউসুফ আলী সাধারণ মানুষের সাথেও নিবিড় যোগাযোগ ও সম্পর্ক বজায় রাখেন। প্রতিটি আন্দোলন, প্রতিটি সংকটে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার কথায়,

“দল যদি আমাকে দায়িত্ব দেয়, আমি এই ইউনিয়নের প্রতিটি যুবককে জাতীয়তাবাদী চেতনায় সংগঠিত করে একটি শক্তিশালী ইউনিয়ন যুবদল গড়ে তুলব।”

তার এই আত্মবিশ্বাস ও আন্তরিকতাই আজ তাঁকে নেতা হিসেবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মুখে পরিণত করেছে।

শেষ কথা:
রাজনীতিতে জনপ্রিয়তা কিংবা উচ্চপদে থাকা নয়, একজন নেতা যখন মাঠের কর্মীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করেন—তখনই তিনি হয়ে ওঠেন তৃণমূলের আসল গর্ব। মোঃ ইউসুফ আলী সেই গর্বের নাম, সেই নেতৃত্বের প্রতীক—যিনি আদর্শকে জীবনের দর্শনে রূপ দিয়েছেন।

মোঃ ফরহাদুল ইসলাম জুয়েল

আবার একটা যুদ্ধ হবে

মোঃ ফরহাদুল ইসলাম জুয়েল প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ১:০২ পিএম
আবার একটা যুদ্ধ হবে

আমজনতা পাইয়া গেছে বছর শেষে ফলাফল
‎জনগনের পয়সা মেরে শীতল গাড়িতে চলাচল,
‎আসল কথা কেউ বলে না নকল নিয়া হুলুস্থুল
‎উচিৎ কথা বলতে গেলে সেথা লাগে গন্ডগোল।

‎ক্ষমতার ওই চেয়ার পেতে হয়ে গেছে মরিয়া
‎তাদের শুধু চেয়ারটা চাই হাতে পায়ে ধরিয়া,
‎চান্দাবাজি ধান্ধাবাজি বাদ দিবো না কোনদিন
‎মরছে যারা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা চিরদিন।

‎লাশের উপর দাঁড়িয়ে ভাষণ দেয় ওই আমলা
‎সিঙারা আর বিড়ি খাইয়া হাততালি দেয় কামলা,
‎নেতারা তো আশ্বাস দিয়া ঘুমান গিয়া শান্তিতে
‎কর্মী যারা তারা থাকেন রাস্তার পাশে ক্লান্তিতে।

‎লেখা পড়া ছাইড়া দিছে উঠতি বয়েসি পোলাপান
‎সারাদিন-ই দিয়া বেড়ায় সংস্কার চাই স্লোগান,
‎কি চায় তারা বুঝতে গেলে বিপদ আরো বাড়ে
‎স্বৈরাচারী দালাল বলে সবাই মিলে মারে।

‎গেছে যারা তারা নিছে হাজার কোটি অর্থ
‎আমরা যদি না নেই তবে এই কমিটি ব্যর্থ,
‎ছেলের নামে বাবা এখন দখল বাজির গুরু
‎ঘুমিয়ে আছে আইন প্রশাসন খেলা কেবল শুরু।

‎পিয়ন গুলো’ও কম যায়না কথা কয় না কমে
‎এক’শো কোটি নগদ গুনে প্রতি দমে দমে,
‎কয়েক মাসে নিয়ে গেছে হাজার কোটি টাকা
‎জনগনের কর্ম সাড়া বাজারের ব্যাগ ফাঁকা।

‎গুরুজন সব বুদ্ধি বেইচা নিঃস্ব হয়ে বাঁচে
‎পোলাপানের পিছে এখন লেজ নাড়িয়ে নাচে,
‎আবার একটা যুদ্ধ হবে বুঝবি সেদিন তোরা
‎অপরাধের প্রাসাদ সেদিন ভেঙে হবে গুঁড়া।

error: Content is protected !!