যশোর বোর্ডে পাসের হার ৬৪.২৯ শতাংশ
চলতি বছর যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৬৪.২৯ শতাংশ। ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বোর্ডের কনফারেন্স কক্ষে বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্র্জিনা আক্তার এই ফল প্রকাশ করেন। এ সময় বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. বিশ্বাস শাহিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। এ বছর যশোর বোর্ডে পাসের হার ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। গত বছর ২০২৩ সালে যশোর বোর্ডে পাসের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছর এ বোর্ডে পাসের হার কম। এবারের পরীক্ষায় মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৫১১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন এবং ৭৮ হাজার ৭৬৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এর মধ্যে বোর্ডটিতে ৪২ হাজার ৫১৭ জন ছাত্রী এবং ৩৬ হাজার ২৪৭ জন ছাত্র পাস করেছে।জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ হাজার ৭৪৯ জন। তার মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৬৬৫ জন ছাত্রী এবং ৪ হাজার ৮৪ জন ছাত্র। পাসের হার ও জিপিএ-৫ অর্জন উভয় ক্ষেত্রেই ছাত্রীরা এগিয়ে রয়েছে। গত বছর ২০২৩ সালে জিপিএ ৫ এর সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৯৬২। অকৃতকার্য হয়েছেন ৪৩ হাজার ৭৪৭ জন শিক্ষার্থী।
এ বছর যশোর বোর্ডে ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস করেছে। শতভাগ ফেলের তালিকায় রয়েছে ৭টি প্রতিষ্ঠান।
বোর্ডের আওতায় ১০ জেলায় ৫৭৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২৩০টি কেন্দ্র এক লাখ ২২ হাজার ৫১১জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ছাত্রী ছিল ৬১ হাজার ৩৮৪ জন এবং ছাত্র ছিল ৬১ হাজার ১২৭ জন। পাসের হার ভিত্তিক অবস্থানে যশোর জেলা প্রথম, পাসের হার ৭২ দশমিক ৮৪ শতাংশ। ২য় অবস্থানে রয়েছে খুলনা, পাসের হার ৭১ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং সাতক্ষীরা জেলা ৩য় অবস্থানে, পাসের হার ৭০ দশমিক ১১ শতাংশ। সংবাদ সম্মেলনে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তার বলেন, ২০২০-২১ সালে করোনাকালে প্রায় দেড় বছর অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম চলমান ছিল। এ সময়টাতে ইংরেজিতে একটু লার্নিং গ্যাপ রয়ে গিয়েছে। যার ফলে ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করতে পারেনি। তবে এ বছর জিপিএ ৫ এ তারা এগিয়ে রয়েছে।