বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২

২১ বছরেও শেষ হয়নি বালু নদীর সেতু নির্মাণ কাজ

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪, ১:৩৩ পিএম | 120 বার পড়া হয়েছে
২১ বছরেও শেষ হয়নি বালু নদীর সেতু নির্মাণ কাজ

ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সিমানাবর্তী রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া-নগরপাড়া এলাকার বালু নদীর সেতুর নির্মাণ কাজ ২১ বছরেও শেষ হয়নি। বহু প্রতীক্ষিত ও প্রত্যাশিত বালু ব্রিজ নামে পরিচিত এ সেতু ২০০৩সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তখন ৭৫ দশমিক ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যরে এ সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৫কোটি ৮০ লাখ টাকা। সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার দাবিতে এলাকাবাসী বিভিন্ন সময়ে সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ, মানববন্ধন, সড়ক অবরোধসহ নানা ধরণের কর্মসূচি পালন করেছে। কিন্তু কোন সুফল হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বালু নদীর সেতুর দু’টি পিয়ার, দু’টি পিয়ারের কলম, ক্যাপ, একপাশে উইংওয়াল ও এবার্টমেন্ট দেয়াল দাঁড়িয়ে আছে। সেতুর সংযোগ সড়কের বেহাল দশা। ওই সড়কের সলিং করা ইট উঠে গেছে। ব্যবহৃত রড মরিচিকায় ধরেছে।
বালু সেতু নির্মাণ হলে এলাকার মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যেতো। খুলে যেতো সম্ভাবনার দুয়ার। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার সেতুবন্ধন তৈরি হতো। কমে যেতো রাজধানী ঢাকার যানজট আর দুরত্ব। একটি মাত্র সেতুর জন্য রূপগঞ্জসহ আশপাশের লাখো মানুষকে ১২/১৩ কিলোমিটার পথ ঘুরে রাজধানী ঢাকায় যেতে হয়। অথচ এ সেতুটি হলে মাত্র ২০ মিনিটে বাসিন্দারা ঢাকায় যেতে পারবে। সেতুটি নিয়ে দু’দফায় টেন্ডারও হয়েছে। সেতুটিকে ঘিরে লাখো মানুষ বুক ভরা আশা আর স্বপ্ন নিয়ে আছেন।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ(সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের অধীনে মাঝিনা-কায়েতপাড়া-ত্রিমোহনী সড়কের বালু নদীর উপর সেতুর নির্মাণের দরপত্র ২০০১সালে আহবান করা হয়। সেতু নির্মাণে মেসার্স ইষ্টার্ণ ট্রেডার্স লিমিটেড দায়িত্ব পায়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত¡াবধানে এক বছরের মধ্যে সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিলো।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইষ্টার্ণ ট্রেডার্স লিমিটেডের মালিক জাহিদ হোসেন বলেন, সেতু নির্মাণে ২০০৪-২০০৫ অর্থবছরে মাত্র ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর আর কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। টাকাও উত্তোলন করা যায়নি। সিডিউল অনুযায়ী সিমেন্ট, রড, বালি, পাথরসহ নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় একপর্যায়ে নির্মাণ কাজে স্থবিরতা নেমে আসে। এরকম নানা প্রতিক‚লতায় বালু সেতু নির্মাণ কাজ ২১বছরেও শেষ হয়নি। বর্তমানে বালু সেতুর দু’টি পিয়ার, পিয়ার কলম, একদিকের এবার্টমেন্ট ও উইংওয়াল নির্মাণের পর সেতুর নির্মাণ কাজ থমকে যায়।
২০২১সালে অসমাপ্ত বালু সেতু নির্মাণে দ্বিতীয় দফায় দরপত্র আহবান করা হয়। এসময় নতুন করে বরাদ্দ দেওয়া হয় প্রায় ১৩ কোটি টাকা। তখন মেসার্স ইউনুস এন্ড বাদ্রার্স এবং মেসার্স সরদার এন্টারপ্রাইজ (জেভি) সেতু নির্মাণের কাজ পায়। সে অনুযায়ী ২০২১সালের মে মাসে কাজ শুরু করার কথাও ছিলো। অজ্ঞাত কারনে দ্বিতীয় দফায় সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
বিভিন্ন সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা এ সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রæতিও দিয়েছিলেন। বালু নদীর রূপগঞ্জ অংশের চনপাড়া, ইউসুফগঞ্জ ও ভোলানাথপুরে তিনটি সেতু নির্মাণ করা হলেও এ সেতুটির ভাগ্যে বইছে বঞ্চনা।
বালু সেতুটি নির্মাণ হলে রূপগঞ্জসহ রাজধানী ঢাকার উপকন্ঠের খিলগাও, সবুজবাগ, ডেমরা ও আশপাশের কয়েক লাখ মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাবে। খুলে যাবে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। তৈরি হবে নতুন নতুন শিল্পকারখানা ও গার্মেন্টস শিল্প। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের। সেতুটি নির্মিত হলে কাঁচপুর ও সুলতানা কামাল সেতুর যানজট কমে যাবে। দেশের উত্তরাঞ্চল সিলেট, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদীসহ ১০ জেলার যানবাহন অতি সহজে ভুলতা দিয়ে কায়েতপাড়া হয়ে রাজধানী রামপুরায় প্রবেশ করতে পারবে।
নগরপাড়া গ্রামের রাসেল আহম্মেদ বলেন, বাপ-দাদার কাছে শুনে আসছি, বালু সেতু নির্মাণ হবে। সেতু নির্মাণ হলে রূপগঞ্জের অর্ধশতাধিক গ্রামের কৃষক ঢাকায় তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য সরাসরি ঢাকায় বিক্রি করতে পারবেন। তারা লাভবান হবে। কিন্তু নানা প্রতিক‚লতায় সেতু নির্মাণ কাজ আজও শেষ হয়নি।
নগরপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, কত সরকার আইলো-গেলো, আমাগো স্বপ্ন পূরণ অইলো না। বালু সেতু কবে নির্মাণ হবে, তা কেউ বলতেও পারে না।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) শাহানা ফেরদৌস বলেন, কায়েতপাড়া-নগরপাড়া এলাকার বালু নদীর সেতু নির্মাণ খুবই জরুরি। শিগগিরই সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

দিল্লীর ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণে,এন আই এ তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের

কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:২০ পিএম
দিল্লীর ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণে,এন আই এ তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের

 

গতকাল রাতে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণে প্রায় আটজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং ছয়জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।এই ঘটনার পর কেন্দ্রীয় সরকার এন আই এ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে অন্যান্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্টদের কে কাজে লাগিয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।এই ঘটনার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাস্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ এবং ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এর নেতা শ্রী রাহুল গান্ধী ও পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,আর জে ডি নেতা শ্রী তেজস্বী যাদব ও এস পি নেতা অখিলেশ যাদব সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ কড়া নিন্দা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে দিল্লীর লালকেল্লা এলাকায় গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় যুক্ত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তবে এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত রয়েছে এখনো পর্যন্ত পস্ট নয়। তবে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হয়েছে।এই ঘটনার পর গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এখনো পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সবধরনের সহযোগিতা কামনা করেছেন কেন্দ্রীয় সরকার।

নিয়ামতপুরে ইটভাটা চালু রাখার দাবিতে মালিক-শ্রমিকের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

মিলন হোসেন (নওগাঁ প্রতিনিধি) প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:১৮ পিএম
নিয়ামতপুরে ইটভাটা চালু রাখার দাবিতে মালিক-শ্রমিকের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

নওগাঁর নিয়ামতপুরে ইটভাটা চালু রাখার দাবিতে মালিক ও শ্রমিকদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‎‎বুধবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় উপজেলা চত্বর এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
‎‎মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে হাজারো শ্রমিকের জীবিকা বিপন্ন হবে। গ্রামীণ অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি ইটভাটা শিল্প এটি বন্ধ হয়ে গেলে বহু পরিবার কর্মহীন হয়ে পড়বে। সরকার যদি যথাসময়ে অনুমোদন না দেয়, তাহলে শ্রমজীবী মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়বে।
‎‎মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দেশ বিকস্ ইটভাটার মালিক মোসাদ্দেক হোসেন, স্টার হাওয়া ইটভাটার মালিক মদিন, আঁখি ব্রিকসের মালিক আঞ্জুমান পাভেল, তিন ভাই ব্রিকসের মালিক রেজাউল ইসলামসহ শ্রমিকবৃন্দ ।
‎‎বক্তারা দ্রুত ইটভাটা চালুর অনুমোদন প্রদানের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন, যাতে শীত মৌসুমে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে শ্রমিকরা আবারও জীবিকার চাকা ঘুরাতে পারেন।

লালমনিরহাটে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা নারায়ণ চন্দ্র রায় গ্রেফতার

চয়ন কুমার রায় লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:১৩ পিএম
লালমনিরহাটে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা নারায়ণ চন্দ্র রায় গ্রেফতার

 

লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের কলেজ ছাত্রলীগ নেতা নারায়ণ চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।

বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজপুর ইউনিয়নের নিজ এলাকার বাজারে বাবার কীটনাশক দোকান থেকে তাকে আটক করা হয়।

গ্রেফতার হওয়া নারায়ণ চন্দ্র রায় মতিলান চন্দ্র রায়ের ছেলে। তিনি লালমনিরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে। ছাত্র রাজনীতি ও স্থানীয় পর্যায়ে তিনি পরিচিত মুখ।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাট সদর থানার একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। তবে কোন অভিযোগ বা মামলার ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে, এ বিষয়ে পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।