শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২

মানবাধিকার সুরক্ষা ও বিরোধ নিষ্পত্তি: ন্যায়ভিত্তিক সমাজের পথে বাংলাদেশ — আহসান হাবীব রোমিও’র নেতৃত্বে মানবাধিকার সংগঠনের নতুন দিগন্ত

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৩৯ এএম | 42 বার পড়া হয়েছে
মানবাধিকার সুরক্ষা ও বিরোধ নিষ্পত্তি: ন্যায়ভিত্তিক সমাজের পথে বাংলাদেশ — আহসান হাবীব রোমিও’র নেতৃত্বে মানবাধিকার সংগঠনের নতুন দিগন্ত

 

বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মন, নিজস্ব প্রতিবেদক:

মানবাধিকার—এটি শুধু একটি শব্দ নয়, এটি মানুষের জন্মগত অধিকার; যা তার স্বাধীনতা, মর্যাদা ও নিরাপত্তার প্রতীক। সমাজে যখন অন্যায়, নির্যাতন, বৈষম্য ও ক্ষমতার অপব্যবহার বেড়ে যায়, তখন মানবাধিকার রক্ষা ও বিরোধ নিষ্পত্তি হয়ে ওঠে সময়ের অপরিহার্য দাবি।

বাংলাদেশে সমাজের বিভিন্ন স্তরে—পরিবার থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত—প্রতিদিন নানা ধরনের বিরোধ, সংঘাত ও অবিচারের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ, নারী, শিশু, শ্রমজীবী ও প্রান্তিক জনগণ। তাদের ন্যায়বিচার ও মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন শক্তিশালী মানবাধিকার সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং কার্যকর বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া।

মানবাধিকার সুরক্ষা মানে হলো—প্রত্যেক নাগরিকের জীবন, স্বাধীনতা, মতপ্রকাশ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তার অধিকার নিশ্চিত করা। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব হলো নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা।

কিন্তু বাস্তবে অনেক সময় ন্যায়বিচার অধরাই থেকে যায়, যার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মানবাধিকার ও আইনি সহায়তা প্রতিষ্ঠান মানুষকে সচেতন করা, অভিযোগ গ্রহণ, তদন্ত, আইনি পরামর্শ ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে কাজ করছে—যা সমাজে ন্যায়ের আলো ছড়াতে সহায়ক হচ্ছে।

একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে বিরোধ নিষ্পত্তি (Dispute Resolution) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনই সমাজে দেখা দেয় ছোট-বড় নানা বিবাদ—যেমন পারিবারিক বিরোধ, শ্রমিক-মালিকের দ্বন্দ্ব, জমি-সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ বা সামাজিক সংঘাত।

এসব বিরোধ সময়মতো সমাধান না হলে তা বড় সংঘাতে রূপ নেয়। এজন্যই বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (Alternative Dispute Resolution – ADR) আজ বিশ্বজুড়ে একটি কার্যকর ও মানবিক পদ্ধতি হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় আদালতের বাইরে আলোচনা, সালিশ ও সমঝোতার মাধ্যমে ন্যায়সংগত সমাধান আনা হয়—যা দ্রুত, সাশ্রয়ী ও মানবিক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মানবাধিকার রক্ষা ও বিরোধ নিষ্পত্তির কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য নিচের পদক্ষেপগুলো জরুরি—

1️⃣ অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্ত ব্যবস্থা গঠন: মানুষ যেন ভয় ছাড়াই নিজের অভিযোগ জানাতে পারে, সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে।
2️⃣ বিনামূল্যে আইনি সহায়তা কেন্দ্র: অসহায় মানুষের জন্য আইনগত সহায়তা ও পরামর্শ সহজলভ্য করতে হবে।
3️⃣ সচেতনতা ও শিক্ষা কার্যক্রম: স্কুল, কলেজ ও সমাজে মানবাধিকার বিষয়ে শিক্ষামূলক প্রচার চালাতে হবে।
4️⃣ মধ্যস্থতা ও সালিশি পরিষদ গঠন: স্থানীয় পর্যায়ে নিরপেক্ষ সালিশি বোর্ডের মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসা নিশ্চিত করতে হবে।
5️⃣ নারী ও শিশু সুরক্ষা ইউনিট: নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বিশেষ সেল ও তদারকি ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে।
6️⃣ মিডিয়া ও নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ: গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজকে মানবাধিকার রক্ষার অংশীদার হিসেবে যুক্ত করতে হবে।
7️⃣ মানবাধিকার কমিশন ও সংগঠনগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধি: বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দক্ষতা বাড়াতে হবে।

মানবাধিকার সুরক্ষা ও বিরোধ নিষ্পত্তি শুধু আইনি প্রক্রিয়া নয়—এটি মানবিক দায়িত্ব, নৈতিক কর্তব্য ও সামাজিক অঙ্গীকারও বটে। প্রত্যেক মানুষ যদি অন্যের অধিকারকে নিজের অধিকার হিসেবে সম্মান করে, তবে সমাজে অন্যায়, নির্যাতন ও বৈষম্য অনেকটাই কমে যাবে।

ন্যায় ও শান্তিনির্ভর সমাজ গঠনে নাগরিক, সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, গণমাধ্যম ও সামাজিক সংগঠন—সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে প্রকৃত মানবাধিকার বাস্তবায়ন করতে।

আহসান হাবীব রোমিও’র নেতৃত্বে নতুন দিগন্তের সূচনা, সংগঠনটির প্রধান নির্বাহী পরিচালক মোঃ আহসান হাবীব রোমিও-এর নেতৃত্বে দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবাধিকার ও ন্যায়ের পথে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।
তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর সংগঠনটিকে আরও শক্তিশালী, সুসংগঠিত ও সক্রিয় করার লক্ষ্যে সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।

তার নেতৃত্বে সংগঠনটি শুধু মানবাধিকার রক্ষাতেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং বিরোধ নিষ্পত্তি, আইনি সহায়তা, সামাজিক সচেতনতা, নারী ও শিশু সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সহযোগিতা—সবক্ষেত্রেই অগ্রগতি অর্জন করছে।
আহসান হাবীব রোমিও বিশ্বাস করেন, “ন্যায় ও মানবতার ভিত্তিতে গঠিত সমাজই টেকসই উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি।”

একটি জাতির প্রকৃত উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন প্রতিটি নাগরিক ন্যায়, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিয়ে বাঁচতে পারে। তাই এখন সময় এসেছে মানবাধিকার সুরক্ষাকে শুধু কথায় নয়, কাজে রূপান্তরিত করার।
বিরোধ নিষ্পত্তির সংস্কৃতি সমাজে প্রতিষ্ঠা করে আমরা গড়ে তুলতে পারি “ন্যায়ভিত্তিক, শান্তিপূর্ণ ও মানবিক বাংলাদেশ।”

“মানবাধিকার সুরক্ষা ও বিরোধ নিষ্পত্তি: ন্যায়ভিত্তিক সমাজের পথে বাংলাদেশ — আহসান হাবীব রোমিও’র নেতৃত্বে মানবাধিকার আন্দোলনে নতুন দিগন্ত”

মুন্সিগঞ্জ তৃণমূলে রাজনীতিবিদ শীর্ষে সাবেক ভিপি যুবদলের নেতা: শাহরিয়ার

মোঃ সুজন বেপারী প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ২:৪৬ পিএম
মুন্সিগঞ্জ তৃণমূলে রাজনীতিবিদ শীর্ষে সাবেক ভিপি যুবদলের নেতা: শাহরিয়ার

 

মুন্সিগঞ্জ জেলা শহরের তৃণমূলে সুপরিচিত শীর্ষে রাজনীতিবিদ সরকারি হরগঙ্গা কলেজের ছাত্র সংসদ সাবেক ভিপি মোস্তফা হাবিবে আলম শাহরিয়া বর্তমান জাতীয়তাবাদী দলের জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি।

রাজধানী নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় শীর্ষে নেতাকর্মীদের কাছেও সুপরিচিত জাতীয়তাবাদী দলের মুন্সিগঞ্জ জেলায় ১৯৯৮ সালে সরকারি হরগঙ্গা কলেজে নির্বাচন করেন কলেজ শাখার ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। এবং একই বছরে আওয়ামী লীগের সরকার থাকাকালীন অবস্থায় হরগঙ্গা কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক পদে জয়ী হন।

হরগঙ্গা কলেজের সাবেক ভিপি মোস্তফা হাবিবে আলম শাহরিয়ার বলেন, তৃণমূলে জাতীয়তাবাদী দলের বিএনপি জেলা সদস্য সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ সাহেবের মনোনয়নপ্রত্যাশী ধানের শীষ প্রতীকের প্রত্যক্ষ তিনি দুঃসময় জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার হিসেবে সংসদ সদস্য ৩১ দফায় এগিয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ইনশাআল্লাহ্।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজধানী কেন্দ্রীয় সুপরিচিত শারিয়ারকে ছাত্রদল নির্বাচনের সু-সংঘঠিত সভাপতি পদে দেখতে জোড় দাবি জানিয়েছেন মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রদল নেতা কর্মীরা । তিনি মুন্সিগঞ্জ শহরের পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের দক্ষিন ইসলাম পুরের রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান সরকারি হরগঙ্গা কলেজের ছাত্র সংসদ সাবেক ভিপি মোস্তফা হাবিবে আলম শাহরিয়া বর্তমান জাতীয়তাবাদী দলের জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি।

রাজনৈতিক শীর্ষে শাহরিয়া সাবেক উপমন্ত্রী সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা আব্দুল হাইয়ের ভাই জেলা বিএনপি সদস্য সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ এর অঙ্গ-সংঘঠনের নেতাকর্মীদের আস্থাভাজন হিসেবে তিনি পরিচিত ঢাকা রাজধানী নয়াপল্টনে।

রামকোল বাহাদুর পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

রাজবাড়ী প্রতিনিধি: প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ২:৩৫ পিএম
রামকোল বাহাদুর পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

 

সরস্বতী রানী বিশ্বাস, প্রধান শিক্ষক,রামকোল বাহাদুর পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অবসরে গেলেন। শিক্ষার্থী,সহকর্মী,অভিভাবকদের ভালোবাসায় তিনি সিক্ত হলেন। বর্ণাঢ্য বিদায় অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাঁর দীর্ঘ কর্মময় জীবনের পরিসমাপ্তি হলো।এই বর্ণাঢ্য বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুন্নাহার, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আলিফ আহমেদ, সাবেক উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অঞ্জলী রানী প্রামাণিক, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, কুমারখালী, কুষ্টিয়া সুপ্রিয়া রানী বিশ্বাস।আরো উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক বিমান বিহারী মালাকার,প্রধান শিক্ষক মোঃ নাজিরুল হক , প্রধান শিক্ষক বিকাশ কুমার দাশ, প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মতিন, প্রধান শিক্ষক মোছাঃ ফিরোজা খাতুন, প্রধান শিক্ষক ফরিদা খাতুন, প্রধান শিক্ষক রাশেদুন্নেছা হাবিবা,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মুক্তার আলী মন্ডল,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জিয়াউর রহমান , সহকারী শিক্ষক সেলিনা খাতুন,স্বপ্না রানী বিশ্বাস,কনিকা রানী কুন্ডু,মোঃ আব্দুর রশিদ সহ মাছপাড়া ও কলিমহর ক্লাষ্টারের সম্মানিত শুভাকাঙ্ক্ষী অন্যান্য প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক বৃন্দ। অনুষ্ঠানে মানপত্র পাঠ করেন সহকারী শিক্ষক আরজু মানারা ফেরদৌসী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সহকারী শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস।
সরস্বতী রানী বিশ্বাস ১৯৮৮ সাল থেকে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।গত

৯/১০/২০২৫ ইং তারিখে তিনি অবসরে যান।দীর্ঘ কর্মময় জীবনে অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী তাঁর স্নেহের পরশে ধন্য হয়েছে। অশ্রুসিক্ত নয়নে সকল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক অভিভাবক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাঁকে বিদায় জানিয়ে তাঁর প্রতি যে শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন তাতে তিনি আবেগাপ্লুত হয়েছেন। তিনি ছাত্র ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন এবং সকল ছাত্র-ছাত্রী, সহকর্মী শিক্ষকবৃন্দ ও অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।তিনি সকলের দোয়া/ আশির্বাদ চেয়েছেন যেন তাঁর অবসরকালীন সময় ভালো কাটে।পরম করুণাময় সকলের মঙ্গল করুন সকলের জন্য এই প্রার্থনা করেছেন।

নওগাঁয় মাদ্রাসা ছাত্রের মড়দেহ উদ্ধার ।। শিক্ষক আটক

মর্তুজা শাহাদত সাধন, নওগাঁ প্রতিনিধি: প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ২:৩১ পিএম
নওগাঁয় মাদ্রাসা ছাত্রের মড়দেহ উদ্ধার ।। শিক্ষক আটক

 

মর্তুজা শাহাদত সাধন, নওগাঁ প্রতিনিধি:

নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটির ফতেপুরে রওদাতুল কোরআন ফতেপুর আক্কাস আলী হাফেজিয়া কওমি মাদ্রাসা থেকে আব্দুর রহিম বাদশা (১১) নামে এক ছাত্রের মড়দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষককে আটক করে পুলিশ।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে মাদ্রাসা থেকে আব্দুর রহিমের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় বলে জানান নওগাঁ সদর থানা সাব ইন্সপেক্টর নূর নয়ন।

মৃত আব্দুর রহিম বাদশা নওগাঁ সদর উপজেলার কানমটকাই গ্রামের সামছুর রহমানের ছেলে। সে ফতেপুর রওদাতুল কোরআন আক্কাস আলী হাফেজিয়া কওমি মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল। আটক আব্দুল মাজেদ ওই মাদ্রাসার শিক্ষক।

আটক মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল মাজেদ জানান, রাত আনুমানিক পৌনে চারটার দিকে তাহাজ্জত নামাজ পড়ার জন্য উঠে আব্দুর রহিম বাদশাকে মাদ্রাসার বারান্দার নিচে মাদ্রাসার মাঠে পরে থাকতে দেখে তাকে তুলে নিয়ে রুমে আসি। এবং মাদ্রাসা কমিটির সদস্যদের খবর দিলে তারা এসে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান।

নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, দুবলহাটির ফতেপুরে মাদ্রাসা থেকে আব্দুর রহিম বাদশা (১১) নামে এক ছাত্রের মড়দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুর রহিমকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিৎ করে বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।২