শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২

এনসিএল দিয়ে কি হবে?

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৪১ পিএম | 35 বার পড়া হয়েছে
এনসিএল দিয়ে কি হবে?

বাংলাদেশ ২০০৬ সাল থেকে টি-টোয়েন্টি খেলছে, ২০০৭-এর বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ৯টি বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছে, এশিয়া কাপের তিনটি টি-টোয়েন্টি সংস্করণেও খেলেছে, কিন্তু এত আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার পরও যোগফল শূন্যের কাছাকাছি। খেলোয়াড়দের অভিযোগ, তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বাইরে টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পান না, আর বিপিএলে পেলেও বিদেশিদের ওপর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর অতিনির্ভরতায় পর্যাপ্ত এক্সপোজার পান না। তাই স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের আয়োজন ফিরে এলো ক্রিকেটের বর্ষপঞ্জিতে। তবে সঠিক উপাদান আর অনুপান না হলে যেমন রান্না ভালো হয় না, তেমনি অসময়ে আয়োজন, দীর্ঘসূত্রতা আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় এনসিএল থেকে প্রাপ্তি সামান্যই।
আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় টানা দ্বিতীয় বছর আয়োজন করা হয়েছে এনসিএল টি-২০। শুরুতে রাজশাহী আর বগুড়ায় কিছু ম্যাচ আয়োজনের পর সিলেটে বাকি ম্যাচগুলো আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও বৃষ্টির কারণে শুরুতেই স্থগিত হয়ে যায় টুর্নামেন্ট। এরপর আবহাওয়ার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পুরো টুর্নামেন্টই সরিয়ে আনা হয় সিলেটে। একই সময়ে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা এশিয়া কাপ এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও ওডিআই সিরিজ খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। বাংলাদেশ জাতীয় দলে থাকা ক্রিকেটাররাই টি-টোয়েন্টিতে খুব একটা উঁচু মানের নন, তাদের বাইরে যারা আছেন তাদের মানটাও অনেক নিচের স্তরে। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। খেলাগুলো খুব একটা উত্তেজনাকর, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও রোমাঞ্চকর হয়নি। দেখা যায়নি চার ছক্কার হইচই, বড় রান তাড়া করে শেষ ওভারে এসে জেতার মতো রোমাঞ্চের জন্ম হয়নি। দেখা গেছে ম্যাড়ম্যাড়ে, স্বাদহীন কিছু নিয়ম রক্ষার টি-টোয়েন্টি ম্যাচের, যেসব দেখতে মাঠেও খুব একটা দর্শক আসেনি, আর গণমাধ্যমের চোখও এড়িয়ে গেছে এশিয়া কাপ এবং বিসিবি নির্বাচনের ডামাডোলে।
এবারের এনসিএল ছিল এমন একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট যেখানে দুটো সেঞ্চুরিই করেছেন বাংলাদেশের দুই টেস্ট ওপেনার! একবাক্যে এভাবেই বলা যায় আসরটিকে। দুটো সেঞ্চুরি হয়েছে ২৪ ম্যাচের আসরে; করেছেন সাদমান ইসলাম আর মাহমুদুল হাসান জয় যারা কেউই টি-টোয়েন্টি দলের ধারেকাছেও নেই। খুব উঁচু স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্বিতীয় নামটি মাহমুদউল্লাহর! টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়া মাহমুদউল্লাহ এই শেষবেলাতেও ২২ বলে ৪১* রান করতে পারেন। পরের নামটা খালেদ আহমেদের, টেস্ট দলের পেস বোলার। স্ট্রাইকরেট ১৭৫, তবে যখন দেখবেন চার ইনিংসে মোট রান ৪২ এবং সর্বোচ্চ রান ২৬ তখন বুঝে যাবেন পরিসংখ্যান কতটা ধোঁয়াশা তৈরি করে। সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেটে পরের নামটা সুমন খানের, মানিকগঞ্জের এই পেসার একটা ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়ে খানিকটা নাম কামিয়েছিলেন। তার ব্যাটিং নিয়ে খুব একটা সুনাম শোনা যায় না, চার ইনিংসে ২৪ বলে ৩৯ রান, যেখানে সর্বোচ্চ ইনিংসটি ২১ রানের, এ নিয়েই সুমন খান শীর্ষ পাঁচে!
সর্বোচ্চ রান মাহমুদুল হাসান জয়ের, দুটো হাফসেঞ্চুরি আর এক সেঞ্চুরিতে ৮ ম্যাচে ৩২৩, স্ট্রাইকরেট ১৫৫। অথচ জাতীয় দলের হয়ে বহু টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা ক্রিকেটাররা এই ভেতো এনসিএলেও রান করতে খাবি খাচ্ছেন। নাঈম শেখ দেশের হয়ে খেলেছেন ৩৮টি টি-টোয়েন্টি, কিছুদিন আগেও ছিলেন জাতীয় দলে। তার রান চার ম্যাচে ১২২, স্ট্রাইকরেট সেই আগের মতোই ১২৭। নাজমুল হোসেন শান্ত ছিলেন টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক, এখন অবশ্য নেতৃত্ব হারিয়ে জায়গাও হারিয়েছেন। ৫০টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা শান্ত চার ম্যাচে করেছেন ৯২ রান, স্ট্রাইকরেট ১৩৩। সৌম্য সরকার ভিসা না পাওয়ায় যেতে পারলেন না আফগানিস্তান সিরিজে খেলতে। ফাইনালে খেলেছেন ২২ বলে ৮ রানের ইনিংস, সেটাও ইনিংসের সূচনায় নেমে, ইনিংসের বেশিরভাগ সময়টাই খেলেছেন পাওয়ার প্লের ভেতর। এমন ইনিংস দলকে ডোবানোর জন্য যথেষ্ট। গোটা আসরে ২০০ ছাড়ানো দলীয় সংগ্রহ দেখা গেছে মাত্র দুটো ইনিংসে। সিলেটের বিপক্ষে চট্টগ্রামের ২১৪ আর রাজশাহীর ২০০। ঢাকা মেট্রোর ১৮৫ রান তাড়া করে চট্টগ্রামের ৮ উইকেটে জেতাটাই রান তাড়ায় সেরা।
বোলিংয়ে ঘুরে-ফিরে সেই বামহাতি স্পিনারদেরই সাফল্য। যদিও ঘরোয়াতে বিস্তর বামহাতি স্পিনারদের খেলেও আন্তর্জাতিক ম্যাচে অক্ষর প্যাটেলদের মতো বামহাতি স্পিনারদের সামলাতে হিমশিম খান বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। শীর্ষ উইকেটশিকারির তালিকায় ওপরের দুটো নাম হাসান মুরাদ ও আবু হাশিম। তিন নম্বর নামটা এক অফস্পিনারের, শেখ পারভেজ জীবন।
টেস্ট এবং ওয়ানডের বাইরে টি-টোয়েন্টি সংস্করণটার আবিষ্কার মূলত বাণিজ্যিক কারণে। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের মার্কেটিং ম্যানেজার স্টুয়ার্ট রবিনসন এই ধারণার জনক, মূলত তরুণ দর্শকদের ক্রিকেটে আগ্রহ বাড়াতেই সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণের উদ্ভাবন। যাতে করে খেলাটা আরও উত্তেজনাপূর্ণ, রোমাঞ্চকম হয়, কাজকর্মের শেষে ঘণ্টা তিনেক খেলা দেখে ঘরে ফেরার আগে দর্শকরা যেন বিনোদন নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন, যেখানে অন্য দুই সংস্করণে একটা দিনের প্রায় অর্ধেকটা সময়ই চলে যায়। এনসিএলে টি-টোয়েন্টির মৌলিক দর্শনই অনুপস্থিত। কর্মদিবসের দিনেরবেলায় খেলা, এমনকি ফাইনালটাও হলো না ছুটির দিনে। স্পন্সর ব্যাংক বলেই বোধহয় ব্যাংক বন্ধের দিনে খেলাও বন্ধ! বিনোদন নেই, তারকাদের উপস্থিতি নেই, খেলাতেও নেই রোমাঞ্চ কিংবা উত্তেজনা। এই খেলা দর্শক কেন টিকিট কেটে দেখবে?
তবে প্রাপ্তিযোগ ক্রিকেটারদের। এই ম্যাড়ম্যাড়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেই প্রতি ম্যাচে ৪০ হাজার টাকা করে পেয়েছেন তারা, যেটা আগের মৌসুমে ছিল ২৫ হাজার। এজন্য আকরাম খানকে তারা ধন্যবাদ দিতেই পারেন, তিনিই টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আসরটা শুরু করে দিয়েছিলেন। আর শেষ হতে হতে বিসিবিতেই আর নেই এই সাবেক অধিনায়ক।

মুন্সিগঞ্জ তৃণমূলে রাজনীতিবিদ শীর্ষে সাবেক ভিপি যুবদলের নেতা: শাহরিয়ার

মোঃ সুজন বেপারী প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ২:৪৬ পিএম
মুন্সিগঞ্জ তৃণমূলে রাজনীতিবিদ শীর্ষে সাবেক ভিপি যুবদলের নেতা: শাহরিয়ার

 

মুন্সিগঞ্জ জেলা শহরের তৃণমূলে সুপরিচিত শীর্ষে রাজনীতিবিদ সরকারি হরগঙ্গা কলেজের ছাত্র সংসদ সাবেক ভিপি মোস্তফা হাবিবে আলম শাহরিয়া বর্তমান জাতীয়তাবাদী দলের জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি।

রাজধানী নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় শীর্ষে নেতাকর্মীদের কাছেও সুপরিচিত জাতীয়তাবাদী দলের মুন্সিগঞ্জ জেলায় ১৯৯৮ সালে সরকারি হরগঙ্গা কলেজে নির্বাচন করেন কলেজ শাখার ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। এবং একই বছরে আওয়ামী লীগের সরকার থাকাকালীন অবস্থায় হরগঙ্গা কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক পদে জয়ী হন।

হরগঙ্গা কলেজের সাবেক ভিপি মোস্তফা হাবিবে আলম শাহরিয়ার বলেন, তৃণমূলে জাতীয়তাবাদী দলের বিএনপি জেলা সদস্য সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ সাহেবের মনোনয়নপ্রত্যাশী ধানের শীষ প্রতীকের প্রত্যক্ষ তিনি দুঃসময় জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার হিসেবে সংসদ সদস্য ৩১ দফায় এগিয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ইনশাআল্লাহ্।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজধানী কেন্দ্রীয় সুপরিচিত শারিয়ারকে ছাত্রদল নির্বাচনের সু-সংঘঠিত সভাপতি পদে দেখতে জোড় দাবি জানিয়েছেন মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রদল নেতা কর্মীরা । তিনি মুন্সিগঞ্জ শহরের পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের দক্ষিন ইসলাম পুরের রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান সরকারি হরগঙ্গা কলেজের ছাত্র সংসদ সাবেক ভিপি মোস্তফা হাবিবে আলম শাহরিয়া বর্তমান জাতীয়তাবাদী দলের জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি।

রাজনৈতিক শীর্ষে শাহরিয়া সাবেক উপমন্ত্রী সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা আব্দুল হাইয়ের ভাই জেলা বিএনপি সদস্য সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ এর অঙ্গ-সংঘঠনের নেতাকর্মীদের আস্থাভাজন হিসেবে তিনি পরিচিত ঢাকা রাজধানী নয়াপল্টনে।

রামকোল বাহাদুর পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

রাজবাড়ী প্রতিনিধি: প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ২:৩৫ পিএম
রামকোল বাহাদুর পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

 

সরস্বতী রানী বিশ্বাস, প্রধান শিক্ষক,রামকোল বাহাদুর পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অবসরে গেলেন। শিক্ষার্থী,সহকর্মী,অভিভাবকদের ভালোবাসায় তিনি সিক্ত হলেন। বর্ণাঢ্য বিদায় অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাঁর দীর্ঘ কর্মময় জীবনের পরিসমাপ্তি হলো।এই বর্ণাঢ্য বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুন্নাহার, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আলিফ আহমেদ, সাবেক উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অঞ্জলী রানী প্রামাণিক, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, কুমারখালী, কুষ্টিয়া সুপ্রিয়া রানী বিশ্বাস।আরো উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক বিমান বিহারী মালাকার,প্রধান শিক্ষক মোঃ নাজিরুল হক , প্রধান শিক্ষক বিকাশ কুমার দাশ, প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মতিন, প্রধান শিক্ষক মোছাঃ ফিরোজা খাতুন, প্রধান শিক্ষক ফরিদা খাতুন, প্রধান শিক্ষক রাশেদুন্নেছা হাবিবা,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মুক্তার আলী মন্ডল,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জিয়াউর রহমান , সহকারী শিক্ষক সেলিনা খাতুন,স্বপ্না রানী বিশ্বাস,কনিকা রানী কুন্ডু,মোঃ আব্দুর রশিদ সহ মাছপাড়া ও কলিমহর ক্লাষ্টারের সম্মানিত শুভাকাঙ্ক্ষী অন্যান্য প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক বৃন্দ। অনুষ্ঠানে মানপত্র পাঠ করেন সহকারী শিক্ষক আরজু মানারা ফেরদৌসী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সহকারী শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস।
সরস্বতী রানী বিশ্বাস ১৯৮৮ সাল থেকে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।গত

৯/১০/২০২৫ ইং তারিখে তিনি অবসরে যান।দীর্ঘ কর্মময় জীবনে অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী তাঁর স্নেহের পরশে ধন্য হয়েছে। অশ্রুসিক্ত নয়নে সকল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক অভিভাবক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাঁকে বিদায় জানিয়ে তাঁর প্রতি যে শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন তাতে তিনি আবেগাপ্লুত হয়েছেন। তিনি ছাত্র ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন এবং সকল ছাত্র-ছাত্রী, সহকর্মী শিক্ষকবৃন্দ ও অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।তিনি সকলের দোয়া/ আশির্বাদ চেয়েছেন যেন তাঁর অবসরকালীন সময় ভালো কাটে।পরম করুণাময় সকলের মঙ্গল করুন সকলের জন্য এই প্রার্থনা করেছেন।

নওগাঁয় মাদ্রাসা ছাত্রের মড়দেহ উদ্ধার ।। শিক্ষক আটক

মর্তুজা শাহাদত সাধন, নওগাঁ প্রতিনিধি: প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ২:৩১ পিএম
নওগাঁয় মাদ্রাসা ছাত্রের মড়দেহ উদ্ধার ।। শিক্ষক আটক

 

মর্তুজা শাহাদত সাধন, নওগাঁ প্রতিনিধি:

নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটির ফতেপুরে রওদাতুল কোরআন ফতেপুর আক্কাস আলী হাফেজিয়া কওমি মাদ্রাসা থেকে আব্দুর রহিম বাদশা (১১) নামে এক ছাত্রের মড়দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষককে আটক করে পুলিশ।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে মাদ্রাসা থেকে আব্দুর রহিমের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় বলে জানান নওগাঁ সদর থানা সাব ইন্সপেক্টর নূর নয়ন।

মৃত আব্দুর রহিম বাদশা নওগাঁ সদর উপজেলার কানমটকাই গ্রামের সামছুর রহমানের ছেলে। সে ফতেপুর রওদাতুল কোরআন আক্কাস আলী হাফেজিয়া কওমি মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল। আটক আব্দুল মাজেদ ওই মাদ্রাসার শিক্ষক।

আটক মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল মাজেদ জানান, রাত আনুমানিক পৌনে চারটার দিকে তাহাজ্জত নামাজ পড়ার জন্য উঠে আব্দুর রহিম বাদশাকে মাদ্রাসার বারান্দার নিচে মাদ্রাসার মাঠে পরে থাকতে দেখে তাকে তুলে নিয়ে রুমে আসি। এবং মাদ্রাসা কমিটির সদস্যদের খবর দিলে তারা এসে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান।

নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, দুবলহাটির ফতেপুরে মাদ্রাসা থেকে আব্দুর রহিম বাদশা (১১) নামে এক ছাত্রের মড়দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুর রহিমকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিৎ করে বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।২