বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সাবেক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী গ্রেপ্তার

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৩২ এএম | 173 বার পড়া হয়েছে
সাবেক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের খুলশি থেকে গ্রেফতার হয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রামের খুলশি থানাধীন আবদুল মালেক লেন এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাবের একটি দল।
র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) শরীফ উল আলম প্রথম আলোকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে নগরের খুলশী এলাকার বাসা থেকে সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২৬ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার, ২ হাজার ১০০ সিঙ্গাপুরের মুদ্রা ও বাংলাদেশি ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শরীফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তার কাছ থেকে দেশী-বিদেশী বেশ কিছু মুদ্রাসহ কিছু ব্যক্তিগত মালামাল জব্দ করেছে র‌্যাব।
আটকের সময় জব্দকৃত ব্যক্তিগত মালামাল:
১/ বাংলাদেশী ১০০০ টাকার নোট ১০০ টি ১০০০×১০০ =১০০,০০০/ (১ লক্ষ) টাকা মাত্র টাকা ২/ বাংলাদেশী ৫০০ টাকার নোট ১৮ বান্ডেল প্রতি বান্ডেলে ৫০,০০০ হাজার টাকা করিয়া ৫০০০০×১৮= ৯০০০০০/ (নয় লক্ষ) টাকা মাত্র। সর্বমোট বাংলাদেশী টাকা ১০,০০০০/ (দশ লক্ষ) টাকা মাত্র ৩/ ইউএস ডলার ১৬২টি প্রতিটি ১০০ ডলার করিয়া ১৬২×১০০= ১৬২০০/ ডলার ৪/ সিংগাপুরী ডলার ৬টি নোট ১০০ ডলার, ২৯টি নোট ৫০ ডলার, ৫টি ১০ ডলার, ৪টি ৫ ডলার, ৪টি ২ ডলার,নসর্বমোট ২১২৪ সিংগাপুরী ডলার। ৫/ এটিএম কার্ড ৪টি, ৬/ এনআইডি কার্ড ১টি
৭/ মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স ১টি, ৮/ সংসদ ভবন আইডি কার্ড ১টি, ৯/ মানি ব্যাগ ১টি, ১০/ সোনার সাদৃশ্য চেইন ১টি।
একরামুল করিম চৌধুরীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে র‌্যাব কর্মকর্তা শরীফ জানিয়েছেন।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন একরামুল করিম চৌধুরী। গত ১৭ বছর ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। কিছু দিন আগেও তার কথার বাইরে এলাকায় কিছুই হতো না। তবে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
২০১৩ সালে শ্রমিক দলের কর্মী মো. খোকনকে (২৫) গুলি করে হত্যার অভিযোগে গত ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে মামলাটি করা হয়। মামলার বাদী নিহত খোকনের বাবা মফিজুল হক। আসামিরা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। ওই মামলায় গ্রেফতারর দেখানো হবে একরামুলকে। একরামুল ছাড়াও এই মামলায় আসামি করা হয়েছে ৫৩ জনকে।
একরামুল করিম ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে ওবায়দুল কাদের ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিপক্ষে নির্বাচন করেন। ভোট পান ৩৪ হাজার। তখনই আলোচনায় আসেন তিনি। তবে ক্ষমতা পোক্ত করেন ২০০৮ সালে। আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নোয়াখালী-৪ আসনে সেবার এমপি হন তিনি। এর পর এই আসনে আরও তিনবার এমপি হন।
দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে গত মে মাসে ছেলে শাবাব চৌধুরীকে তিনি সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী করেন। ভোটে জয়ী হন শাবাব। এ ছাড়া, গত ১৫ বছর কবিরহাট পৌরসভার মেয়র ছিলেন তাঁর ভাগনে জহিরুল হক রায়হান। স্ত্রী কামরুন নাহার শিউলী নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। এখন তারা কেউই এলাকায় নেই।
অভিযোগ রয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, এলজিইডি ও পিডব্লিউডির টেন্ডার নিয়ন্ত্রণে একরামুল করিমের ছিল নিজস্ব বাহিনী। এই বাহিনীর নেতৃত্ব দেন তাঁর ভাগনে রায়হান, চাচাতো ভাই নূরুল আমিন রুমি, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহমুদুর রহমান জাবেদ। এই বাহিনী নোয়াখালীর ফোর লেন প্রকল্প ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার উন্নয়ন কাজে চাঁদা নেয়। এলাকায় চলাচলকারী চার হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে তারা চাঁদা তোলে। সিন্ডিকেটে আরও ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, জিয়াউল হক লিটন, আব্দুল মমিন বিএসসি, সহসভাপতি আতাউর রহমান মানিক ও মাহমুদুর রহমান জাবেদ ওরফে মামা জাবেদ। তারা সবাই এখন আত্মগোপনে।
এমপি হওয়ার পর একরামুলের সম্পদ বেড়েছে রকেট গতিতে।’ নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, ২০০৮ সালে তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ১১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার। ২০১৪ সালে ওই সম্পদ বেড়ে হয় ১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকার। ২০১৮ সালে তা আরও বেড়ে হয় ৩৪ কোটি ৬২ লাখ টাকার। আর ২০২৩ সালে জমা দেওয়া সর্বশেষ হলফনামা অনুযায়ী, একরামুল করিমের মোট সম্পদ ৩২ কোটি ৫৯ লাখ টাকার, যার মধ্যে স্থাবর ৭ কোটি ৪৩ লাখ ও অস্থাবর ২৫ কোটি ১৬ লাখ টাকার।

ভূঞাপুরে বিএনপির বিক্ষোভ ও পথসভা অনুষ্ঠিত

(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:  প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:২১ পিএম
ভূঞাপুরে বিএনপির বিক্ষোভ ও পথসভা অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বিএনপির আয়োজনে ধানের শিষ প্রতীক নিয়ে ‘বাড়ি বাড়ি ভোট চাওয়া’ কর্মসূচি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে, শাখা বিএনপির সভাপতি মোঃ আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে

অনুষ্ঠানে বক্তারা দলীয় ধানের শিষ প্রতীক নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ভোট প্রার্থনা কার্যক্রম জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে, তারা দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর চলমান রাজনৈতিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিচারিক রায় অনুযায়ী দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানান। পথসভায় বক্তব্য রাখেন ভূঞাপুর থানা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম প্রামাণিক, গোবিন্দাসী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শিবলী সাদিক এবং ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল জলিল মন্ডল প্রমুখ। বক্তারা আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করতে ও ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক গণসংযোগ করাই এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য। অনুষ্ঠানটি স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।

টাঙ্গাইলে ডাকাতি চেষ্টা: অস্ত্রসহ ৬ জন আটক

মোহাম্মদ সোহেল (বিশেষ) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২:০২ পিএম
টাঙ্গাইলে ডাকাতি চেষ্টা: অস্ত্রসহ ৬ জন আটক

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ ছয় সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার ভোর রাতে কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। যমুনা সেতু পূর্ব থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ থেকে পাবনাগামী পামওয়েল বোঝাই একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট-১৪-৭৫৭৯) হাতিয়া এলাকায় পৌঁছালে একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো গ-৪৩-৫৪৮৬) ও একটি পাজেরো গাড়ি (ঢাকা মেট্রো ঘ-২১-৭৬৯৯) ট্রাকটির গতিরোধ করে। এসময় টহলরত পুলিশের নজরে পড়ে। পুলিশের পুলিশের তল্লাশিতে ১টি লাইসেন্সকৃত শর্টগান, ৬টি সিসা কার্তুজ, ১টি লেজার লাইট, ২টি সিগন্যাল লাইট, ৪টি শর্ট ওয়াকি-টকি

২টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।

আটককৃত ছয় সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে যমুনা সেতু পূর্ব থানার একজন কর্মকর্তা বলেন, “ডাকাতির প্রস্তুতিমূলক সকল উপকরণসহ সন্দেহভাজনদের আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি আরও তদন্ত চলছে।

আমিনপুরে ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যাক্তি গ্রেফতার

মোঃ ওমর ফারুক (সানি), স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৪১ পিএম
আমিনপুরে ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যাক্তি গ্রেফতার

পাবনার আমিনপুর থানার বুলন্দর চর এলাকায় ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ৭৫ বছর বয়সী তাকাই প্রামানিক নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় শিশুটির বাবা আমিনপুর থানায় মামলাটি করেন। ধর্ষণের শিকার শিশুটি বর্তমানে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গ্রেফতার বৃদ্ধ একই গ্রামের মৃত ছবেদ প্রামানিকের ছেলে।

লিখিত এজাহার থেকে জানা গেছে, শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে শিশুটি চাচার বাড়ির সামনে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। এ সময় বৃদ্ধ তাকাই প্রামানিক তাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে পাশের একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে টাকা দেওয়ার প্রলোভন ও হত্যার হুমকি দিয়ে শিশুটিকে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে। সন্ধ্যায় শিশুটির রক্তপাত শুরু হয়ে অসুস্থ হলে পরিবার বিষয়টি বুঝতে পারে।

শিশুটির ভাইয়ের স্ত্রী লাবনী খাতুন জানান, তিনি তাকাই প্রামানিককে ওই ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেন এবং কিছুক্ষণ পর শিশুটিকেও সেখান থেকে বের হতে দেখেন। পরিবারের জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটি ধর্ষণের কথা জানায়।

আমিনপুর থানার ডিউটি অফিসার এসআই রেজাউল করিম বৃদ্ধকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামি থানায় রয়েছে।

জেলার এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুজানগর ও আমিনপুর সার্কেল) নাম না প্রকাশ করে জানান, আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে।