রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২
রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২

সাংবাদিকরা এই অধিকার থেকে কতটা সুবিধা পান?

আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস কী?

মোঃ মাহিদুল হাসান সরকার প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:১৬ পিএম | 55 বার পড়া হয়েছে
আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস কী?

আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস কী এবং সাংবাদিকরা এই অধিকার থেকে কতটা সুবিধা পান?
আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস প্রতি বছর ২৮ সেপ্টেম্বর পালিত হয়।
এ দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণ এবং সাংবাদিকদের তথ্য জানার অধিকার ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।এটি গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।
সাংবাদিকরা এই অধিকার থেকে যে সুবিধা পাওয়ার কথা?
১. তথ্য সংগ্রহের সহজতা: সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য দ্রুত এবং সহজে পাওয়া।
২. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা: দুর্নীতি, অনিয়ম ও অন্যায় প্রকাশে সাংবাদিকদের কার্যক্রম শক্তিশালী হওয়া।
৩. গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বৃদ্ধি: অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি ও প্রকাশে তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত হওয়া।
৪. সঠিক তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছানো: জনগণকে যথাযথ ও নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রদান করা সম্ভব হওয়া।
বাস্তবতা?
আইন অনুযায়ী সাংবাদিকরা এই সুবিধা ভোগ করার অধিকার রাখেন, তবে বাস্তবে প্রায়শই তারা পূর্ণ সুবিধা ভোগ করতে পারেন না। অনেক সময় সাংবাদিকরা হয়রানি, মিথ্যা মামলা, হামলা, নির্যাতন এবং হত্যার শিকার হতে পারেন। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জটিলতা এবং তথ্য সরবরাহে অনিয়ম তাদের কাজকে বাধাগ্রস্ত করে।
সাংবাদিকদের জন্য রাষ্ট্রের করণীয়?
১. আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন: তথ্য জানার অধিকার আইন কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা।
২. নিরাপত্তা নিশ্চিত করা: সাংবাদিকদের শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৩. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি: সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তথ্য সরবরাহ সহজ ও নিরপেক্ষ করা।
৪. হয়রানি ও মামলা প্রতিরোধ: সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হয়রানি বা চাপ প্রতিরোধ করা।
৫. সচেতনতা বৃদ্ধি: তথ্য জানার অধিকার ও সাংবাদিকতার গুরুত্ব সম্পর্কে সাধারণ মানুষ এবং কর্মকর্তাদের সচেতন করা।
৪.আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস স্বীকৃতি এসেছে কত সালে?
আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবসের প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এসেছে ২০১৫ সালে, যখন ইউনেস্কোর ৩৮তম সম্মেলনে ২৮ সেপ্টেম্বরকে ‘আন্তর্জাতিক সার্বজনীন তথ্য অধিকার দিবস’ ঘোষণা করা হয়। পরে এটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে গৃহীত হয় ‘International Day for the Universal Access to Information’ হিসেবে।
তথ্য জানার অধিকার সাংবাদিকদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। এটি সাংবাদিকতার স্বাধীনতা নিশ্চিত করে এবং জনগণকে স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পৌঁছে দিয়ে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। আমরা রাষ্ট্রের কাছে অনুরোধ জানাই, সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতিমালা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা রক্ষা করতে এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে তথ্যের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে। রাষ্ট্রের কার্যকর পদক্ষেপ ছাড়া সাংবাদিকরা এই অধিকার পূর্ণভাবে ভোগ করতে পারবে না। সুতরাং, সাংবাদিকদের জন্য সুরক্ষা ও সহায়তা নিশ্চিত করা সমগ্র গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।

মোঃ শাহজাহান বাশার, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

ইভটিজিং বন্ধে সামাজিক ও রাষ্ট্রের ভূমিকা একযোগে প্রতিরোধ করতে হবে

মোঃ শাহজাহান বাশার, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:০৯ পিএম
ইভটিজিং বন্ধে সামাজিক ও রাষ্ট্রের ভূমিকা একযোগে প্রতিরোধ করতে হবে

ইভটিজিং বা নারীদের প্রতি অশ্লীল ও অসম্মানজনক আচরণ বর্তমানে সমাজে এক ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি হিসেবে দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী, কর্মজীবী নারী কিংবা সাধারণ পথচলতি নারীরা ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছেন। এ অশ্লীলতা শুধু ভুক্তভোগীদের মানসিক ক্ষতিই করছে না, বরং শিক্ষা, পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থায় এক গভীর সংকট তৈরি করছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইভটিজিং কোনো একক সমস্যা নয়, বরং এটি নৈতিক অবক্ষয়, সামাজিক অনীহা এবং আইনের দুর্বল প্রয়োগের ফলাফল। শুধু আইন দিয়ে এটি প্রতিরোধ সম্ভব নয়, সমাজ ও রাষ্ট্রকে একযোগে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর তৎপরতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার, অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা—এসবই রাষ্ট্রের প্রধান দায়িত্ব। ইতিমধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনসহ বিভিন্ন আইন থাকলেও, সঠিক প্রয়োগের ঘাট

মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি বগুড়াঃ

কাহালু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছাকমান আলীকে বিদায়ী সংবর্ধনা

মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি বগুড়াঃ প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:০৬ পিএম
কাহালু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছাকমান আলীকে বিদায়ী সংবর্ধনা

বগুড়ার কাহালু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ছাকমান আলীকে বদলি জনিত বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলা বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ছাকমান আলীকে বিশেষ উপহার দিয়ে বিদায়ী সংবর্ধনা ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কাহালু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলামকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।

এ সময় উপজেলা সাবেক মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন, একাডেমিক সুপারভাইজার রিফাত আকতার খানম, উপজেলা বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক কাহালু তাইরুন্নেছা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বেলাল উদ্দিন প্রামানিক, সমিতির সাবেক সভাপতি নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম , সাবেক সাধারণ সম্পাদক অঘোর মালন্চা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হাসান প্রামানিক,আহবায়ক কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কাহালু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বুলবুল হোসেন, আহবায়ক কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম, আশরাফ আলী, ফজলুর রহমান, রোকনুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম ও আব্দুল মজিদ উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে কৃষক

মৌলভীবাজার শিল্পবর্জ্য আর পৌর বর্জ্যে দুষিত হচ্ছে হাওর

মনজু বিজয় চৌধুরী মৌলভীবাজার প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:৫৩ পিএম
মৌলভীবাজার শিল্পবর্জ্য আর পৌর বর্জ্যে দুষিত হচ্ছে হাওর

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ও গোমরা এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে চলা খাইঞ্জার হাওর,বিন্নার হাওর সহ আশপাশের ছোট বড় হাওর গুলো মিলিত হয়েছে তিন উপজেলা বিস্তৃত বৃহত্তম হাইল হাওরে। এক সময়ে এই হাওরগুলো কৃষি আর মিঠা পানির দেশীয় মাছের জন্য এ জনপদের মানুষের কাছে বিখ্যাত ছিলো। কালের বিবর্তনে বাস্তবে হারাতে বসেছে হাওর তার চিরায়ত ঐতিহ্য। দুষণ,নাব্যতা সংকট আর জলজটে তিন ফসলী জমি এখন এক ফসল করাই দায়। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা না মেনে পৌরসভার বর্জ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপগুলো শ্রীমঙ্গল সড়ক দিয়ে গন্তব্যস্থল জগন্নাথপুরের খাইঞ্জার হাওরের ডাম্পিং স্টেশনের পথে দিব্যি চলছে। এছাড়াও চলতি পথে সড়কে যত্রতত্র বর্জ্য পড়ে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
শহরতলীর গোমরা এলাকার বিসিক শিল্প নগরীর অন্তত ৩৫ থেকে ৩৬টি শিল্প কারখানার বর্জ্য ও বিষাক্ত কেমিক্যালের বর্জ্য ড্রেন দিয়ে সোজা চলে যাচ্ছে হাওরে। সেই সাথে পুরো মৌলভীবাজার শহরের বর্জ্য কোদালীছড়া দিয়ে হাওরে প্রবেশ করছে। মিশে যাচ্ছে হাওরের পানিতে। এতে সৃষ্টি হওয়া দুর্গদ্ধে চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ। বছরের পর বছর জুড়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করলেও কোন প্রতিকার মেলেনি, এ নিয়ে দায়ও নেই কোন কর্তৃপক্ষের, নিরব এখানকার পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্তারাও।
জানা যায়,খাইঞ্জার হাওর জুড়ে কৃষকের ফসলী জমি,গৃহপালিত পশু ও মৎস ময়লার দুর্গন্ধে ক্ষয়-ক্ষতিতে পড়তে হচ্ছে বছরের পর বছর। এতে করে অনেক কৃষক হাওরের দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে নেমে আক্রান্ত হচ্ছেন চর্ম রোগে। তাতে শরীরের বিভিন্ন অংশে পচন পর্যন্ত ধরে যাচ্ছে। আওয়ামীলীগ আমলে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের কারণে প্রতিবাদের সাহসটুকু পাননি। ওই সময়ে প্রতিকার চেয়ে মোস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার কাছে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি বলে জানিয়েছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাজ।
গোমড়া এলাকার কৃষক শিমুল মিয়া বলেন, প্রতিদিন পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা-আবর্জনায় পরিবেশ দূষণ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে নাভিম্বাস হয়ে হয়ে উঠেছে ডাম্পিং স্টেশনটির আশপাশে বসবাসকারী কয়েক হাজার মানুষ। শুধু ডাম্পিং স্টেশনের বর্জ্য নয়, শহরের পলিতিন, প্লাস্টিক,হাসপাতাল বর্জ্য, বাসা-বাড়ি ও হোটেল-রেস্তুঁরার বর্জ্য কুদালিছড়া দিয়ে প্রতিনিয়ত হাওরে প্রবেশ করে একদম ছড়িয়ে পড়ছে জেলার বৃহত্তম মিঠা পানির হাওর হাইল হাওরে।
খাইঞ্জার হাওরের কৃষক শফিক মিয়া জানান, দুপুরে সড়কে বর্জ্যবাহী ট্রাক দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে দেখা যায় । এতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে এসব বর্জ্যের কারণে চলাফেরা করতে পারিনা। ক্ষেত করতে গিয়ে ইনজেকশনের সুইচ ঢুকে যাচ্ছে পায়ে দিয়ে,তাতে হাত-পা কাটছে। ডাম্পিং স্টেশনের চারপাশে গাইডওয়াল না থাকায় বর্জ্য হাওরে ছড়িয়ে পড়ে পানিতে ভাসছে। তাতে নষ্ট হচ্ছে কৃষিক্ষেত। হাওরে বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ে চর্ম সহ নানা রোগজনিত কারণে অনেকে আক্রান্ত হলেও কেউ এটা নিয়ে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা কোথায় যাবো। কার কাছে প্রতিকার পাবো।
ডাম্পিং স্টেশনে মুন্না নামের এক শ্রমিক জানান, প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ টন বর্জ্য আসে। এগুলো অনেক সময় পিছনের অংশে সীমানা প্রাচীর না থাকায় বাহিরে ছড়িয়ে হাওরের সাথে মিশে যায়।
পৌর সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ ও ২০২২সালে পৌরসভার বর্জ্য/ময়লা ফেলার জন্য জগন্নাথপুর খাইঞ্জার হাওর এলাকায় দুই বারে ৪ দশমিক ৪১ একর ভুমি ক্রয় করে আধুনিক ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা হয়। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে প্রকল্পের প্রায় ১০কোটি টাকার বরাদ্ধ আসলেও ডাম্পিং স্টেশনের রাস্তা ও চারিদিকে বাউন্ডারীসহ অন্যন্য কাজ সটিকভাবে করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে পৌর কর্তৃপক্ষ কাজ সম্পুর্ন করতে আরো অর্থ বরাদ্বের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে। মূলত পৌর নাগরিকদের ব্যবহৃত বর্জ্য দিয়ে সেখানে তৈরি হবে জৈব্যসার ও বায়োগ্যাস প্লান্ট।
মৌলভীবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ মাইদুল ইসলাম বলেন, হাওরে বর্জ্য ফেলার কারণে বিসিকের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র নবায়ন বন্ধ রাখা হয়েছে আর পৌরসভার বর্জ্যে হাওর দুষিত হলেও আমাদের কিছু করার নেই।
মৌলভীবাজার পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার সাহাদাত জানান, বর্জ্য যাতে বাহিরে ছড়িয়ে না পড়তে পারে সেকারণে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার একটি প্রস্তাবনা আগেই পাঠানো হয়েছে। এটা চলতি অর্থ বছরে না হলেও আগামী অর্থ বছরে সম্ভাবনা রয়েছে।