রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে কৃষক

মৌলভীবাজার শিল্পবর্জ্য আর পৌর বর্জ্যে দুষিত হচ্ছে হাওর

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:৫৩ পিএম | 110 বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজার শিল্পবর্জ্য আর পৌর বর্জ্যে দুষিত হচ্ছে হাওর

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ও গোমরা এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে চলা খাইঞ্জার হাওর,বিন্নার হাওর সহ আশপাশের ছোট বড় হাওর গুলো মিলিত হয়েছে তিন উপজেলা বিস্তৃত বৃহত্তম হাইল হাওরে। এক সময়ে এই হাওরগুলো কৃষি আর মিঠা পানির দেশীয় মাছের জন্য এ জনপদের মানুষের কাছে বিখ্যাত ছিলো। কালের বিবর্তনে বাস্তবে হারাতে বসেছে হাওর তার চিরায়ত ঐতিহ্য। দুষণ,নাব্যতা সংকট আর জলজটে তিন ফসলী জমি এখন এক ফসল করাই দায়। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা না মেনে পৌরসভার বর্জ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপগুলো শ্রীমঙ্গল সড়ক দিয়ে গন্তব্যস্থল জগন্নাথপুরের খাইঞ্জার হাওরের ডাম্পিং স্টেশনের পথে দিব্যি চলছে। এছাড়াও চলতি পথে সড়কে যত্রতত্র বর্জ্য পড়ে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
শহরতলীর গোমরা এলাকার বিসিক শিল্প নগরীর অন্তত ৩৫ থেকে ৩৬টি শিল্প কারখানার বর্জ্য ও বিষাক্ত কেমিক্যালের বর্জ্য ড্রেন দিয়ে সোজা চলে যাচ্ছে হাওরে। সেই সাথে পুরো মৌলভীবাজার শহরের বর্জ্য কোদালীছড়া দিয়ে হাওরে প্রবেশ করছে। মিশে যাচ্ছে হাওরের পানিতে। এতে সৃষ্টি হওয়া দুর্গদ্ধে চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ। বছরের পর বছর জুড়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করলেও কোন প্রতিকার মেলেনি, এ নিয়ে দায়ও নেই কোন কর্তৃপক্ষের, নিরব এখানকার পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্তারাও।
জানা যায়,খাইঞ্জার হাওর জুড়ে কৃষকের ফসলী জমি,গৃহপালিত পশু ও মৎস ময়লার দুর্গন্ধে ক্ষয়-ক্ষতিতে পড়তে হচ্ছে বছরের পর বছর। এতে করে অনেক কৃষক হাওরের দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে নেমে আক্রান্ত হচ্ছেন চর্ম রোগে। তাতে শরীরের বিভিন্ন অংশে পচন পর্যন্ত ধরে যাচ্ছে। আওয়ামীলীগ আমলে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের কারণে প্রতিবাদের সাহসটুকু পাননি। ওই সময়ে প্রতিকার চেয়ে মোস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার কাছে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি বলে জানিয়েছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাজ।
গোমড়া এলাকার কৃষক শিমুল মিয়া বলেন, প্রতিদিন পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা-আবর্জনায় পরিবেশ দূষণ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে নাভিম্বাস হয়ে হয়ে উঠেছে ডাম্পিং স্টেশনটির আশপাশে বসবাসকারী কয়েক হাজার মানুষ। শুধু ডাম্পিং স্টেশনের বর্জ্য নয়, শহরের পলিতিন, প্লাস্টিক,হাসপাতাল বর্জ্য, বাসা-বাড়ি ও হোটেল-রেস্তুঁরার বর্জ্য কুদালিছড়া দিয়ে প্রতিনিয়ত হাওরে প্রবেশ করে একদম ছড়িয়ে পড়ছে জেলার বৃহত্তম মিঠা পানির হাওর হাইল হাওরে।
খাইঞ্জার হাওরের কৃষক শফিক মিয়া জানান, দুপুরে সড়কে বর্জ্যবাহী ট্রাক দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে দেখা যায় । এতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে এসব বর্জ্যের কারণে চলাফেরা করতে পারিনা। ক্ষেত করতে গিয়ে ইনজেকশনের সুইচ ঢুকে যাচ্ছে পায়ে দিয়ে,তাতে হাত-পা কাটছে। ডাম্পিং স্টেশনের চারপাশে গাইডওয়াল না থাকায় বর্জ্য হাওরে ছড়িয়ে পড়ে পানিতে ভাসছে। তাতে নষ্ট হচ্ছে কৃষিক্ষেত। হাওরে বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ে চর্ম সহ নানা রোগজনিত কারণে অনেকে আক্রান্ত হলেও কেউ এটা নিয়ে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা কোথায় যাবো। কার কাছে প্রতিকার পাবো।
ডাম্পিং স্টেশনে মুন্না নামের এক শ্রমিক জানান, প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ টন বর্জ্য আসে। এগুলো অনেক সময় পিছনের অংশে সীমানা প্রাচীর না থাকায় বাহিরে ছড়িয়ে হাওরের সাথে মিশে যায়।
পৌর সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ ও ২০২২সালে পৌরসভার বর্জ্য/ময়লা ফেলার জন্য জগন্নাথপুর খাইঞ্জার হাওর এলাকায় দুই বারে ৪ দশমিক ৪১ একর ভুমি ক্রয় করে আধুনিক ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা হয়। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে প্রকল্পের প্রায় ১০কোটি টাকার বরাদ্ধ আসলেও ডাম্পিং স্টেশনের রাস্তা ও চারিদিকে বাউন্ডারীসহ অন্যন্য কাজ সটিকভাবে করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে পৌর কর্তৃপক্ষ কাজ সম্পুর্ন করতে আরো অর্থ বরাদ্বের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে। মূলত পৌর নাগরিকদের ব্যবহৃত বর্জ্য দিয়ে সেখানে তৈরি হবে জৈব্যসার ও বায়োগ্যাস প্লান্ট।
মৌলভীবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ মাইদুল ইসলাম বলেন, হাওরে বর্জ্য ফেলার কারণে বিসিকের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র নবায়ন বন্ধ রাখা হয়েছে আর পৌরসভার বর্জ্যে হাওর দুষিত হলেও আমাদের কিছু করার নেই।
মৌলভীবাজার পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার সাহাদাত জানান, বর্জ্য যাতে বাহিরে ছড়িয়ে না পড়তে পারে সেকারণে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার একটি প্রস্তাবনা আগেই পাঠানো হয়েছে। এটা চলতি অর্থ বছরে না হলেও আগামী অর্থ বছরে সম্ভাবনা রয়েছে।

নির্বাহী সম্পাদকঃ অঞ্জনা চৌধুরী

কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে

নির্বাহী সম্পাদকঃ অঞ্জনা চৌধুরী প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:০২ পিএম
কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে, যা মনসুরনগর চরের শিক্ষার্থীদেরসহ স্থানীয়দের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি করছে; বিশেষ করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে ও স্কুলে যেতে তাদের ডুবোচরের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে, যা একটি বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
মূল সমস্যা: শুষ্ক মৌসুমে জেগে ওঠা অসংখ্য ডুবোচর যাতায়াতে বাধা দিচ্ছে।
প্রভাব: ছাত্রছাত্রী, রোগীসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
উদাহরণ: মনসুরনগর চরের লোকজন কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে ও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৫০ এএম
কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ৬ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস। এ দিবস পালন উপলক্ষ্যে সকালে হানাদার মুক্ত দিবসের বিজয় মিছিল,পুস্প্যমাল্য অর্পন ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত হয়। এই দিন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল চাপের মুখে পাকিস্তানি সেনারা পরাজয় মেনে নিয়ে কুড়িগ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস। কোম্পানি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাই সরকার বীর প্রতীকের নেতৃত্বে কুড়িগ্রাম ওভারহেড পানির টাংকির উপর প্রথম স্বাধীনতার বিজয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এই দিবসের শুরুতে সকাল ৯ টায় একটি বিজয় মিছিল কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হতে বেড় হয়ে শহর পদক্ষিন করে। পরে কলেজ মোড় স্বাধীনতার বিজয় স্থম্ভে পুস্প্য মাল্য অর্পণ করে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং সদর কমান্ডের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল বাতেন সরকারের সঞ্চালনায় এক স্মৃতি চারণ মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে বক্তব্য রাখেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা,কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন,এনডিসি এবিএম মেজবাহ উদ্দিন,সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুল্যা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাই সরকার (বীর প্রতীক), বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর আব্দুস সালাম(অবঃ), বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ,প্রবীন সাংবাদিক সফি খান,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি মাহবুবুর রশীদ তালুকদার স্বপন,সহ সভাপতি নব কুমার সরখেল ববি,সাধারণ সম্পাদক আমানুর রহমান খোকন,উদীচী শিল্পিগোষ্ঠির অনিরুদ্ধ প্রণয় প্রান্তিক,১৯ সংগঠনের রাজ্য জ্যোতি,জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম সদস্য সচিব হেলাল আহমেদ,প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব আব্দুল মুমিন বাবু প্রমুখ ।

জাবিতে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি-সম্পাদক তাড়াশের মাসুদ ও মোন্নাফ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
জাবিতে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি-সম্পাদক তাড়াশের মাসুদ ও মোন্নাফ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধ্যয়নরত সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সদ্য গঠিত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম আবর্তনের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের কৃতী শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আব্দুল মোন্নাফ। একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী, তাড়াশের নাদোসৈয়দপুর গ্রামের মাসুদ রানা।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। দায়িত্বগ্রহণের পর খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হবে বলে জানান নবনির্বাচিত সভাপতি ও সম্পাদক।

সংগঠনের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সভাপতি শাহরিয়ার আব্দুল মোন্নাফ বলেন, “প্রতিবারের মতো এবারও সিরাজগঞ্জ থেকে আগত শিক্ষার্থী ও ভর্তি পরীক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইনশাআল্লাহ, সংগঠনের কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করে আমরা আরও নতুনত্বের প্রকাশ ঘটাবো।”

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, “সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আমার জন্য এক বিশেষ সম্মান। এই বিশ্বাস ও ভালোবাসাকে শক্তি হিসেবে নিয়ে আমরা সমিতিকে আরও সংগঠিত, কার্যকর ও শিক্ষার্থীবান্ধব একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তুলব। আগামী দিনে সিরাজগঞ্জের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা, মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের ক্যাম্পাসের সম্পর্ক জোরদার করাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাব।”

নতুন কমিটি ঘোষণায় জাবির সিরাজগঞ্জের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।