সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার : মোঃ শাহজাহান বাশার
সুন্নীয়তের ঐক্যের মহান ত্রাণকর্তা: হযরত শাহসুফি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী


বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দরবারের প্রতিনিধিত্বকারী, হাসানী ও হুসাইনী উভয় রক্তধারার সম্মানিত উত্তরসূরি, বিশ্ববরেণ্য সুফি ব্যক্তিত্ব হযরত শাহসুফি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী (মাদ্দাযিল্লুহুল আলী) আজ শুধু বাংলাদেশেই নয়, বরং বিশ্ব সুন্নী জনতার কাছে এক অনন্য মর্যাদার অধিকারী। আধ্যাত্মিক ও সামাজিক নেতৃত্বে তিনি এমন উচ্চতায় আরোহন করেছেন যা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ইতিহাসে এক অমর অধ্যায় হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে সুন্নীয়ত বিভক্ত হয়ে ছোট ছোট দলে খণ্ডিত হতে হতে এক সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে, পদে পদে অপমান, নিরাশা ও ভাঙনের স্রোতে ভেসে যাচ্ছিল আহলে সুন্নাত। নানা মুরব্বিরা ঐক্যের চেষ্টা করলেও মতভেদ ও পারস্পরিক দ্বন্দ্বের কারণে প্রায় সব উদ্যোগ ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছিল। এ অবস্থায় কোটি কোটি সুন্নী জনতা দিশেহারা হয়ে পড়েছিল, যেন আর কোনো আশার আলো নেই।
ঠিক এই পরিস্থিতিতে সুন্নীয়তের মহান ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন হযরত শাহসুফি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী। তিনি দৃপ্ত কণ্ঠে জানিয়ে দেন—
“আমার পদ-পদবীর প্রয়োজন নেই, সুন্নীয়তের ঐক্যই আমার একমাত্র মিশন।”
দিন-রাতের পরোয়া না করে, ব্যক্তিগত ব্যস্ততা ভুলে গিয়ে তিনি ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের কোণায় কোণায় ছুটে বেড়িয়েছেন। আহলে সুন্নাতের বিভিন্ন গ্রুপের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে তিনি নিরলসভাবে ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন।
আলহামদুলিল্লাহ! শেষ পর্যন্ত তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় সকল গ্রুপকে ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব হয়েছে। আর সেই ঐক্য ঘোষণার দিনটি ছিল হযরত ইমাম হাসান (আ.)-এর শাহাদাত বার্ষিকী।
ইমাম হাসান (আ.) ছিলেন এমন এক মহান ব্যক্তিত্ব যিনি মুসলিম উম্মাহকে বিভাজন ও সংঘাত থেকে রক্ষা করতে স্বেচ্ছায় খেলাফত থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। পৃথিবীর ইতিহাসে তিনি ঐক্যের জন্য আত্মত্যাগের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
তাঁরই ২৯তম প্রজন্মের উত্তরসূরি হিসেবে হযরত শাহসুফি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানীও আজ সেই ঐতিহাসিক ত্যাগের উত্তরাধিকার বহন করে সুন্নীয়তকে বিভাজন থেকে রক্ষা করেছেন।
আধ্যাত্মিক মর্যাদা-তিনি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দরবারের প্রতিনিধিত্ব করেন। শাজরার দিক থেকে তাঁর পবিত্র শরীরে রয়েছে হাসানী ও হুসাইনী উভয় রক্তধারা। এজন্য তিনি শুধু বাংলাদেশের নন, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এক আধ্যাত্মিক তারকারূপে সুপরিচিত। বিশ্বব্যাপী সুফি আলেম, মাশায়েখ ও আশেকানে রাসূল তাঁর প্রতি অফুরন্ত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রদর্শন করেন।
দোয়া ও কামনা -কোটি কোটি আশেকানে রাসূলের দোয়া—মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন হুজুর কেবলা হযরত শাহসুফি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানীকে হায়াতে তৈয়্যিবা ও দীর্ঘায়ু দান করুন, আমিন।