ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে নীতিমালা সংশোধন সহ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন


বাংলাদেশের সকল সরকারি, আধাসরকারী, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, দপ্তর, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে আউটসোর্সিং, দৈনিক মজুরি ভিত্তিক এবং প্রকল্পে কর্মরত শ্রমজীবী মানুষদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে নীতিমালা সংশোধন সহ নিম্নোক্ত দাবিতে সংবাদ সম্মেলন।
আউটসোর্সিং, দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্প ভিত্তিক কর্মীদের ঠিকাদার প্রথা বাতিল করে চাকরির নিশ্চয়তা প্রদান
করতে হবে এবং সরাসরি প্রতিষ্ঠান এর মাধ্যমে নিযোগ দিতে হবে যা নীতিমালায় স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করতে হবে।
একই কাজে দুই রকম সুবিধা থাকা যাবে না ( সমান সুযোগ সুবিধা দিতে হবে) ইচ্ছামতো দক্ষ জনবলকে বিনা
কারণে চাকরিচ্যুত করা যাবে না। নতুন টেন্ডার বা চুক্তির অজুহাতে অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাঁটাই করা যাবে না এব্যাপারে
নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
সকল বকেয়া বেতন ও ভাতা দ্রুত পরিশোধ করতে হবে। এবং অবশ্যই প্রতি মাসের পাওনাদি পরবর্তী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে পরিশোধের বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে যা প্রতিষ্ঠানের নিকট আদেশ/ নির্দেশনা হিসেবে বিবেচিত হবে।
অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত কর্মীদের পুনঃবহাল করতে হবে এবং কর্মঘন্টার পর (ছুটির দিন সহ) কাজ করালে অতিরিক্ত পারিশ্রমিক প্রদানের জন্য নীতিমালায় স্পষ্ট নির্দেশনা থাকতে হবে।
শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় শ্রমসংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
১) একই রকম কাজ করলেও স্থায়ী কাজের জন্য যে সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয় আউটসোর্সিং কর্মচারীকে তা প্রদান করা হয় না।
২) স্থায়ী কর্মচারীদের ইনক্রিমেন্ট থাকলেও আউটসোর্সিং, দৈনিক মজুরি ও প্রকল্পে কর্মরতদেরকে বছরের পর বছর একই বেতনে চাকরি করতে হয়।
৩) চাকরীর নিশ্চয়তা নাই যেকোন সময় ঠিকাদার এবং কর্তৃপক্ষ কোন কারন ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে দেয়।
৪) বছরের পর যুগের পর যুগ চাকরি করলেও ভবিষ্যৎ তহবিলের কোনই ব্যবস্থা নাই।
৫) শ্রমিকের সুরস্কার জন্য সেফটি টুলস এর ব্যবস্থা করা হয় না এবং কাজের সময় অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় শ্রমিকের মৃত্যু হলেও কোন রকম আর্থিক সুবিধার ব্যবস্থা নাই।
৬) মাতৃত্বকালিন দুটি ৪৫ দিন যা শ্রম আইন পরিপন্থি।
উপরোক্ত সমস্যা গুলোর গুরুত্ব উপলব্ধি করে দেশের ৬-৭ লক্ষ অবহেলিত জনগোষ্ঠীর ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমাণের দাবিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের
বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।