রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

রাজনীতির চামচা সংস্কৃতি

ক্ষমতার ছায়ায় সুবিধাবাদীর উত্থান

✍️ মোঃ আব্দুল কাদের, শিক্ষক ও গবেষক প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ১০:৫২ এএম | 66 বার পড়া হয়েছে
ক্ষমতার ছায়ায় সুবিধাবাদীর উত্থান

রাজনীতি একসময় ছিল আদর্শ ও আত্মত্যাগের প্রতীক। সেখানে ছিল নেতা মানেই দূরদর্শী, সংগ্রামী ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রাণ। কর্মী মানেই আদর্শের ধারক-বাহক, ত্যাগী ও সংগঠনের চালিকাশক্তি। কিন্তু সময় বদলেছে। রাজনীতিতে এখন একটি বিপজ্জনক প্রবণতা বেড়ে চলেছে। তা হলো, চামচা সংস্কৃতি, যেখানে অনুসারীরা নেতার আদর্শ নয়, কেবল ক্ষমতার অনুসরণ করে। এই সংস্কৃতি রাজনীতিকে যেমন কলুষিত করেছে, তেমনি একজন নেতাকেও বারবার বিড়ম্বনায় ফেলেছে।
চামচা সংস্কৃতির মূল চরিত্র হলো সুবিধাবাদ। এই শ্রেণির লোকজন রাজনৈতিক কর্মী নয়, বরং ক্ষমতার ছায়ায় ঘুরপাক খাওয়া সুবিধাভোগী। তারা নেতা বা দলের প্রতি নয়, বরং ক্ষমতার প্রতি আনুগত্যশীল। এই আনুগত্যও আবার স্থায়ী নয়। যতক্ষণ নেতা ক্ষমতায় থাকেন, ততক্ষণ তাঁকে ঘিরে থাকে; আর যখন নেতার প্রভাব কমে যায়, তখন তারা নিঃশব্দে সরেও যায়, এমনকি প্রতিপক্ষের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে।
এদের কর্মপদ্ধতিও একেবারে সুপরিচিত—তারা তোষামোদে পারদর্শী, প্রতিপক্ষকে দমন করতে সক্রিয়, এবং নানা অপকর্মে লিপ্ত। চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাণিজ্য, চাকরি-বাণিজ্য এমনকি নেতা ও দলকে ব্যবহার করে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি—সবকিছুই এদের “রাজনৈতিক চর্চা”-র অন্তর্ভুক্ত। নেতার নাম ব্যবহার করে তার চারপাশে এক ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়ে এরা নিজেদের ক্ষমতাশালী করে তোলে।
এই ধরনের অনুসারীদের জন্য রাজনৈতিক নেতাকে প্রায়শই জবাবদিহিতে পড়তে হয়। জনগণ যখন এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে, তখন তারা নেতা ও কর্মীর পার্থক্য করে না। বরং নেতাকেই দায়ী করে। এতে নেতার জনপ্রিয়তা কমে, দল দুর্বল হয় এবং রাজনীতি থেকে মানুষের আস্থা উঠে যায়।
পক্ষান্তরে, নীতিবান ও আদর্শবাদী রাজনৈতিক কর্মীরা নেতা ও দলের জন্য এক ধরনের আশীর্বাদ। তারা প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও পাশে থাকে, শুদ্ধ রাজনৈতিক চর্চায় বিশ্বাস করে এবং জনসম্পৃক্ত রাজনীতির চর্চা করে। এদের অস্তিত্বই একটি দলের ভিত্তি মজবুত করে। অথচ বাস্তবতা হলো, রাজনৈতিক নেতৃত্ব অনেক সময় নিজেই এসব চামচাদের উৎসাহিত করে—তাদের প্রশ্রয় দেয়, পদ-পদবি দেয়, এবং তাদের কথাই বেশি শোনা হয়।
এখানেই তৈরি হয় চরম রাজনৈতিক সংকট। আদর্শিক কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়ে, রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। ফলে দল থেকে নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা হারিয়ে যায় এবং রাজনীতি হয়ে পড়ে একদল সুযোগসন্ধানীর আস্তানা।
এই চামচা সংস্কৃতি রাজনৈতিক পরিসরকে শুধু দুর্নীতিগ্রস্তই করে না, বরং রাজনীতিকে জনবিচ্ছিন্নও করে তোলে। মানুষ রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, বিশ্বাস করে না নেতার ভাষণ, কারণ বাস্তব অভিজ্ঞতা বলে—নেতা যেমনই হোন, তার আশপাশের দুর্নীতিবাজরা ক্ষতি করে চলে দিনরাত।
সুতরাং, সময় এসেছে আত্মসমালোচনার। একজন রাজনৈতিক নেতা নিজেকে প্রশ্ন করবেন, “আমার আশপাশে যারা আছে, তারা কি আদর্শের অনুসারী, নাকি কেবল সুবিধাবাদী?” দলগুলোও নিজেদের সাংগঠনিকভাবে পর্যালোচনা করবে, “আমরা কীভাবে এমন সংস্কৃতি তৈরি করেছি যেখানে মেধাবী ও ত্যাগীরা পেছনে পড়ে থাকে, আর চাটুকারেরা সামনের সারিতে?”
রাজনীতিকে যদি আমরা আদর্শ ও জনকল্যাণের পথে ফিরিয়ে আনতে চাই, তাহলে এই চামচা সংস্কৃতি ভাঙতেই হবে। নেতাকে হতে হবে বিচক্ষণ, সাহসী এবং আত্মসমালোচনামুখী। দলের ভেতরেই গড়ে তুলতে হবে এমন এক কর্মীবাহিনী, যারা বিশ্বাস করে আদর্শে, এবং দায়িত্ব নেয় জনসেবার।
এটাই হতে পারে একটি শুদ্ধ, গ্রহণযোগ্য ও গণমুখী রাজনীতির সূচনা।

দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

মো: মেহেদী হাসান ফুয়াদ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫৫ পিএম
দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

২ আগষ্ট শনিবার বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর নব নির্বাচিত কার্য্যকরী কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নব- নির্বাচিত সভাপতি- মোঃ আব্দুস সাত্তার, সহ সভাপতি- মোঃ শরিফুল ইসলাম সেলি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক, আবুল কালাম (১), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ এনামুল হক, অর্থ সম্পাদক- আবুস সালাম ও কার্র্য্যনির্বাহী পরিষোধের সদস্য মোঃ কমর আলী শেখ ও মোঃ বিশালকে ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র অনুর্যায়ী শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশান দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রবিউল আউয়াল খোকা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবিবর রহমান। উল্লেখ্য, বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২ জুলাই ‘২০২৫। নির্বাচনে উপরোক্ত ৮জন প্রার্থী বিজয়ী হন।

দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

বগুড়া থেকে মোঃ হাফিজুর রহমান প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫১ পিএম
দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

গাবতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাবতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জনাব ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ জানিয়েছেন —
আমাদের দেশ চলে মানুষের ঘাম আর পরিশ্রমের করের টাকায়। প্রতিটি রাস্তা, স্কুল, হাসপাতাল, সরকারি সেবা ও অবকাঠামো জনগণের টাকায় গড়ে উঠেছে।
কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট শাসন আর আজকের কর্তৃত্ববাদী মনোভাব দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকারকে অবমূল্যায়ন করেছে — মানুষের ভোটাধিকার হরণ হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত হয়েছে, গণতন্ত্রকে পদদলিত করা হয়েছে। স্বজনপ্রীতি, লুটপাট আর দুর্নীতি সাধারণ মানুষের জীবনকে জিম্মি করে রেখেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিশ্বাস করে—গণতন্ত্র মানে শুধু ভোট নয়, মানুষের কথা শোনা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
আমাদের আপোষহীন নেত্রী, তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষায় আজও আপোষহীনভাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। বিএনপি জনগণের অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে সবসময়ই জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি সরকারের সময় দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পথে ছিল, গণতন্ত্র ও মানুষের কথা বলার অধিকার সুরক্ষিত ছিল — যা আজ হরণ হয়েছে।
আগামী নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জনগণকে আহ্বান জানাই—আপনাদের শক্তি ও অধিকারকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিজয়ের প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিন, আপনার আস্থা ও বিশ্বাস প্রকাশ করুন।
বিএনপি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পক্ষে। দেশের প্রতিটি টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করাই আমাদের অঙ্গীকার। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকাটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত শক্তি।
আমরা বিশ্বাস করি—ধানের শীষে জনগণের এই আস্থা গণতন্ত্র, উন্নয়ন আর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হয়ে উঠবে।

মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

Masud Parves প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম
মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

মধ্যবয়সী নারীকে বাইরে থেকে দেখে কেউ বুঝতে পারে না, তার ভেতর কতটা জীবন বয়ে চলে। তার মুখে হয়তো একরাশ শান্তি, চোখে একটুখানি ক্লান্তি—কিন্তু এই চেহারার ভেতরে আছে এক গভীর নদী, যেটা ধীরে ধীরে বয়ে যায়। এই নদী যেন নীরব, তবে থেমে নেই। প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা, ভালোবাসা, হারানো-বিলুপ্ত কিছু স্মৃতি—সব মিলে তার কামনা তৈরি হয় এক নতুন রূপে, এক অনন্য ভাষায়।
এই বয়সে সে আর কারো মন জেতার জন্য হাসে না। সে নিজেকে লুকিয়ে রাখে না, সাজিয়ে তোলে না কেবল কারো নজর কাড়ার জন্য। বরং সে নিজেকে ভালোবাসে গভীরভাবে। জানে—তার শরীর ঠিক যেমন, তেমনটাই সুন্দর। তার যৌনতা এখন আর দেহের খেলায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে বোঝাপড়ার, সম্মান আর সংবেদনের জায়গা।
তরুণ বয়সের কামনা হঠাৎ জ্বলে ওঠে, হঠাৎ নিভেও যায়। সেখানে থাকে আবেগের ঝড়, না বুঝে ফেলার এক উন্মাদনা। কিন্তু মধ্যবয়সী নারীর কামনা অনেক বেশি ধৈর্যের, অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের। সে জানে, কীভাবে তার শরীরের প্রতিটি প্রতিক্রিয়া বোঝে নিতে হয়। সে জানে, কখন আগলে রাখতে হয় নিজেকে, আর কখন খুলে দিতে হয় সমস্ত দরজা।
এই নারী কাউকে ছুঁতে চায়—কিন্তু ছোঁয়াটার আগে সে বোঝে নেয় সেই মানুষটার ভেতরটা। সে শুধু শরীর খোঁজে না—সে এমন একজন সঙ্গী খোঁজে, যার স্পর্শে থাকে শ্রদ্ধা, যার চোখে থাকে নিরাপত্তা। সে জানে কার পাশে ঘুমালে শান্তি নামে, আর কার পাশে থাকলে ভালোবাসা শুকিয়ে যায়।
তার কামনা আর শিশুর মতো নিষ্পাপ নয়। বরং তাতে এক ধরনের প্রাপ্তবয়স্ক মমতা থাকে, থাকে বোঝাপড়া। সে জানে কখন চাওয়া, কখন না বলা। সে জানে, ‘না’ বলাটাও নিজের প্রতি এক রকম ভালোবাসা। তার ভালোবাসা এখন আর পাগলামি নয়—তা গভীর, সযত্নে বাছাই করা, বোধসম্পন্ন।
সমাজ হয়তো ভাবে এই বয়সের নারী নিঃসাড়, নিঃস্পৃহ। কিন্তু তারা জানে না, তার ভেতরটায় প্রতিদিন ঢেউ খেলে যায়। তার চোখে জমে থাকা পুরনো গল্পের আলো ঝিলমিল করে, তার হাসিতে মিশে থাকে না বলা ভালোবাসার রেশ। এই নারী চাইলেই কারো জীবনে নীরবে ঢুকে যেতে পারে, আবার কাউকে বিদায়ও জানাতে পারে নিঃশব্দে—এক বিন্দু তিক্ততা ছাড়াই।
তার যৌনতা আজ আর কারো কাছ থেকে অনুমতি চায় না। সে নিজের শরীর, নিজের কামনা, নিজের মনের দায়িত্ব নিজেই নেয়। সে জানে—কে তার জলের গভীরে স্নান করার যোগ্য, আর কে কেবল পাথর ছুড়ে জল ঘোলা করতে চায়।
মধ্যবয়স মানে ক্ষয় নয়, সেটি এক নবজন্ম। একজন নারী এই বয়সে এসে হয়তো সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল হয়—যেন সন্ধ্যার আলোয় জ্বলে ওঠা দীপ, যা সারা দিনের ক্লান্তিকে শান্ত করে। তার কামনা আগুন নয়—তা আলো। তা জ্বলিয়ে দেয় না, তা গায়ে মেখে থাকে।
এক নদী, যে জানে কখন কার দিকে পথ খুলে দিতে হয়, আর কখন নিজেকে আগলে রাখতে হয়।
যে জানে, ভালোবাসা মানে কারো হাত ধরা নয়—বরং কারো হাতে নিজের হাত রাখার মতো আত্মবিশ্বাস অর্জন করা।

error: Content is protected !!