শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

রাজনীতির চামচা সংস্কৃতি

ক্ষমতার ছায়ায় সুবিধাবাদীর উত্থান

✍️ মোঃ আব্দুল কাদের, শিক্ষক ও গবেষক প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ১০:৫২ এএম | 96 বার পড়া হয়েছে
ক্ষমতার ছায়ায় সুবিধাবাদীর উত্থান

রাজনীতি একসময় ছিল আদর্শ ও আত্মত্যাগের প্রতীক। সেখানে ছিল নেতা মানেই দূরদর্শী, সংগ্রামী ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রাণ। কর্মী মানেই আদর্শের ধারক-বাহক, ত্যাগী ও সংগঠনের চালিকাশক্তি। কিন্তু সময় বদলেছে। রাজনীতিতে এখন একটি বিপজ্জনক প্রবণতা বেড়ে চলেছে। তা হলো, চামচা সংস্কৃতি, যেখানে অনুসারীরা নেতার আদর্শ নয়, কেবল ক্ষমতার অনুসরণ করে। এই সংস্কৃতি রাজনীতিকে যেমন কলুষিত করেছে, তেমনি একজন নেতাকেও বারবার বিড়ম্বনায় ফেলেছে।
চামচা সংস্কৃতির মূল চরিত্র হলো সুবিধাবাদ। এই শ্রেণির লোকজন রাজনৈতিক কর্মী নয়, বরং ক্ষমতার ছায়ায় ঘুরপাক খাওয়া সুবিধাভোগী। তারা নেতা বা দলের প্রতি নয়, বরং ক্ষমতার প্রতি আনুগত্যশীল। এই আনুগত্যও আবার স্থায়ী নয়। যতক্ষণ নেতা ক্ষমতায় থাকেন, ততক্ষণ তাঁকে ঘিরে থাকে; আর যখন নেতার প্রভাব কমে যায়, তখন তারা নিঃশব্দে সরেও যায়, এমনকি প্রতিপক্ষের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে।
এদের কর্মপদ্ধতিও একেবারে সুপরিচিত—তারা তোষামোদে পারদর্শী, প্রতিপক্ষকে দমন করতে সক্রিয়, এবং নানা অপকর্মে লিপ্ত। চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাণিজ্য, চাকরি-বাণিজ্য এমনকি নেতা ও দলকে ব্যবহার করে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি—সবকিছুই এদের “রাজনৈতিক চর্চা”-র অন্তর্ভুক্ত। নেতার নাম ব্যবহার করে তার চারপাশে এক ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়ে এরা নিজেদের ক্ষমতাশালী করে তোলে।
এই ধরনের অনুসারীদের জন্য রাজনৈতিক নেতাকে প্রায়শই জবাবদিহিতে পড়তে হয়। জনগণ যখন এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে, তখন তারা নেতা ও কর্মীর পার্থক্য করে না। বরং নেতাকেই দায়ী করে। এতে নেতার জনপ্রিয়তা কমে, দল দুর্বল হয় এবং রাজনীতি থেকে মানুষের আস্থা উঠে যায়।
পক্ষান্তরে, নীতিবান ও আদর্শবাদী রাজনৈতিক কর্মীরা নেতা ও দলের জন্য এক ধরনের আশীর্বাদ। তারা প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও পাশে থাকে, শুদ্ধ রাজনৈতিক চর্চায় বিশ্বাস করে এবং জনসম্পৃক্ত রাজনীতির চর্চা করে। এদের অস্তিত্বই একটি দলের ভিত্তি মজবুত করে। অথচ বাস্তবতা হলো, রাজনৈতিক নেতৃত্ব অনেক সময় নিজেই এসব চামচাদের উৎসাহিত করে—তাদের প্রশ্রয় দেয়, পদ-পদবি দেয়, এবং তাদের কথাই বেশি শোনা হয়।
এখানেই তৈরি হয় চরম রাজনৈতিক সংকট। আদর্শিক কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়ে, রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। ফলে দল থেকে নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা হারিয়ে যায় এবং রাজনীতি হয়ে পড়ে একদল সুযোগসন্ধানীর আস্তানা।
এই চামচা সংস্কৃতি রাজনৈতিক পরিসরকে শুধু দুর্নীতিগ্রস্তই করে না, বরং রাজনীতিকে জনবিচ্ছিন্নও করে তোলে। মানুষ রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, বিশ্বাস করে না নেতার ভাষণ, কারণ বাস্তব অভিজ্ঞতা বলে—নেতা যেমনই হোন, তার আশপাশের দুর্নীতিবাজরা ক্ষতি করে চলে দিনরাত।
সুতরাং, সময় এসেছে আত্মসমালোচনার। একজন রাজনৈতিক নেতা নিজেকে প্রশ্ন করবেন, “আমার আশপাশে যারা আছে, তারা কি আদর্শের অনুসারী, নাকি কেবল সুবিধাবাদী?” দলগুলোও নিজেদের সাংগঠনিকভাবে পর্যালোচনা করবে, “আমরা কীভাবে এমন সংস্কৃতি তৈরি করেছি যেখানে মেধাবী ও ত্যাগীরা পেছনে পড়ে থাকে, আর চাটুকারেরা সামনের সারিতে?”
রাজনীতিকে যদি আমরা আদর্শ ও জনকল্যাণের পথে ফিরিয়ে আনতে চাই, তাহলে এই চামচা সংস্কৃতি ভাঙতেই হবে। নেতাকে হতে হবে বিচক্ষণ, সাহসী এবং আত্মসমালোচনামুখী। দলের ভেতরেই গড়ে তুলতে হবে এমন এক কর্মীবাহিনী, যারা বিশ্বাস করে আদর্শে, এবং দায়িত্ব নেয় জনসেবার।
এটাই হতে পারে একটি শুদ্ধ, গ্রহণযোগ্য ও গণমুখী রাজনীতির সূচনা।

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।