বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

মোঃ আব্দুল কাদের 🎓শিক্ষক ও গবেষক🎓

৩৬ জুলাই: দলীয় নয়, জাতীয় ঐক্যের প্রতিক

মোঃ আব্দুল কাদের 🎓শিক্ষক ও গবেষক🎓 প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ৪:২৭ পিএম | 81 বার পড়া হয়েছে
৩৬ জুলাই: দলীয় নয়, জাতীয় ঐক্যের প্রতিক

৩৬ জুলাই, ২০২৫। আমাদের স্বাধীনতার নতুন এক সূর্যোদয়ের এক বছর পূর্তি। গত বছরের এই দিনটিতে, এক নির্মম শ্বাসরুদ্ধকর ইতিহাসের অবসান ঘটেছিল। ১৫ বছরের একচ্ছত্র শাসন, রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদ, মত প্রকাশের অবরোধ, বিচারহীনতার সংস্কৃতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের অবসান ঘটিয়েছিলো আজ। এ দেশের অদম্য ছাত্রজনতা, পেশাজীবী, শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক, সাংবাদিক, সাধারণ জনগণ এবং বাংলাদেশের চেতনাসম্পন্ন প্রতিটি হৃদয় স্বস্তি পেযেছিল।
সেদিন সকাল থেকে রাস্তায় নেমে এসেছিলো কোটি প্রাণ। বিশেষ করে বাংলাদেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হয়ে উঠেছিলো মুক্তির মশালবাহী। তাদের একদফা ছিলো—ফ্যাসিস্ট হাসিনার পদত্যাগ। তাদের কণ্ঠে ছিলো জনতার আকাঙ্ক্ষার প্রতিধ্বনি। রাষ্ট্রের পোষ্য বাহিনীগুলো যতই গুলি চালাক, লাঠিচার্জ করুক, রক্তাক্ত করুক; ছাত্রজনতার অঙ্গীকার ছিলো অনড়, দৃঢ়, আপসহীন। যুদ্ধ চলছিল বাংলাদেশ বনাম আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকার।
এই বিপ্লব শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছিলো। দিল্লি, ইসলামাবাদ, লন্ডন, নিউইয়র্ক, বার্লিন—সবখানে বাংলাদেশের ‘৩৬ জুলাই বিপ্লব’ আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিলো। কেউ কেউ বলেছিলো, এটি ২১ শতকের ‘ডিজিটাল মুক্তিযুদ্ধ’। কেউ কেউ বলেছিলো, গণমানুষের চেতনার জাগরণ। পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ আন্দোলন হোক বা ভারতের মনুবাদবিরোধী ছাত্র আন্দোলন—বাংলাদেশের ৩৬ জুলাইকে আদর্শ হিসেবে অনুসরণ করেছে অনেকে। আর আমরা, বাংলাদেশের নাগরিকরা, বলেছিলাম—“সাবাস বাংলাদেশ!”
কিন্তু আজ, এক বছর পর, আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি? এই প্রশ্নে জর্জরিত আমার মন। আমার আশা ছিলো, ৩৬ জুলাই ২০২৫ হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জাতীয় ঐক্যের উৎসব। সকল দল, মত, পথ, পেশা নির্বিশেষে একত্রে দাঁড়িয়ে এই দিনে বলবে—আমরা মানুষ, আমরা মুক্ত, আমরা গণতন্ত্র চাই।
কিন্তু বাস্তবতা বড়ই করুণ। আজকের ৩৬ জুলাইয়ে আমরা দেখলাম—বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের মতো করে দিবসটি পালন করলো। কেউ করলো র‍্যালি, কেউ করলো আলোচনা সভা, কেউ করলো শহীদ স্মরণ। কিন্তু কোথাও নেই একটি যৌথ কর্মসূচি, নেই কোনো জাতীয় ঐক্যের প্রকাশ। সবাই আলাদা, খণ্ডিত, একা। ঠিক যেন, একটি গোলাপের বিচ্ছিন্ন পাপড়ি।
তাহলে কি আমরা আবারও সেই বিভাজনের পথে হাঁটছি? ইতিহাস কি আবারও একই ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটাবে?
আমরা ভুলে যাচ্ছি, ৩৬ জুলাই ছিলো কোনো একক দলের জয় নয়। এটি ছিলো একটি জাতির বিজয়। এটি ছিলো জনগণের সেই চূড়ান্ত অবস্থান যেখানে ফ্যাসিবাদ, একনায়কতন্ত্র ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে সবাই এক হয়ে গর্জে উঠেছিলো। এই দিনটির আবেদন দলীয় নয়—জাতীয়। এটি যেনো একটি নতুন মহান স্বাধীনতা দিবস।
অথচ আজ আমরা বিভক্ত। রাজনৈতিক দলগুলো যেন আবার নিজেদের সংকীর্ণ ব্যানারে নিজেদের গৌরব বাঁচাতে ব্যস্ত। বৃহৎ দল হিসেবে বিএনপি অবশ্যই এই জাতীয় ঐক্যের ডাক দিতে পারতো। জামাতে ইসলাম, এনসিপি, বিপ্লবী ছাত্রদল বা অন্যান্য নতুন রাজনৈতিক শক্তিগুলোও একসঙ্গে একত্রে এই দিনটি উদযাপনের উদাহরণ তৈরি করতে পারতো।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে কেউই সেই দায় নেয়নি।
আমরা একথা ভুলে যাচ্ছি, একসময় যারা আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছিলো—তারাই শেষ পর্যন্ত তাদের হাতে নিপীড়িত হয়েছে। আওয়ামী লীগ নামধারী দলটি কোনো রাজনৈতিক আদর্শের ধারক ছিলো না, বরং একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রযন্ত্রে পরিণত হয়েছিলো। এমনকি তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্ররাও একসময় রাষ্ট্রীয় প্রতিহিংসার শিকার হয়েছে। তাই ইতিহাসের শিক্ষা একটাই—রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্যই একমাত্র মুক্তির পথ।
এই ঐক্য যদি ২০২৫ সালের ৩৬ জুলাইয়ে আরও একবার দৃশ্যমান হতো, তাহলে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের মর্যাদা অনেকগুণ বেড়ে যেতো। ইউএন, এ্যামনেস্টি, টিআইবি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, এমনকি ভারতীয় সরকার পর্যন্ত উপলব্ধি করতো যে—বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কোনো আপোষে রাজি নয়। ভারতও হয়তো আর কখনো হাসিনার মতো একজন ‘পুশ-ইন’ কুশীলবকে বাংলাদেশে ফেরৎ পাঠানোর দুঃস্বপ্ন দেখতো না।
তাহলে কেন এই ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হলো না?
অহংকার, আত্মম্ভরিতা, দলীয় বিভাজন, নেতৃত্বের সংকট—এই চারটি বিষ আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে গ্রাস করেছে। অথচ জনগণ প্রমাণ করেছে, তারা ঐক্যবদ্ধ হলে ইতিহাস বদলে দিতে পারে। ৩৬ জুলাই তার জীবন্ত উদাহরণ।
তাই আজকের দিনটিতে, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে, একজন ফ্যাসিবাদবিরোধী কণ্ঠস্বর হিসেবে এবং একজন জাতীয়তাবাদী কর্মী হিসেবে আমি এই কথাগুলো বলছি—আমরা যদি সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, স্বাধিকার, উন্নয়ন এবং একটি প্রগতিশীল রাষ্ট্র গড়তে চাই, তবে জাতীয় স্বার্থে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতেই হবে।
আমাদের মনে রাখতে হবে—“ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়।” দলীয় বিভাজনের রাজনীতি আমাদের পিছনে টানে, জাতীয় ঐক্য আমাদের সামনে নিয়ে যায়।
আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সম্মানজনক, মানবিক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রেখে যেতে হলে, ৩৬ জুলাই যেন একটি দলীয় উৎসব না হয়ে—একটি জাতীয় দিবস হয়ে ওঠে, সেটিই হওয়া উচিত আমাদের অঙ্গীকার।
সেই লক্ষ্যে চলুন, আগামী বছর থেকে এই দিনটি একযোগে উদযাপন করি। একদিনের জন্য হলেও দলমত ভুলে গিয়ে বুকে ধারণ করি, আমরা সবাই বাংলাদেশ। আমাদের ভিন্নমত থাকতে পারে, কিন্তু দেশের কল্যাণে আমাদের লক্ষ্য একটাই—ফ্যাসিবাদ নয়, গণতন্ত্র চাই। নিপীড়ন নয়, ন্যায়বিচার চাই।
৩৬ জুলাই আমাদের সেই ঐক্যের প্রতীক হয়ে থাকুক।
সাবাস বাংলাদেশ। সাবাস জনগণ। স্বাগতম গণতন্ত্র।

নরসিংদীর রায়পুরা মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা ও চাঁদাবাজ নুরুল ইসলাম, হারুন, হান্নানের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

তালাত মাহামুদ বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:১৮ পিএম
নরসিংদীর রায়পুরা মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা ও চাঁদাবাজ নুরুল ইসলাম, হারুন, হান্নানের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে , প্রতিবাদ ,মানববন্ধন, কর্মসূচি পালন করেন কিশোরগঞ্জের ভৈরবে । নৌপথে চলাচলকারী ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের উদ্যোগে এ মানববন্ধনে , অংশ নেন ভৈরব ও রায়পুরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মির্জাচরের আওয়ামী লীগের দোসর রসুনের ছেলে নুরুল ইসলাম, বাশগাড়ির যুবলীগ নেতা হারুন ও নিলক্কার হান্নান দীর্ঘদিন ধরে স্পোর্টস বোট ও ট্রলারে করে মেঘনা নদীতে , সশস্ত্র তাণ্ডব চালাচ্ছে। গরু ব্যবসায়ী ও মোদি ব্যবসায়ীদের মালামাল ছিনতাই, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি ,ও জনসাধারণের উপর গুলি চালানোর মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা।

এছাড়া ও নদীর চরাঞ্চলে অবৈধভাবে চুম্বুক , ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলনের অভিযোগ ইতিপূর্বে একাধিকবার করা হয়েছে। নদীপথে চলাচল কারী কার্গো ট্রলার থেকে চাঁদা আদায়ের মতো ঘটনা , প্রতিনিয়ত চালিয়েছে বলে জানায় বিশ্বস্ত সূত্র।

এ ব্যাপারে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে , বিএনপির কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, বলেন“এই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আমাদের দলের কেউ নয়।” রায়পুরা উপজেলার বিএনপির , সাধারণ সম্পাদক ,আব্দুর রহমান খোকন ,বলেন “নুরুল ইসলাম, হান্নান ও হারুন আওয়ামী লীগের দোসর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করছি, তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করুন।” সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিএনপি দলে কোন স্থান নেই । এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় । ইতি পর্বে নুরুল ইসলাম গং মির্জাচরে মানববন্ধনে গুলি বর্ষন করেন এবং গ্রামবাসীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রায়পুরা থানায় আছে । তৎকালীন সময়ের বহু ঘটনা জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সহ নরসিংদী জেলার বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় একাধিক নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে

এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ।

সৌরভ চত্বরের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

  তৌহিদুর রহমান শেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:০৪ পিএম
সৌরভ চত্বরের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ‘সৌরভ চত্বর’-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিতর্কিত এক ব্যক্তির উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা দেখা দিয়েছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

৫ আগস্ট, মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইগাতী থানা মোড়ে শহীদ ছাত্রনেতা সৌরভের নামে নির্মিত ‘সৌরভ চত্বর’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন, ইউএনও মো. আশরাফুল আলম রাসেল। এ সময় শহীদ সৌরভের পিতা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমিন, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

তবে অনুষ্ঠান শেষে ফটোসেশনে ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলার আসামি সারোয়ার হোসেনের ছবি ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই অভিযোগ করেন, জনপ্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা রাজনৈতিক সুবিধাভোগীদের পুনর্বাসনের কৌশল হিসেবে এমন আয়োজন করছেন।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হলে উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতায় ও পুলিশের বিশেষ উদ্যোগে বিতর্কিত ব্যক্তি সারোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিয়ে ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “আমি সারোয়ার হোসেন নামে কাউকে চিনি না, তাকে আমন্ত্রণ জানানো তো দূরের কথা। শহীদ সৌরভের বাবা তাঁকে আত্মীয় হিসেবে নিজেই সঙ্গে এনেছেন। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিংবা মামলার আসামি, এসব তথ্য আমার জানা ছিল না। আমি এই ভিত্তিহীন অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “স্মৃতিচারণমূলক এ অনুষ্ঠানটি ছিল সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এবং একটি শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর নিঃস্বার্থ প্রয়াস। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি উপস্থিত থাকলে সেটিকে প্রশাসনের অভিপ্রায় হিসেবে ব্যাখ্যা করা অনুচিত।”

সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইউএনও বলেন, “সত্যতা যাচাই না করে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ও গুজব ছড়ানো সামাজিক দায়িত্বের পরিপন্থী। একজন শহীদের নামের সাথে জড়িত অনুষ্ঠানে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করাও অত্যন্ত দুঃখজনক।”

দশঘর মাদরাসা কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসর নাসির সভাপতি হওয়ার পায়তারা:এলাকায় ক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:০১ পিএম
দশঘর মাদরাসা কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসর নাসির সভাপতি হওয়ার পায়তারা:এলাকায় ক্ষোভ

ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের রাজ্জাকীয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা,দশঘরের ম্যানেজিং কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসর এমপি মানিকের ঘনিষ্টজন দশঘর গ্রামের মাষ্টার নাসির উদ্দীন সভাপতি হওয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এতে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে প্রতিষ্টানের প্রধান উলামালীগের সদস্য মাও:মুশাহিদ আলী তাঁর বিগত দিনের নিজের অপকর্ম যাতে প্রকাশ না পায় এজন্য এই আওয়ামী ডেবিলকে সভাপতি করতে তৎপরতা চালাচ্ছেন।

মাদরসার অভিভাবকদের বক্তব্য হচ্ছে ,আওয়ামীলীগের এই দোসরকে সভাপতি করলে মাদরাসা উন্নয়ন কাজ থেকে বঞ্চিত হবে।সরকারের নির্দেশনা রয়েছে।

বর্তমানে কোন শিক্ষা প্রতিষ্টানের কমিটিতে যেন নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের কোন দোসর সভাপতি হতে না পারে।মাষ্টার নাসির উদ্দিন যে আওয়ামীলীগের নেতা ও এমপি মানিকের একনিষ্ট সহযোগী ছিল, তা ছাতকের রাজনৈতিক মহলে সবার জানা।তাই নাসির উদ্দনীন সভাপতি হলে আগামী নির্বাচনে যারাই অত্র আসনে এমপি বা উপজেলা চেয়ারম্যান হবেন স্বাভাবিক ভাবে এ কারণে অত্র মাদরাসা উন্নয়ন কাজে আগ্রহী হবেন না বলে আশংকা করা হচ্ছে।

তাই,দশঘর মাদরাসায় যাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের কোন ডেভিল সভাপতি হতে না পারে এজন্য এলাকাবাসী ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

error: Content is protected !!