সাগর-রুনি ও নির্যাতিত সাংবাদিকদের স্মরণে
বিচার কোথায়?


সাগর-রুনির রক্ত আজও এই মাটিতে চিৎকার করে,
ভোরের সূর্য জানে—দেয়ালে লেখা অক্ষর জ্বলে।
তবু রাষ্ট্রের চোখে কেন এত অন্ধকার?
কেন নীরবতা শাসায় অন্যায়ের দীর্ঘ সংসার?
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২—
সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি—
স্বামী-স্ত্রী, দুই সাহসী সাংবাদিক—
খুন হলেন রাতে, পেশাদার ঘাতকের নির্ভুল আঘাতে।
এক যুগ পেরিয়ে গেছে—১৩ বছর!
তদন্ত আজও দাঁড়িয়ে আছে পথের ধারে।
১১৯ বার পিছিয়েছে শুনানির তারিখ—
কোনো নির্দয় ক্যালেন্ডারের পাতায় পাতায়।
আমরা বলি—এটা কি ন্যায়ের দেশ?
যেখানে খুনের বিচার শুধু পিছিয়ে চলে?
যেখানে সাংবাদিক মরলেই রাষ্ট্র নির্বাক হয়,
আর আদালত ব্যস্ত থাকে কেবল
“পুনরায় দিন ধার্য” লিখতে লিখতে?
আমরা কি এসেছি কেবল কফিনে নাম লেখাতে?
না কি এসেছি সত্য বলতে গিয়ে প্রতিদিন মরতে?
আমরা সাংবাদিক—কলম আমাদের অস্ত্র।
তবু কেন নোংরা চক্রান্তে,
আমাদের কণ্ঠ চেপে ধরে শাসনের মুষ্টি?
প্রশ্ন জাগে— এই রাষ্ট্র কি রুনিদের অশ্রু ভুলে গেছে?
এই মাটির বিবেক কি মৃত বিবেচনায় পাথর হয়ে গেছে?
না! আমরা চুপ থাকব না।
আমরা চাই—একদিন সেই আদালত কাঁপুক,
যেদিন রাজার মুকুট খসে পড়বে, যেদিন হবে বিচার—প্রকাশ্যে, নির্ভীক উচ্চারণে।
আজও জ্বলছে আগুন—
সাগর-রুনির,জামালপুরে নাদিম,গাইবান্ধার ফরিদুল ইসলাম রঞ্জু,বগুড়ার শেরপুরের দীপঙ্কর চক্রবর্তী—
সব নির্যাতিত, নিপীড়িত কণ্ঠের আগুন।
এই আগুন নিভবে না, যতক্ষণ না—সত্য পাবে আলো, অন্যায় পাবে জবাব।
তাই বলি—আমরা সাংবাদিক মরতে আসিনি,
আমরা এসেছি লিখতে—রক্ত দিয়ে ইতিহাস।
আমরা এসেছি প্রতিবাদের আগুনে—জ্বালাতে অন্যায়, কর্পুরের মতো নিশ্বাস!