লড়াই করে বাঁচুন
টুনিরা এভাবেই হেরে যান


টুনিরা এভাবেই হেরে যান।
বাংলার অধিকাংশ ঘরে ঘরে,এক এক জন টুনি বাস করেন।
ঐসব টুনিরা ও নিজের জীবনের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে, শ্রম দিয়ে তাদের স্বামী, সন্তান, ও পরিবারের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেন।
আর ঐসব টুনিদের স্বামীরা এভাবেই টুনিদের কে শোষণ শেষে, নির্যাতন শেষে ছুড়ে ফেলে দেন নর্দমায়।
এবং নতুন কোন টুনিকে টার্গেট করেন ।
টুনিদের কিছুই করার থাকে না।এক কিংবা একাধিক সন্তান এর ভরণ পোষণের চিন্তা,মায়া,আর দায়িত্বের যাঁতাকলে পিষ্ট হতে হতে চোখের জ্বল ঝরানো ছাড়া কোন উপায় থাকে না।
টুনি কিডনি দিয়ে স্বামী কে বাঁচিয়ে ও তার মন পাননি। এই ধরনের স্বামীদের
কিডনি কেন কলিজা ভুনা করে খাওয়ালে ও খাওয়া শেষ করে বলবে; কলিজা ভুনায় লবণ হয়নি।
সমস্ত শরীর মন তথা জীবন টাকে ভেজে রোস্ট বানিয়ে খাওয়ালে ও তাদের মন পাবে না।সে অন্যখানে ভিন্ন স্বাদ নিতে যাবেই।
তাই, টুনি বোন আপনি সহ হাজার হাজার টুনিদের কে বলছি;
নিজের যত্ন নিন।নিজে আগে বাঁচতে শিখুন। নতুন করে নিজেকে তৈরি করে তুলুন। নিজে কিছু রোজগার করুন। কিছু নিজের জন্য সঞ্চয় করুন।
কান্না নয়, আহাজারি নয়,ঐ চোখে আগুন জ্বলুক। তীব্র ঘৃণার আগুন।
যা গেছে তা গেছে। নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখুন। লড়াই করে বাঁচুন। জয়ী আপনি হবেনই।