সন্তান বড় হলে বিছানা আলাদা করা কি দরকারি?


সন্তান বড় হলে বিছানা আলাদা করা কি দরকারি?
হ্যাঁ, দরকারি! আর না করলে কী হয়? নিচের ঘটনাটা পড়ুন। শেয়ার করতে ভুলবেন না। আপনার একটি শেয়ারে আরেকজন শতর্ক হতে পারে…….
👧 রিমা (ছদ্ম নাম)। বয়স সাত। ওয়ানে পড়ে। ফর্সা গায়ের রঙ, কোকড়ানো চুল, টলটলে চোখ।
দেখলে মন চায়, একটু ছুঁয়ে দেখি!
এই বাচ্চাটাকে দেখে কখনো আপনি ভাববেন না, তার জীবনে এমন কিছু ঘটে গেছে যা… একজন ডাক্তারকেও স্তব্ধ করে দেয়।
🩺 একদিন মা তাকে নিয়ে এল চেম্বারে। প্রসাবে জ্বালাপোড়া। তলপেটে ব্যথা।
মা বলল, “ম্যাডাম, পিসাব করনের সময় কান্দে আর পেট ধইরা খিচ্চা বইসা থাকে।”
⚠️ ডাক্তার যখন পরীক্ষা করতে চাইলেন, মেয়েটির শরীরে যা দেখলেন, তাতে তার ভেতর কেঁপে উঠলো।
ছোট একটা শিশুর শরীরে এমন ক্ষত!
কী করে সম্ভব?
❓ডাক্তার জিজ্ঞেস করলেন:
– “বাড়িতে কে কে থাকে?”
মা: “ওর বাপ আর আমি।”
– “আর কেউ না?”
মা: “ভাসুরের বাসা পাশে। ওর ছেলের সাথে খেলাধুলা করে। বয়স বারো।”
– “কি খেলে?”
মা হেসে বললেন, “এই তো, চোর-পুলিশ, পুতুল খেলা। ছোট মানুষ তো!”
👩⚕️ ডাক্তার এবার সরাসরি মেয়েকে জিজ্ঞেস করেন:
– “মিতুল ভাইয়ার সাথে কি খেলো?”
রিমা বলে, “বউ-জামাই খেলি।”
– “ও খেলা কিভাবে খেলো?”
রিমা যা ব্যাখ্যা করলো, তা শুনে ডাক্তার স্তব্ধ, মা চেয়ারেই মরে গেলেন যেন।
হুঁশ ফিরে বললেন, “না ম্যাডাম! ও তো ছোট! কিছু বোঝে না!”
ডাক্তার চুপ। শুধু একটা কথা মনে হলো: “এই তো হয়েছে তোমার সবচেয়ে বড় ভুল!”
💔 এখানেই শেষ নয়…
ডাক্তার আবার জিজ্ঞেস করলেন,
– “তুমি কি জানো, এটা খারাপ খেলা?”
রিমা মিষ্টি করে জবাব দিল,
“কেন? বাবা-মা খেলেন তো! তাহলে বাবা-মা কি খারাপ?”
এইবার মায়ের চোখে পানি না,
পুরো মুখটাই পানিতে ভিজে গেল।
🤲 এই ছোট্ট মেয়েটা কিন্তু দোষী না। দোষ কার?
👉 সেই বাবা-মার, যারা ভাবেন —
“বাচ্চারা কিছু বোঝে না।”
“ঘুমায় গেছে তো! আমাদের সমস্যা কী?”
👉 সেই আত্মীয়দের, যারা নিজের সন্তানকেও ঠিক করে দেখে না।
👉 সেই সমাজের, যেখানে যৌনতা “ট্যাবু”, অথচ ইউটিউবেই সবকিছু পাওয়া যায়!
❗ ডাক্তার মা’কে জিজ্ঞেস করলেন:
– “রিমা কি আপনাদের সাথেই ঘুমায়?”
মা কাঁপা গলায় বললেন, “হ, ছোট বাচ্চা। ও ঘুমায়ে গেলেই তো কাদা। ওর বাপ সহ্য করতে পারে না। আমি অনেকবার বলছি… ও শুনে না…”
এইবার ডাক্তারের চোখেই জল।
এই মা কি দোষী? নাকি এই মায়ের অসহায়তাই এই সমাজের প্রতিচ্ছবি?
🧠 আমরা কী শিখছি?
🔹 ছোটরা কিছু বোঝে না — এটা একটা ভয়ানক মিথ্যা।
🔹 ওরা আমাদের দেখে শেখে।
🔹 আমরা যেমন আচরণ করি, ওরাও সেটাকেই স্বাভাবিক ধরে নেয়।
👧 তাই রিমা যখন দেখে তার বাবা-মা “খেলছে”,
সে ভাবে, “এইটাই তো স্বাভাবিক খেলা!”
তখন সে ওর ভাইয়ের সাথেও তাই করে।
🛑 এই ঘটনায় আপনি যে প্রশ্নটা ফেলে আসতে পারবেন না:
👉 দোষটা কার? শিশুটির, নাকি আমাদের?
✅ করণীয় কী?
🛏️ সন্তান যদি ৫-৬ বছর বয়স পেরোয়, বিছানা আলাদা করুন
🏠 রুম আলাদা করতে না পারলে, পর্দা বা মশারি দিয়ে পার্টিশন দিন
👨👩👧👦 নিজ ঘরে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ব্যাপারে সতর্কতা বজায় রাখুন
📚 বাচ্চাকে গুড টাচ–ব্যাড টাচ শেখান
🧠 ওদের নিজের শরীর সম্পর্কে বুঝতে দিন
🙏 ধর্মীয় শিক্ষা দিন, কিন্তু তার সাথে বাস্তব শিক্ষা যুক্ত করুন
👂 সন্তানকে ভয় নয়, বিশ্বাস দিন
💬 ওর সাথে এমন সম্পর্ক রাখুন যেন ও যেকোনো কিছু আপনাকে বলতে পারে
👨👩👧 বাবা-মা হওয়া মানে শুধু খাবার দেওয়া, স্কুলে পাঠানো না —
তাদের নিরাপদ রাখা, সচেতন করা, এবং ভালোবাসায় গড়ে তোলা।