শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

সন্তান বড় হলে বিছানা আলাদা করা কি দরকারি?

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫, ৫:২৯ পিএম | 179 বার পড়া হয়েছে
সন্তান বড় হলে বিছানা আলাদা করা কি দরকারি?

সন্তান বড় হলে বিছানা আলাদা করা কি দরকারি?
হ্যাঁ, দরকারি! আর না করলে কী হয়? নিচের ঘটনাটা পড়ুন। শেয়ার করতে ভুলবেন না। আপনার একটি শেয়ারে আরেকজন শতর্ক হতে পারে…….
👧 রিমা (ছদ্ম নাম)। বয়স সাত। ওয়ানে পড়ে। ফর্সা গায়ের রঙ, কোকড়ানো চুল, টলটলে চোখ।
দেখলে মন চায়, একটু ছুঁয়ে দেখি!
এই বাচ্চাটাকে দেখে কখনো আপনি ভাববেন না, তার জীবনে এমন কিছু ঘটে গেছে যা… একজন ডাক্তারকেও স্তব্ধ করে দেয়।
🩺 একদিন মা তাকে নিয়ে এল চেম্বারে। প্রসাবে জ্বালাপোড়া। তলপেটে ব্যথা।
মা বলল, “ম্যাডাম, পিসাব করনের সময় কান্দে আর পেট ধইরা খিচ্চা বইসা থাকে।”
⚠️ ডাক্তার যখন পরীক্ষা করতে চাইলেন, মেয়েটির শরীরে যা দেখলেন, তাতে তার ভেতর কেঁপে উঠলো।
ছোট একটা শিশুর শরীরে এমন ক্ষত!
কী করে সম্ভব?
❓ডাক্তার জিজ্ঞেস করলেন:
– “বাড়িতে কে কে থাকে?”
মা: “ওর বাপ আর আমি।”
– “আর কেউ না?”
মা: “ভাসুরের বাসা পাশে। ওর ছেলের সাথে খেলাধুলা করে। বয়স বারো।”
– “কি খেলে?”
মা হেসে বললেন, “এই তো, চোর-পুলিশ, পুতুল খেলা। ছোট মানুষ তো!”
👩‍⚕️ ডাক্তার এবার সরাসরি মেয়েকে জিজ্ঞেস করেন:
– “মিতুল ভাইয়ার সাথে কি খেলো?”
রিমা বলে, “বউ-জামাই খেলি।”
– “ও খেলা কিভাবে খেলো?”
রিমা যা ব্যাখ্যা করলো, তা শুনে ডাক্তার স্তব্ধ, মা চেয়ারেই মরে গেলেন যেন।
হুঁশ ফিরে বললেন, “না ম্যাডাম! ও তো ছোট! কিছু বোঝে না!”
ডাক্তার চুপ। শুধু একটা কথা মনে হলো: “এই তো হয়েছে তোমার সবচেয়ে বড় ভুল!”
💔 এখানেই শেষ নয়…
ডাক্তার আবার জিজ্ঞেস করলেন,
– “তুমি কি জানো, এটা খারাপ খেলা?”
রিমা মিষ্টি করে জবাব দিল,
“কেন? বাবা-মা খেলেন তো! তাহলে বাবা-মা কি খারাপ?”
এইবার মায়ের চোখে পানি না,
পুরো মুখটাই পানিতে ভিজে গেল।
🤲 এই ছোট্ট মেয়েটা কিন্তু দোষী না। দোষ কার?
👉 সেই বাবা-মার, যারা ভাবেন —
“বাচ্চারা কিছু বোঝে না।”
“ঘুমায় গেছে তো! আমাদের সমস্যা কী?”
👉 সেই আত্মীয়দের, যারা নিজের সন্তানকেও ঠিক করে দেখে না।
👉 সেই সমাজের, যেখানে যৌনতা “ট্যাবু”, অথচ ইউটিউবেই সবকিছু পাওয়া যায়!
❗ ডাক্তার মা’কে জিজ্ঞেস করলেন:
– “রিমা কি আপনাদের সাথেই ঘুমায়?”
মা কাঁপা গলায় বললেন, “হ, ছোট বাচ্চা। ও ঘুমায়ে গেলেই তো কাদা। ওর বাপ সহ্য করতে পারে না। আমি অনেকবার বলছি… ও শুনে না…”
এইবার ডাক্তারের চোখেই জল।
এই মা কি দোষী? নাকি এই মায়ের অসহায়তাই এই সমাজের প্রতিচ্ছবি?
🧠 আমরা কী শিখছি?
🔹 ছোটরা কিছু বোঝে না — এটা একটা ভয়ানক মিথ্যা।
🔹 ওরা আমাদের দেখে শেখে।
🔹 আমরা যেমন আচরণ করি, ওরাও সেটাকেই স্বাভাবিক ধরে নেয়।
👧 তাই রিমা যখন দেখে তার বাবা-মা “খেলছে”,
সে ভাবে, “এইটাই তো স্বাভাবিক খেলা!”
তখন সে ওর ভাইয়ের সাথেও তাই করে।
🛑 এই ঘটনায় আপনি যে প্রশ্নটা ফেলে আসতে পারবেন না:
👉 দোষটা কার? শিশুটির, নাকি আমাদের?
✅ করণীয় কী?
🛏️ সন্তান যদি ৫-৬ বছর বয়স পেরোয়, বিছানা আলাদা করুন
🏠 রুম আলাদা করতে না পারলে, পর্দা বা মশারি দিয়ে পার্টিশন দিন
👨‍👩‍👧‍👦 নিজ ঘরে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ব্যাপারে সতর্কতা বজায় রাখুন
📚 বাচ্চাকে গুড টাচ–ব্যাড টাচ শেখান
🧠 ওদের নিজের শরীর সম্পর্কে বুঝতে দিন
🙏 ধর্মীয় শিক্ষা দিন, কিন্তু তার সাথে বাস্তব শিক্ষা যুক্ত করুন
👂 সন্তানকে ভয় নয়, বিশ্বাস দিন
💬 ওর সাথে এমন সম্পর্ক রাখুন যেন ও যেকোনো কিছু আপনাকে বলতে পারে
👨‍👩‍👧 বাবা-মা হওয়া মানে শুধু খাবার দেওয়া, স্কুলে পাঠানো না —
তাদের নিরাপদ রাখা, সচেতন করা, এবং ভালোবাসায় গড়ে তোলা।

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।