রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২

উত্তম পিতা হওয়ার ছোট্ট একটি গল্প

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫, ৪:৫৯ পিএম | 72 বার পড়া হয়েছে
উত্তম পিতা হওয়ার ছোট্ট একটি গল্প

বাবা কখনও আমাকে পরীক্ষায় ফার্স্ট হবার জন্য জোরাজুরি করেননি, তিনি শুধু বুঝতে চেয়েছেন স্কুলে আমি নতুন কিছু শিখতে পারছি কিনা। প্রত্যন্ত পল্লীগ্রামের এক অখ্যাত স্কুলে আমার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। তখন আমরা গ্রামের বাড়িতেই থাকতাম। বাবা মফস্বল শহরের কলেজে অধ্যাপনা করতেন। ক্লাস টু-তে ফাইনাল পরীক্ষায় আমি থার্ড হই। এতে মা ভয়ানক রেগে যান। ফার্স্ট হতে না পারার জন্য তিনি আমাকে ঢোল কলমি (এক ধরনের ছোট গাছ) দিয়ে ভালো রকম উত্তম মধ্যম দেন।
সন্ধ্যায় বাবা যখন বাড়িতে ফিরলেন তখন আমি বালিশে মুখ গুঁজে কাঁদছি। তিনি আমাকে কাছে ডেকে মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, পরীক্ষায় ফার্স্ট হতে পারা বা না পারার মধ্যে জীবনের সার্থকতা নির্ভর করে না। একজন মানুষের সফল বা ব্যর্থ হওয়া যতটা না তার মেধার ওপর নির্ভর করে, তার চেয়ে বেশি নির্ভর করে তার দৃষ্টিভঙ্গির ওপর।
বলা বাহুল্য, জীবন সম্পর্কে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার শিক্ষা বাবা আমাকে ছোটবেলা থেকেই দিয়েছিলেন। তিনি দরিদ্র মানুষ নন, তবুও তিনি আমাকে অভাব শিখিয়েছেন। কোনো জিনিস অন্তত তিনবার না চাইলে তিনি সেটা কানেই তুলতেন না। তিনবার বললেই যে পেয়ে যেতাম ব্যাপারটা মোটেই সেরকম নয়। তিনি তখন আমার চাওয়াটাকে বিবেচনায় নিতেন। তখন বাবার ওপর খুব রাগ হতো — এখন আর হয় না। কারণ এতদিনে আমি বুঝে গেছি তিনি ইচ্ছা করেই এমনটা করতেন। তিনি সবসময়ই বলতেন, “চাইলেই সবকিছু পাওয়া যায় না, সবকিছু পাবার দরকারও নেই। চাওয়া মাত্রই যেসব ছেলেমেয়ে সবকিছু পেয়ে যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা মানুষ হয় না।”
এখন আমার কাছে মনে হয়, ছোট ছোট না পাবার অতৃপ্তি মানুষের মধ্যে বড় কিছু পাবার ইচ্ছাশক্তি জাগিয়ে তোলে। কোনো কিছু চাইতেই পেয়ে যাবার পর আমাদের মস্তিষ্ক Satisfied হয়ে যায়। আর যখন আমরা সেটা পাই না তখন আমার মধ্যে আমাদের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি জন্ম নেয়। অস্বস্তিটা একসময় আমাদের অবচেতন মনে (Subconscious mind) পৌঁছে যায়। তারপর সেখানে ঘাপটি মেরে বসে থাকে। জীবনে সফল হতে গেলে এই অস্বস্তি জিনিসটা খুব দরকার। কারণ অস্বস্তি ছাড়া আমাদের মধ্যে প্রেরণা (Motivation) তৈরি হয় না। এজন্যই বোধহয় মাত্রাতিরিক্ত বিত্ত-বৈভবের মধ্যে বড় হওয়া ছেলেমেয়েরা প্রায় ক্ষেত্রেই উচ্ছন্নে যায়।
বাবা আমাকে কখনও বাজে সঙ্গে মিশতে নিষেধ করেননি। তিনি আমাকে যেটা বলতেন সেটা হচ্ছে, তুমি ভালো-মন্দ উভয়ের সাথেই চলবে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভালোটাকেই গ্রহণ করবে। যদি তোমাকে খারাপের সাথে মিশতে নিষেধ করি, তাহলে জগতের অন্ধকার দিকগুলোর প্রলোভন থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার শিক্ষা তুমি পাবে না। জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত ও চড়াই-উৎরাই সম্পর্কেও তোমার ধারণা তৈরি হবে না। এটা শেষ পর্যন্ত তোমার ক্ষতির কারণ হতে পারে।
তাই কলেজ জীবনে আমার বন্ধুরা যখন লেটেস্ট মডেলের বাইক হাঁকিয়ে মেয়েদের কমন রুমের সামনে এসে সানগ্লাস খুলে দাঁড়ত তখন আমার মনে এতটুকু ঈর্ষা দানা বাঁধত না। আসলে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, বিলাসবহুল গাড়ি, দামি ফ্ল্যাট, ডাইনিং টেবিল ভর্তি খাবার, নামী ব্রান্ডের ফোন — এসব দিয়ে সন্তানকে মানুষ করা যায় না। সন্তানকে সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে তাকে ‘জীবনের মানে” শেখাতে হয়।
বাবা আমাকে শৈশব থেকেই জীবনের মানে শেখাতে চেয়েছেন, আমি কতটুকু গ্রহণ করতে পেরেছি জানিনা। আজ জীবনের এই পর্যায়ে এসে এখনও আমি জীবনের মানে খোঁজার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমার কাছে জীবন মানে পৌষের সকালে শিশির ভেজা ঘাসে খালি পায়ে হাঁটা, ভরা বর্ষায় ডিঙি নৌকা করে খালে-বিলে ঘুরে বেড়ানো, হলুদ সরিষা ক্ষেতের আইলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকা, পড়ন্ত বিকেলের ঝিরিঝিরি হাওয়ায় মাঠ দাপিয়ে ঘুড়ি ওড়ানো, নদীর তীর অসার করে ফেলা ঘন কুয়াশা, বাঁশবাগানে জোনাকির মিটিমিটি আলো, উথাল পাথাল জোৎস্না রাতের পুকুরঘাট, আঁধার করে আসা একটানা বৃষ্টি, আপনজনদের সাথে কাটানো সুন্দর একটা সন্ধ্যা। আমার কাছে জীবন মানে সাধারণ মানুষের সেবা করা।

রুহুল আমিন রুকু কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

ভূরুঙ্গামারীতে সোনাহাট সেতুর পাটাতন ভেঙে যান চলাচল বন্ধ

রুহুল আমিন রুকু কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫, ৩:২৩ পিএম
ভূরুঙ্গামারীতে সোনাহাট সেতুর পাটাতন ভেঙে যান চলাচল বন্ধ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর সংলগ্ন সোনাহাট সেতুর পাটাতন ভেঙে পড়েছে। এতে করে সেতুর ওপর দিয়ে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

কি ঘটেছে
২৯ জুন রোববার সকাল ৯টার দিকে সেতুর ওপর দিয়ে একটি পাথরবোঝাই ট্রাক উঠলে সেতুর জীর্ণ-শীর্ণ স্টিলের পাটাতন হঠাৎ করেই ভেঙে পড়ে। এতে ট্রাকটি আটকে যায় এবং সেতুর দুপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

বন্ধ স্থলবন্দর কার্যক্রম
সোনাহাট স্থলবন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও আংশিকভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিকরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন।

জরুরি মেরামতের চেষ্টা
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জরুরি ভিত্তিতে সেতুর পাটাতন মেরামতের কাজ চলছে। তবে পুরোপুরি সচল হতে আরো কিছু সময় লাগবে।

স্থানীয়দের ক্ষোভ
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, বারবার অভিযোগ করার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেতুটির স্থায়ী মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি। ফলে প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে।

নতুন সেতুর আশ্বাস
সওজ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে নতুন একটি সেতুর নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু ডিজাইন পরিবর্তন এবং বাজেট জটিলতার কারণে কাজ শুরুতে বিলম্ব হচ্ছে।

বিকল্প রুট ব্যবহার নির্দেশনা
সড়ক বিভাগ ও প্রশাসন জানিয়েছে, মেরামতের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভূরুঙ্গামারী থেকে রৌমারী বা নাগেশ্বরী হয়ে বিকল্প পথে যান চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

যমুনা সেতু বাজার এক দক্ষ কম্পিউটার অপারেটর মোহাম্মদ আলী

মোঃ মিজানুর সরকার (টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি) প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫, ৮:৩৩ এএম
যমুনা সেতু বাজার এক দক্ষ কম্পিউটার অপারেটর মোহাম্মদ আলী

মাস্টার্স পাশ করা শিক্ষিত যুবক মোহাম্মদ আলী প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে কম্পিউটারের মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসায় নিয়োজিত আছেন।

টাঙ্গাইল ভুঞাপুর নিকরাইল যমুনা সেতু বাজারের প্রাণ কেন্দ্রে মাইশা ডিজিটাল স্টুডিও অবস্থিত।

অনলাইন থেকে যে ধরনের সার্ভিস পাবেন, পাসপোর্ট আবেদন, খাজনার আবেদন, খারিজের আবেদন, ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন, অনলাইনে ভিসা চেকিং, ল্যাব প্রিন্টের ছবি, ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা, যে কোনো সরকারি চাকরির আবেদন, ইন্টারমিডিয়েট, অনার্স, মাস্টার্স, ভর্তির আবেদন, কলেজ ট্রান্সফার আবেদন করতে পারবেন। জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধনের আবেদন, হারানো এনআইডি কার্ড উত্তোলন আবেদন করা হয়।

বায়না পত্র লেখা, বন্ধক দলিল লেখা গাড়ি কেনাবেচার দলিল লেখা, দোকান বিক্রি করার চুক্তিপত্র লেখা, এই সকল সেবা পাবেন মাইশা ডিজিটাল স্টুডিও যমুনা সেতু বাজার।

মাইশা ডিজিটাল স্টুডিও প্রোপাইটার জনাব মোহাম্মদ আলী বলেন মানুষকে ডিজিটাল সেবা দেওয়া আমাদের লক্ষ্য। গ্রামের অনেক সহজ সরল মানুষ আছেন তারা জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে অনলাইন বুঝে না তাদেরকে আমরা সেবা দেই অনলাইন হোল্ডিং করা জমি সংক্রান্ত অনলাইনে সকল কাজ আমরা করে থাকি।

অনলাইনে যে কোন কাজ করতে আসতে পারেন এই অভিজ্ঞ সম্পন্ন কম্পিউটার দোকানে।

যোগাযোগ

০১.মোহাম্মদ আলী

(০১৭৪১-৫৬১০৫৬)

০২.মোঃ মিজানুর সরকার

(০১৭১৫-৬৬৫৪৬৭)

নিলফামারীতে নিখোঁজ হয়ে জাওয়া কুমিল্লার ২ সাংবাদিক 

কুমিল্লা প্রতিনিধি শাহরিয়া শিকদার প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫, ৯:০২ পিএম
নিলফামারীতে নিখোঁজ হয়ে জাওয়া কুমিল্লার ২ সাংবাদিক 

ইতিহাস ঐতিহ্য,সাহিত্য সাংস্কৃতি গবেষক একজন প্রতিভাবান সংগঠক, লেখক, সাংবাদিক ও সম্পাদক শাহজাদা এমরান,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর পত্রিকা দৈনিক দিনকাল কুমিল্লা প্রধান। তিনি সাহিত্য, সংস্কৃতি,কবিতা ও গল্পের মাসিক “মনন” বের করতেন ১৯৯৯সালে।সাপ্তাহিক আমোদ সহ দেশের প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমে জনপ্রিয় লেখক হিসেবে পরিচিত।

১৯৭১সালে যুদ্ধের বীরাঙ্গনা দের নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বই বের করেন।

দৈনিক আমাদের কুমিল্লা বার্তা সম্পাদক ও অনলাইন কুমিল্লার জমিন সম্পাদক,দ্বায়িত্ব পালনে বিগত ফ্যাসিবাদের আগ্রাসনে পত্রিকা অফিসে হামলা হত্যার চেষ্টা একাধিক ঘটনা।

দৈনিক আমাদের কুমিল্লা ফ্যাসিস্ট সচিব নাজমুল ইসলাম খানের হলেও –

ব্যাক্তি শাহজাদা ১৬বছর মজলুম দের সঙ্গে ছিল।

বিএনপি, জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাইভ সম্প্রচার করে জনগণের আস্থা ও ভালবাসা অর্জন করে।

কুমিল্লার কলম এম কে নুর আলম প্রকাশ, শরনার্থী দের যুদ্ধ জীবন ১৯৭১ পাঠ পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে আমি কবি নজরুল ইনিস্টিউটে আমন্ত্রণে শাহজাদা এমরান।

একজন সিনিয়র সাংবাদিক ইতিহাস ঐতিহ্যের খুঁজে ভ্রমণে গিয়ে সঙ্গী তরুণ সহ নিখোঁজ!

দীর্ঘ অনুসন্ধানে প্রকাশ,একটি বিষয় স্পষ্ট- কুমিল্লার সাংবাদিক দের মধ্যে একাধিক অংশ!

কেউ আওয়ামী লীগের, কেউ বিএনপি পন্থী,জামায়াত ও এনসিপি পন্থী।

৫আগস্টের পর প্রেসক্লাব সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে ভোট চোর গনহত্যার দোসররা বহাল তবিয়তে।

কুমিল্লা বিগত ১৬বছর ফ্যাসিবাদের ছত্রছায়ায় একাধিক পত্রিকা সম্পাদক ও সাংবাদিক শত শত কোটি অবৈধ টাকার মালিক।সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট হাসিনা’র সফর সঙ্গী হয়ে ভারত সহ বিভিন্ন দেশে আশা যাওয়া, তারা আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্র।

অভিযোগ রয়েছে,

কুমিল্লা প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন নামে সংগঠন করে,সাংবাদিক নেতা হয়ে-ভোট চোর ও গনহত্যার লীগ ফ্যাসিবাদের দোসর,তবে তাঁরা এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে,পলাতক আওয়ামী লীগের কুখ্যাত সাবেক এমপি বাহার ও কন্যা সূচি গংদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ,সম্পর্ক আছে প্রশাসনের কর্তাদের সাথে-কালো টাকার পাহাড়ে ওই সাংবাদিক নেতারা অধরা।

শাহজাদা এমরান নিখোঁজে আওয়ামী ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি-এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত জরুরি