পরকীয়া এবং জীবনসঙ্গীর সৌন্দর্যের কোনো সম্পর্ক নেই!


আমি পুনরায় বলছি — পরকীয়ার সঙ্গে জীবনসঙ্গী সুন্দর বা অসুন্দর হওয়ার কোনো যোগ নেই।
আপনি যদি ভাবেন “আমি সুন্দর, তাই আমার সঙ্গী আমাকে কখনো CHEAT করবে না,” এটা একেবারেই ভুল ধারণা। চরিত্র খারাপ হলে মন তো সহজেই অন্যদিকে যায়, সেটা সে সুন্দরী স্ত্রী হলেও হবে, সঙ্গী যতই মোহনীয় হোক না কেন!
যেমন কথায় আছে — “Once a cheater, always a cheater.”
সৌন্দর্য দিয়ে যদি শুধু পুরুষদের মন জয় করা যেতো, তাহলে প্রিন্সেস ডায়ানা কেন প্রতারিত হতেন?
সত্যিকারের ভালোবাসা গায়ের রঙ, ঐশ্বর্য বা সৌন্দর্য দিয়ে বিচার করে না। যারা প্রকৃত ভালোবাসতে জানে, তারা চরিত্র, মন ও বিশ্বাসকে প্রাধান্য দেয়।
কিন্তু মানুষ, সৃষ্টির অদ্ভুত নিয়মে, যখন গাছ থেকে নিচের পাতা তুলে নিতে চায়, তখন ভালোবাসা তো দূরের কথা!
একজন বন্ধুকে আমি চিনি, সে এখনও তার এক্স-পার্টনারকে ভালোবাসে, প্রথম দিনের মতোই, যদিও সব সত্য উন্মোচিত হয়েছে। তার বিশ্বাস ছিল ভালোবাসার ক্ষমতা অপরিসীম। কিন্তু আধুনিক যুগে ভালোবাসার সেই শক্তি প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। জল্পনা-কল্পনা সব মূল্যহীন প্রমাণিত হয়েছে। তারা একসাথে থাকতে পারল না, ভালোবাসা টিকে উঠল না।
সত্যিকারের ভালোবাসা কখনোই কাউকে বেহায়া বানায় না, বরং মানুষকে মর্যাদা দেয়। আজকের যুগে ‘চিটার’ এর অবস্থান মানুষের মস্তিষ্কে এখনও অমলিন। তারা বিশ্বাস করে, একদিন পার্টনার ভুল বুঝবে — এটাকে বলে ‘আশায় বাঁচে চাষা’।
যে একবার বাইরের দিকে নজর দিল, সে সহজে ফিরে আসে না। ফিরে এলেও সেটি এক বিরল মিরাকল। সেই মিরাকল শুধু ঘটে যাঁদের প্রতি স্রষ্টার বিশেষ দয়া ও পছন্দ থাকে।
এক ভয়ংকর আয়াত মনে রাখবেন —
“তুমি চাইলেই তোমার পছন্দের মানুষকে সৎ পথে নিয়ে আসতে পারবে না, কারণ স্রষ্টা যাকে ইচ্ছা, তাকেই সৎ পথে পরিচালিত করেন।”
অতএব, আপনার পার্টনারের প্রতি অন্ধবিশ্বাস নয়, বরং ‘ত্রিনেত্র’ সজাগতা রাখুন। সতর্ক থাকুন, মনোযোগী থাকুন। তাহলে দিনশেষে ঠকলেও নিজেকে সামলাতে পারবেন, নিজের মর্যাদা বজায় রাখতে পারবেন।
নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও পরামর্শ:
বিশ্বাস এবং কমিউনিকেশন: পার্টনারের সাথে খোলামেলা কথা বলুন, একে অপরের ভাবনা বোঝার চেষ্টা করুন।
নিজের মূল্যবোধ ও মানসিক দৃঢ়তা বাড়ান: নিজেকে সম্মান দিন, মনের শান্তি বজায় রাখুন।
সঠিক সীমানা নির্ধারণ করুন: সম্পর্কের মধ্যে লালসা, বিশ্বাসঘাতকতা কিংবা অন্যায় আচরণের জন্য স্পষ্ট সীমানা টানুন।
নিজেকে উন্নত করুন: নিজেকে মানসিক, শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে সজাগ ও শক্তিশালী রাখুন।
প্রয়োজনে সাহায্য নিন: সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্যা হলে কাউন্সেলিং বা থেরাপির সাহায্য নিতে পারেন।
সত্যিকারের ভালোবাসা যেখানে থাকে, সেখানে বিশ্বাস আর শ্রদ্ধা থাকে। আর এই মূল্যবোধ বজায় রেখে চলতে পারলে, জীবনে সুখ ও শান্তি বজায় রাখা সহজ হয়। 🌿✨