শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

মহাকাশ স্টেশন ধ্বংস করতে ১০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৩:০০ এএম | 102 বার পড়া হয়েছে
মহাকাশ স্টেশন ধ্বংস করতে ১০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি

সবকিছুর শুরু যেমন আছে, তেমনি শেষও আছে। মহাকাশে সভ্যতার ইতিহাস গড়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের আয়ুও প্রায় শেষের দিকে। ২০৩১ সাল নাগাদ এটিকে ছুঁড়ে ফেলা হবে প্রশান্ত মহাসাগরের দুর্গম নিমো পয়েন্ট এলাকায়। স্টেশনটি ধ্বংস করতে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের সাথে ১০ হাজার কোটি টাকার চুক্তিও করে ফেলেছে নাসা।

পৃথিবীর বাইরে মানুষের একমাত্র স্থায়ী আবাসস্থল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন, আইএসএস। নির্মাণ কাজ শুরু ১৯৯৮ সালে। আর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু ২০০০-এ।

ভাসমান এই গবেষণাগারে প্রথম পা রাখেন দুই রুশ নভোচারী সের্গেই ক্রিকালেভ ও ইউরি গিডজেনকো, যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী উইলিয়াম শেফার্ড।

প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে মানুষের সবচেয়ে বড় সাফল্য- এই স্টেশন তৈরি হয়েছে ৪ দেশ ও একটি সংস্থার উদ্যোগে। যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া স্টেশনটির নেতৃত্বে থাকলেও ইউরোপ, কানাডা এবং জাপান রয়েছে সহযোগীর ভূমিকায়।

এ পর্যন্ত ২০ দেশের ২শ’র বেশি নভোচারীর পা পড়েছে এই মহাকাশ কেন্দ্রে। বলা হয়, যাত্রা শুরুর পর থেকে এটি কখনো মানবশূন্য থাকেনি।

ছয় রুমের এই স্টেশনে রয়েছে মাইক্রো গ্রাভিটি নিয়ে গবেষণাগার। এছাড়া পানি বিরুদ্ধ করা এবং ক্যান্সারের মতো রোগের চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা হয় সেখানে। এ পর্যন্ত এখানে প্রায় ৩ হাজার ৩শ’ গবেষণা চালিয়েছে বিজ্ঞানীরা।

প্রতিবছর এটি পরিচালনায় নাসার খরচ ৪শ’ কোটি ডলার। ২৪ বছরের দীর্ঘ সফরে মহাকাশে পর্যটন ভ্রমণ, সিনেমার শুটিংয়ের মতো অনেক ইতিহাসের সাক্ষী হয়েছে এই আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র।

তবে এখন বয়সের ভারে প্রায় ন্যুব্জ আইএসএস। যান্ত্রিক ও প্রযুক্তিগত নানা সমস্যার কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন নভোচারীরা। গেল জুনে ৮ দিনের জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়ে আটকে গেছেন নাসার দুই নভোচারী বুচ উইলমোর ও সুনিতা উইলিয়ামস। কারিগরি ত্রুটির কারণে ২০২৫ সাল পর্যন্ত মহাকাশ কেন্দ্রেই থাকতে হবে দু’জনকে।

তাই মহাকাশ বিজ্ঞানের এই অনন্য কীর্তি ২০৩০ সাল পর্যন্ত টিকে থাকবে পৃথিবীর কক্ষপথে। এরপর মহাকাশযানের কবরস্থান নামে খ্যাত নিমো পয়েন্টে ডুবিয়ে ফেলা হবে আইএসএস’কে।

ফুটবল মাঠের আয়তনের সমান এই স্টেশনকে মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বুকে নামিয়ে আনা সহজ হবে না বিজ্ঞানীদের জন্য। এরই মধ্যে এটিকে ধ্বংস করতে স্পেসএক্সের সাথে ৮৪৩ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে নাসা।

এটিকে কক্ষপথ থেকে টেনে নামাতে ডি-অরবিট ভেহিকল নামের বিশেষ একটি যান তৈরি করবে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান।

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।